হরতালের বিকল্প খোঁজার তাগিদ by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য
হরতালে দিনে ক্ষতি হয় হাজার কোটি টাকা। আরো ক্ষতি দেশের ভাবমূর্তির। আর মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ ও ভোগান্তি তো আছেই। এর পরও হরতাল হচ্ছেই। বিরোধী দলের দাবি, তাদের হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য করছে সরকার। অন্যদিকে সরকারের দাবি, ইস্যুবিহীন হরতাল ডাকছে বিরোধী দল।
যখন যারাই বিরোধী দলে যায়, তারা হরতালের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে। তারাই আবার সরকারে গিয়ে অবস্থান নেয় হরতালের বিপক্ষে। যেন শুধুই ক্ষমতায় যাওয়ার এবং দাবি আদায়ের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে হরতাল।
এর মধ্যে বিরোধী দলকে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সঠিক পথে আনার উপায় জানে সরকার। অন্যদিকে বিরোধী দল বিএনপি থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রত্যুত্তরে বলা হয়েছে, নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করার উপায়ও বিরোধী দলের জানা আছে। দলটি রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বর্তমান সরকারকে বাধ্য করার ঘোষণা দিয়েছে। দুই প্রধান দলের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানে সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক হানাহানির আশঙ্কা করছে দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে হরতাল বাদ দিয়ে ভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকৌশল গ্রহণে বিরোধী দলকে পরামর্শ দিয়েছেন সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের কেউ কেউ। অনেকে আবার হরতালের বিকল্প কোনো কর্মসূচি হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংলাপে সমঝোতা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করে কেউ কেউ সরকারকে উদ্যোগী হয়ে সমস্যার সমাধানে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ফর্মুলা বের করার পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ কেউ দেশে একটি নিরপেক্ষ রাজনৈতিক প্লাটফর্মের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেছেন। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা এসব মন্তব্য করেছেন।
বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে ভালো লোকদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি নিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলের খুব প্রয়োজন।
তিনি সমাজের সচেতন নাগরিকদের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হরতাল প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রফিক বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখন আর হরতাল চায় না। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল ডাকলে সাধারণ মানুষ তা মানবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বিরোধী দলকে হরতালের পরিবর্তে গণ-অনশন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মতো কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় দুই দলকে সংলাপে বসে সমস্যার সমাধান করা উচিত মন্তব্য করে ব্যারিস্টার রফিক বলেন, তবে দলগুলো কেউ সেটা করবে না। দলগুলোর উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, যতক্ষণ দেশ উচ্ছন্নে না যাচ্ছে ততক্ষণ রজনৈতিক দলগুলো ঠিক হবে না।
বিরোধী দলকে শায়েস্তা করার উপায় জানা আছে- প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার সম্ভাবনা খুব কম বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোজাফ্ফর আহমদ। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিরোধী দলকে সঠিক পথে আনার কৌশল সরকারের জানা আছে- প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর সমঝোতার ব্যাপারে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই।
হরতাল প্রসঙ্গে অধ্যাপক মোজাফ্ফর বলেন, অনশন বা মানববন্ধনের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায়ের সম্ভাবনা কম। সুতরাং বিরোধী দলের হাতে খুব বেশি বিকল্পও নেই। তবে হরতালে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের বিরোধিতা করেন মোজাফ্ফর আহমদ।
সংলাপের ব্যাপারে অধ্যাপক মোজাফ্ফর বলেন, সরকার মনে করছে সরকারের সামনে এখনো অনেক সময় আছে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য। কিন্তু বিরোধী দল মনে করছে বেশি সময় নেই তাদের সামনে। সে ক্ষেত্রে সরকার তার সুযোগমতো যখন উদ্যোগ নেবে তখন সংলাপ হবে। কিন্তু তাতে সমাধানের সম্ভাবনা খুব কম বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান দুই দলকে সংলাপে বসে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'আমিসহ দেশের প্রত্যেকটা মানুষ দেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সহাবস্থান আশা করি। এ লক্ষ্যে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে নিজেরা বসে সমাধানে আসতে হবে।' এর বিকল্প কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংলাপের ক্ষেত্রে দুই দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আকবর আলি খান বলেন, দুই দল তাদের নিজ নিজ অবস্থানে বসে থাকলে কখনোই সমঝোতা হবে না এবং বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, তাঁদের সংগঠন হরতালের ক্ষতি নিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছে। বাজেটের পর এই সমীক্ষা শেষ হলে তাঁরা সেটা নিয়ে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার কাছে যাবেন।
হরতালসহ সংঘাতময় রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি করে মন্তব্য করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, 'আমরা ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এ ধরনের কর্মসূচি চাই না।' তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই নেত্রীকে সমঝোতার পথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ সরকারের তরফ থেকে পরবর্তী নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি ফমুর্লাকে হরতালের বিকল্প হিসেবে মনে করছেন।
কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, দেশের বড় দুই দলের গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে আসা উচিত। এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ কামনা করে তিনি বলেন, যেহেতু সরকারই সংসদে আইন পাস করবে এবং তাদের মেজরিটি আছে, সুতরাং তাদের কাছ থেকেই পরবর্তী নির্বাচনের ফর্মুলা আসতে হবে।
সংলাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, সংলাপ হরতালের বিকল্প হতে পারে না। কারণ এ দেশে সংলাপ করে কোনো দিন কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি।
গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে ইমতিয়াজ আহমেদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে এগিয়ে এসে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
এর মধ্যে বিরোধী দলকে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সঠিক পথে আনার উপায় জানে সরকার। অন্যদিকে বিরোধী দল বিএনপি থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রত্যুত্তরে বলা হয়েছে, নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করার উপায়ও বিরোধী দলের জানা আছে। দলটি রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বর্তমান সরকারকে বাধ্য করার ঘোষণা দিয়েছে। দুই প্রধান দলের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানে সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক হানাহানির আশঙ্কা করছে দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে হরতাল বাদ দিয়ে ভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকৌশল গ্রহণে বিরোধী দলকে পরামর্শ দিয়েছেন সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের কেউ কেউ। অনেকে আবার হরতালের বিকল্প কোনো কর্মসূচি হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংলাপে সমঝোতা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করে কেউ কেউ সরকারকে উদ্যোগী হয়ে সমস্যার সমাধানে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ফর্মুলা বের করার পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ কেউ দেশে একটি নিরপেক্ষ রাজনৈতিক প্লাটফর্মের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেছেন। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা এসব মন্তব্য করেছেন।
বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে ভালো লোকদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি নিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলের খুব প্রয়োজন।
তিনি সমাজের সচেতন নাগরিকদের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হরতাল প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রফিক বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখন আর হরতাল চায় না। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল ডাকলে সাধারণ মানুষ তা মানবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বিরোধী দলকে হরতালের পরিবর্তে গণ-অনশন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মতো কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় দুই দলকে সংলাপে বসে সমস্যার সমাধান করা উচিত মন্তব্য করে ব্যারিস্টার রফিক বলেন, তবে দলগুলো কেউ সেটা করবে না। দলগুলোর উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, যতক্ষণ দেশ উচ্ছন্নে না যাচ্ছে ততক্ষণ রজনৈতিক দলগুলো ঠিক হবে না।
বিরোধী দলকে শায়েস্তা করার উপায় জানা আছে- প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার সম্ভাবনা খুব কম বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোজাফ্ফর আহমদ। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিরোধী দলকে সঠিক পথে আনার কৌশল সরকারের জানা আছে- প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর সমঝোতার ব্যাপারে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই।
হরতাল প্রসঙ্গে অধ্যাপক মোজাফ্ফর বলেন, অনশন বা মানববন্ধনের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায়ের সম্ভাবনা কম। সুতরাং বিরোধী দলের হাতে খুব বেশি বিকল্পও নেই। তবে হরতালে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের বিরোধিতা করেন মোজাফ্ফর আহমদ।
সংলাপের ব্যাপারে অধ্যাপক মোজাফ্ফর বলেন, সরকার মনে করছে সরকারের সামনে এখনো অনেক সময় আছে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য। কিন্তু বিরোধী দল মনে করছে বেশি সময় নেই তাদের সামনে। সে ক্ষেত্রে সরকার তার সুযোগমতো যখন উদ্যোগ নেবে তখন সংলাপ হবে। কিন্তু তাতে সমাধানের সম্ভাবনা খুব কম বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান দুই দলকে সংলাপে বসে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'আমিসহ দেশের প্রত্যেকটা মানুষ দেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সহাবস্থান আশা করি। এ লক্ষ্যে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে নিজেরা বসে সমাধানে আসতে হবে।' এর বিকল্প কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংলাপের ক্ষেত্রে দুই দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আকবর আলি খান বলেন, দুই দল তাদের নিজ নিজ অবস্থানে বসে থাকলে কখনোই সমঝোতা হবে না এবং বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, তাঁদের সংগঠন হরতালের ক্ষতি নিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছে। বাজেটের পর এই সমীক্ষা শেষ হলে তাঁরা সেটা নিয়ে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার কাছে যাবেন।
হরতালসহ সংঘাতময় রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি করে মন্তব্য করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, 'আমরা ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এ ধরনের কর্মসূচি চাই না।' তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই নেত্রীকে সমঝোতার পথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ সরকারের তরফ থেকে পরবর্তী নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি ফমুর্লাকে হরতালের বিকল্প হিসেবে মনে করছেন।
কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, দেশের বড় দুই দলের গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে আসা উচিত। এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ কামনা করে তিনি বলেন, যেহেতু সরকারই সংসদে আইন পাস করবে এবং তাদের মেজরিটি আছে, সুতরাং তাদের কাছ থেকেই পরবর্তী নির্বাচনের ফর্মুলা আসতে হবে।
সংলাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, সংলাপ হরতালের বিকল্প হতে পারে না। কারণ এ দেশে সংলাপ করে কোনো দিন কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি।
গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে ইমতিয়াজ আহমেদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে এগিয়ে এসে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
No comments