এবার রাবিতে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলের মিছিলে হামলা চালায়। এতে ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত রেজা আসিক, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পাপন ও কর্মী দেলোয়ার হোসেনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ঘটনার পর বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকটি যানবাহনে হামলা চালায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িসহ আরো কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ কারণে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর বিকেলে ছাত্রদল আবার প্রতিবাদ মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে ১০ কর্মী আহত হয়েছেন বলে সংগঠনের নেতারা দাবি করেন। এ সময় পুলিশ জহিরুল ইসলাম জনি নামের এক ছাত্রদলকর্মীকে আটক করে। জনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বাক্কার ছিদ্দিক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। হলে রাত ৮টার দিকে হতে পারে।'
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চতুর্থ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে মিছিল করার জন্য সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের পাশের বিনোদপুর বাজার এলাকায় জড়ো হতে থাকে। খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিলসহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। মিছিলটি সিনেট ভবনের সামনে আসার পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিম, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগকর্মী আবদুল্লাহ আল হেল সোহেল হত্যাকাণ্ডের আসামি তৌহিদ আল তুহিন, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, উপপ্রচার সম্পাদক সাহানুর সাকিল, কর্মী মোশারফসহ আরো কয়েকজনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল হকিস্টিক, রামদা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলের কাছেই দাঁড়িয়ে থাকে পুলিশ। হামলার প্রতিবাদে দুপুর ১টার দিকে মহানগর ছাত্রদল রাজশাহী নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
ছাত্রদল নেতা রোজ জানান, ছুরিকাঘাতে তিনজন ছাড়াও বেধড়ক পিটুনিতে আহত হয়েছেন আরো সাতজন। তাঁরা হলেন- সামুউল ইসলাম, আবদুল আলীম রাসেল, ইকরামুল হক হিরা, দেলোয়ার হোসেন, ইমতিয়াজ আহমেদ, আহসানুজ্জামান অলিন ও ইয়াসির আরাফাত।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বিপু বলেন, 'কারো ওপর হামলা করা হয়নি। ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার কারণে তাদের প্রতিহত করেছে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'বর্তমানে ক্যাম্পাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।'
উল্লেখ্য, সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
হামলার নেতৃত্বে বহিষ্কৃত নেতারা : ছাত্রলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, গতকাল ছাত্রদলের মিছিলে হামলার নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই বহিষ্কৃত নেতা আখেরুজ্জামান তাকিম ও তৌহিদ আল তুহিন। এর মধ্যে তাকিমের ছাত্রত্ব নেই। বহিষ্কারাদেশের তিন-চার দিন পর থেকেই এ দুই নেতা আবার ক্যাম্পাসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছত্রচ্ছায়ায় ওই দুজন সক্রিয় হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ছাত্রদলের ওপর হামলার বিষয়ে তাকিম বলেন, 'তাদের ওপর হামলা করা হয়নি। তারা একটু সমস্যা করছিল। তাই তাদের সাইজ করেছি। তবে আমি নেতৃত্ব দিইনি।'
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আহম্মদ আলী বলেন, 'তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পরও যদি তারা সংগঠনের কোনো বিষয়ে জড়িত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বিকেলে ছাত্রদের প্রতিবাদ মিছিলের ওপর পুলিশের হামলার ব্যাপারে মতিহার থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, তারা বিক্ষোভ মিছিলের নামে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে পারে- এমন আশঙ্কায় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আটক জনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ঘটনার পর বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকটি যানবাহনে হামলা চালায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িসহ আরো কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ কারণে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর বিকেলে ছাত্রদল আবার প্রতিবাদ মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে ১০ কর্মী আহত হয়েছেন বলে সংগঠনের নেতারা দাবি করেন। এ সময় পুলিশ জহিরুল ইসলাম জনি নামের এক ছাত্রদলকর্মীকে আটক করে। জনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বাক্কার ছিদ্দিক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। হলে রাত ৮টার দিকে হতে পারে।'
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চতুর্থ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে মিছিল করার জন্য সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের পাশের বিনোদপুর বাজার এলাকায় জড়ো হতে থাকে। খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিলসহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। মিছিলটি সিনেট ভবনের সামনে আসার পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিম, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগকর্মী আবদুল্লাহ আল হেল সোহেল হত্যাকাণ্ডের আসামি তৌহিদ আল তুহিন, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, উপপ্রচার সম্পাদক সাহানুর সাকিল, কর্মী মোশারফসহ আরো কয়েকজনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল হকিস্টিক, রামদা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলের কাছেই দাঁড়িয়ে থাকে পুলিশ। হামলার প্রতিবাদে দুপুর ১টার দিকে মহানগর ছাত্রদল রাজশাহী নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
ছাত্রদল নেতা রোজ জানান, ছুরিকাঘাতে তিনজন ছাড়াও বেধড়ক পিটুনিতে আহত হয়েছেন আরো সাতজন। তাঁরা হলেন- সামুউল ইসলাম, আবদুল আলীম রাসেল, ইকরামুল হক হিরা, দেলোয়ার হোসেন, ইমতিয়াজ আহমেদ, আহসানুজ্জামান অলিন ও ইয়াসির আরাফাত।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বিপু বলেন, 'কারো ওপর হামলা করা হয়নি। ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার কারণে তাদের প্রতিহত করেছে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'বর্তমানে ক্যাম্পাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।'
উল্লেখ্য, সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
হামলার নেতৃত্বে বহিষ্কৃত নেতারা : ছাত্রলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, গতকাল ছাত্রদলের মিছিলে হামলার নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই বহিষ্কৃত নেতা আখেরুজ্জামান তাকিম ও তৌহিদ আল তুহিন। এর মধ্যে তাকিমের ছাত্রত্ব নেই। বহিষ্কারাদেশের তিন-চার দিন পর থেকেই এ দুই নেতা আবার ক্যাম্পাসে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছত্রচ্ছায়ায় ওই দুজন সক্রিয় হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ছাত্রদলের ওপর হামলার বিষয়ে তাকিম বলেন, 'তাদের ওপর হামলা করা হয়নি। তারা একটু সমস্যা করছিল। তাই তাদের সাইজ করেছি। তবে আমি নেতৃত্ব দিইনি।'
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আহম্মদ আলী বলেন, 'তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পরও যদি তারা সংগঠনের কোনো বিষয়ে জড়িত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বিকেলে ছাত্রদের প্রতিবাদ মিছিলের ওপর পুলিশের হামলার ব্যাপারে মতিহার থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, তারা বিক্ষোভ মিছিলের নামে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে পারে- এমন আশঙ্কায় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আটক জনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
No comments