নৃশংস, বীভৎস
বর্বর এই খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই নিষ্ঠুর! জঘন্য! না, কোনো বিশেষণেই ওদের প্রকাশ করা যাবে না। ওরা বিশেষণের পর্যায় থেকে আরো অনেক নিচে নেমে গেছে। মানব সমাজে মানুষেরই অবয়বে ওরা ঘুরে বেড়ায়। মানুষ বলে সবাই ওদের ভুলভাবে চেনে এবং দিনে দিনে এই সমাজে ওদের সংখ্যাই বেড়ে চলেছে।
এখনই ওদের দমন করা না গেলে এই সমাজটা ওরা ধ্বংস করে দেবে। তাই সমাজকেই এসব প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।
মানুষরূপী এই অমানুষদেরই একজন সুস্মিতা নামের ১৬ বছরের এক কিশোরীকে হত্যার পর মৃতদেহ ২৬ টুকরা করে আশপাশে ফেলে রেখেছিল। সুস্মিতাকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ সাইদুর নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং সে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয় রাজধানীর পরিবাগ এলাকায় বাণিজ্যিক ভবন নাহার গার্ডেনের ১৩ তলার একটি কক্ষে। আর শরীরের টুকরাগুলো ছিটিয়ে ফেলা হয় রাস্তায় এবং পাশের বাড়ির ছাদে। গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠে 'নৃশংস, বীভৎস' শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় সব পত্রিকায়ই খবরটি বিস্তারিতভাবে ছাপা হয়েছে। খবরটি পড়লে যেকোনো সভ্য মানুষ ঘৃণায় কুঁকড়ে যাবেন। একই দিনের পত্রিকায় এমন নৃশংস আরো কয়েকটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীতে রিয়া মনি নামের তিন বছরের একটি শিশু ৩১ মে বাসার পাশে খেলতে গিয়েছিল। এর পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। মা-বাবা, স্বজনরা তাকে খোঁজার পাশাপাশি এলাকায় মাইকিং করছিলেন। দেড় দিন পর শনিবার সকাল ৬টার দিকে বাসার পাশেই রিয়া মনির লাশ পাওয়া যায়। তার কপালে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। তিন বছরের একটি শিশুকে হত্যা করতে যাদের হাত কাঁপে না, বুক কাঁপে না, তারা কি মানুষ? নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে রহিম মিয়া তার স্ত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। কিশোরগঞ্জে দুই ব্যবসায়ী ও এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ, চাটখিলে অপহরণের পর পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে হত্যা ইত্যাদি। কয়েক দিন আগে চট্টগ্রামে ঘটে গেছে চাঞ্চল্যকর হিমু হত্যা। ধনী পরিবারের কয়েক সন্তান হিমুকে ছাদে নিয়ে তার প্রতি হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দেয় এবং সব শেষে ধাক্কা মেরে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। গুরুতর আহত হিমু ২৩ মে হাসপাতালে মারা যায়। বছর দুয়েক আগে আরেকটি নৃশংস খবরে পড়েছিলাম, মা-বাবা স্বপ্নে দেখা গুপ্তধন পাওয়ার আশায় এক মাসের কন্যাসন্তানকে হত্যা করেছিল। এই কি আমাদের সভ্য সমাজ!
এর আগে জোট সরকারের শেষ দিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছিল। তখন হত্যার পর মৃতদেহ টুকরা করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। শতাধিক টুকরায় খণ্ডিত মৃতদেহও পাওয়া গিয়েছিল। মহাজোট সরকারের শেষ দিকে এসেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ক্রমেই চরমের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর পেছনে কোনো কারণ সক্রিয় রয়েছে কি? বলা হয়ে থাকে, সরকারের শেষ দিকে বিরোধী দল মাঠ গরম করতে চায় এবং সরকারও বিরোধী দলকে দমন করতে উঠেপড়ে লাগে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে আন্দোলন দমনেই বেশি ব্যবহার করা হয়। সে কারণেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হতে থাকে। বিষয়টি যদি সে রকমই হয়ে থাকে, তাহলে সরকারকে আরো সাবধান হতে হবে। পুলিশকে পুলিশের কাজেই রাখতে হবে। তাদের দিয়ে বিরোধী দলকে হয়তো দমন করা যাবে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হলে সরকারের প্রতি জনসমর্থন অবশিষ্ট থাকবে না; তাতে লাভবান হবে বিরোধী দলই। আমরা সুস্মিতা, হিমু, রিয়া মনিদের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মানুষরূপী এই অমানুষদেরই একজন সুস্মিতা নামের ১৬ বছরের এক কিশোরীকে হত্যার পর মৃতদেহ ২৬ টুকরা করে আশপাশে ফেলে রেখেছিল। সুস্মিতাকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ সাইদুর নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং সে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয় রাজধানীর পরিবাগ এলাকায় বাণিজ্যিক ভবন নাহার গার্ডেনের ১৩ তলার একটি কক্ষে। আর শরীরের টুকরাগুলো ছিটিয়ে ফেলা হয় রাস্তায় এবং পাশের বাড়ির ছাদে। গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠে 'নৃশংস, বীভৎস' শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় সব পত্রিকায়ই খবরটি বিস্তারিতভাবে ছাপা হয়েছে। খবরটি পড়লে যেকোনো সভ্য মানুষ ঘৃণায় কুঁকড়ে যাবেন। একই দিনের পত্রিকায় এমন নৃশংস আরো কয়েকটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীতে রিয়া মনি নামের তিন বছরের একটি শিশু ৩১ মে বাসার পাশে খেলতে গিয়েছিল। এর পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। মা-বাবা, স্বজনরা তাকে খোঁজার পাশাপাশি এলাকায় মাইকিং করছিলেন। দেড় দিন পর শনিবার সকাল ৬টার দিকে বাসার পাশেই রিয়া মনির লাশ পাওয়া যায়। তার কপালে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। তিন বছরের একটি শিশুকে হত্যা করতে যাদের হাত কাঁপে না, বুক কাঁপে না, তারা কি মানুষ? নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে রহিম মিয়া তার স্ত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। কিশোরগঞ্জে দুই ব্যবসায়ী ও এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ, চাটখিলে অপহরণের পর পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে হত্যা ইত্যাদি। কয়েক দিন আগে চট্টগ্রামে ঘটে গেছে চাঞ্চল্যকর হিমু হত্যা। ধনী পরিবারের কয়েক সন্তান হিমুকে ছাদে নিয়ে তার প্রতি হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দেয় এবং সব শেষে ধাক্কা মেরে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। গুরুতর আহত হিমু ২৩ মে হাসপাতালে মারা যায়। বছর দুয়েক আগে আরেকটি নৃশংস খবরে পড়েছিলাম, মা-বাবা স্বপ্নে দেখা গুপ্তধন পাওয়ার আশায় এক মাসের কন্যাসন্তানকে হত্যা করেছিল। এই কি আমাদের সভ্য সমাজ!
এর আগে জোট সরকারের শেষ দিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছিল। তখন হত্যার পর মৃতদেহ টুকরা করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। শতাধিক টুকরায় খণ্ডিত মৃতদেহও পাওয়া গিয়েছিল। মহাজোট সরকারের শেষ দিকে এসেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ক্রমেই চরমের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর পেছনে কোনো কারণ সক্রিয় রয়েছে কি? বলা হয়ে থাকে, সরকারের শেষ দিকে বিরোধী দল মাঠ গরম করতে চায় এবং সরকারও বিরোধী দলকে দমন করতে উঠেপড়ে লাগে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে আন্দোলন দমনেই বেশি ব্যবহার করা হয়। সে কারণেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হতে থাকে। বিষয়টি যদি সে রকমই হয়ে থাকে, তাহলে সরকারকে আরো সাবধান হতে হবে। পুলিশকে পুলিশের কাজেই রাখতে হবে। তাদের দিয়ে বিরোধী দলকে হয়তো দমন করা যাবে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হলে সরকারের প্রতি জনসমর্থন অবশিষ্ট থাকবে না; তাতে লাভবান হবে বিরোধী দলই। আমরা সুস্মিতা, হিমু, রিয়া মনিদের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
No comments