ভিসির পদত্যাগ এবং নতুন ভিসি নিয়োগ by এ কে এম শাহনাওয়াজ
প্রথমে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি ও পরে ঘটনার পারম্পর্যে জাবি ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষকসমাজ ও ছাত্রদের যুগপৎ আন্দোলন টানা চার মাস গড়ায়। শুরুতে ছাত্ররা যুবায়ের হত্যার বিচারের দাবিতে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আন্দোলন করছিল। তাদের দাবি আংশিক পূরণের পর আন্দোলন থেকে তারা সরে যায়।
শিক্ষকরা তাঁদের আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যান। পরে আন্দোলন দুর্বল করে দেওয়ার জন্য ভিসি শিক্ষক গ্রেপ্তার করিয়ে অবস্থা ঘোলাটে করে ফেলেন। এরপরই ভিসি পদত্যাগের এক দফার আন্দোলন শুরু হয়।
এ পর্যায়ে দিশেহারা ভিসি ও তাঁর সভাসদরা বড় ভুল করে ফেললেন। তাঁদের পালিত ছাত্রলীগ নামধারীদের দিয়ে হামলা করে সাংস্কৃতিক জোটের ছাত্রদের ওপর। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। ফলে ছাত্র আন্দোলন মুহূর্তে অগি্নগর্ভ রূপ নেয়। সাংস্কৃতিক জোটও 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ভিসি পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নামে। এভাবে আন্দোলন নতুন মোড় নেয়। ভিসি ও সরকার পক্ষের দীর্ঘ নীরবতায় সমস্যা জটিল হতে থাকে। আন্দোলন অনশন কর্মসূচি পর্যন্ত গড়ায়। এর পর সরকার দৃষ্টি দিতে বাধ্য হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী ভিসি পদত্যাগের একদফা দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষকরা কর্মসূচি উঠিয়ে নেন। পরে ছাত্ররাও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা স্থাপন করে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে।
এরপর গত দুই সপ্তাহ অস্ব্বস্তিকর অবস্থায় কাটে বিশ্ববিদ্যালয়। ভিসি পদত্যাগের দাবি পূরণে বিলম্ব হওয়ায় এবং সরকার পক্ষ নীরবতা পালন করায় ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে অফিস খোলার পর নতুন ক্ষুব্ধতার সৃষ্টি হয়। এ প্রেক্ষাপটেও ভিসি অফিস খোলার প্রথম প্রহরে রীতি বিরুদ্ধভাবে এডহক ভিত্তিতে একজন অফিসার নিয়োগ দেন। এতে অনেকের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়- সম্ভবত ভিসি সরকারের কাছ থেকে কোনো সবুজ সংকেত পেয়েছেন। তাই সেই দিনই শিক্ষকসমাজের সভা থেকে ভিসি অপসারণের জন্য ১৭ মে পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় সরকারকে।
আল্টিমেটামের শেষ দিন বিকেলে মহামান্য চ্যান্সেলর ভিসি মহোদয়কে ডেকে পাঠালে ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা মেঘ কেটে যায়। সন্ধ্যার আগেই চ্যান্সেলরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ভিসি মহোদয়। এভাবেই তিনি 'সাবেক ভিসি' হয়ে যান।
ভিসি পদত্যাগের খরব চলে এলে ক্যাম্পাসে স্বস্তি ফিরে আসে। ভ্যাকেশন চলায় ছাত্র উপস্থিতি তেমন একটা নেই ক্যাম্পাসে। যারা আছে তারা একজন আরেকজনকে অভিনন্দন জানাচ্ছিল উৎসবের আমেজে। শিক্ষকরা জড় হতে থাকেন শিক্ষক-অফিসার্স ক্লাবে। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের মধ্য থেকে কাউকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে, নাকি প্রো-উপাচার্যকে উপাচার্যের চলতি দায়িত্ব দিয়ে সিনেট ডেকে প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে- এ নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। এর মধ্যে আচমকা টেলিভিশনে প্রচারিত হলো রাষ্ট্রপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বিজয়ের আমেজে থাকা শিক্ষকরা মুহূর্তে যেন স্তব্ধ হয়ে গেলেন। ৪১ বছরের পুরনো এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক মেধাবী প্রবীণ ও আওয়ামী ঘরানার শিক্ষক থাকার পরও একজন অতিথি উপাচার্যের জন্য যেন কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। অনেক প্রাক্তন ছাত্র ক্ষোভ প্রকাশ করে টেলিফোন করতে থাকল। কয়েকজন দল নিরপেক্ষ শিক্ষক শঙ্কা প্রকাশ করলেন। মানুষ হিসেবে ড. আনোয়ারের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা রয়েছে। অধ্যাপক আনোয়ার এ দায়িত্ব নেওয়ায় সম্মতি দিয়েছেন জেনে তাঁরা বিস্মিত হলেন। তাঁদের মতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির ব্যাকরণ একটু ভিন্ন। এর সঙ্গে নতুন উপাচার্য নিজেকে মানাতে পারবেন কি না তাতে তাঁদের অনেক সন্দেহ। তাঁরা মনে করেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের গড়ন ও মেজাজের সঙ্গে ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা একজন শিক্ষাবিদ কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন এ নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আমার কাছে অবশ্য এসব এক ধরনের আবেগের প্রকাশ বলে মনে হলো। কারণ ভিসি পদত্যাগের আন্দোলনে কে পরবর্তী ভিসি হবেন- এমন কোনো দাবি ছিল না। আর এমন কোনো বিধানও নেই যে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি নিয়োগ করা যাবে না। নিয়োগপ্রাপ্ত ড. আনোয়ার হোসেনের প্রতি কারো কোনো বিরূপ ধারণা নেই। তাই নতুন ভিসিকে স্বাগত জানাতে বাধা নেই কারো। আমার মতো অনেকেই এ নিয়োগকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। তবে স্বাজাত্যাভিমানের বিষয়টিকে তো একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না!
আমার মনে হয়েছে সরকার সম্ভবত শরীফ এনামুল কবিরের মতো দীর্ঘমেয়াদি অনির্বাচিত ভিসি হিসেবে রাখার জন্য ড. আনোয়ারকে নিয়োগ দেন নি। এ প্রজ্ঞাবান ও রাজনীতি সচেতন ভিসি নিশ্চয়ই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্রের ধারা ফিরিয়ে আনবেন। আমাদের দেশের জাতীয় রাজনীতিতে তো ঘরের সংকট মেটাতে ইউরোপ-আমেরিকার মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন হয়। আর অধ্যাপক আনোয়ার তো আরো কাছের অতিথি। আমাদের সম্মানিত সহকর্মী। তাই স্বচ্ছন্দেই আমরা বৃহত্তর কল্যাণে তাঁর দায়িত্বশীল ভূমিকাকে স্বস্তির সঙ্গেই গ্রহণ করব।
অবশ্য শুরুতেই নতুন ভিসির কাঁধে কিছু দায়িত্ব চাপবে। শিক্ষকসমাজের অমীমাংসিত আট দফা দাবি ও ছাত্রদের দাবিগুলোও উত্থাপিত হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে ভিসি নিয়োগের কারণে যে মনস্তাত্তি্বক সংকট তৈরি হয়েছে তা কমিয়ে আনা অনেকটা সম্ভব হবে দাবি-দাওয়া মেটানো ও প্যানেল নির্বাচনের প্রশ্নে উপাচার্য কিভাবে অগ্রসর হন তার ওপর।
আমরা নতুন উপাচার্যের সাফল্য কামনা করি।
লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
এ পর্যায়ে দিশেহারা ভিসি ও তাঁর সভাসদরা বড় ভুল করে ফেললেন। তাঁদের পালিত ছাত্রলীগ নামধারীদের দিয়ে হামলা করে সাংস্কৃতিক জোটের ছাত্রদের ওপর। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। ফলে ছাত্র আন্দোলন মুহূর্তে অগি্নগর্ভ রূপ নেয়। সাংস্কৃতিক জোটও 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ভিসি পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নামে। এভাবে আন্দোলন নতুন মোড় নেয়। ভিসি ও সরকার পক্ষের দীর্ঘ নীরবতায় সমস্যা জটিল হতে থাকে। আন্দোলন অনশন কর্মসূচি পর্যন্ত গড়ায়। এর পর সরকার দৃষ্টি দিতে বাধ্য হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী ভিসি পদত্যাগের একদফা দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষকরা কর্মসূচি উঠিয়ে নেন। পরে ছাত্ররাও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা স্থাপন করে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে।
এরপর গত দুই সপ্তাহ অস্ব্বস্তিকর অবস্থায় কাটে বিশ্ববিদ্যালয়। ভিসি পদত্যাগের দাবি পূরণে বিলম্ব হওয়ায় এবং সরকার পক্ষ নীরবতা পালন করায় ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে অফিস খোলার পর নতুন ক্ষুব্ধতার সৃষ্টি হয়। এ প্রেক্ষাপটেও ভিসি অফিস খোলার প্রথম প্রহরে রীতি বিরুদ্ধভাবে এডহক ভিত্তিতে একজন অফিসার নিয়োগ দেন। এতে অনেকের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়- সম্ভবত ভিসি সরকারের কাছ থেকে কোনো সবুজ সংকেত পেয়েছেন। তাই সেই দিনই শিক্ষকসমাজের সভা থেকে ভিসি অপসারণের জন্য ১৭ মে পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় সরকারকে।
আল্টিমেটামের শেষ দিন বিকেলে মহামান্য চ্যান্সেলর ভিসি মহোদয়কে ডেকে পাঠালে ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা মেঘ কেটে যায়। সন্ধ্যার আগেই চ্যান্সেলরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ভিসি মহোদয়। এভাবেই তিনি 'সাবেক ভিসি' হয়ে যান।
ভিসি পদত্যাগের খরব চলে এলে ক্যাম্পাসে স্বস্তি ফিরে আসে। ভ্যাকেশন চলায় ছাত্র উপস্থিতি তেমন একটা নেই ক্যাম্পাসে। যারা আছে তারা একজন আরেকজনকে অভিনন্দন জানাচ্ছিল উৎসবের আমেজে। শিক্ষকরা জড় হতে থাকেন শিক্ষক-অফিসার্স ক্লাবে। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের মধ্য থেকে কাউকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে, নাকি প্রো-উপাচার্যকে উপাচার্যের চলতি দায়িত্ব দিয়ে সিনেট ডেকে প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে- এ নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। এর মধ্যে আচমকা টেলিভিশনে প্রচারিত হলো রাষ্ট্রপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বিজয়ের আমেজে থাকা শিক্ষকরা মুহূর্তে যেন স্তব্ধ হয়ে গেলেন। ৪১ বছরের পুরনো এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক মেধাবী প্রবীণ ও আওয়ামী ঘরানার শিক্ষক থাকার পরও একজন অতিথি উপাচার্যের জন্য যেন কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। অনেক প্রাক্তন ছাত্র ক্ষোভ প্রকাশ করে টেলিফোন করতে থাকল। কয়েকজন দল নিরপেক্ষ শিক্ষক শঙ্কা প্রকাশ করলেন। মানুষ হিসেবে ড. আনোয়ারের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা রয়েছে। অধ্যাপক আনোয়ার এ দায়িত্ব নেওয়ায় সম্মতি দিয়েছেন জেনে তাঁরা বিস্মিত হলেন। তাঁদের মতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির ব্যাকরণ একটু ভিন্ন। এর সঙ্গে নতুন উপাচার্য নিজেকে মানাতে পারবেন কি না তাতে তাঁদের অনেক সন্দেহ। তাঁরা মনে করেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের গড়ন ও মেজাজের সঙ্গে ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা একজন শিক্ষাবিদ কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন এ নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আমার কাছে অবশ্য এসব এক ধরনের আবেগের প্রকাশ বলে মনে হলো। কারণ ভিসি পদত্যাগের আন্দোলনে কে পরবর্তী ভিসি হবেন- এমন কোনো দাবি ছিল না। আর এমন কোনো বিধানও নেই যে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি নিয়োগ করা যাবে না। নিয়োগপ্রাপ্ত ড. আনোয়ার হোসেনের প্রতি কারো কোনো বিরূপ ধারণা নেই। তাই নতুন ভিসিকে স্বাগত জানাতে বাধা নেই কারো। আমার মতো অনেকেই এ নিয়োগকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। তবে স্বাজাত্যাভিমানের বিষয়টিকে তো একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না!
আমার মনে হয়েছে সরকার সম্ভবত শরীফ এনামুল কবিরের মতো দীর্ঘমেয়াদি অনির্বাচিত ভিসি হিসেবে রাখার জন্য ড. আনোয়ারকে নিয়োগ দেন নি। এ প্রজ্ঞাবান ও রাজনীতি সচেতন ভিসি নিশ্চয়ই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্রের ধারা ফিরিয়ে আনবেন। আমাদের দেশের জাতীয় রাজনীতিতে তো ঘরের সংকট মেটাতে ইউরোপ-আমেরিকার মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন হয়। আর অধ্যাপক আনোয়ার তো আরো কাছের অতিথি। আমাদের সম্মানিত সহকর্মী। তাই স্বচ্ছন্দেই আমরা বৃহত্তর কল্যাণে তাঁর দায়িত্বশীল ভূমিকাকে স্বস্তির সঙ্গেই গ্রহণ করব।
অবশ্য শুরুতেই নতুন ভিসির কাঁধে কিছু দায়িত্ব চাপবে। শিক্ষকসমাজের অমীমাংসিত আট দফা দাবি ও ছাত্রদের দাবিগুলোও উত্থাপিত হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে ভিসি নিয়োগের কারণে যে মনস্তাত্তি্বক সংকট তৈরি হয়েছে তা কমিয়ে আনা অনেকটা সম্ভব হবে দাবি-দাওয়া মেটানো ও প্যানেল নির্বাচনের প্রশ্নে উপাচার্য কিভাবে অগ্রসর হন তার ওপর।
আমরা নতুন উপাচার্যের সাফল্য কামনা করি।
লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments