অমানবিক-দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক জিসান হত্যাকারীর
অবুঝ শিশুর জীবন কেড়ে নিল ঘাতক। কিন্তু কী অপরাধ করেছিল জিসান? খেলতে গিয়েছিল ঘরের সামনে। মা অপেক্ষা করছিলেন ছেলেকে পোশাক পরিয়ে দেবেন বলে। ছেলে আসে না দেখে মা নিজেই গেলেন সন্তানের খোঁজে। পেলেন না। অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠল মায়ের মন।
এলাকায় মাইকিং করা হলো, বহু খোঁজাখুঁজি করা হলো। পাওয়া গেল না জিসানকে। এক দিন পর রাজধানীর ভাটারা থানার সোলমাইদ পূর্বপাড়া বসুমতী আবাসিক প্রকল্প এলাকার বালুর মাঠে পাওয়া গেল জিসানের নীরব-নিথর দেহটি। সারা দেহ তার মাটির নিচে। পা দুটি বেরিয়ে আছে বাইরে। কী নির্মম দৃশ্য!
এমন করুণ মৃত্যুর ঘটনা একমাত্র সোলমাইদেই ঘটেছে, এমনটা বলা যাবে না। এ ধরনের মৃত্যুসংবাদ মাঝেমধ্যেই পাঠককে উৎকণ্ঠিত করে। গ্রাম কিংবা শহর- সর্বত্রই এসব ঘটনা ঘটে চলেছে। সেগুলোর বেশির ভাগই প্রচারমাধ্যমে আসে না। ফলে প্রকৃত পরিসংখ্যান জানা সম্ভব হয় না। প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ কী করে এমন অমানবিক কাজ করতে পারে! আর কী কারণেই এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। মূল্যবোধের অবক্ষয়, সামাজিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও আইনের শাসনের ঘাটতি হলে সমাজে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এগুলোও এরই প্রতিফলন। সামাজিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পেছনেও মূল্যবোধের অবক্ষয় কাজ করে থাকে। জিসানের মৃত্যুর পেছনে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদের কথা বলা হচ্ছে। এই অভিযোগ যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে সেখানে অসহিষ্ণু মানসিকতা খুঁজে পাওয়া যাবে। এই অসহিষ্ণুতার কারণেই কয়েক মাস আগে একটি শিশুকে খুনিরা গলা টিপে হত্যা করে কাঁচপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দিয়েছিল। ঢাকা শহরে নির্মাণাধীন এক বাড়িতে শিশুকে খুন করে ফেলে রেখেছিল, সেও অসহিষ্ণু মানসিকতার কারণে। অসহিষ্ণুতা বেড়ে যায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, অপরাধীর শাস্তি না হলে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন না করলে। জিসানের খুনের ঘটনার পর স্থানীয় থানার মামলা গ্রহণ না করার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। দুষ্টের দমনে অবহেলাজনিত এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে জিসানের খুনিদের মতো আরো খুনি তৈরি হতেই থাকবে। জিসানের মায়ের মতো আরো মা বুক চাপড়ে বিলাপ করবেন। সুতরাং ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক বিরোধ থেকে মৃত্যুর মতো ঘটনাও কমিয়ে আনতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং দেশের আইনের শাসন। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জিসানের খুনিদের বের করা হোক এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এমন করুণ মৃত্যুর ঘটনা একমাত্র সোলমাইদেই ঘটেছে, এমনটা বলা যাবে না। এ ধরনের মৃত্যুসংবাদ মাঝেমধ্যেই পাঠককে উৎকণ্ঠিত করে। গ্রাম কিংবা শহর- সর্বত্রই এসব ঘটনা ঘটে চলেছে। সেগুলোর বেশির ভাগই প্রচারমাধ্যমে আসে না। ফলে প্রকৃত পরিসংখ্যান জানা সম্ভব হয় না। প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ কী করে এমন অমানবিক কাজ করতে পারে! আর কী কারণেই এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। মূল্যবোধের অবক্ষয়, সামাজিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও আইনের শাসনের ঘাটতি হলে সমাজে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এগুলোও এরই প্রতিফলন। সামাজিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পেছনেও মূল্যবোধের অবক্ষয় কাজ করে থাকে। জিসানের মৃত্যুর পেছনে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদের কথা বলা হচ্ছে। এই অভিযোগ যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে সেখানে অসহিষ্ণু মানসিকতা খুঁজে পাওয়া যাবে। এই অসহিষ্ণুতার কারণেই কয়েক মাস আগে একটি শিশুকে খুনিরা গলা টিপে হত্যা করে কাঁচপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দিয়েছিল। ঢাকা শহরে নির্মাণাধীন এক বাড়িতে শিশুকে খুন করে ফেলে রেখেছিল, সেও অসহিষ্ণু মানসিকতার কারণে। অসহিষ্ণুতা বেড়ে যায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, অপরাধীর শাস্তি না হলে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন না করলে। জিসানের খুনের ঘটনার পর স্থানীয় থানার মামলা গ্রহণ না করার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। দুষ্টের দমনে অবহেলাজনিত এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে জিসানের খুনিদের মতো আরো খুনি তৈরি হতেই থাকবে। জিসানের মায়ের মতো আরো মা বুক চাপড়ে বিলাপ করবেন। সুতরাং ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক বিরোধ থেকে মৃত্যুর মতো ঘটনাও কমিয়ে আনতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং দেশের আইনের শাসন। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জিসানের খুনিদের বের করা হোক এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
No comments