রিও+২০-ধনী দেশগুলো চায় সবুজ অর্থনীতি, অন্যরা দারিদ্র্য বিমোচন by ইফতেখার মাহমুদ
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে ২০ বছর পর ফের বসেছে বিশ্বসভা। ১৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান আর ৫০ হাজার পরিবেশকর্মী জড়ো হয়েছেন এই শহরে। আলোচনা, তর্কবিতর্ক, ঝগড়া বা বিবাদ—সবই চলছে সমান তালে। এরই মধ্যে ধনী দেশগুলো সবুজ অর্থনীতি বা গ্রিন ইকোনমির ধারণা সবকিছুর সামনে আনার চেষ্টা করছে।
দরিদ্র দেশগুলোর সঙ্গে ধনী দেশের দরিদ্র মানুষের সংগঠনগুলো বলছে, গত ২০ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য নির্ধারণ, টেকসই উন্নয়ন—এ সবই ছিল লোক দেখানো বিষয়। এখন আবার ‘সবুজ অর্থনীতি’র নামে শৌখিন ও ব্যয়বহুল উন্নয়নের ধারণা দরিদ্র দেশগুলোর ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে।
গতকাল বুধবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। জাতিসংঘ আয়োজিত এই সম্মেলন ‘রিও+২০’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। একে সফল ও আগামী দিনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে চার দিন ধরে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে একটি খসড়াও তৈরি হয়েছে, যা ‘ব্রাজিল খসড়া’ হিসেবে টেবিলে টেবিলে ঘুরছে। খসড়া নিয়ে উত্তেজনাও শুরু হয়েছে। আজ ও আগামীকাল চলবে মন্ত্রী ও সরকারপ্রধান পর্যায়ের আলোচনা। আগামীকাল ২২ জুন এই সম্মেলন শেষ হবে।
জি-৮ভুক্ত ধনী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এই সম্মেলনে আসছেন না। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ আর যুক্তরাষ্ট্র বলে দিয়েছে, তারা অর্থনৈতিক সংকটে আছে বলে দারিদ্র্য বিমোচনে নতুন করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া তাদের পক্ষে কঠিন। তবে ‘সবুজ অর্থনীতি’র কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করলে তারা গুরুত্বের সঙ্গে তা বিবেচনা করবে।
রিও ডি জেনিরোতে ১৯৯২ সালে ১১০টি দেশের নেতারা বসে বিশ্বকে বাসযোগ্য করার ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। ধনী দেশগুলো তাদের জিডিপির ১ শতাংশ দরিদ্র দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যয় করবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই সম্মেলনে বলা হচ্ছে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি তারা। ধনী দেশের দেওয়া অর্থ জাতিসংঘের কিছু সংস্থার মাধ্যমে ব্যয় হয়েছে। কিন্তু কোন দেশ কত টাকা দিয়েছে, তার হিসাবও দিতে পারেনি ধনী দেশগুলো।
বাংলাদেশের ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল রিওতে পৌঁছেছে। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের নেতৃত্বে দলটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নিয়েছে। দলটিতে অন্যান্যের সঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আইনুন নিশাত, সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী, পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আতিক রহমান ও মনজুরুল হান্নান খান, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের মির্জা রয়েছেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কাজী খলীকুজ্জমান প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ মূলত দারিদ্র্য বিমোচনকে বেশি গুরুত্ব দেবে। কেন না, জাতিসংঘ দারিদ্র্য বিমোচনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, সে অনুপাতে বাংলাদেশসহ দরিদ্র দেশগুলো সহায়তা পায়নি। তিনি বলেন, ‘সবুজ অর্থনীতির দিকে আমরা যেতে পারি, তবে সে জন্য ধনী দেশগুলোকে সহায়তা দিতে হবে।’
রিও সম্মেলনের ‘সবুজ অর্থনীতি’তে জৈব জ্বালানির পরিবর্তে সৌর ও বায়ুশক্তি ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে, বন ও নদী রক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, কার্বন নিঃসরণ হয় এমন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ইউরোপ এবং জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ ধনী দেশগুলো ইতিমধ্যে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবুজ অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছে। চীন, ভারত, ব্রাজিলের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোও একই লক্ষ্যে ধনী দেশগুলোর সহায়তা চাইছে।
গতকাল বুধবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। জাতিসংঘ আয়োজিত এই সম্মেলন ‘রিও+২০’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। একে সফল ও আগামী দিনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে চার দিন ধরে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে একটি খসড়াও তৈরি হয়েছে, যা ‘ব্রাজিল খসড়া’ হিসেবে টেবিলে টেবিলে ঘুরছে। খসড়া নিয়ে উত্তেজনাও শুরু হয়েছে। আজ ও আগামীকাল চলবে মন্ত্রী ও সরকারপ্রধান পর্যায়ের আলোচনা। আগামীকাল ২২ জুন এই সম্মেলন শেষ হবে।
জি-৮ভুক্ত ধনী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এই সম্মেলনে আসছেন না। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ আর যুক্তরাষ্ট্র বলে দিয়েছে, তারা অর্থনৈতিক সংকটে আছে বলে দারিদ্র্য বিমোচনে নতুন করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া তাদের পক্ষে কঠিন। তবে ‘সবুজ অর্থনীতি’র কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করলে তারা গুরুত্বের সঙ্গে তা বিবেচনা করবে।
রিও ডি জেনিরোতে ১৯৯২ সালে ১১০টি দেশের নেতারা বসে বিশ্বকে বাসযোগ্য করার ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। ধনী দেশগুলো তাদের জিডিপির ১ শতাংশ দরিদ্র দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যয় করবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই সম্মেলনে বলা হচ্ছে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি তারা। ধনী দেশের দেওয়া অর্থ জাতিসংঘের কিছু সংস্থার মাধ্যমে ব্যয় হয়েছে। কিন্তু কোন দেশ কত টাকা দিয়েছে, তার হিসাবও দিতে পারেনি ধনী দেশগুলো।
বাংলাদেশের ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল রিওতে পৌঁছেছে। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের নেতৃত্বে দলটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নিয়েছে। দলটিতে অন্যান্যের সঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আইনুন নিশাত, সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী, পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আতিক রহমান ও মনজুরুল হান্নান খান, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের মির্জা রয়েছেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কাজী খলীকুজ্জমান প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ মূলত দারিদ্র্য বিমোচনকে বেশি গুরুত্ব দেবে। কেন না, জাতিসংঘ দারিদ্র্য বিমোচনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, সে অনুপাতে বাংলাদেশসহ দরিদ্র দেশগুলো সহায়তা পায়নি। তিনি বলেন, ‘সবুজ অর্থনীতির দিকে আমরা যেতে পারি, তবে সে জন্য ধনী দেশগুলোকে সহায়তা দিতে হবে।’
রিও সম্মেলনের ‘সবুজ অর্থনীতি’তে জৈব জ্বালানির পরিবর্তে সৌর ও বায়ুশক্তি ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে, বন ও নদী রক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, কার্বন নিঃসরণ হয় এমন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ইউরোপ এবং জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ ধনী দেশগুলো ইতিমধ্যে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবুজ অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছে। চীন, ভারত, ব্রাজিলের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোও একই লক্ষ্যে ধনী দেশগুলোর সহায়তা চাইছে।
No comments