নারী-সমঅধিকারই সমাধান by ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস
নারীর সমঅধিকার আন্দোলনকে কেবল নারীদের আন্দোলন ভাবলে চলবে না। এ আন্দোলন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নারী-পুরুষের আন্দোলন ভেবেই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নারীবিদ্বেষী ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে
এ বছর আমাদের সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করেছে এবং ইতিমধ্যে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের বিরোধিতায় মৌলবাদী দলগুলো মাঠে নেমেছে। অতীতেও এক শ্রেণীর মানুষ ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। শুধু তা-ই নয়, তারা বাংলা ও ইংরেজি শেখার বিরুদ্ধেও ফতোয়া দিত এবং বলত, বাংলা ও ইংরেজি হচ্ছে 'কুফুরি জবান' অর্থাৎ কাফেরের ভাষা। তাদের কারণেও বাঙালি মুসলমানরা শিক্ষাদীক্ষায় অনেক পিছিয়ে পড়ে। আর নারীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণের কোনো সুযোগই ছিল না। পরে সচেতন নারীসমাজ আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের অধিকার আদায় করেছে। অতীতের মতো বর্তমান সচেতন নারীসমাজকেও দেশের অনগ্রসর নারীদের তাদের ন্যায্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। তাই নারীসমাজের উন্নয়ন ছাড়া সমাজ তথা দেশের উন্নয়নের কথা কল্পনাই করা যায় না। অথচ নারী উন্নয়ন তো দূরের কথা তাদের প্রাপ্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা এখনও বঞ্চিত। এখনও মেয়েদের ফতোয়াবাজির বলি হতে হচ্ছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি কয়েকবার ঘোষিত হলেও এর বাস্তবায়ন হয়নি। পারিবারিক আইনে নারীরা বৈষম্যের শিকার। আমাদের দেশে আছে মুসলিম পারিবারিক আইন ও হিন্দু পারিবারিক আইন। উভয় আইনেই পৈতৃক সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। এ বৈষম্যকে রেখেই আবারও নতুনভাবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষিত হয়েছে। অথচ ইতিমধ্যে এর বিরোধিতা শুরু করেছে কয়েকটি ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠন। এমনকি জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের বিরোধিতা করে মৌলবাদী দলগুলো হরতাল আহ্বান করে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। অথচ তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সুদান, লেবানন, জর্ডান প্রভৃতি মুসলিম দেশ সময়োপযোগী করে তাদের পারিবারিক আইন সংশোধন ও পরিবর্ধন করেছে। আমাদের দেশেও ১৯৬১ সালে পৈতৃক সম্পত্তিবিষয়ক ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক প্রতিষ্ঠিত মুসলিম পারিবারিক আইন পরিবর্তন করা হয়েছে, যার সুফল মানুষ ভোগ করছে। অতীতে আমাদের বাঙালি সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। নবাব ফয়জুন্নেসা, বেগম রোকেয়া, শামসুন্নাহার মাহমুদ, আশালতা সেন, জোবেদা খাতুন চৌধুরী, সুফিয়া কামাল, লীলা নাগ, নূর মহল বেগম প্রমুখ নারী অধিকারের স্বীকৃতি আদায়ে সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, পণপ্রথা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এবং নারীর শিক্ষা, ভোটাধিকার, সম্পত্তিতে অধিকার, তালাকের অধিকার ইত্যাদি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক আন্দোলন করেছেন। এসব বিষয়ে নারী-পুরুষ সবাইকে সচেতন করা হয়েছে। ফলে অনেক সামাজিক ব্যাধি যেমন দূর হয়েছে, তেমনি বহু ক্ষেত্রে নারীর অধিকারও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও রয়েছে নারীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। এ আন্দোলনে পুরুষের পাশাপাশি যেসব নারী অংশ নিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন অথবা কারাভোগ করেছেন তাদের মধ্যে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, কুন্দ প্রভাসেন, উষা রায়, সুশীলা দাসগুপ্ত, অশোকা গুহ, স্নেহলতা, নির্মলা চক্রবর্তী, বকুল দত্ত প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এতে পুরুষের চেয়ে এসব বিপ্লবী বঙ্গ নারীকেই বেশি নির্যাতন-লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছে। জমিদারদের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই নানকার বিদ্রোহ ঘটে। এ বিদ্রোহের সূচনা করেন ব্রজবাসী দাস। হাজং বিদ্রোহ, টঙ্ক ও তেভাগা আন্দোলনে অংশ নিয়ে যেসব সংগ্রামী নারী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ক্যাম্পে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েও কোনো তথ্য ফাঁস করেননি, তাদের মধ্যে অর্শমণী, রাহেলা, ভদ্র, ইলা মিত্র প্রমুখের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। আমাদের অহঙ্কার মুক্তিযুদ্ধেও রয়েছে ডা. সিতারা বেগম (বীরপ্রতীক), সেলিনা পারভীন, তারামন বিবি (বীরপ্রতীক), কাঁকন বিবি প্রমুখের আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবগাথা। যে দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে রয়েছে নারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও গত দুই দশক ধরে যে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা উভয়েই নারী, সে দেশের নারীরা সমঅধিকার থেকে বঞ্চিত_ ভাবতেই অবাক লাগে।
আমাদের বর্তমান সমাজেও পুরুষদের চাওয়া-পাওয়াই যেন নারীদের চাওয়া-পাওয়া। নিজেদের কিছু চাওয়া-পাওয়া আছে তা আজও আমাদের নারীরা ভাবতে শেখেনি। দেশের অধিকাংশ নারী তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয় বলেই মৌলবাদী দলগুলো নারী উন্নয়ন নীতির বিরোধিতা করার সাহস পাচ্ছে। তাই নারী উন্নয়ন নিয়ে যত কথাই বলা হোক না কেন, প্রকৃত নারীশিক্ষার প্রসার ছাড়া নারীসমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কেননা প্রকৃত শিক্ষাই মানুষকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে। নারীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনসহ দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে রয়েছে নারীসমাজের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। ইসলামের নামে পর্দার কড়াকড়ির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাবঞ্চিত অনেক নারীই সম্পূর্ণ নিজ চেষ্টায় শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন, সমাজকে আলোকিত করেছেন। এসব নারীর সংগ্রামী জীবন থেকে আমাদের অনেক শেখার আছে। তারাই আমাদের বর্তমান ও আগামী দিনের পথপ্রদর্শক। নারীর সমঅধিকার আন্দোলনকে কেবল নারীদের আন্দোলন ভাবলে চলবে না। এ আন্দোলন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নারী-পুরুষের আন্দোলন ভেবেই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নারীবিদ্বেষী ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। তবেই পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
ড. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস :প্রফেসর গণিত বিভাগ ও ট্রেজারার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। তাই নারীসমাজের উন্নয়ন ছাড়া সমাজ তথা দেশের উন্নয়নের কথা কল্পনাই করা যায় না। অথচ নারী উন্নয়ন তো দূরের কথা তাদের প্রাপ্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা এখনও বঞ্চিত। এখনও মেয়েদের ফতোয়াবাজির বলি হতে হচ্ছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি কয়েকবার ঘোষিত হলেও এর বাস্তবায়ন হয়নি। পারিবারিক আইনে নারীরা বৈষম্যের শিকার। আমাদের দেশে আছে মুসলিম পারিবারিক আইন ও হিন্দু পারিবারিক আইন। উভয় আইনেই পৈতৃক সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। এ বৈষম্যকে রেখেই আবারও নতুনভাবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষিত হয়েছে। অথচ ইতিমধ্যে এর বিরোধিতা শুরু করেছে কয়েকটি ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠন। এমনকি জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের বিরোধিতা করে মৌলবাদী দলগুলো হরতাল আহ্বান করে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। অথচ তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সুদান, লেবানন, জর্ডান প্রভৃতি মুসলিম দেশ সময়োপযোগী করে তাদের পারিবারিক আইন সংশোধন ও পরিবর্ধন করেছে। আমাদের দেশেও ১৯৬১ সালে পৈতৃক সম্পত্তিবিষয়ক ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক প্রতিষ্ঠিত মুসলিম পারিবারিক আইন পরিবর্তন করা হয়েছে, যার সুফল মানুষ ভোগ করছে। অতীতে আমাদের বাঙালি সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। নবাব ফয়জুন্নেসা, বেগম রোকেয়া, শামসুন্নাহার মাহমুদ, আশালতা সেন, জোবেদা খাতুন চৌধুরী, সুফিয়া কামাল, লীলা নাগ, নূর মহল বেগম প্রমুখ নারী অধিকারের স্বীকৃতি আদায়ে সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, পণপ্রথা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এবং নারীর শিক্ষা, ভোটাধিকার, সম্পত্তিতে অধিকার, তালাকের অধিকার ইত্যাদি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক আন্দোলন করেছেন। এসব বিষয়ে নারী-পুরুষ সবাইকে সচেতন করা হয়েছে। ফলে অনেক সামাজিক ব্যাধি যেমন দূর হয়েছে, তেমনি বহু ক্ষেত্রে নারীর অধিকারও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও রয়েছে নারীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। এ আন্দোলনে পুরুষের পাশাপাশি যেসব নারী অংশ নিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন অথবা কারাভোগ করেছেন তাদের মধ্যে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, কুন্দ প্রভাসেন, উষা রায়, সুশীলা দাসগুপ্ত, অশোকা গুহ, স্নেহলতা, নির্মলা চক্রবর্তী, বকুল দত্ত প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এতে পুরুষের চেয়ে এসব বিপ্লবী বঙ্গ নারীকেই বেশি নির্যাতন-লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছে। জমিদারদের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই নানকার বিদ্রোহ ঘটে। এ বিদ্রোহের সূচনা করেন ব্রজবাসী দাস। হাজং বিদ্রোহ, টঙ্ক ও তেভাগা আন্দোলনে অংশ নিয়ে যেসব সংগ্রামী নারী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ক্যাম্পে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েও কোনো তথ্য ফাঁস করেননি, তাদের মধ্যে অর্শমণী, রাহেলা, ভদ্র, ইলা মিত্র প্রমুখের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। আমাদের অহঙ্কার মুক্তিযুদ্ধেও রয়েছে ডা. সিতারা বেগম (বীরপ্রতীক), সেলিনা পারভীন, তারামন বিবি (বীরপ্রতীক), কাঁকন বিবি প্রমুখের আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবগাথা। যে দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে রয়েছে নারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও গত দুই দশক ধরে যে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা উভয়েই নারী, সে দেশের নারীরা সমঅধিকার থেকে বঞ্চিত_ ভাবতেই অবাক লাগে।
আমাদের বর্তমান সমাজেও পুরুষদের চাওয়া-পাওয়াই যেন নারীদের চাওয়া-পাওয়া। নিজেদের কিছু চাওয়া-পাওয়া আছে তা আজও আমাদের নারীরা ভাবতে শেখেনি। দেশের অধিকাংশ নারী তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয় বলেই মৌলবাদী দলগুলো নারী উন্নয়ন নীতির বিরোধিতা করার সাহস পাচ্ছে। তাই নারী উন্নয়ন নিয়ে যত কথাই বলা হোক না কেন, প্রকৃত নারীশিক্ষার প্রসার ছাড়া নারীসমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কেননা প্রকৃত শিক্ষাই মানুষকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে। নারীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনসহ দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে রয়েছে নারীসমাজের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। ইসলামের নামে পর্দার কড়াকড়ির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাবঞ্চিত অনেক নারীই সম্পূর্ণ নিজ চেষ্টায় শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন, সমাজকে আলোকিত করেছেন। এসব নারীর সংগ্রামী জীবন থেকে আমাদের অনেক শেখার আছে। তারাই আমাদের বর্তমান ও আগামী দিনের পথপ্রদর্শক। নারীর সমঅধিকার আন্দোলনকে কেবল নারীদের আন্দোলন ভাবলে চলবে না। এ আন্দোলন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নারী-পুরুষের আন্দোলন ভেবেই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নারীবিদ্বেষী ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। তবেই পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
ড. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস :প্রফেসর গণিত বিভাগ ও ট্রেজারার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
No comments