সভ্য সমাজে এমন হত্যাকাণ্ড চলতে পারে না-গণপিটুনিতে হত্যা
গত শুক্রবার ঢাকার কদমতলী থানার হাবিবনগরে এলাকাবাসী ডাকাত সন্দেহে পাঁচজনকে পিটিয়ে হত্যা করে। এলাকাবাসীর মতে, সম্প্রতি চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজন দল বেঁধে পাহারা দেওয়া শুরু করে। ঘটনার দিন গভীর রাতে ২০-২৫ জন লোককে আসতে দেখে পাহারারত ব্যক্তিরা তাদের পরিচয় ও গন্তব্য জানতে চায়।
তাদের জবাব সন্তোষজনক মনে না হওয়ায় দেহ তল্লাশি করতে গেলে মারামারির সূত্রপাত হয়; গ্রামবাসী ছুটে এসে সন্দেহভাজন ডাকাতদের কয়েকজনকে ধরে ফেলে পিটুনি দেয়। গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা আইনের শাসন অকার্যকর হয়ে পড়ার একটি দিক এবং সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ঘাটতির ইঙ্গিত বহন করে। কোনো সভ্য সমাজে বিচারবহির্ভূত এ হত্যা চলতে পারে না।
একটি গণতান্ত্রিক সমাজে গণপিটুনির মতো হিংসাত্মক তৎপরতা চলতে পারে না। অথচ শুধু সন্দেহের বশবর্তী হয়ে মানুষ মেরে ফেলার মতো মর্মান্তিক ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধের প্রতিকার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে পুলিশের সক্রিয় তৎপরতা দরকার, তাদের শাস্তি দেওয়া দরকার। কিন্তু মানুষ প্রতিকার পায় না অথবা পেতে অনেক দেরি হয়। এ দেশে অপরাধীরা সহজেই ছাড়া পেয়ে যায়। তা ছাড়া আদালতে মামলা বছরের পর বছর গড়ায়। জনগণ ভরসা হারিয়ে ফেলে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে উৎসাহিত হয়। কিন্তু মনে রাখা দরকার, অপরাধীর বিরুদ্ধে ক্ষেত্রবিশেষে আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারের ব্যর্থতা কখনো গণপিটুনির মাধ্যমে হত্যার যুক্তি হতে পারে না। শুধু সন্দেহের কারণে কাউকে পিটুনি দেওয়া আইনের চোখে অপরাধ। একজন অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে। এটা তার মৌলিক মানবাধিকারের অংশ।
অপরাধ দমনে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি জনতার প্রতিরোধও দরকার। এ ক্ষেত্রেই প্রমাণ করার আছে, আমরা কতটুকু গণতান্ত্রিক পরিপক্বতা অর্জন করেছি। গণপিটুনি ও জনপ্রতিরোধ এক নয়। পিটুনিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তির মানবিক দায়িত্ববোধ লোপ পায়, তাদের হিংসাত্মক চরিত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে জনপ্রতিরোধের মূল শক্তি মানবিক দায়িত্ববোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। তাই সমাজের স্বার্থের অজুহাতে বেআইনিভাবে সন্দেহভাজন অপরাধীকে শারীরিক শাস্তি দেওয়া ও ক্ষেত্রবিশেষে মেরে ফেলার মতো ঘটনা রোধ করতে হলে আইনের শাসন সুদৃঢ় করা এবং সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিস্তার ঘটাতে হবে।
একটি গণতান্ত্রিক সমাজে গণপিটুনির মতো হিংসাত্মক তৎপরতা চলতে পারে না। অথচ শুধু সন্দেহের বশবর্তী হয়ে মানুষ মেরে ফেলার মতো মর্মান্তিক ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধের প্রতিকার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে পুলিশের সক্রিয় তৎপরতা দরকার, তাদের শাস্তি দেওয়া দরকার। কিন্তু মানুষ প্রতিকার পায় না অথবা পেতে অনেক দেরি হয়। এ দেশে অপরাধীরা সহজেই ছাড়া পেয়ে যায়। তা ছাড়া আদালতে মামলা বছরের পর বছর গড়ায়। জনগণ ভরসা হারিয়ে ফেলে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে উৎসাহিত হয়। কিন্তু মনে রাখা দরকার, অপরাধীর বিরুদ্ধে ক্ষেত্রবিশেষে আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারের ব্যর্থতা কখনো গণপিটুনির মাধ্যমে হত্যার যুক্তি হতে পারে না। শুধু সন্দেহের কারণে কাউকে পিটুনি দেওয়া আইনের চোখে অপরাধ। একজন অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে। এটা তার মৌলিক মানবাধিকারের অংশ।
অপরাধ দমনে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি জনতার প্রতিরোধও দরকার। এ ক্ষেত্রেই প্রমাণ করার আছে, আমরা কতটুকু গণতান্ত্রিক পরিপক্বতা অর্জন করেছি। গণপিটুনি ও জনপ্রতিরোধ এক নয়। পিটুনিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তির মানবিক দায়িত্ববোধ লোপ পায়, তাদের হিংসাত্মক চরিত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে জনপ্রতিরোধের মূল শক্তি মানবিক দায়িত্ববোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। তাই সমাজের স্বার্থের অজুহাতে বেআইনিভাবে সন্দেহভাজন অপরাধীকে শারীরিক শাস্তি দেওয়া ও ক্ষেত্রবিশেষে মেরে ফেলার মতো ঘটনা রোধ করতে হলে আইনের শাসন সুদৃঢ় করা এবং সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিস্তার ঘটাতে হবে।
No comments