ছোট ছোট নৌকায় করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে-জেলেদের বেশে রোহিঙ্গাদের ঢোকার চেষ্টা
টেকনাফ সীমান্তে বিচ্ছিন্নভাবে আবারও রোহিঙ্গারা অনুপ্রবশের চেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড। গত রোববার রাত ও গতকাল সোমবার ভোর পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন স্থান থেকে বিজিবি ৩৪ জনকে আটক করে।
এ ছাড়া গতকাল দুপুর পর্যন্ত নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে আরও ১০৫ জনকে আটক করে কোস্টগার্ড। এ নিয়ে আটক রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়াল ১৩৯ জনে।
কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার বদরুদ্দোজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শাহপরীর দ্বীপে ট্রলারে করে অনুপ্রবেশ বন্ধের পর এখন রোহিঙ্গারা ছোট ছোট নৌকায় করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। আমরা তাঁদের এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ইতিমধ্যে নাফ নদী থেকে ১০৫ জনকে আটক করেছি। সুযোগ-সুবিধামতো তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।’ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহপরীর দ্বীপ উপকূলে কোস্টগার্ড ও বিজিবির নজরদারি বাড়ানোর পর রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য ভিন্ন পথ বেছে নেয়। এ জন্য তারা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নাফ নদী দিয়ে এ দেশে ঢুকে পড়ছে। ইতিপূর্বে রাখাইন প্রদেশের (আরাকান) রাজধানী সিট্টু (আকিয়াব), মংডু ও ভুচিদং থেকে রোহিঙ্গারা ট্রলারে করে টেকনাফ সীমান্তে চলে এসেছিল। তবে রোববার থেকে যারা আসছে, তারা সবাই মংডু টাউনশিপ এলাকার বাসিন্দা।
মিয়ানমারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও কেন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে, জানতে চাইলে বিজিবির হাতে আটক মংডু টাউনশিপের ফাতাংজা এলাকার বাসিন্দা মো. নবী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আরাকানে জরুরি অবস্থা চলছে। সেখানে সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী নাসাকা নানা অজুহাতে ধরপাকড় শুরু করেছে। তাদের হাতে ধরা পড়ার পরিবর্তে রোহিঙ্গা যুবকেরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।’
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের কিছু মানুষ মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। চেহারায় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের চেহারার মিল থাকায় তারা এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গাদের টেকনাফ ও কক্সবাজারে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়া পাঠানোর কাজেও জড়িত এ চক্রটি। ইতিমধ্যে মানব পাচারের অভিযোগে বিজিবি শাহাপরীর দ্বীপ থেকে চারজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে বিজিবি।
বিজিবি ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. জাহিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীতে প্রচুর নৌকা ও ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। এ সুযোগে রোহিঙ্গারাও নৌকা নিয়ে জেলের বেশে চলে আসছে বাংলাদেশে।
কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার বদরুদ্দোজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শাহপরীর দ্বীপে ট্রলারে করে অনুপ্রবেশ বন্ধের পর এখন রোহিঙ্গারা ছোট ছোট নৌকায় করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। আমরা তাঁদের এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ইতিমধ্যে নাফ নদী থেকে ১০৫ জনকে আটক করেছি। সুযোগ-সুবিধামতো তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।’ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহপরীর দ্বীপ উপকূলে কোস্টগার্ড ও বিজিবির নজরদারি বাড়ানোর পর রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য ভিন্ন পথ বেছে নেয়। এ জন্য তারা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নাফ নদী দিয়ে এ দেশে ঢুকে পড়ছে। ইতিপূর্বে রাখাইন প্রদেশের (আরাকান) রাজধানী সিট্টু (আকিয়াব), মংডু ও ভুচিদং থেকে রোহিঙ্গারা ট্রলারে করে টেকনাফ সীমান্তে চলে এসেছিল। তবে রোববার থেকে যারা আসছে, তারা সবাই মংডু টাউনশিপ এলাকার বাসিন্দা।
মিয়ানমারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও কেন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে, জানতে চাইলে বিজিবির হাতে আটক মংডু টাউনশিপের ফাতাংজা এলাকার বাসিন্দা মো. নবী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আরাকানে জরুরি অবস্থা চলছে। সেখানে সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী নাসাকা নানা অজুহাতে ধরপাকড় শুরু করেছে। তাদের হাতে ধরা পড়ার পরিবর্তে রোহিঙ্গা যুবকেরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।’
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের কিছু মানুষ মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। চেহারায় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের চেহারার মিল থাকায় তারা এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গাদের টেকনাফ ও কক্সবাজারে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়া পাঠানোর কাজেও জড়িত এ চক্রটি। ইতিমধ্যে মানব পাচারের অভিযোগে বিজিবি শাহাপরীর দ্বীপ থেকে চারজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে বিজিবি।
বিজিবি ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. জাহিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীতে প্রচুর নৌকা ও ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। এ সুযোগে রোহিঙ্গারাও নৌকা নিয়ে জেলের বেশে চলে আসছে বাংলাদেশে।
No comments