গদ্যকার্টুন-বাংলাদেশকে কে ডোবাবে? by আনিসুল হক
বাংলাদেশকে যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ডোবাতে পারবে না, এ বিষয়ে আমার নিজের কোনো সন্দেহ নেই। সমুদ্রের পানি বাড়তে পারে, বাড়বে যে এটা একটা বৈজ্ঞানিক সত্য, জলবায়ু বদলে যাচ্ছে তার ফলে আবহাওয়ার পাগলামো বাড়বে, কখন ঝড়, কখন বৃষ্টি, কখন জলোচ্ছ্বাস ঠাওর করা মুশকিল হবে, এসব নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ রাখার কোনো কারণ নেই।
এসবের নিষ্ঠুরতম, ভয়াবহতম শিকার হবে বাংলাদেশ, এটাও ল্যাবরেটরিতে প্রমাণ করা সত্য। তবুও বাংলাদেশ ডুববে না। এই দেশটাই একটা পলি দিয়ে গড়া, এটাকে বলা হয় ব-দ্বীপ, সেই পলি আসছে, আরও আসবে, ফলে এর আয়তন বাড়ার কথা। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি হয়তো সেই আয়তন বাড়াটাকে থামিয়ে দেবে। তবে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে ওই পলি দিয়ে জেগে ওঠা নতুন চরও ডুবে যাবে, এটা চরের আকারের ওপরে নির্ভর করে না, নির্ভর করে পানির উচ্চতার ওপরে। ৫০০ বিঘা জমি নাকি ৫ বিঘা জমি, ব্যাপারটা তা নয়, ব্যাপার হলো, কোনটার উচ্চতা কত। পানির লেভেল যদি ভূমির লেভেলের ওপরে ওঠে, তাহলে তো ডুববেই। কাজেই যাঁরা বলছেন, বাংলাদেশ ডুবে যাবে, তাঁরা যেমন পলির হিসাবটা মাথায় রাখেননি, তেমনি যাঁরা বলবেন, ডুবে যাবে না, তাঁদের সমুদ্রতলের উচ্চতাটাই হিসাব করতে হবে, জমির আয়তন এখানে কোনো ব্যাপার না।
আমাদের ক্লাসে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানিসম্পদ কৌশলের ক্লাসে, ড. আইনুন নিশাত একটা গল্প বলেছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বানানো নদীর দুই ধারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটা প্রধান শত্রু হলো ইঁদুর। ইঁদুর বাঁধের মধ্যে গর্ত করে রাখে। ওই দিক দিয়ে পানি চোয়াতে থাকে। তারপর একসময় বাঁধ ভেঙে যায়। একবার তেমনি হয়েছে বন্যার সময়। পানি হুল হুল করে বাঁধ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ছিদ্রপথে। এটা বন্ধ করার উপায় কী? প্রকৌশলীরা করলেন কি, ডাঙার দিকে, বাঁধের বাইরে আরেকটা বাঁধ দিয়ে জায়গাটা ঘেরাও করে ফেললেন। তারপর দুই বাঁধের মধ্যবর্তী জায়গাটাতে পানি ভরতে লাগলেন। নদীর পানি, আর ওই জায়গাটার পানির উচ্চতা যখন সমান হয়ে গেল, তখন নদীর পানি চুইয়ে বাঁধের বাইরে যাওয়া বন্ধ করে ফেলল। ফলে ওই এলাকার বাঁধের ভাঙন ও বিপর্যয় ঠেকানো গেল। ওই সময় প্রেসিডেন্ট ও সামরিক আইন প্রশাসক ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বাঁধ এলাকা পরিদর্শনে এলেন। এসে জিগ্যেস করলেন, নদীর ভেতরে এত পানি, আর বাঁধের বাইরে আরেকটা বাঁধ দেওয়া হয়েছে যতটুকুন জায়গাতে, তার ভেতরে এত কম পানি, এত কম পানি দিয়ে কি এত বেশি পানির চাপ ঠেকিয়ে রাখা যাবে? তখন প্রকৌশলীরা বললেন, এটা কোন পাশে কত পরিমাণ পানি, তার ওপরে নির্ভর করে না, এটা নির্ভর করে পানির উচ্চতার ওপরে।
হিমালয়ের পলি মোহনায় জমে জমে আমাদের আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা ঠিক, কিন্তু সেটা তো আর আমাদের ভূমির তলের উচ্চতা বাড়াবে না, কাজেই...
তবু বাংলাদেশ ডুববে না। মানুষের শুভ বুদ্ধি জাগ্রত হবে, মানুষ গ্রীন হাউস গ্যাস কম নিঃসরণ করবে, গাছ বেশি করে লাগাবে, হিমবাহগুলো গলবে না। জানেন তো, আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরির জন্যও পৃথিবীর উষ্ণতা খানিক কমবে। ওই ছাই নাকি গাড়ির কাচে লাগানো শেডের মতো কাজ করবে, আমাদের পৃথিবীটাকে একটু ঠান্ডা করে রাখবে।
আর সিডর, আইলা এরই মধ্যে আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে, আমরা ক্লাইমেট ফান্ড থেকে ক্ষতিপূরণও চাই।
তবে কথা হচ্ছিল বাংলাদেশ ডুববে কি ডুববে না তা নিয়ে!
পুরোনো কৌতুকটা এবার বলে নিই।
সিআইএতে লোক নেওয়া হবে। পরীক্ষা চলছে। তিনজন নারী পরীক্ষায় অবতীর্ণ। প্রথম জনকে একটা পিস্তল দিয়ে বলা হলো, পাশের ঘরে ঢোকো, যাকে দেখবে, তাকে গুলি করবে। সে ভেতরে গেল, গিয়ে দেখে তার স্বামীকে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। সে ফিরে এসে বলল, সে পারবে না। কাজেই তাকে বাদ দেওয়া হলো। দ্বিতীয়জন গিয়ে দেখল, এবার তার স্বামী ভেতরে বাঁধা। সে গুলি করল। ফিরে এসে বলল, গুলি কই, শুধু তো পানির বুলেট।
তৃতীয়জনও গিয়ে তার স্বামীকে পেল বাঁধা অবস্থায়। কিন্তু সে আর ফিরে আসছে না। পরীক্ষকেরা চিন্তিত। ভেতর থেকে নানা ধুপধাপ আওয়াজ আসছে। শেষে সে ফিরে এল। বলল, দুরো মিয়া, তোমরা পিস্তলে ভুয়া গুলি ভরে রাখছ, ওকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে মারতে আমার অনেকটা সময় লেগে গেল।
বাংলাদেশ এমনিতেই ডুববে না। তবে আমরা একে ডোবাতে পারি। একটু ঘাড়ে পাড়া দিয়ে ডোবাতে হবে। কতগুলো উপায় আছে এটাকে ডোবানোর। যেমন দেশটাকে জঙ্গি বানানো। নিজে নিজে এই দেশ জঙ্গি হবে না। কারণ এই পলি মাটির দেশের মানুষগুলোও পলি মাটির মতো নরম। কাজেই নানা সংস্থা মাঠে নামিয়ে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে জঙ্গি ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। একটু কষ্টকর। কিন্তু দেশটাকে ডোবাতে হলে সেই কষ্টটা তো আমাদের স্বীকার করতেই হবে। কষ্ট ছাড়া কি আর কেষ্ট মেলে!
ডোবানোর আরেকটা উপায় হলো আমাদের নদ-নদী পাহাড় সমুদ্র জমিকে দূষিত করে ফেলা। সেটা আমরা করছি। আমাদের নদীতে বর্জ্য ফেলছি, শিল্পবর্জ্য, মনুষ্যবর্জ্য, যাতে আর কোনো দিনও পানি শোধিত না হয়! আমরা বেপরোয়া জমি দখল করে জলাভূমি ভরাট করে প্লট বানাচ্ছি, যাতে পুরো পরিবেশের বারোটা বাজে। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের অপরিণামদর্শী ব্যবহারও আমাদের ভবিষ্যেক শেষ করে দিতে পারে। আমরা বেশি করে মাদক গ্রহণ করতে পারি। এইডসের জীবাণু ছড়িয়ে দিতে পারি। ডোবানোর নানা রাস্তাই আমাদের সামনে খোলা আছে।
পাকিস্তান যেমন ডুবছে। সে তো সমুদ্রের পানিতে নয়, জঙ্গিবাদের বারুদে বোমায় রক্তপ্লাবনে!
আমরাও আমাদের দেশটাকে ডোবাতে পারি। আবার ভাসাতেও পারি। সমুদ্রের চেয়ে নিচু এই রকম বহু শহর জনপদ পৃথিবীতে আছে। তাদের প্রযুক্তি, তাদের বিত্ত তাদের বিপদমুক্ত রাখে। আমাদের সামর্থ্য থাকলে আমরা দেশটাকে ভাসাতে পারব, আর আমরা যদি আত্মকলহে কিংবা দুর্নীতিতে বা অযোগ্যতায় গা ভাসিয়ে দিই, দেশটা ডুববে।
আমাদের অযোগ্যতা দুর্নীতি অনৈক্যের ওজন যদি অপসারিত পানির ওজনের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে আমরা ডুবব, আর যদি কম হয় আমরা ভাসব। এটাকে বলা হয় আর্কিমিডিসের সূত্র। এটা আবিষ্কার করার জন্য বাথটাব থেকে উঠে ইউরেকা ইউরেকা বলে কাপড়ছাড়া দৌড়ানোর দরকার পড়ে না!
বাংলাদেশ তার নেতানেত্রীদের উদ্দেশে কোন গানটা গাইবে?
আমায় ভাসাইলি রে!
আমায় ডুবাইলি রে!
নেতাদেরই টিকচিহ্নটা দিতে হবে।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
আমাদের ক্লাসে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানিসম্পদ কৌশলের ক্লাসে, ড. আইনুন নিশাত একটা গল্প বলেছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বানানো নদীর দুই ধারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটা প্রধান শত্রু হলো ইঁদুর। ইঁদুর বাঁধের মধ্যে গর্ত করে রাখে। ওই দিক দিয়ে পানি চোয়াতে থাকে। তারপর একসময় বাঁধ ভেঙে যায়। একবার তেমনি হয়েছে বন্যার সময়। পানি হুল হুল করে বাঁধ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ছিদ্রপথে। এটা বন্ধ করার উপায় কী? প্রকৌশলীরা করলেন কি, ডাঙার দিকে, বাঁধের বাইরে আরেকটা বাঁধ দিয়ে জায়গাটা ঘেরাও করে ফেললেন। তারপর দুই বাঁধের মধ্যবর্তী জায়গাটাতে পানি ভরতে লাগলেন। নদীর পানি, আর ওই জায়গাটার পানির উচ্চতা যখন সমান হয়ে গেল, তখন নদীর পানি চুইয়ে বাঁধের বাইরে যাওয়া বন্ধ করে ফেলল। ফলে ওই এলাকার বাঁধের ভাঙন ও বিপর্যয় ঠেকানো গেল। ওই সময় প্রেসিডেন্ট ও সামরিক আইন প্রশাসক ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বাঁধ এলাকা পরিদর্শনে এলেন। এসে জিগ্যেস করলেন, নদীর ভেতরে এত পানি, আর বাঁধের বাইরে আরেকটা বাঁধ দেওয়া হয়েছে যতটুকুন জায়গাতে, তার ভেতরে এত কম পানি, এত কম পানি দিয়ে কি এত বেশি পানির চাপ ঠেকিয়ে রাখা যাবে? তখন প্রকৌশলীরা বললেন, এটা কোন পাশে কত পরিমাণ পানি, তার ওপরে নির্ভর করে না, এটা নির্ভর করে পানির উচ্চতার ওপরে।
হিমালয়ের পলি মোহনায় জমে জমে আমাদের আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা ঠিক, কিন্তু সেটা তো আর আমাদের ভূমির তলের উচ্চতা বাড়াবে না, কাজেই...
তবু বাংলাদেশ ডুববে না। মানুষের শুভ বুদ্ধি জাগ্রত হবে, মানুষ গ্রীন হাউস গ্যাস কম নিঃসরণ করবে, গাছ বেশি করে লাগাবে, হিমবাহগুলো গলবে না। জানেন তো, আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরির জন্যও পৃথিবীর উষ্ণতা খানিক কমবে। ওই ছাই নাকি গাড়ির কাচে লাগানো শেডের মতো কাজ করবে, আমাদের পৃথিবীটাকে একটু ঠান্ডা করে রাখবে।
আর সিডর, আইলা এরই মধ্যে আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে, আমরা ক্লাইমেট ফান্ড থেকে ক্ষতিপূরণও চাই।
তবে কথা হচ্ছিল বাংলাদেশ ডুববে কি ডুববে না তা নিয়ে!
পুরোনো কৌতুকটা এবার বলে নিই।
সিআইএতে লোক নেওয়া হবে। পরীক্ষা চলছে। তিনজন নারী পরীক্ষায় অবতীর্ণ। প্রথম জনকে একটা পিস্তল দিয়ে বলা হলো, পাশের ঘরে ঢোকো, যাকে দেখবে, তাকে গুলি করবে। সে ভেতরে গেল, গিয়ে দেখে তার স্বামীকে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। সে ফিরে এসে বলল, সে পারবে না। কাজেই তাকে বাদ দেওয়া হলো। দ্বিতীয়জন গিয়ে দেখল, এবার তার স্বামী ভেতরে বাঁধা। সে গুলি করল। ফিরে এসে বলল, গুলি কই, শুধু তো পানির বুলেট।
তৃতীয়জনও গিয়ে তার স্বামীকে পেল বাঁধা অবস্থায়। কিন্তু সে আর ফিরে আসছে না। পরীক্ষকেরা চিন্তিত। ভেতর থেকে নানা ধুপধাপ আওয়াজ আসছে। শেষে সে ফিরে এল। বলল, দুরো মিয়া, তোমরা পিস্তলে ভুয়া গুলি ভরে রাখছ, ওকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে মারতে আমার অনেকটা সময় লেগে গেল।
বাংলাদেশ এমনিতেই ডুববে না। তবে আমরা একে ডোবাতে পারি। একটু ঘাড়ে পাড়া দিয়ে ডোবাতে হবে। কতগুলো উপায় আছে এটাকে ডোবানোর। যেমন দেশটাকে জঙ্গি বানানো। নিজে নিজে এই দেশ জঙ্গি হবে না। কারণ এই পলি মাটির দেশের মানুষগুলোও পলি মাটির মতো নরম। কাজেই নানা সংস্থা মাঠে নামিয়ে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে জঙ্গি ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। একটু কষ্টকর। কিন্তু দেশটাকে ডোবাতে হলে সেই কষ্টটা তো আমাদের স্বীকার করতেই হবে। কষ্ট ছাড়া কি আর কেষ্ট মেলে!
ডোবানোর আরেকটা উপায় হলো আমাদের নদ-নদী পাহাড় সমুদ্র জমিকে দূষিত করে ফেলা। সেটা আমরা করছি। আমাদের নদীতে বর্জ্য ফেলছি, শিল্পবর্জ্য, মনুষ্যবর্জ্য, যাতে আর কোনো দিনও পানি শোধিত না হয়! আমরা বেপরোয়া জমি দখল করে জলাভূমি ভরাট করে প্লট বানাচ্ছি, যাতে পুরো পরিবেশের বারোটা বাজে। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের অপরিণামদর্শী ব্যবহারও আমাদের ভবিষ্যেক শেষ করে দিতে পারে। আমরা বেশি করে মাদক গ্রহণ করতে পারি। এইডসের জীবাণু ছড়িয়ে দিতে পারি। ডোবানোর নানা রাস্তাই আমাদের সামনে খোলা আছে।
পাকিস্তান যেমন ডুবছে। সে তো সমুদ্রের পানিতে নয়, জঙ্গিবাদের বারুদে বোমায় রক্তপ্লাবনে!
আমরাও আমাদের দেশটাকে ডোবাতে পারি। আবার ভাসাতেও পারি। সমুদ্রের চেয়ে নিচু এই রকম বহু শহর জনপদ পৃথিবীতে আছে। তাদের প্রযুক্তি, তাদের বিত্ত তাদের বিপদমুক্ত রাখে। আমাদের সামর্থ্য থাকলে আমরা দেশটাকে ভাসাতে পারব, আর আমরা যদি আত্মকলহে কিংবা দুর্নীতিতে বা অযোগ্যতায় গা ভাসিয়ে দিই, দেশটা ডুববে।
আমাদের অযোগ্যতা দুর্নীতি অনৈক্যের ওজন যদি অপসারিত পানির ওজনের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে আমরা ডুবব, আর যদি কম হয় আমরা ভাসব। এটাকে বলা হয় আর্কিমিডিসের সূত্র। এটা আবিষ্কার করার জন্য বাথটাব থেকে উঠে ইউরেকা ইউরেকা বলে কাপড়ছাড়া দৌড়ানোর দরকার পড়ে না!
বাংলাদেশ তার নেতানেত্রীদের উদ্দেশে কোন গানটা গাইবে?
আমায় ভাসাইলি রে!
আমায় ডুবাইলি রে!
নেতাদেরই টিকচিহ্নটা দিতে হবে।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
No comments