নিম্নমানের ওষুধ-প্রস্তুতকারী ও ওষুধের নাম জানাতে হবে
ওষুধ নিয়ে নানা চক্র কাজ করে বাংলাদেশে। ভেজাল ওষুধের কারবারিরা বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা যেমন করে থাকে, তেমনি নিম্নমানের ওষুধে বাজার ছেয়ে গেছে। নিম্নমানের ওষুধ তৈরি করে- এমন অভিযোগ অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মান দেখার জন্য একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
সেই কমিটির দেওয়া রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে নিম্নমানের ৩২টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সাময়িক বাতিল করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মান দেখার জন্য ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই সংসদীয় উপকমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সংসদ সদস্যের বাইরে আরো তিনজন বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই কমিটি দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ শেষে গত বছরের ৩ জুলাই সংসদীয় কমিটির ১৬তম বৈঠকে প্রতিবেদন পেশ করে। এতে ৬২টি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ওষুধ তৈরি করছে বলে চিহ্নিত করা হয়। এর ভিত্তিতে মূল কমিটি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে ওই ৬২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (জিএমপি) নীতিমালা অনুসরণ করে মানসম্পন্ন উপায়ে ওষুধ প্রস্তুত না করাসহ আরো কিছু অভিযোগ রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে মাত্র ৩২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে রয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করি।
সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের নাম সর্বস্তরের মানুষের জন্য প্রচার করাও বিশেষভাবে প্রয়োজন। এসব প্রতিষ্ঠানের কী কী ওষুধ বাজারে আছে, তা-ও সর্বসাধারণের জানা উচিত। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে তদারকি বাড়াতে হবে। তদারকির প্রসঙ্গ যখনই আসে, তখনই সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে লোকবলের অভাবের কথা বলা হয়ে থাকে। এই ঠুনকো অজুহাতে বাজার তদারকি না হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের ব্যবসা চালিয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মানুষের জীবন রক্ষার জন্যই ওষুধ। এই ওষুধই আবার মানুষের জীবননাশের কারণ হতে পারে। ভুল ওষুধ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। কাজেই ওষুধ ব্যবহারের আগে ভেবে দেখতে হবে। এর আগে ওষুধ প্রস্তুতকারী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সংসদীয় কমিটি প্রশ্ন তুললেও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠানের প্রশ্নবিদ্ধ ওষুধও বাজারে চলছে। অজ্ঞানতাবশতই চিকিৎসকরা তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে এসব ওষুধের নাম লিখছেন।
বলার অপেক্ষা রাখে না, কম্পানিগুলো এসব নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করছে। এসব ওষুধের প্রচারে অনেক সময় চিকিৎসকরাও বিভ্রান্ত হন। এই বিভ্রান্তি দূর করতেও এসব প্রতিষ্ঠান ও ওষুধের নাম সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মান দেখার জন্য ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই সংসদীয় উপকমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সংসদ সদস্যের বাইরে আরো তিনজন বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই কমিটি দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ শেষে গত বছরের ৩ জুলাই সংসদীয় কমিটির ১৬তম বৈঠকে প্রতিবেদন পেশ করে। এতে ৬২টি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ওষুধ তৈরি করছে বলে চিহ্নিত করা হয়। এর ভিত্তিতে মূল কমিটি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে ওই ৬২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (জিএমপি) নীতিমালা অনুসরণ করে মানসম্পন্ন উপায়ে ওষুধ প্রস্তুত না করাসহ আরো কিছু অভিযোগ রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে মাত্র ৩২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে রয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করি।
সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের নাম সর্বস্তরের মানুষের জন্য প্রচার করাও বিশেষভাবে প্রয়োজন। এসব প্রতিষ্ঠানের কী কী ওষুধ বাজারে আছে, তা-ও সর্বসাধারণের জানা উচিত। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে তদারকি বাড়াতে হবে। তদারকির প্রসঙ্গ যখনই আসে, তখনই সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে লোকবলের অভাবের কথা বলা হয়ে থাকে। এই ঠুনকো অজুহাতে বাজার তদারকি না হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের ব্যবসা চালিয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মানুষের জীবন রক্ষার জন্যই ওষুধ। এই ওষুধই আবার মানুষের জীবননাশের কারণ হতে পারে। ভুল ওষুধ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। কাজেই ওষুধ ব্যবহারের আগে ভেবে দেখতে হবে। এর আগে ওষুধ প্রস্তুতকারী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সংসদীয় কমিটি প্রশ্ন তুললেও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠানের প্রশ্নবিদ্ধ ওষুধও বাজারে চলছে। অজ্ঞানতাবশতই চিকিৎসকরা তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে এসব ওষুধের নাম লিখছেন।
বলার অপেক্ষা রাখে না, কম্পানিগুলো এসব নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করছে। এসব ওষুধের প্রচারে অনেক সময় চিকিৎসকরাও বিভ্রান্ত হন। এই বিভ্রান্তি দূর করতেও এসব প্রতিষ্ঠান ও ওষুধের নাম সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
No comments