অগ্রাধিকার ঘোষিত বিদ্যুত্ খাতেও ব্যর্থ মহাজোট সরকারঃ গর্জন হলেই বর্ষণ হয় না
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পরপরই সর্বাধিক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত হিসেবে বিদ্যুত্ খাত উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছিল। সরকারের প্রথম বাজেটে এ খাতের জন্য বড় বরাদ্দ রাখাটা ছিল এ ঘোষণার সঙ্গে খুবই সঙ্গতিপূর্ণ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ১০ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থাত্ ৩ হাজার ১৩৩ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় বিদ্যুত্ খাতের ৪২টি প্রকল্পের জন্য।
এসব দেখে যারা ডিজিটাল উন্নতিতে আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন তারা এখন ফুটো বেলুনের মতো চুপসে গেছেন হতাশায়। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে বর্তমানে তো নয়ই, অদূর ভবিষ্যতেও রেহাই পাওয়া যাবে এমন কোনো সম্ভাবনার দেখাও মিলছে না।
বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা প্রায় ছয় হাজার মেগাওয়াট হলেও পাওয়া যাচ্ছে গড়ে তিন হাজার ৮০০ থেকে চার হাজার মেগাওয়াট। প্রতিদিন এক হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি সামলাতে বিদ্যুত্ গ্রাহকদের লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি পানি সঙ্কটেও ভুগতে হচ্ছে। খোদ রাজধানীতেই দৈনিক সাত-আট ঘণ্টা কোনো কোনো দিন ১২ ঘণ্টাও লোডশেডিং মোকাবিলা করতে হচ্ছে। চৈত্রের খরতাপে নগরবাসীকে বিদ্যুত্হীন, পানিহীন অবস্থায় রেখে গ্রামাঞ্চলে সেচ নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়ে সরকার নিজেকে কৃষিবান্ধব প্রমাণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের চাহিদার অর্ধেক পরিমাণ বিদ্যুত্ সরবরাহ না থাকায় এই ভরা মৌসুমে বিদ্যুিনর্ভর সেচব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দশা সরকারের ব্যর্থতাই প্রমাণ করেছে। বীজ, চারার পর এখন সেচ সঙ্কটে বোরো চাষীদের মাথায় হাত। জাতীয় সংসদে প্রদত্ত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী গদগদ কণ্ঠে বিদ্যুত্ উন্নয়নে বিশাল আকারে বরাদ্দ ঘোষণা করলেও বাস্তবচিত্র খুবই হতাশাজনক। অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিদ্যুত্ খাতে বাজেটের মাত্র ১১ দশমিক ২ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ পরিস্থিতির উন্নতির পরিবর্তে অবনতি ঘটেছে। ছয় মাসে মাত্র ২১ শতাংশ বাস্তবায়ন বিদ্যুত্ খাত নিয়ে মহাজোট সরকারের ঘোষণাকে ফাঁকা প্রমাণ করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ কম বাস্তবায়নের ঘটনা থেকে আর কীইবা বলা যায়। ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষিত বিদ্যুত্ খাতের বিশাল বরাদ্দ ব্যবহার করতে না পারা সরকারের অদক্ষতাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। ফলে সংশোধিত বাজেটে এই বরাদ্দ কাটছাঁট না করে পারেননি অর্থমন্ত্রী। বিদ্যুত্ খাতে ঘোষিত বরাদ্দ থেকে এক হাজার ৫৯ কোটি টাকার ফেরত পাওয়া সরকারের সাফল্যের দাবিই নিষ্প্রভ করে। এভাবেই সরকার দেশকে ডিজিটাল অবস্থায় নিয়ে যাবে—এমনটা বিশ্বাস করা লোকের সংখ্যা এখন দ্রুত কমতে শুরু করেছে এটা জোর দিয়ে বলা যায়।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই বেসরকারি খাতে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলচালিত ভাড়াভিত্তিক আটটি বিদ্যুত্ কেন্দ্র এবং সরকারি খাতে একই ধরনের জ্বালানি দিয়ে ৮৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১০টি পিকিং বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিল। সরকারি খাতের ১০টির মধ্যে ৪টি কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক সভায় নেয়া হলেও এগুলো উত্পাদনে যেতে সময় লাগবে কমপক্ষে দেড় বছরের বেশি। অন্যদিকে বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাল্ব বিতরণের মাধ্যমে প্রায় ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সাশ্রয়ের কথা সরকারিভাবে বলা হলেও এটা বাস্তবায়নের কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। ফলে বিদ্যুত্ নিয়ে মহাজোট সরকারের সব ঘোষণাই নাকের সামনে মুলো ঝোলানোর মতোই বিদ্যুত্বঞ্চিত মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে। এতে জনজীবনে দুর্ভোগই শুধু বাড়ছে না, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও স্থবিরতার মুখে পড়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের ১৪ মাস পরও এমন অবস্থা মহাজোট সরকারের বিদ্যুত্ পরিস্থিতি উন্নয়নের ঘোষণাকে বর্ষণশূন্য মেঘের গর্জন না বলে পারা যায় না।
বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা প্রায় ছয় হাজার মেগাওয়াট হলেও পাওয়া যাচ্ছে গড়ে তিন হাজার ৮০০ থেকে চার হাজার মেগাওয়াট। প্রতিদিন এক হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি সামলাতে বিদ্যুত্ গ্রাহকদের লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি পানি সঙ্কটেও ভুগতে হচ্ছে। খোদ রাজধানীতেই দৈনিক সাত-আট ঘণ্টা কোনো কোনো দিন ১২ ঘণ্টাও লোডশেডিং মোকাবিলা করতে হচ্ছে। চৈত্রের খরতাপে নগরবাসীকে বিদ্যুত্হীন, পানিহীন অবস্থায় রেখে গ্রামাঞ্চলে সেচ নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়ে সরকার নিজেকে কৃষিবান্ধব প্রমাণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের চাহিদার অর্ধেক পরিমাণ বিদ্যুত্ সরবরাহ না থাকায় এই ভরা মৌসুমে বিদ্যুিনর্ভর সেচব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দশা সরকারের ব্যর্থতাই প্রমাণ করেছে। বীজ, চারার পর এখন সেচ সঙ্কটে বোরো চাষীদের মাথায় হাত। জাতীয় সংসদে প্রদত্ত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী গদগদ কণ্ঠে বিদ্যুত্ উন্নয়নে বিশাল আকারে বরাদ্দ ঘোষণা করলেও বাস্তবচিত্র খুবই হতাশাজনক। অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিদ্যুত্ খাতে বাজেটের মাত্র ১১ দশমিক ২ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ পরিস্থিতির উন্নতির পরিবর্তে অবনতি ঘটেছে। ছয় মাসে মাত্র ২১ শতাংশ বাস্তবায়ন বিদ্যুত্ খাত নিয়ে মহাজোট সরকারের ঘোষণাকে ফাঁকা প্রমাণ করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ কম বাস্তবায়নের ঘটনা থেকে আর কীইবা বলা যায়। ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষিত বিদ্যুত্ খাতের বিশাল বরাদ্দ ব্যবহার করতে না পারা সরকারের অদক্ষতাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। ফলে সংশোধিত বাজেটে এই বরাদ্দ কাটছাঁট না করে পারেননি অর্থমন্ত্রী। বিদ্যুত্ খাতে ঘোষিত বরাদ্দ থেকে এক হাজার ৫৯ কোটি টাকার ফেরত পাওয়া সরকারের সাফল্যের দাবিই নিষ্প্রভ করে। এভাবেই সরকার দেশকে ডিজিটাল অবস্থায় নিয়ে যাবে—এমনটা বিশ্বাস করা লোকের সংখ্যা এখন দ্রুত কমতে শুরু করেছে এটা জোর দিয়ে বলা যায়।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই বেসরকারি খাতে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলচালিত ভাড়াভিত্তিক আটটি বিদ্যুত্ কেন্দ্র এবং সরকারি খাতে একই ধরনের জ্বালানি দিয়ে ৮৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১০টি পিকিং বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিল। সরকারি খাতের ১০টির মধ্যে ৪টি কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক সভায় নেয়া হলেও এগুলো উত্পাদনে যেতে সময় লাগবে কমপক্ষে দেড় বছরের বেশি। অন্যদিকে বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাল্ব বিতরণের মাধ্যমে প্রায় ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সাশ্রয়ের কথা সরকারিভাবে বলা হলেও এটা বাস্তবায়নের কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। ফলে বিদ্যুত্ নিয়ে মহাজোট সরকারের সব ঘোষণাই নাকের সামনে মুলো ঝোলানোর মতোই বিদ্যুত্বঞ্চিত মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে। এতে জনজীবনে দুর্ভোগই শুধু বাড়ছে না, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও স্থবিরতার মুখে পড়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের ১৪ মাস পরও এমন অবস্থা মহাজোট সরকারের বিদ্যুত্ পরিস্থিতি উন্নয়নের ঘোষণাকে বর্ষণশূন্য মেঘের গর্জন না বলে পারা যায় না।
No comments