পদ্মা সেতুতে বরাদ্দ রেখে নতুন এডিপি অনুমোদন
আগামী ২০১২-১৩ অর্থবছরে উন্নয়ন প্রকল্পে ৫৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যেই বিশাল আকারের এই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) হাতে নিয়েছে সরকার। বর্তমান সরকারের মেয়াদে পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের জন্য এটিই শেষ এডিপি।
বাস্তবায়ন ক্ষমতা খুব একটা বাড়েনি। তা সত্ত্বেও নির্বাচনের আগে বড় আকারের এডিপি অনুমোদন দিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। গতকাল শনিবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এনইসির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন অর্থবছরের এডিপির আকার চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে ১৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা নয় হাজার কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত এডিপি থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। বাস্তবায়িত না হওয়ায় কাটছাঁটের পর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আয়তন ৪১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
আগামী এডিপিতে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা পুরোটাই সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। তবে এর মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে জাপান ঋণসহায়তা মওকুফ তহবিল থেকে।
এডিপির আকার: ৫৫ হাজার কোটি টাকার নতুন এডিপির মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় জোগান দেওয়া হবে ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, আর বিদেশি সহায়তা পাওয়া যাবে ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
চলতি এডিপির মতো আগামী এডিপিতে সবচেয়ে বেশি সাত হাজার ৯১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে, যা মোট বরাদ্দের ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশের বেশি।
খাতওয়ারি বরাদ্দের বাইরেও স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন-সহায়তার নামে এক হাজার ৫১৭ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পে এই বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে। এর বাইরে থোক বরাদ্দ হিসেবে এক হাজার ৭৪০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।
এনইসির সভা শেষে নতুন এডিপি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন ভারপ্রাপ্ত পরিকল্পনাসচিব ভুঁইয়া সফিকুল ইসলাম। এক প্রশ্নের জবাবে সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী বিবেচনায় নয়, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে এডিপিতে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং এর বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোচ্ছে দেশ।
ভারপ্রাপ্ত পরিকল্পনাসচিব আরও জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে দেশের অর্থনীতির স্থিতি চাপের মধ্যে রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি অনুকূলে থাকলে আগামী অর্থবছরেও এডিপি বাস্তবায়ন ভালো হবে। এনইসির সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন বলে তিনি জানান।
৩৫টি নতুন প্রকল্প: নতুন এডিপিতে ৩৫টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে নতুন করে ১৯২টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ফলে প্রতিবছরের মতো এবারও এডিপিতে ‘লোক দেখানো’ নতুন প্রকল্প কম অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াস রয়েছে।
সব মিলিয়ে আগামী এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৭। তবে বরাদ্দহীন অননুমোদিত প্রকল্প হিসেবে আরও এক হাজার ৪৭টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে আগামী অর্থবছরজুড়েই অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনামন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি কাজ করবে।
তবে নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, বিদ্যুৎসংযোগ প্রদান, ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ, গার্লস গাইডদের জন্য ভবন নির্মাণের মতো কম গুরুত্বপূর্ণ ও রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পই বেশি।
পিপিপির ১০ প্রকল্প: গত তিন অর্থবছর ধরে বাজেটে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) আওতায় বিনিয়োগের ব্যাপক আশাবাদ প্রচার করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। প্রতিবছর বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে পিপিপির আওতায় তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু একটি টাকাও খরচ করা সম্ভব হয়নি।
অথচ আগামী অর্থবছরের এডিপিতে আবারও পিপিপির আওতায় ১০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে এমনকি দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পও রয়েছে। পিপিপির প্রকল্পগুলো হলো: ইস্টার্ন রিফাইনারির বিএমআরই, চট্টগ্রামে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় এলপিজি সিলিন্ডার প্ল্যান্ট, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, ফুলছড়ি-বাহাদুরাবাদ ঘাট এমজি রেলওয়ে সেতু, ডুয়েল গেজ বিশিষ্ট ডাবল লাইন বঙ্গবন্ধু সেতু এবং দোহাজারী-কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ।
নতুন অর্থবছরের এডিপির আকার চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে ১৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা নয় হাজার কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত এডিপি থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। বাস্তবায়িত না হওয়ায় কাটছাঁটের পর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আয়তন ৪১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
আগামী এডিপিতে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা পুরোটাই সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। তবে এর মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে জাপান ঋণসহায়তা মওকুফ তহবিল থেকে।
এডিপির আকার: ৫৫ হাজার কোটি টাকার নতুন এডিপির মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় জোগান দেওয়া হবে ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, আর বিদেশি সহায়তা পাওয়া যাবে ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
চলতি এডিপির মতো আগামী এডিপিতে সবচেয়ে বেশি সাত হাজার ৯১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে, যা মোট বরাদ্দের ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশের বেশি।
খাতওয়ারি বরাদ্দের বাইরেও স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন-সহায়তার নামে এক হাজার ৫১৭ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পে এই বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে। এর বাইরে থোক বরাদ্দ হিসেবে এক হাজার ৭৪০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।
এনইসির সভা শেষে নতুন এডিপি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন ভারপ্রাপ্ত পরিকল্পনাসচিব ভুঁইয়া সফিকুল ইসলাম। এক প্রশ্নের জবাবে সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী বিবেচনায় নয়, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে এডিপিতে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং এর বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোচ্ছে দেশ।
ভারপ্রাপ্ত পরিকল্পনাসচিব আরও জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে দেশের অর্থনীতির স্থিতি চাপের মধ্যে রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি অনুকূলে থাকলে আগামী অর্থবছরেও এডিপি বাস্তবায়ন ভালো হবে। এনইসির সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন বলে তিনি জানান।
৩৫টি নতুন প্রকল্প: নতুন এডিপিতে ৩৫টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে নতুন করে ১৯২টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ফলে প্রতিবছরের মতো এবারও এডিপিতে ‘লোক দেখানো’ নতুন প্রকল্প কম অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াস রয়েছে।
সব মিলিয়ে আগামী এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৭। তবে বরাদ্দহীন অননুমোদিত প্রকল্প হিসেবে আরও এক হাজার ৪৭টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে আগামী অর্থবছরজুড়েই অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনামন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি কাজ করবে।
তবে নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, বিদ্যুৎসংযোগ প্রদান, ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ, গার্লস গাইডদের জন্য ভবন নির্মাণের মতো কম গুরুত্বপূর্ণ ও রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পই বেশি।
পিপিপির ১০ প্রকল্প: গত তিন অর্থবছর ধরে বাজেটে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) আওতায় বিনিয়োগের ব্যাপক আশাবাদ প্রচার করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। প্রতিবছর বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে পিপিপির আওতায় তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু একটি টাকাও খরচ করা সম্ভব হয়নি।
অথচ আগামী অর্থবছরের এডিপিতে আবারও পিপিপির আওতায় ১০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে এমনকি দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পও রয়েছে। পিপিপির প্রকল্পগুলো হলো: ইস্টার্ন রিফাইনারির বিএমআরই, চট্টগ্রামে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় এলপিজি সিলিন্ডার প্ল্যান্ট, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, ফুলছড়ি-বাহাদুরাবাদ ঘাট এমজি রেলওয়ে সেতু, ডুয়েল গেজ বিশিষ্ট ডাবল লাইন বঙ্গবন্ধু সেতু এবং দোহাজারী-কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ।
No comments