কোনোভাবেই খাদ্যশস্য পচতে দেওয়া যাবে না-হিমাগারে আলু পচবে কেন?
যে দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবনে খাদ্যসংকট দৈনন্দিন বিষয়, সেখানে হাজার হাজার মণ আলু পচে যাচ্ছে—এ কেমন দৃশ্য? দিনাজপুরের ১৫ হাজার আলুচাষির অন্তত ৩০ হাজার বস্তা আলু হিমাগারে পচে গেছে; এই দৃশ্য প্রথম আলোর প্রতিবেদক নিজে দেখেছেন। কৃষকেরা দাবি করেছেন, পচে যাওয়া আলুর পরিমাণ ৫৭ হাজার বস্তা।
দিনাজপুরের প্রায় দুই হাজার বিক্ষুব্ধ আলুচাষি ও ব্যবসায়ী ক্ষতিপূরণের দাবিতে হিমাগারের সামনের রাস্তায় পচা আলু ফেলে পাঁচ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। প্রশাসন থেকে তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। কৃষকেরা অবরোধ সরিয়ে নিয়েছেন। এখন প্রশাসনকে অবশ্যই তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে; সে কমিটি তিন দিনের মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করবে। কৃষকেরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে বস্তাপ্রতি ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা দাবি করেছেন, কিন্তু হিমাগারটির কর্তৃপক্ষ বস্তাপ্রতি ৪৪০ থেকে ৭২০ টাকা পর্যন্ত দিতে চায়। কমিটির কাজ হবে এই বিরোধের সুরাহা করে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা এবং তা যথাশিগগির পরিশোধের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রশাসনের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিমাগারটির মালিক ভূমি প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব। তিনি বলছেন, আলু পচেছে মাত্র পাঁচ থেকে সাত হাজার বস্তা। এই পরিমাণ আলুর ক্ষতিপূরণ তিনি দিতে রাজি। বাকি আলু ভালো আছে বলে তিনি কৃষক ও ব্যবসায়ীদের তা হিমাগার থেকে নিয়ে যেতে বলছেন। এটা কি যুক্তিসংগত?
সংরক্ষণের জন্য আলু হিমাগারে রেখে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের আলুচাষিরা প্রতিবছরই কমবেশি এ রকম ক্ষতির শিকার হন। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন। দিনাজপুরের আলুচাষিরা অভিযোগ করেছেন, উল্লিখিত হিমাগারটির ধারণক্ষমতা ৩৬ হাজার বস্তা, কিন্তু সেখানে রাখা হয়েছে ৫৭ হাজার বস্তা। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে আলু পচেছে। কিন্তু হিমাগারে তো বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থার জন্য জেনারেটর রাখা বাধ্যতামূলক। জেনারেটর না চালিয়ে আলু পচতে দিলে কৃষক তো ক্ষতিপূরণ দাবি করবেনই। কিন্তু ক্ষতিপূরণ দিয়েও তো এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার নয়; কারণ পচে যাওয়ার ফলে দেশে আলুর মজুদ কমে গেল।
শস্য সংরক্ষণের হিমাগারগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে তা যদি একেবারেই সম্ভব না হয়, তবে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। খাদ্যশস্য কোনোভাবেই পচতে দেওয়া চলবে না। এ ব্যাপারে নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে; সে কমিটি তিন দিনের মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করবে। কৃষকেরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে বস্তাপ্রতি ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা দাবি করেছেন, কিন্তু হিমাগারটির কর্তৃপক্ষ বস্তাপ্রতি ৪৪০ থেকে ৭২০ টাকা পর্যন্ত দিতে চায়। কমিটির কাজ হবে এই বিরোধের সুরাহা করে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা এবং তা যথাশিগগির পরিশোধের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রশাসনের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিমাগারটির মালিক ভূমি প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব। তিনি বলছেন, আলু পচেছে মাত্র পাঁচ থেকে সাত হাজার বস্তা। এই পরিমাণ আলুর ক্ষতিপূরণ তিনি দিতে রাজি। বাকি আলু ভালো আছে বলে তিনি কৃষক ও ব্যবসায়ীদের তা হিমাগার থেকে নিয়ে যেতে বলছেন। এটা কি যুক্তিসংগত?
সংরক্ষণের জন্য আলু হিমাগারে রেখে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের আলুচাষিরা প্রতিবছরই কমবেশি এ রকম ক্ষতির শিকার হন। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন। দিনাজপুরের আলুচাষিরা অভিযোগ করেছেন, উল্লিখিত হিমাগারটির ধারণক্ষমতা ৩৬ হাজার বস্তা, কিন্তু সেখানে রাখা হয়েছে ৫৭ হাজার বস্তা। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে আলু পচেছে। কিন্তু হিমাগারে তো বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থার জন্য জেনারেটর রাখা বাধ্যতামূলক। জেনারেটর না চালিয়ে আলু পচতে দিলে কৃষক তো ক্ষতিপূরণ দাবি করবেনই। কিন্তু ক্ষতিপূরণ দিয়েও তো এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার নয়; কারণ পচে যাওয়ার ফলে দেশে আলুর মজুদ কমে গেল।
শস্য সংরক্ষণের হিমাগারগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে তা যদি একেবারেই সম্ভব না হয়, তবে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। খাদ্যশস্য কোনোভাবেই পচতে দেওয়া চলবে না। এ ব্যাপারে নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন।
No comments