সরকার-নির্ধারিত ক্রয়মূল্য কি কৃষকবান্ধব?-ধান কাটা হলো শুরু
পাকা ধানের গোছায় কাস্তে চালানো কৃষকের মনে আনন্দের পাশেই উঁকি দিচ্ছে চিরকালীন ভয়—ন্যায্যমূল্য মিলবে তো? ধান কাটার মৌসুমে কৃষকের চিরসঙ্গী এই উদ্বেগ। অথচ কৃষকের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার ওপরই নির্ভর করে পরের বছরের ভালো উৎপাদন এবং গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ। সরকারই পারে তা নিশ্চিত করতে।
প্রতি কেজি ধান ১৭ এবং চাল ২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। গত বছর এ মূল্য ছিল যথাক্রমে ১৪ ও ২২ টাকা। দৃশ্যত, ক্রয়মূল্য বাড়লেও বাস্তবে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির নিরিখে প্রকৃত বৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে সরকার-নির্ধারিত এই দাম পাওয়ার নিশ্চয়তাও কৃষকের থাকে না। কার্যত দেখা যায়, লাভের গুড় খেয়ে যান মধ্যস্বত্বভোগী চালকল মালিক ও ফড়িয়া-মজুদদারেরা। সুতরাং সরকার আন্তরিক ও সতর্ক না থাকলে কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা এ দামকে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের জন্যই ভারসাম্যপূর্ণ বলে অভিমত জানিয়েছেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দশকের পর দশক বাম্পার ফলন ফলিয়েও কৃষকের সংসারে সচ্ছলতা আসে না। ভালো ফসল ফলানোর পরও অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন-খরচ না ওঠায় ঘাটতি ঋণ নিয়ে শোধ করতে হয় কৃষকদের। অথচ সার-বিদ্যুৎ-পানির টানাটানি আর বাজার ও প্রকৃতির প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলার কৃষকেরাই কিন্তু দেশের খাদ্য-নিরাপত্তার নায়ক। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের জনভিত্তি কিন্তু গ্রামেই এবং তা মূলত ক্ষুদ্র কৃষকেরা।
তাই সরকারের নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব কেবল মোটামুটি দাম নির্ধারণ করে দেওয়াই নয়; এর সুফল যাতে কৃষকের হাতে পৌঁছায়, এর ব্যবস্থা করা। ধান গোলায় রেখে উপযুক্ত দাম নিয়ে দরকষাকষি করার ক্ষমতা বেশির ভাগ কৃষকের নেই। এরই সুযোগ নেন ফড়িয়া ও ধান-চাল ব্যবসায়ী চালকল মালিকেরা। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, তাঁরা চাইলে সংঘবদ্ধভাবে দামের কমা-বাড়া করতে পারেন। তাঁদের রয়েছে সিন্ডিকেট সমিতি। বিপরীতে কৃষক দুর্বল ও একাকী। এ অবস্থায় কৃষকের একমাত্র সহায় সরকারের কৃষি বিভাগের সঠিক নীতি ও কার্যকর তদারকি। কিন্তু প্রায়ই ঘোষণা ও বাস্তবায়নের মধ্যে অনেক ব্যবধান থাকতে দেখা যায়। এবার যাতে তা না ঘটে, তার জন্য সরকারের কৃষি বিভাগ, মাঠপর্যায়ের কর্মী, গণমাধ্যম ও দেশবাসীর সজাগ থাকা চাই।
এক দিক থেকে কৃষকের উন্নতিই জাতীয় উন্নতি। ফসলের ভালো দাম পাওয়ার উৎসাহে কৃষক যেমন খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, তেমনি তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে বাজারও চাঙা হয়, সুনিশ্চিত বাজারের ভিত্তিতে শিল্পও শক্তিশালী হয়। সব বিচারেই, সরকারের উচিত ফসলের দাম কৃষকের অনুকূলে রাখা এবং যতটা সম্ভব সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে, তা না হলে অন্তত ছোট চাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান-চাল কেনার মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনা। কেননা, আগেও যেমন এখনো তেমন—কৃষক বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচে।
বিশেষজ্ঞরা এ দামকে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের জন্যই ভারসাম্যপূর্ণ বলে অভিমত জানিয়েছেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দশকের পর দশক বাম্পার ফলন ফলিয়েও কৃষকের সংসারে সচ্ছলতা আসে না। ভালো ফসল ফলানোর পরও অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন-খরচ না ওঠায় ঘাটতি ঋণ নিয়ে শোধ করতে হয় কৃষকদের। অথচ সার-বিদ্যুৎ-পানির টানাটানি আর বাজার ও প্রকৃতির প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলার কৃষকেরাই কিন্তু দেশের খাদ্য-নিরাপত্তার নায়ক। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের জনভিত্তি কিন্তু গ্রামেই এবং তা মূলত ক্ষুদ্র কৃষকেরা।
তাই সরকারের নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব কেবল মোটামুটি দাম নির্ধারণ করে দেওয়াই নয়; এর সুফল যাতে কৃষকের হাতে পৌঁছায়, এর ব্যবস্থা করা। ধান গোলায় রেখে উপযুক্ত দাম নিয়ে দরকষাকষি করার ক্ষমতা বেশির ভাগ কৃষকের নেই। এরই সুযোগ নেন ফড়িয়া ও ধান-চাল ব্যবসায়ী চালকল মালিকেরা। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, তাঁরা চাইলে সংঘবদ্ধভাবে দামের কমা-বাড়া করতে পারেন। তাঁদের রয়েছে সিন্ডিকেট সমিতি। বিপরীতে কৃষক দুর্বল ও একাকী। এ অবস্থায় কৃষকের একমাত্র সহায় সরকারের কৃষি বিভাগের সঠিক নীতি ও কার্যকর তদারকি। কিন্তু প্রায়ই ঘোষণা ও বাস্তবায়নের মধ্যে অনেক ব্যবধান থাকতে দেখা যায়। এবার যাতে তা না ঘটে, তার জন্য সরকারের কৃষি বিভাগ, মাঠপর্যায়ের কর্মী, গণমাধ্যম ও দেশবাসীর সজাগ থাকা চাই।
এক দিক থেকে কৃষকের উন্নতিই জাতীয় উন্নতি। ফসলের ভালো দাম পাওয়ার উৎসাহে কৃষক যেমন খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, তেমনি তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে বাজারও চাঙা হয়, সুনিশ্চিত বাজারের ভিত্তিতে শিল্পও শক্তিশালী হয়। সব বিচারেই, সরকারের উচিত ফসলের দাম কৃষকের অনুকূলে রাখা এবং যতটা সম্ভব সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে, তা না হলে অন্তত ছোট চাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান-চাল কেনার মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনা। কেননা, আগেও যেমন এখনো তেমন—কৃষক বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচে।
No comments