ম্যানচেস্টার সিটি-নতুন দিন by রাজীব হাসান
অবিশ্বাস্য এক নাটকীয় সমাপ্তি ঘোষণা করেছে নতুন শক্তির আবির্ভাব। ৪৪ বছর পর শিরোপা জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি মানচিনির হাত ধরে সিটির পানচিনি হয়ে গেল। এবার শুভলগনের অপেক্ষা। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে নাকি ম্যানচেস্টার সিটির রাজত্ব কায়েম হতে চলেছে!
সেটি হবে কি হবে না, উত্তর দেবে সময়। তবে যে নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে এবার শিরোপা জিতল সিটি, সেটির তুলনা পাওয়া ভার। মৌসুমের শুরুটাও ছিল নাটকীয়তা দিয়ে। আগের মৌসুমের লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন সিটিই মুখোমুখি হয়েছিল সেই ম্যাচে। ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া সিটিকে শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে হারিয়ে আগের মৌসুমে এফএ কাপের সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার জ্বালা জুড়িয়েছিল ইউনাইটেড। কীভাবে? ৯৪তম মিনিটে করা নানির জয়সূচক গোলে! শুরুর সেই চিত্রনাট্য কীভাবে মিলিয়ে দিলেন ভাগ্যদেবী! এবারও শিরোপা নির্ধারিত হলো ৯৪তম মিনিটে। কিন্তু সার্জিও আগুয়েরোর সৌজন্যে বড় জয়টা তুলে নিল সিটিই। ঘুচল প্রায় আধা শতাব্দীর অপেক্ষা।
এবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগটির সবচেয়ে ভালো নাম দিয়েছেন রবার্তো মানচিনিই। ‘পাগলাটে এক মৌসুম!’ দীর্ঘ সময় ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল সিটি। অষ্টম রাউন্ড থেকে ২৭তম রাউন্ড পর্যন্ত। কিন্তু তাদের একবিন্দুও স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি ম্যানইউ। ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেই চলেছে। মার্চ, এপ্রিল, মে—এই তিন মাসে তিনবার পাল্টেছে পাশার দান।
মার্চে সোয়ানসি সিটির কাছে হেরে যাওয়ার পর দুইয়ে নেমে গেল সিটি। একে উঠে এল ম্যানইউ। পরের চার ম্যাচে পা হড়কাল সিটির। হাতছাড়া করল সাত পয়েন্ট। সেই সুযোগে আট পয়েন্টের নিরাপদ ব্যবধানে ম্যানইউ। মাঝখানে একটি ম্যাচে ড্র, তার পরও তো সাত পয়েন্টে এগিয়ে। লিগে বাকি মাত্র ছয় ম্যাচ। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মানচিনি ভাঙা রেকর্ডটা বাজাতে শুরু করে দিলেন, ‘সুযোগ নেই, আমাদের সামনে আর কোনো সুযোগ নেই।’
কিন্তু সেই শেষ ছয় ম্যাচের প্রথম চারটিতে গুনে গুনে সাত পয়েন্টই হারাল ম্যানইউ। এর মধ্যে বড় উপকার করে গেল পুঁচকে উইগান, ম্যানইউকে হারিয়ে দিয়ে। আর অধিনায়ক ভিনসেন্ট কম্পানির ‘মাথা’য় চড়ে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে জিতল সিটি। শেষ পর্যন্ত শেষ ম্যাচে মঞ্চস্থ হলো নাটকের চূড়ান্ত অঙ্ক। আর তাতেই জেকো ও আগুয়েরোর দুই অতিরিক্ত সময়ের গোল ৪৪ বছর পর শিরোপা জেতাল সিটিকে।
পার্সির পরস্ফুিটন
শুরু থেকে শেষ—পুরো মৌসুমেই ফর্মে ছিলেন রবিন ফন পার্সি। করেছেন একের পর এক গোল। আর্সেনালে ফুল হয়ে ফোটার এই মৌসুমে লিগে দুটি হ্যাটট্রিকসহ ডাচ স্ট্রাইকার করেছেন সর্বোচ্চ ৩০ গোল। পেয়েছেন সহ-খেলোয়াড় ও সাংবাদিকদের ভোটে ইংলিশ লিগের বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি।
সেরা গোলদাতা
৩০ রবিন ফন পার্সি আর্সেনাল
২৭ ওয়েইন রুনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
২৩ সার্জিও আগুয়েরো ম্যানচেস্টার সিটি
১৭ ইমানুয়েল আদেবায়োর টটেনহাম
ইয়াকুবু আয়িগবেনি ব্ল্যাকবার্ন
ক্লিন্ট ডেম্পসি ফুলহাম
এবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগটির সবচেয়ে ভালো নাম দিয়েছেন রবার্তো মানচিনিই। ‘পাগলাটে এক মৌসুম!’ দীর্ঘ সময় ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল সিটি। অষ্টম রাউন্ড থেকে ২৭তম রাউন্ড পর্যন্ত। কিন্তু তাদের একবিন্দুও স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি ম্যানইউ। ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেই চলেছে। মার্চ, এপ্রিল, মে—এই তিন মাসে তিনবার পাল্টেছে পাশার দান।
মার্চে সোয়ানসি সিটির কাছে হেরে যাওয়ার পর দুইয়ে নেমে গেল সিটি। একে উঠে এল ম্যানইউ। পরের চার ম্যাচে পা হড়কাল সিটির। হাতছাড়া করল সাত পয়েন্ট। সেই সুযোগে আট পয়েন্টের নিরাপদ ব্যবধানে ম্যানইউ। মাঝখানে একটি ম্যাচে ড্র, তার পরও তো সাত পয়েন্টে এগিয়ে। লিগে বাকি মাত্র ছয় ম্যাচ। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মানচিনি ভাঙা রেকর্ডটা বাজাতে শুরু করে দিলেন, ‘সুযোগ নেই, আমাদের সামনে আর কোনো সুযোগ নেই।’
কিন্তু সেই শেষ ছয় ম্যাচের প্রথম চারটিতে গুনে গুনে সাত পয়েন্টই হারাল ম্যানইউ। এর মধ্যে বড় উপকার করে গেল পুঁচকে উইগান, ম্যানইউকে হারিয়ে দিয়ে। আর অধিনায়ক ভিনসেন্ট কম্পানির ‘মাথা’য় চড়ে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে জিতল সিটি। শেষ পর্যন্ত শেষ ম্যাচে মঞ্চস্থ হলো নাটকের চূড়ান্ত অঙ্ক। আর তাতেই জেকো ও আগুয়েরোর দুই অতিরিক্ত সময়ের গোল ৪৪ বছর পর শিরোপা জেতাল সিটিকে।
পার্সির পরস্ফুিটন
শুরু থেকে শেষ—পুরো মৌসুমেই ফর্মে ছিলেন রবিন ফন পার্সি। করেছেন একের পর এক গোল। আর্সেনালে ফুল হয়ে ফোটার এই মৌসুমে লিগে দুটি হ্যাটট্রিকসহ ডাচ স্ট্রাইকার করেছেন সর্বোচ্চ ৩০ গোল। পেয়েছেন সহ-খেলোয়াড় ও সাংবাদিকদের ভোটে ইংলিশ লিগের বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি।
সেরা গোলদাতা
৩০ রবিন ফন পার্সি আর্সেনাল
২৭ ওয়েইন রুনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
২৩ সার্জিও আগুয়েরো ম্যানচেস্টার সিটি
১৭ ইমানুয়েল আদেবায়োর টটেনহাম
ইয়াকুবু আয়িগবেনি ব্ল্যাকবার্ন
ক্লিন্ট ডেম্পসি ফুলহাম
No comments