রিয়াল মাদ্রিদ-ফিরে আসা by আরিফুল ইসলাম
বার্সেলোনার আধিপত্যের অবসান ঘটাতে বিশেষ কিছু করতে হতো। সেটিই করেছে হোসে মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদ
কথা রেখেছেন হোসে মরিনহো। ইন্টার মিলানে ট্রেবল জিতেও স্পেনে পা রেখেছিলেন নতুন চ্যালেঞ্জের নেশায়। সম্ভবত জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কতটা কঠিন চ্যালেঞ্জ, টের পেয়ে গিয়েছিলেন প্রথম মৌসুমেই।
কথা রেখেছেন হোসে মরিনহো। ইন্টার মিলানে ট্রেবল জিতেও স্পেনে পা রেখেছিলেন নতুন চ্যালেঞ্জের নেশায়। সম্ভবত জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কতটা কঠিন চ্যালেঞ্জ, টের পেয়ে গিয়েছিলেন প্রথম মৌসুমেই।
যখন ৯২ পয়েন্ট আর ১০২ গোলও শিরোপা জেতাতে পারল না তাঁর দলকে। ৯২ পয়েন্টই বা এমন কী, আগের মৌসুমে তো ৯৬ পয়েন্ট পেয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি রিয়াল। মরিনহো বুঝতে পারলেন, নিজেদের কোন উচ্চতায় নিয়ে গেছে বার্সেলোনা। তার পরও কিন্তু বলেছিলেন, ‘আস্থা রাখুন, আমার সেরা সাফল্যগুলো দ্বিতীয় মৌসুমেই এসেছে।’
টানা তিন মৌসুম ধরে প্রায় অন্য গ্রহের ফুটবল খেলা দল, সর্বকালের সেরার দাবিদার বলে যাদের নিয়ে আলোচনা, তাদের ছাপিয়ে যেতে প্রয়োজন ছিল বিশেষ কিছু। ‘স্পেশাল ওয়ান’-এর দল করেছে তেমন কিছুই। ইতিহাসে প্রথম পয়েন্টের সেঞ্চুরি, রেকর্ড ৩২ জয়, ১২১ গোল, সেরা গোল ব্যবধানসহ একগাদা রেকর্ড গড়ে মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদ ছিনিয়ে নিয়েছে শিরোপা। আর বার্সেলোনা যেন গত মৌসুমের রিয়াল, ৯১ পয়েন্ট পেয়েও শিরোপা থেকে ১০ পয়েন্ট দূরে। প্রতিপক্ষের মাঠে ১৮ পয়েন্ট হারানোই ডুবিয়েছে বার্সেলোনাকে।
দলের মতো ঠিক একই অভিজ্ঞতা রোনালদো-মেসিরও। রেকর্ড ৪২ গোল, পিচিচি ট্রফি-ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শ্যু পেয়েও গতবার লিগ শিরোপা না পাওয়ার হতাশায় পুড়তে হয়েছিল রোনালদোকে। ক্লাবের মতো নিজেদের ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতাকেও এবার নতুন উচ্চতায় নিয়েছেন দুজন। শুধু স্বাদের অদল-বদল। নিজের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে ৪৬ গোল করলেন রোনালদো। কিন্তু ৫০ গোলের অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়ে পিচিচি-গোল্ডেন শ্যু মেসির। চওড়া হাসি তবু রোনালদোর, শিরোপার হাসি! এল ক্লাসিকোয় রোনালদোর গোলই শিরোপা প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছিল রিয়ালের। যা একই সঙ্গে আলাদা করে দিয়েছে লা লিগার সাম্প্রতিক অতীত ও বর্তমানকে। হয়তো গড়ে দিয়েছে ভবিষ্যতের সিঁড়িও! পাল্লা দিয়ে গোল করেছেন দুই রিয়াল স্ট্রাইকার হিগুয়েইন (২২) ও বেনজেমা (২১)। মৌসুমজুড়ে দুরন্ত ছিলেন মেসুত ওজিল।
লা লিগার সামগ্রিক চিত্রটা কিন্তু সেই একই ছিল। দুই দৈত্যের নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই, বাকিদের আরও পিছিয়ে যাওয়া। শীর্ষ দু দলের সঙ্গে তিনে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার আগের দু মৌসুমে পয়েন্ট ব্যবধান ছিল ২৫ ও ২১ এবং ২৮ ও ২৫। এবার ৩৯ ও ৩০! প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই বলে লা লিগার সমালোচকদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার শুধু পয়েন্ট টেবিল নয়, রিয়াল-বার্সা যত ম্যাচ জিতেছে এবং যেভাবে জিতে চলেছে। এই দু দলের বিপক্ষে ড্র-ই এখন জয়ের সমান, কম ব্যবধানে হার মানে ড্র! তবে মুদ্রার অন্য পিঠও আছে। লা লিগায় পাত্তা না পাওয়া দুদল (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও অ্যাথলেটিক বিলবাও) কিন্তু আবার খেলল ইউরোপা কাপের ফাইনালে। অন্যদের ব্যর্থতার চেয়ে রিয়াল-বার্সার শ্রেষ্ঠত্বকেই বরং বড় করে দেখা যাক!
মেসি-মৌসুম
লা লিগার ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমেই ৫০ গোল করেছেন লিওনেল মেসি। বিরল এই অর্জনের পথে গড়েছেন আরও একটি রেকর্ড—এক মৌসুমে ৮ হ্যাটট্রিক। লিগের বাইরেও আরও দুটি হ্যাটট্রিক আছে তাঁর।
সেরা গোলদাতা
৫০ লিওনেল মেসি বার্সেলোনা
৪৬ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ
২৪ রাদামেল ফ্যালকাও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
২২ গঞ্জালো হিগুয়েইন রিয়াল মাদ্রিদ
২১ করিম বেনজেমা রিয়াল মাদ্রিদ
১৭ রবার্তো সলদাদো ভ্যালেন্সিয়া
ফার্নান্দো লরেন্ত অ্যাথলেটিক বিলবাও
টানা তিন মৌসুম ধরে প্রায় অন্য গ্রহের ফুটবল খেলা দল, সর্বকালের সেরার দাবিদার বলে যাদের নিয়ে আলোচনা, তাদের ছাপিয়ে যেতে প্রয়োজন ছিল বিশেষ কিছু। ‘স্পেশাল ওয়ান’-এর দল করেছে তেমন কিছুই। ইতিহাসে প্রথম পয়েন্টের সেঞ্চুরি, রেকর্ড ৩২ জয়, ১২১ গোল, সেরা গোল ব্যবধানসহ একগাদা রেকর্ড গড়ে মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদ ছিনিয়ে নিয়েছে শিরোপা। আর বার্সেলোনা যেন গত মৌসুমের রিয়াল, ৯১ পয়েন্ট পেয়েও শিরোপা থেকে ১০ পয়েন্ট দূরে। প্রতিপক্ষের মাঠে ১৮ পয়েন্ট হারানোই ডুবিয়েছে বার্সেলোনাকে।
দলের মতো ঠিক একই অভিজ্ঞতা রোনালদো-মেসিরও। রেকর্ড ৪২ গোল, পিচিচি ট্রফি-ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শ্যু পেয়েও গতবার লিগ শিরোপা না পাওয়ার হতাশায় পুড়তে হয়েছিল রোনালদোকে। ক্লাবের মতো নিজেদের ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতাকেও এবার নতুন উচ্চতায় নিয়েছেন দুজন। শুধু স্বাদের অদল-বদল। নিজের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে ৪৬ গোল করলেন রোনালদো। কিন্তু ৫০ গোলের অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়ে পিচিচি-গোল্ডেন শ্যু মেসির। চওড়া হাসি তবু রোনালদোর, শিরোপার হাসি! এল ক্লাসিকোয় রোনালদোর গোলই শিরোপা প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছিল রিয়ালের। যা একই সঙ্গে আলাদা করে দিয়েছে লা লিগার সাম্প্রতিক অতীত ও বর্তমানকে। হয়তো গড়ে দিয়েছে ভবিষ্যতের সিঁড়িও! পাল্লা দিয়ে গোল করেছেন দুই রিয়াল স্ট্রাইকার হিগুয়েইন (২২) ও বেনজেমা (২১)। মৌসুমজুড়ে দুরন্ত ছিলেন মেসুত ওজিল।
লা লিগার সামগ্রিক চিত্রটা কিন্তু সেই একই ছিল। দুই দৈত্যের নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই, বাকিদের আরও পিছিয়ে যাওয়া। শীর্ষ দু দলের সঙ্গে তিনে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার আগের দু মৌসুমে পয়েন্ট ব্যবধান ছিল ২৫ ও ২১ এবং ২৮ ও ২৫। এবার ৩৯ ও ৩০! প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই বলে লা লিগার সমালোচকদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার শুধু পয়েন্ট টেবিল নয়, রিয়াল-বার্সা যত ম্যাচ জিতেছে এবং যেভাবে জিতে চলেছে। এই দু দলের বিপক্ষে ড্র-ই এখন জয়ের সমান, কম ব্যবধানে হার মানে ড্র! তবে মুদ্রার অন্য পিঠও আছে। লা লিগায় পাত্তা না পাওয়া দুদল (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও অ্যাথলেটিক বিলবাও) কিন্তু আবার খেলল ইউরোপা কাপের ফাইনালে। অন্যদের ব্যর্থতার চেয়ে রিয়াল-বার্সার শ্রেষ্ঠত্বকেই বরং বড় করে দেখা যাক!
মেসি-মৌসুম
লা লিগার ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমেই ৫০ গোল করেছেন লিওনেল মেসি। বিরল এই অর্জনের পথে গড়েছেন আরও একটি রেকর্ড—এক মৌসুমে ৮ হ্যাটট্রিক। লিগের বাইরেও আরও দুটি হ্যাটট্রিক আছে তাঁর।
সেরা গোলদাতা
৫০ লিওনেল মেসি বার্সেলোনা
৪৬ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ
২৪ রাদামেল ফ্যালকাও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
২২ গঞ্জালো হিগুয়েইন রিয়াল মাদ্রিদ
২১ করিম বেনজেমা রিয়াল মাদ্রিদ
১৭ রবার্তো সলদাদো ভ্যালেন্সিয়া
ফার্নান্দো লরেন্ত অ্যাথলেটিক বিলবাও
No comments