ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক ভালো হওয়া দরকার by কাজী ফারুক আহমেদ
দ্রব্যমূল্যের এই পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে সরকারকেই। বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে; সেখানে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। অর্থনৈতিক মুক্তির কোনো পথ দেখানো হয়নি। একটা ইন্দ্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা বলেছিলাম এসআরও-র মাধ্যমে যেন দ্রব্যমূল্য বাড়ানো না হয়। কিন্তু কথা রাখা হয়নি।
বরং ইতিমধ্যে সে পথেই চলা শুরু হয়েছে। গত বছর রমজান আসার আগে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছিলেন দ্রব্যমূল্য না বাড়ানোর জন্য। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আবারও রমজান আসছে। জিনিসপত্রের দামও বাড়তে শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে সদিচ্ছা দেখাতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা ভাবতে হবে। বাজেট যাতে কার্যকর হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট প্রয়োগ করতে হবে। ধারালো এই আইনটিকে এ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় না কেন? অসাধু ব্যবসায়ীদের সন্ধান করা কি খুবই কঠিন কাজ? তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ। তাই প্রশাসনিক দৃঢ়তা দরকার হবে।
দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর কোনো ব্যবস্থা আমাদের বাজেটে নেই। কর্মসংস্থানের সুযোগ না বাড়লে মানুষের আয় বাড়বে কিভাবে? সীমিত আয়ের মধ্যে অসীম ব্যয় যখন উপস্থিত হবে তখন তো আপনার-আমার অবস্থা বেসামাল হবেই। অথচ দুর্নীতিবাজদের কিন্তু তেমন কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। অবৈধ উপার্জনকারীর কোনো অসুবিধা হচ্ছে না বাজারের এই দুরবস্থায়ও। তারা দিব্যি কেনাকাটা করতে পারছে। উল্লেখ্য, এই দুর্নীতিবাজদের সংখ্যাও কিন্তু এখন বাড়ছে। ধনী ও গরিবের ব্যবধান বেড়ে চলেছে। একদিকে বলা হবে দুর্নীতিবাজ প্রতিরোধ করতে হবে, আরেকদিকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হবে। তাহলে দুর্নীতিবাজ কমবে কী করে? এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দুর্নীতিবাজদের অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে না কি?
এডিপি বাস্তবায়ন হলেও কিছুটা ক্রয়ক্ষমতা বাড়ত। কিন্তু তারা তাও পারছে না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এডিপি বাস্তবায়ন হয় না। টাকা ফেরত যায়। তবে বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থ সংস্থানের চেষ্টা করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এটি ভালো দিক। কিন্তু আমলারা একে সুদৃষ্টিতে দেখবেন না। কারণ বাইরের অর্থ এলে তাঁদের কারো কারো সুবিধা হয়।
রমজান আসছে। ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ একে ব্যবসা বৃদ্ধির পুঁজি হিসেবে গ্রহণ করছে। তাই তাদের সঙ্গে গতানুগতিক ব্যবহার করলে হবে না। তাদের বৈঠকে ডাকলে বলে দ্রব্যমূল্য বাড়াবে না। কিন্তু বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েই উল্টো কাজ করে। এটা যেন না করতে পারে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকার নতজানু নীতি অবলম্বন করে। এর পরিবর্তন হতে হবে।
পার্লামেন্টে প্রতিযোগিতা আইন পাস হয়েছে। একে কার্যকর করতে হবে আন্তরিকভাবে। এই আইন কার্যকর হলেও কিছুটা প্রভাব পড়বে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার।
গ্রন্থনা : এম. হোসেইন
দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর কোনো ব্যবস্থা আমাদের বাজেটে নেই। কর্মসংস্থানের সুযোগ না বাড়লে মানুষের আয় বাড়বে কিভাবে? সীমিত আয়ের মধ্যে অসীম ব্যয় যখন উপস্থিত হবে তখন তো আপনার-আমার অবস্থা বেসামাল হবেই। অথচ দুর্নীতিবাজদের কিন্তু তেমন কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। অবৈধ উপার্জনকারীর কোনো অসুবিধা হচ্ছে না বাজারের এই দুরবস্থায়ও। তারা দিব্যি কেনাকাটা করতে পারছে। উল্লেখ্য, এই দুর্নীতিবাজদের সংখ্যাও কিন্তু এখন বাড়ছে। ধনী ও গরিবের ব্যবধান বেড়ে চলেছে। একদিকে বলা হবে দুর্নীতিবাজ প্রতিরোধ করতে হবে, আরেকদিকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হবে। তাহলে দুর্নীতিবাজ কমবে কী করে? এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দুর্নীতিবাজদের অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে না কি?
এডিপি বাস্তবায়ন হলেও কিছুটা ক্রয়ক্ষমতা বাড়ত। কিন্তু তারা তাও পারছে না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এডিপি বাস্তবায়ন হয় না। টাকা ফেরত যায়। তবে বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থ সংস্থানের চেষ্টা করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এটি ভালো দিক। কিন্তু আমলারা একে সুদৃষ্টিতে দেখবেন না। কারণ বাইরের অর্থ এলে তাঁদের কারো কারো সুবিধা হয়।
রমজান আসছে। ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ একে ব্যবসা বৃদ্ধির পুঁজি হিসেবে গ্রহণ করছে। তাই তাদের সঙ্গে গতানুগতিক ব্যবহার করলে হবে না। তাদের বৈঠকে ডাকলে বলে দ্রব্যমূল্য বাড়াবে না। কিন্তু বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েই উল্টো কাজ করে। এটা যেন না করতে পারে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকার নতজানু নীতি অবলম্বন করে। এর পরিবর্তন হতে হবে।
পার্লামেন্টে প্রতিযোগিতা আইন পাস হয়েছে। একে কার্যকর করতে হবে আন্তরিকভাবে। এই আইন কার্যকর হলেও কিছুটা প্রভাব পড়বে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার।
গ্রন্থনা : এম. হোসেইন
No comments