পবিত্র কোরআনের আলো-এই মহাবিশ্ব এবং মানবজীবনের সব কিছু আল্লাহর চৈতন্যে ধারণকৃত
৬১. ওয়া মা-তাকূনু ফী শা'নিন ওয়া মা- তাতলূ মিনহু মিন ক্বুরআ-নিন ওয়া লা তা'মালূনা মিন আ'মালিন ইল্লা কুন্না- আ'লাইকুম শুহূদান ইয্ তুফীদ্বূনা ফীহি; ওয়া মা ইয়া'যুবু আ'র্ রাবি্বকা মিম্ মিছ্ক্বা-লি যার্রাতিন ফিল আরদ্বি ওয়া লা ফিস ছামা-য়ি ওয়া লা আসগারা মিন যা-লিকা ওয়া লা আকবারা ইল্লা ফী কিতাবিম্ মুবীন।
৬২. আলা- ইন্না আওলিইয়া-আল্লা-হি লা খাওফুন আ'লাইহিম ওয়া লা-হুম ইয়াহ্যানূন।
৬৩. আল্লাযীনা আ-মানূ ওয়া কা-নূ ইয়াত্তাক্বূন।
৬৪। লাহুমুল বুশরা- ফিল হায়া-তিদ্ দুনিয়া ওয়া ফিল আ-খিরাতি্; লা-তাবদীলা লিকালিমা-তিল্লা-হি, যা-লিকা হুয়াল ফাওযুল আ'যীম।
[সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬১-৬৪]
অনুবাদ : ৬১. (হে নবী!) আপনি যে অবস্থায়ই থাকুন এবং কোরআনের যে অংশই তেলাওয়াত করুন, আর (হে মানুষ) তোমরা যে যে কাজই করো, তোমরা যখন তাতে লিপ্ত থাকো, তখন আমি তোমাদের প্রত্যক্ষ দেখি। তোমাদের প্রতিপালকের কাছে অণু পরিমাণ জিনিসও গোপন থাকে না_না পৃথিবীতে, না আকাশে। আর এর চেয়ে ছোট বা এর চেয়ে বড় এমন কিছু নেই, যা (আল্লাহর প্রত্যক্ষ চৈতন্যের) এক স্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ নেই।
৬২. মনে রেখো, যারা আল্লাহর বন্ধ,ু তাদের কোনো ভয় থাকবে না এবং তাদের কোনো চিন্তাও থাকবে না।
৬৩. তারা সেই সব লোক যারা ইমান এনেছে এবং দায়িত্বনিষ্ঠতা অবলম্বন করেছে।
৬৪. তাদের দুনিয়ার জীবনেও সুসংবাদ আছে এবং আখিরাতেও। আল্লাহর কথায় কোনো পরিবর্তন হয় না। (এই সুখবরপ্রাপ্তির বিষয়টা) এদের জন্য এক মহাসাফল্য।
ব্যাখ্যা : ৬১ নম্বর আয়াতে অত্যন্ত সহজবোধ্যভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা এই বিশাল বিশ্বভুবন এবং মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনের প্রতিটি অণু-পরমাণু ও ঘটনাপ্রবাহ কিভাবে প্রত্যক্ষ ও নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর কাছে গোপন কিছু নেই, তাঁর অজ্ঞাত কিছু নেই। এই পরমসত্তার সক্ষমতা মানুষের অবোধগম্য হতে পারে, কিন্তু এটাই সত্য এবং এটাই আল্লাহর পরম অস্তিত্ব। আরবের মুশরিকরা মৃত্যুর পর মানুষের পুনরুজ্জীবন বা পরকালে জবাবদিহিতার বিষয়টাকে অসম্ভব মনে করত। তাদের কথা ছিল, কোটি কোটি মানুষ মৃত্যুর পর যখন মাটিতে মিশে একাকার হয়ে যায়, তখন তাদের কিভাবে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব? এবং তারা কে কী করেছিল, তাদের পাপ-পুণ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার কিভাবে সম্ভব? এ আয়াতে আল্লাহর সত্তার স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে। মানুষের পক্ষে বুঝতে কঠিন হলেও এ বিশ্বজগৎ এবং মানুষের জীবনপ্রবাহ একটা পরম শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে চলছে। এর মহাজাগতিক এবং সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সব কিছু আল্লাহর প্রত্যক্ষ নজরদারির ভেতর দিয়ে চলছে।
৬২, ৬৩ ও ৬৪ নম্বর আয়াতে প্রকৃত মুমিন ও দায়িত্বনিষ্ঠ মানুষকে আল্লাহর বন্ধু বলা হয়েছে। তাঁদের কোনো ভয় নেই এবং চিন্তিত হওয়ারও কোনো কারণ নেই। কারণ, আল্লাহ যাঁদের বন্ধু বলেছেন, তাঁরা পরম সৌভাগ্যবান। দুনিয়া ও আখিরাতে তাঁরা আল্লার সন্তুষ্টির ভেতরেই থাকবে। তাঁরা চিরকালের জন্যই বন্ধু হয়েছেন, তাঁরা কখনোই বিপথগামী হবেন না এবং আল্লাহর অভিশাপেও নিপতিত হবেন না। আর এটা তাঁদের জন্য এক মহাসাফল্য।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
৬৩. আল্লাযীনা আ-মানূ ওয়া কা-নূ ইয়াত্তাক্বূন।
৬৪। লাহুমুল বুশরা- ফিল হায়া-তিদ্ দুনিয়া ওয়া ফিল আ-খিরাতি্; লা-তাবদীলা লিকালিমা-তিল্লা-হি, যা-লিকা হুয়াল ফাওযুল আ'যীম।
[সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬১-৬৪]
অনুবাদ : ৬১. (হে নবী!) আপনি যে অবস্থায়ই থাকুন এবং কোরআনের যে অংশই তেলাওয়াত করুন, আর (হে মানুষ) তোমরা যে যে কাজই করো, তোমরা যখন তাতে লিপ্ত থাকো, তখন আমি তোমাদের প্রত্যক্ষ দেখি। তোমাদের প্রতিপালকের কাছে অণু পরিমাণ জিনিসও গোপন থাকে না_না পৃথিবীতে, না আকাশে। আর এর চেয়ে ছোট বা এর চেয়ে বড় এমন কিছু নেই, যা (আল্লাহর প্রত্যক্ষ চৈতন্যের) এক স্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ নেই।
৬২. মনে রেখো, যারা আল্লাহর বন্ধ,ু তাদের কোনো ভয় থাকবে না এবং তাদের কোনো চিন্তাও থাকবে না।
৬৩. তারা সেই সব লোক যারা ইমান এনেছে এবং দায়িত্বনিষ্ঠতা অবলম্বন করেছে।
৬৪. তাদের দুনিয়ার জীবনেও সুসংবাদ আছে এবং আখিরাতেও। আল্লাহর কথায় কোনো পরিবর্তন হয় না। (এই সুখবরপ্রাপ্তির বিষয়টা) এদের জন্য এক মহাসাফল্য।
ব্যাখ্যা : ৬১ নম্বর আয়াতে অত্যন্ত সহজবোধ্যভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা এই বিশাল বিশ্বভুবন এবং মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনের প্রতিটি অণু-পরমাণু ও ঘটনাপ্রবাহ কিভাবে প্রত্যক্ষ ও নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর কাছে গোপন কিছু নেই, তাঁর অজ্ঞাত কিছু নেই। এই পরমসত্তার সক্ষমতা মানুষের অবোধগম্য হতে পারে, কিন্তু এটাই সত্য এবং এটাই আল্লাহর পরম অস্তিত্ব। আরবের মুশরিকরা মৃত্যুর পর মানুষের পুনরুজ্জীবন বা পরকালে জবাবদিহিতার বিষয়টাকে অসম্ভব মনে করত। তাদের কথা ছিল, কোটি কোটি মানুষ মৃত্যুর পর যখন মাটিতে মিশে একাকার হয়ে যায়, তখন তাদের কিভাবে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব? এবং তারা কে কী করেছিল, তাদের পাপ-পুণ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার কিভাবে সম্ভব? এ আয়াতে আল্লাহর সত্তার স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে। মানুষের পক্ষে বুঝতে কঠিন হলেও এ বিশ্বজগৎ এবং মানুষের জীবনপ্রবাহ একটা পরম শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে চলছে। এর মহাজাগতিক এবং সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সব কিছু আল্লাহর প্রত্যক্ষ নজরদারির ভেতর দিয়ে চলছে।
৬২, ৬৩ ও ৬৪ নম্বর আয়াতে প্রকৃত মুমিন ও দায়িত্বনিষ্ঠ মানুষকে আল্লাহর বন্ধু বলা হয়েছে। তাঁদের কোনো ভয় নেই এবং চিন্তিত হওয়ারও কোনো কারণ নেই। কারণ, আল্লাহ যাঁদের বন্ধু বলেছেন, তাঁরা পরম সৌভাগ্যবান। দুনিয়া ও আখিরাতে তাঁরা আল্লার সন্তুষ্টির ভেতরেই থাকবে। তাঁরা চিরকালের জন্যই বন্ধু হয়েছেন, তাঁরা কখনোই বিপথগামী হবেন না এবং আল্লাহর অভিশাপেও নিপতিত হবেন না। আর এটা তাঁদের জন্য এক মহাসাফল্য।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments