মুক্তিযোদ্ধা হলে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানতে হবে- নিউইয়র্কের সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চেয়ারম্যান
“মুক্তিযোদ্ধারা বিএনপি, এমনকি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও সম্পৃক্ত হতে পারেন। এটি তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে তাঁদের ‘জয় বাংলা’ সেগান দিতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা মানতে হবে। এ দুটি মৌলিক বিষয়ে যাঁরা দ্বিমত পোষণ করবেন তাঁদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কখনই মেনে নেয়া হবে না।
কারণ, বিষয়টি রাজনৈতিক নয়, এটি হচ্ছে চেতনার বিষয়” এ মতামত ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ মুতিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম। তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কাজে অংশ যারা নেবে তাদেরই আমরা বর্জন করব। বিশেষ করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার যারা না চাইবে তারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় থাকতে পারবে না। যারা একাত্তরের ঘাতকদের বিচার চায় না তারা কখনই মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।” ৯ সেপ্টেম্বর রাতে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল) নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে গ্রীনপার্টি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এক সমাবেশে কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের দুই মহাসচিব মনোয়ারুল হক খান (অর্থ), মনিরুল হক (কল্যাণ), আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহ আলম খানও বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাষ্ট্র সফররত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এই ৪ কর্মকর্তাকে সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক নূরনবী কমান্ডার এবং সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব আব্দুল মুকিত চৌধুরী। সমাবেশে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক- পেশাজীবী সংগঠনের ৩৩ জন বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে ছিলেন বস্টন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. আবু হাসনাত, শহীদ পরিবারের সন্তান নাহিদ নজরুল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সংগঠক ইউসুফ ইকবাল, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, কলামিস্ট বেলাল বেগ, সাপ্তাহিক বাঙালীর সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, নিউইয়র্ক মহানগর আ’লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া চৌধুরী, সেক্রেটারি ইমদাদুর রহমান চৌধুরী, সন্দ্বীপ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নিউইয়র্ক মহানগর আ’লীগের প্রধান উপদেষ্টা নূরল আমিন, ব্রুকলীন আ’লীগের সভাপতি নূরল ইসলাম নজরুল প্রমুখ। সমাবেশে বস্টন, কানেক্টিকাট ফিলাডেলফিয়া, নিউজার্সি এবং নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানের প্রবাসীরা অংশ নিয়ে একাত্তরের চেতনা প্রতিকাজে জাগ্রত রাখার সংকল্প ব্যক্ত করেন। এ সময় নবগঠিত যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যগণকেও পরিচয় করানো হয়। জানানো হয়, এ যাবত ৬৮ মুক্তিযোদ্ধার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও ৪০ জনের নাম যাচাই করা হচ্ছে। এভাবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরির পরই আইডি প্রদান করা হবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী সব মুক্তিযোদ্ধাকে।
হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের বিরুদ্ধে মহলবিশেষ অপপ্রচার চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে। এ ব্যাপারে প্রবাসের প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্যক্তিকে সজাগ থাকতে হবে। সিনেটর-কংগ্রেসম্যান এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টে নিজ নিজ অবস্থান থেকে একাত্তরের পরিস্থিতি যথাযথভাবে অবহিত করতে হবে। একইসঙ্গে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী নতুন প্রজন্মকে একাত্তরের গৌরব গাথা অবহিত করতে হবে এবং ঘাতকদের সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে হবে। তাহলে তারাও সোচ্চার হবে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান বলেছেন, কংগ্রেস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট যাতে মৌলবাদের পক্ষে না যায়, সে ব্যাপারেও প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের সোচ্চার থাকতে হবে। গঠন করতে হবে উপদেষ্টা পরিষদ-কমিউনিটির উচ্চ শিক্ষিত এবং মূলধারায় কানেকশন রয়েছে তাদের সমন্বয়ে-বলেন হেলাল মোর্শেদ।
তিনি বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পেতে শুরু করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত রয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে। বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে ৩ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা পাসের সময় মন্ত্রিপরিষদের অধিকাংশই আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু জননেত্রীর কারণে সেটি সম্ভব হয়েছে। ৪৮০ উপজেলায় এ ভবন তৈরি হবে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হিসেবে। ওপর তলায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ, লাইব্রেরি, দ্বিতীয় তলায় মিলনায়তন এবং নিচের তলায় দোকান দেয়া হবে। এ খাতে মোট বরাদ্দ রয়েছে ৪৮০ কোটি টাকা।’ হেলাল মোর্শেদ বলেন, ইতোমধ্যেই ৪২ জেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা ভবন তৈরি হয়েছে। অপর ২২ জেলা সদরেও ভবন তৈরির কাজ চলছে। এ খাতে ব্যয় হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহে এগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ৪ দলীয় জোটের ৫ বছর এবং ১/১১তে গঠিত কেয়ারটেকার সরকারের দু’বছর- মোট ৭ বছরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয় মাত্র ৭ হাজার জনের। অপরদিকে বর্তমান সরকারের সাড়ে তিন বছরে ৪৫ হাজার জনের চাকরি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। আরও ৪০ হাজার জনের আবেদন প্রসেসিংয়ে রয়েছে। এভাবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পুনর্বাসনের কাজ চলছে। চেয়ারম্যান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত হবেন এটাই সত্য।’ তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পর ৩৭ বছর কেটে গেছে নানা ব্যর্থতায়। মুক্তিযোদ্ধাদের অপবাদ দেয়া হয়েছে, সহায়তার নামে প্রহসন চলেছে প্রতিটি স্তরে। এহেন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে একটু সময় লাগবে এবং এজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সদা জাগ্রত রাখার অভিপ্রায়ে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এগুলো পরিচালিত হবে বেসরকারী উদ্যোগে। নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫০/৬০ হাজার যুবক-যুবতীকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবেÑযারা দিবস শুরু করবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং রাতে বাসায় ফিরবেন একই চেতনার আলোকে। হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, এ বছরেই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে। এটি সম্ভব হলে জানুয়ারি থেকে প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাকেই সম্মানীভাতা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। একইসঙ্গে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধির আবেদন তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে রয়েছেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহনির্মাণের কাজও চলছে।
হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের বিরুদ্ধে মহলবিশেষ অপপ্রচার চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে। এ ব্যাপারে প্রবাসের প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্যক্তিকে সজাগ থাকতে হবে। সিনেটর-কংগ্রেসম্যান এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টে নিজ নিজ অবস্থান থেকে একাত্তরের পরিস্থিতি যথাযথভাবে অবহিত করতে হবে। একইসঙ্গে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী নতুন প্রজন্মকে একাত্তরের গৌরব গাথা অবহিত করতে হবে এবং ঘাতকদের সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে হবে। তাহলে তারাও সোচ্চার হবে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান বলেছেন, কংগ্রেস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট যাতে মৌলবাদের পক্ষে না যায়, সে ব্যাপারেও প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের সোচ্চার থাকতে হবে। গঠন করতে হবে উপদেষ্টা পরিষদ-কমিউনিটির উচ্চ শিক্ষিত এবং মূলধারায় কানেকশন রয়েছে তাদের সমন্বয়ে-বলেন হেলাল মোর্শেদ।
তিনি বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পেতে শুরু করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত রয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে। বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে ৩ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা পাসের সময় মন্ত্রিপরিষদের অধিকাংশই আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু জননেত্রীর কারণে সেটি সম্ভব হয়েছে। ৪৮০ উপজেলায় এ ভবন তৈরি হবে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হিসেবে। ওপর তলায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ, লাইব্রেরি, দ্বিতীয় তলায় মিলনায়তন এবং নিচের তলায় দোকান দেয়া হবে। এ খাতে মোট বরাদ্দ রয়েছে ৪৮০ কোটি টাকা।’ হেলাল মোর্শেদ বলেন, ইতোমধ্যেই ৪২ জেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা ভবন তৈরি হয়েছে। অপর ২২ জেলা সদরেও ভবন তৈরির কাজ চলছে। এ খাতে ব্যয় হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহে এগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ৪ দলীয় জোটের ৫ বছর এবং ১/১১তে গঠিত কেয়ারটেকার সরকারের দু’বছর- মোট ৭ বছরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয় মাত্র ৭ হাজার জনের। অপরদিকে বর্তমান সরকারের সাড়ে তিন বছরে ৪৫ হাজার জনের চাকরি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। আরও ৪০ হাজার জনের আবেদন প্রসেসিংয়ে রয়েছে। এভাবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পুনর্বাসনের কাজ চলছে। চেয়ারম্যান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত হবেন এটাই সত্য।’ তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পর ৩৭ বছর কেটে গেছে নানা ব্যর্থতায়। মুক্তিযোদ্ধাদের অপবাদ দেয়া হয়েছে, সহায়তার নামে প্রহসন চলেছে প্রতিটি স্তরে। এহেন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে একটু সময় লাগবে এবং এজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সদা জাগ্রত রাখার অভিপ্রায়ে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এগুলো পরিচালিত হবে বেসরকারী উদ্যোগে। নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫০/৬০ হাজার যুবক-যুবতীকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবেÑযারা দিবস শুরু করবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং রাতে বাসায় ফিরবেন একই চেতনার আলোকে। হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, এ বছরেই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে। এটি সম্ভব হলে জানুয়ারি থেকে প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাকেই সম্মানীভাতা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। একইসঙ্গে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধির আবেদন তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে রয়েছেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহনির্মাণের কাজও চলছে।
No comments