লিন্ডাও নোবেল সম্মেলনে বাংলাদেশের পাঁচ গবেষক by জাহিদ হোসাইন
জার্মানির লিন্ডাও শহরে প্রতিবছর বসে নোবেল বিজয়ীদের মেলা। নোবেল বিজয়ীদের সেই সম্মেলনে সারা পৃথিবী থেকে বাছাই করা তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা যোগ দেন। ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিত এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা। আগামী ১ জুলাই থেকে ৬ জুলাই আয়োজিত হবে ৬২তম লিন্ডাও সম্মেলন।
এ বছর লিন্ডাও সম্মেলনের বিষয় নির্ধারিত হয়েছে পদার্থবিজ্ঞান। গত বছরের সম্মেলন বিষয় ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞান।
আগামী ২০১৩ সালে সম্মেলনের বিষয় রসায়ন।
লিন্ডাও শহরে ১৯৫১ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীদের এই মহাসম্মেলন। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ছাড়াও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত একদল শিক্ষার্থী ও গবেষক।
লিন্ডাও সম্মেলনে প্রথম দিকে শুধু রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীরা থাকলেও পরে যুক্ত হয়েছেন চিকিৎসা ও অর্থনীতি বিভাগের নোবেলজয়ীরা। পাঁচ দিনের আয়োজনজুড়ে থাকে নতুন নতুন বিষয়ের তাত্ত্বিক আলোচনা, থাকে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ, তাঁদের সঙ্গে মুক্ত আলাপ-আলোচনার সুযোগ, কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য। এ সম্মেলন কেবল নতুন কিছু জানার নয়, জানানোর এবং সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগও বটে। এবার ৩০ জনের অধিক নোবেল বিজয়ী অংশ নেবেন তরুণ গবেষকদের সঙ্গে। সারা বিশ্ব থেকে ৫৫০ জন শিক্ষার্থী ও গবেষক অংশ নিচ্ছেন সম্মেলনে।
লিন্ডাও সম্মেলনে
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞানীদের এই আন্তর্জাতিক আড্ডায় প্রথম অংশ নেওয়ার সুযোগ আসে ২০০৭ সালে। ভিয়েনাপ্রবাসী প্রয়াত বিজ্ঞানী আবদুল ফাত্তাহর উদ্যোগে বাংলাদেশি গবেষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের গবেষকেরা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এ বছরের সম্মেলনে বাংলাদেশের পাঁচজন গবেষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।
অংশগ্রহণকারীদের কথা
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রভাষক আয়েশা জামান। মার্স্টাসের থিসিসের জন্য মস্তিষ্কের নিউরো ইমেজ প্রসেসিংয়ের ওপর কাজ করেন। আলঝেইমার রোগীদের ওপর গবেষণা করে মানবমস্তিষ্কের মডেল ডিজাইনের কাজ করেন আয়েশা। এ ছাড়া বর্তমানে পুনর্নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর গবেষণা করছেন তিনি।
স্নাতক পর্যায়ে কোয়ান্টাম মেকানিকস নিয়ে গবেষণা করেছেন শিহান সাজিদ। ফোটনের মাধ্যমে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের বাস্তবায়নের উপযোগিতা নিয়ে গবেষণা করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ছাড়াও তিনি প্রথম আলোর বিজ্ঞান প্রজন্ম পাতায় নিয়মিত লিখে থাকেন।
লিন্ডাও সম্মেলনে আরও অংশ নিচ্ছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক মো. আল হেলাল। বিভিন্ন যৌগের ইলেকট্রনিকসের ধর্ম, স্থিতিস্থাপকতা এবং আলোকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। বিভিন্ন যৌগের আলোকীয় ধর্মের আলোকে সৌরকোষে ব্যবহারের সম্ভাব্যতা নিয়ে কাজ করছেন তিনি। মো. আল হেলাল ভবিষ্যতে বিভিন্ন পদার্থের পরিবাহিতা নিয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল মান্নান। পদার্থের প্লাজমা অবস্থার তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ ও গঠন নিয়েই গবেষণা করেছেন তিনি। পদার্থের প্লাজমা অবস্থা নিয়ে উচ্চ গবেষণায় আগ্রহী আবদুল মান্নান। ইতিমধ্যে ইতালির নেপলসের সেকেন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
লিন্ডাও সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত তিনি। ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে বর্তমানে পড়াশোনা করছেন বাহাউদ্দীন। ভবিষ্যতে ন্যানো টেকনোলজি এবং স্পিনট্রনিকস নিয়ে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখেন এই শিক্ষার্থী।
আগ্রহ, অনুপ্রেরণার লিন্ডাও সম্মেলন
লিন্ডাওতে নোবেলজয়ীদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে খুশি বাংলাদেশি গবেষকদের দল। ‘আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে নোবেল পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানীদের সান্নিধ্যে এসে তাঁদের চিন্তাধারা ও জীবনাদর্শ সম্পর্কে ধারণা পেতে চাই।’ বললেন আয়েশা জামান। লিন্ডাও অভিজ্ঞতাকে বাস্তব জীবন ও গবেষণা কাজে লাগানোর কথা জানান শিহান সাজিদ। তিনি বলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে বিশ্বাস করি, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা ভবিষ্যৎ শিক্ষা ও গবেষণাজীবনে সহায়ক হবে।’ লিন্ডাও সম্মেলনে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারার সুযোগ পেয়ে বেশ আনন্দিত আবদুল মান্নান। অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের আগামী দিনে পদার্থবিজ্ঞান ভুবনে কাজ করার আশা করেন আল হেলাল। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষার্থী শাহ মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন বেশ আনন্দিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করার আগেই এমন সুযোগ নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে গবেষণাজীবনে উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করেন তিনি। এবারের সমন্বিত সম্মেলনের জন্য বাংলাদেশের আগ্রহী শিক্ষার্থী, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের আবেদনপত্র চাওয়া হয় ইন্টারনেটে (www.lindau-bangladesh.org)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাওয়া সব আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর লিন্ডাও বাংলাদেশের পক্ষে মুহম্মদ জাফর ইকবালের নেতৃত্বে একটি বাছাই কমিটি নির্বাচিত ব্যক্তিদের তালিকা পাঠিয়ে দেয় সম্মেলন আয়োজকদের বরাবর।
লিন্ডাও সম্মেলন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাপকাঠিতে বেছে নেয় সারা বিশ্ব থেকে ৫৫০ জন তরুণ গবেষক ও শিক্ষার্থীদের। এঁদের মধ্যে যাঁরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তাঁদের কথাই এতক্ষণ বলা হলো। ভবিষ্যতের বাংলাদেশের বিজ্ঞান জগৎকে আরও সামনের দিকে নেওয়ার প্রত্যাশা রইল তাঁদের কাছে।
আগামী ২০১৩ সালে সম্মেলনের বিষয় রসায়ন।
লিন্ডাও শহরে ১৯৫১ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীদের এই মহাসম্মেলন। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ছাড়াও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত একদল শিক্ষার্থী ও গবেষক।
লিন্ডাও সম্মেলনে প্রথম দিকে শুধু রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীরা থাকলেও পরে যুক্ত হয়েছেন চিকিৎসা ও অর্থনীতি বিভাগের নোবেলজয়ীরা। পাঁচ দিনের আয়োজনজুড়ে থাকে নতুন নতুন বিষয়ের তাত্ত্বিক আলোচনা, থাকে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ, তাঁদের সঙ্গে মুক্ত আলাপ-আলোচনার সুযোগ, কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য। এ সম্মেলন কেবল নতুন কিছু জানার নয়, জানানোর এবং সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগও বটে। এবার ৩০ জনের অধিক নোবেল বিজয়ী অংশ নেবেন তরুণ গবেষকদের সঙ্গে। সারা বিশ্ব থেকে ৫৫০ জন শিক্ষার্থী ও গবেষক অংশ নিচ্ছেন সম্মেলনে।
লিন্ডাও সম্মেলনে
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞানীদের এই আন্তর্জাতিক আড্ডায় প্রথম অংশ নেওয়ার সুযোগ আসে ২০০৭ সালে। ভিয়েনাপ্রবাসী প্রয়াত বিজ্ঞানী আবদুল ফাত্তাহর উদ্যোগে বাংলাদেশি গবেষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের গবেষকেরা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এ বছরের সম্মেলনে বাংলাদেশের পাঁচজন গবেষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।
অংশগ্রহণকারীদের কথা
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রভাষক আয়েশা জামান। মার্স্টাসের থিসিসের জন্য মস্তিষ্কের নিউরো ইমেজ প্রসেসিংয়ের ওপর কাজ করেন। আলঝেইমার রোগীদের ওপর গবেষণা করে মানবমস্তিষ্কের মডেল ডিজাইনের কাজ করেন আয়েশা। এ ছাড়া বর্তমানে পুনর্নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর গবেষণা করছেন তিনি।
স্নাতক পর্যায়ে কোয়ান্টাম মেকানিকস নিয়ে গবেষণা করেছেন শিহান সাজিদ। ফোটনের মাধ্যমে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের বাস্তবায়নের উপযোগিতা নিয়ে গবেষণা করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ছাড়াও তিনি প্রথম আলোর বিজ্ঞান প্রজন্ম পাতায় নিয়মিত লিখে থাকেন।
লিন্ডাও সম্মেলনে আরও অংশ নিচ্ছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক মো. আল হেলাল। বিভিন্ন যৌগের ইলেকট্রনিকসের ধর্ম, স্থিতিস্থাপকতা এবং আলোকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। বিভিন্ন যৌগের আলোকীয় ধর্মের আলোকে সৌরকোষে ব্যবহারের সম্ভাব্যতা নিয়ে কাজ করছেন তিনি। মো. আল হেলাল ভবিষ্যতে বিভিন্ন পদার্থের পরিবাহিতা নিয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল মান্নান। পদার্থের প্লাজমা অবস্থার তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ ও গঠন নিয়েই গবেষণা করেছেন তিনি। পদার্থের প্লাজমা অবস্থা নিয়ে উচ্চ গবেষণায় আগ্রহী আবদুল মান্নান। ইতিমধ্যে ইতালির নেপলসের সেকেন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
লিন্ডাও সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত তিনি। ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে বর্তমানে পড়াশোনা করছেন বাহাউদ্দীন। ভবিষ্যতে ন্যানো টেকনোলজি এবং স্পিনট্রনিকস নিয়ে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখেন এই শিক্ষার্থী।
আগ্রহ, অনুপ্রেরণার লিন্ডাও সম্মেলন
লিন্ডাওতে নোবেলজয়ীদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে খুশি বাংলাদেশি গবেষকদের দল। ‘আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে নোবেল পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানীদের সান্নিধ্যে এসে তাঁদের চিন্তাধারা ও জীবনাদর্শ সম্পর্কে ধারণা পেতে চাই।’ বললেন আয়েশা জামান। লিন্ডাও অভিজ্ঞতাকে বাস্তব জীবন ও গবেষণা কাজে লাগানোর কথা জানান শিহান সাজিদ। তিনি বলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে বিশ্বাস করি, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা ভবিষ্যৎ শিক্ষা ও গবেষণাজীবনে সহায়ক হবে।’ লিন্ডাও সম্মেলনে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারার সুযোগ পেয়ে বেশ আনন্দিত আবদুল মান্নান। অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের আগামী দিনে পদার্থবিজ্ঞান ভুবনে কাজ করার আশা করেন আল হেলাল। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষার্থী শাহ মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন বেশ আনন্দিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করার আগেই এমন সুযোগ নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে গবেষণাজীবনে উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করেন তিনি। এবারের সমন্বিত সম্মেলনের জন্য বাংলাদেশের আগ্রহী শিক্ষার্থী, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের আবেদনপত্র চাওয়া হয় ইন্টারনেটে (www.lindau-bangladesh.org)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাওয়া সব আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর লিন্ডাও বাংলাদেশের পক্ষে মুহম্মদ জাফর ইকবালের নেতৃত্বে একটি বাছাই কমিটি নির্বাচিত ব্যক্তিদের তালিকা পাঠিয়ে দেয় সম্মেলন আয়োজকদের বরাবর।
লিন্ডাও সম্মেলন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাপকাঠিতে বেছে নেয় সারা বিশ্ব থেকে ৫৫০ জন তরুণ গবেষক ও শিক্ষার্থীদের। এঁদের মধ্যে যাঁরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তাঁদের কথাই এতক্ষণ বলা হলো। ভবিষ্যতের বাংলাদেশের বিজ্ঞান জগৎকে আরও সামনের দিকে নেওয়ার প্রত্যাশা রইল তাঁদের কাছে।
No comments