আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানা খুলছে আজ
টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার খুলছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের সব তৈরি পোশাক কারখানা। গতকাল বুধবার শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা কারখানা খুলে দিতে সম্মত হয়েছেন।
পোশাক শিল্প মালিকদের হিসাব মতে, টানা চার দিন কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় তাঁদের রপ্তানি ক্ষতি হয়েছে চার কোটি ডলার। এর বাইরে ভাবমূর্তির যে ক্ষতি হয়েছে, তা টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা যাবে না। আর শ্রমিকদের ভাবনা, কারখানা বন্ধ থাকার এই কয়েক দিনের বেতন না পেলে তাঁদের চলবে কী করে! বেতন বৃদ্ধি তো দূরের কথা, বন্ধের দিনগুলোর মজুরি মিলবে কি না সেই শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।
মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে গতকাল সন্ধ্যায় শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বন্ধ সব পোশাক কারখানা কাল (আজ) থেকে খোলা থাকবে। সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোর শ্রমিকদের প্রতি আমি অনুরোধ জানাচ্ছি কাজে যোগ দেওয়ার জন্য।' তিনি বলেন, 'পোশাক কারখানায় ১০ দিন ধরে অস্থিরতা চলছে। এতে শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাপকভাবে।'
বিজিএমইএ সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনও একই কথা বলেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার কারখানা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'সবাইকে কারখানা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।' তিনি বলেন, 'সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেওয়া আশ্বাসে আমাদের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য আমরা কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি প্রসঙ্গে শ্রমমন্ত্রী বলেন, 'সরকারের কাছে এ-সংক্রান্ত কোনো যৌক্তিক ও সুনির্দিষ্ট দাবি বা প্রস্তাব এখনো আসেনি। এ জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যৌক্তিক দাবি পেলে সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।'
শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে সকালে পোশাক শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। শ্রম ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক চার ঘণ্টা স্থায়ী হয়। বৈঠকে দ্রব্যমূল্য ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে শ্রমিক নেতারা আশুলিয়া এলাকার সব কারখানা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য এবং বাড়িভাড়া বৃদ্ধির কথা শ্রমমন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেন। মন্নুজান বলেন, খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রধানমন্ত্রী এ খাতের শ্রমিকদের রেশনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। শিগগিরই রেশনের ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে অন্য বিষয়গুলোও সরকার দেখবে। বাসাভাড়া বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'বছরে কয়েকবার অযৌক্তিকভাবে বাসাভাড়া বাড়ছে। এটা কাম্য নয়। এ জন্য বাসাভাড়া-সংক্রান্ত আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইন লঙ্ঘন করে ঘন ঘন অযৌক্তিকভাবে বাসা ভাড়া বাড়ালে সরকার কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেবে।'
শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, 'সরকার আগেও কোনো অযৌক্তিক বিশৃঙ্খলা বা উসকানি মেনে নেয়নি। ভবিষ্যতেও মেনে নেবে না। দেশের গার্মেন্ট শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। ধ্বংসাত্মক যেকোনো কাজের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
প্রসঙ্গত, বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে গত ১১ জুন আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু করেন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ নিয়ে দেখা দেয় চরম অস্থিরতা। সরকার কারখানা মালিক ও শ্রমিক নেতাদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে শ্রমিকদের কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও অস্থিরতা চলতে থাকে। এ অবস্থায় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে আশুলিয়ার ৩৫০টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। অনিশ্চয়তায় পড়ে যান এখানে বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ শ্রমিক।
কারখানা খোলার অপেক্ষায় শ্রমিকরা : আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক সাভার থেকে জানান, টানা চার দিন বন্ধ থাকা আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলো খোলার অপেক্ষায় রয়েছেন লাখ লাখ তৈরি পোশাক শ্রমিক। কারণ একটা দিন যাচ্ছে আর তাঁদের উৎকণ্ঠা বাড়ছে- কারখানা বন্ধ থাকা কয়েক দিনের বেতন না পেলে তাঁদের চলবে কিভাবে!
এদিকে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি গতকাল ছিল স্বাভাবিক। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাইপাইল, বগাবাড়ি, ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, বেরন, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর, ঘোষবাগ, জিরাব, পুকুরপাড়সহ শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি ছিল র্যাব-পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি।
শিমুলতলা এলাকার অদূরে এক শ্রমিক কলোনিতে আলাপ হয় নূরুন্নাহার নামের এক পোশাক শ্রমিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'কারখানা বন্ধের দিনগুলোর বেতন না পেলে আমরা বিপদে পড়ে যাব। তা ছাড়া বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের হওয়ায় এলাকার পুরুষ শ্রমিকরা পড়ে গেছেন বেকায়দায়। তাঁরা এখনো রয়েছেন গ্রেপ্তার আতঙ্কে। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক শ্রমিক গ্রামে চলে গেছেন।'
সকাল ৯টায় বাইপাইল স্ট্যান্ডে রংপুরগামী এস আর পরিবহনের কাউন্টারের সামনে ব্যাগ হাতে গাড়ির জন্য অপেক্ষমাণ কয়েকজন শ্রমিক বলেন, 'সাদা পোশাকে পুলিশ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে রাতে বাসায় থাকাও নিরাপদ মনে করছি না। তাই গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি। কারখানা খুললে ফিরে আসব।'
অনেক সোয়েটার কারখানার শ্রমিক এখনো বেতন পাননি। এ অবস্থায় বাড়িভাড়া দিতে না পারায় তাঁদের বাড়িওয়ালার চোখ রাঙানি সহ্য করতে হচ্ছে। অনেকের কাছে বাড়ি যাওয়ার অর্থও নেই। সব মিলিয়ে তাঁদেরকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
দেলোয়ার নামের এক শ্রমিক বলেন, 'কারখানা খোলার অপেক্ষায় আছি। হাতে টাকা-পয়সা নেই। তাই বাড়িতে যাওয়ারও উপায় নেই।'
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে গতকাল সন্ধ্যায় শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বন্ধ সব পোশাক কারখানা কাল (আজ) থেকে খোলা থাকবে। সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোর শ্রমিকদের প্রতি আমি অনুরোধ জানাচ্ছি কাজে যোগ দেওয়ার জন্য।' তিনি বলেন, 'পোশাক কারখানায় ১০ দিন ধরে অস্থিরতা চলছে। এতে শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাপকভাবে।'
বিজিএমইএ সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনও একই কথা বলেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার কারখানা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'সবাইকে কারখানা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।' তিনি বলেন, 'সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেওয়া আশ্বাসে আমাদের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য আমরা কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি প্রসঙ্গে শ্রমমন্ত্রী বলেন, 'সরকারের কাছে এ-সংক্রান্ত কোনো যৌক্তিক ও সুনির্দিষ্ট দাবি বা প্রস্তাব এখনো আসেনি। এ জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যৌক্তিক দাবি পেলে সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।'
শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে সকালে পোশাক শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। শ্রম ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক চার ঘণ্টা স্থায়ী হয়। বৈঠকে দ্রব্যমূল্য ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে শ্রমিক নেতারা আশুলিয়া এলাকার সব কারখানা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য এবং বাড়িভাড়া বৃদ্ধির কথা শ্রমমন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেন। মন্নুজান বলেন, খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রধানমন্ত্রী এ খাতের শ্রমিকদের রেশনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। শিগগিরই রেশনের ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে অন্য বিষয়গুলোও সরকার দেখবে। বাসাভাড়া বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'বছরে কয়েকবার অযৌক্তিকভাবে বাসাভাড়া বাড়ছে। এটা কাম্য নয়। এ জন্য বাসাভাড়া-সংক্রান্ত আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইন লঙ্ঘন করে ঘন ঘন অযৌক্তিকভাবে বাসা ভাড়া বাড়ালে সরকার কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেবে।'
শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, 'সরকার আগেও কোনো অযৌক্তিক বিশৃঙ্খলা বা উসকানি মেনে নেয়নি। ভবিষ্যতেও মেনে নেবে না। দেশের গার্মেন্ট শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। ধ্বংসাত্মক যেকোনো কাজের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
প্রসঙ্গত, বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে গত ১১ জুন আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু করেন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ নিয়ে দেখা দেয় চরম অস্থিরতা। সরকার কারখানা মালিক ও শ্রমিক নেতাদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে শ্রমিকদের কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও অস্থিরতা চলতে থাকে। এ অবস্থায় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে আশুলিয়ার ৩৫০টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। অনিশ্চয়তায় পড়ে যান এখানে বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ শ্রমিক।
কারখানা খোলার অপেক্ষায় শ্রমিকরা : আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক সাভার থেকে জানান, টানা চার দিন বন্ধ থাকা আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলো খোলার অপেক্ষায় রয়েছেন লাখ লাখ তৈরি পোশাক শ্রমিক। কারণ একটা দিন যাচ্ছে আর তাঁদের উৎকণ্ঠা বাড়ছে- কারখানা বন্ধ থাকা কয়েক দিনের বেতন না পেলে তাঁদের চলবে কিভাবে!
এদিকে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি গতকাল ছিল স্বাভাবিক। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাইপাইল, বগাবাড়ি, ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, বেরন, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর, ঘোষবাগ, জিরাব, পুকুরপাড়সহ শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি ছিল র্যাব-পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি।
শিমুলতলা এলাকার অদূরে এক শ্রমিক কলোনিতে আলাপ হয় নূরুন্নাহার নামের এক পোশাক শ্রমিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'কারখানা বন্ধের দিনগুলোর বেতন না পেলে আমরা বিপদে পড়ে যাব। তা ছাড়া বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের হওয়ায় এলাকার পুরুষ শ্রমিকরা পড়ে গেছেন বেকায়দায়। তাঁরা এখনো রয়েছেন গ্রেপ্তার আতঙ্কে। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক শ্রমিক গ্রামে চলে গেছেন।'
সকাল ৯টায় বাইপাইল স্ট্যান্ডে রংপুরগামী এস আর পরিবহনের কাউন্টারের সামনে ব্যাগ হাতে গাড়ির জন্য অপেক্ষমাণ কয়েকজন শ্রমিক বলেন, 'সাদা পোশাকে পুলিশ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে রাতে বাসায় থাকাও নিরাপদ মনে করছি না। তাই গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি। কারখানা খুললে ফিরে আসব।'
অনেক সোয়েটার কারখানার শ্রমিক এখনো বেতন পাননি। এ অবস্থায় বাড়িভাড়া দিতে না পারায় তাঁদের বাড়িওয়ালার চোখ রাঙানি সহ্য করতে হচ্ছে। অনেকের কাছে বাড়ি যাওয়ার অর্থও নেই। সব মিলিয়ে তাঁদেরকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
দেলোয়ার নামের এক শ্রমিক বলেন, 'কারখানা খোলার অপেক্ষায় আছি। হাতে টাকা-পয়সা নেই। তাই বাড়িতে যাওয়ারও উপায় নেই।'
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
No comments