ইতিউতি-খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে যেমন দেখেছি by আতাউস সামাদ

বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং দুঃসময়ে বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন অসুস্থ ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। কিন্তু তিনি যেভাবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন তা দেখতে দেখতে অনেকেরই বিশ্বাস জন্মেছিল যে তিনি আমাদের সঙ্গে আরো অনেক কাল থাকবেন।


ঢাকার হাসপাতাল থেকে যখন তাঁকে বিশেষ বিমানে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তিনি কথা বলতে পারছিলেন। তাই গত বুধবার সেখান থেকে যখন খবর এল যে তিনি আর নেই, তখন চমকে গিয়েছিলাম। তারপর বেশ মন খারাপ হয়েছিল। কারণ আমার কাছে তাঁর চির বিদায়ের একটি অর্থ হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামমুখর দিনগুলো এবং বর্তমান সময়ের মাঝে যে দরজাটা আছে তা আরো খানিকটা বন্ধ হলো। পরম করুণাময় আল্লাহ তাঁর বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন_এই কামনা করছি আন্তরিকভাবে।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ইন্তেকাল করার পর তাঁর জন্য শোক ও প্রশংসার বাণী এসেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দিক থেকে। তাতে অল্পস্বল্প স্বস্তি পেলাম এই ভেবে যে শোক প্রকাশের বিষয়ে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত অতি কার্পণ্য অথবা সাতিশয় গোষ্ঠী প্রবণতায় পুরোপুরি ডুবে যায়নি। বিএনপির চেয়ারপারসন, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন যে তাঁর চলে যাওয়া এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করবে। আরো বহু শোকবার্তা দেখলাম খবরের কাগজে।
এগুলো দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জীবদ্দশায় যদি তাঁকে এর অর্ধেক ভালো কথাও অন্য দলের নেতারা বলতেন, তাহলেও বোধ হয় আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশ এখনকার চেয়ে কিছুটা উন্নত হতো। অথচ ঘটেছে এর উল্টোটা। কিছুদিন আগেও এক আওয়ামী লীগ নেতা, যতদূর মনে পড়ে তিনি অল্পদিন আগে গজিয়েছেন আর বোধ হয় ১/১১-র (সংস্কার পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার) বেনিফিশিয়ারি হিসেবে সামনের কাতারে পেঁৗছেছেন; মন্তব্য করছিলেন যে বিএনপি মহাসচিবের চোখ দেখে সন্দেহ হয় তিনি সজ্ঞানে কথা বলছেন কি না। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সিঙ্গাপুর রওনা হওয়ার মুহূর্তে হয়তো এসব কারণে কিছুটা ব্যথিতচিত্তে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে বলেছিলেন, 'আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে বিদ্বেষপ্রসূত কোনো কিছু করিনি, বলিনি। তার পরও যদি আমার কথা ও কাজে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।'
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমার পরিচয় ও আলাপচারিতা আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়। বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আগে যে তিনি মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) ছিলেন তা-ও জানতাম। সম্ভবত ওই কারণে এবং তিনি মৃদুভাষী ছিলেন বলে রিপোর্টার হিসেবে বিএনপি মহলে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতাম। তা ছাড়া একটা সময়ে তিনি প্রায়ই জাতীয় প্রেসক্লাবে আসতেন। তাই দেখা হতো ও কুশল বিনিময় হতো। আশির দশকের শেষদিকে এরশাদবিরোধী এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন যখন শক্তি সঞ্চয় করছিল, তখন বিরোধী তিনটি জোটের যে লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয় তিনি তাতে বিএনপির একজন প্রতিনিধি ছিলেন। সেদিক থেকেও সাংবাদিক হিসেবে আমাদের কাছে তাঁর একটা আলাদা মূল্য ছিল। তাঁর কাছ থেকে পুরো খবর না পাওয়া গেলেও খবরের আভাসটা পাওয়া যেত। এসবের খেই ধরে আমার লেখা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদনের সূত্র হয়েছিলেন তিনি।
১৯৯৪ সালে মাগুরায় জাতীয় সংসদের একটি আসনের উপনির্বাচনে নানা অনিয়ম ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এনডিপি ও কিছু বাম দল ঐক্যবদ্ধভাবে সংসদের জন্য সাধারণ নির্বাচনের সময় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপন করে এবং আন্দোলন শুরু করে। ধাপে ধাপে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে এই মোর্চা ১৯৯৬ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করে এবং প্রতিহত করে। বহু জায়গায় তারা ভোটকেন্দ্রে হামলা করে ও অনেক জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয়। সাধারণভাবে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। তার পরও নির্বাচনের যে ফল প্রকাশিত হয়, তাতে বিএনপি প্রার্থীরা প্রায় একচেটিয়া জয়লাভ করেছে বলে দেখা যায়। তবে এর চেয়ে বড় কথা হলো, অনেক নির্বাচনী এলাকার ফলে বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে বড় বড় অঙ্কের ভোট পড়ার ঘোষণা এল। এই সংখ্যাগুলো প্রায় কেউই বিশ্বাস করতে পারলেন না। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করার প্রয়োজনে ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬-তে সংসদ নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন বলে যারা মনে করতেন, তারাও প্রদত্ত ভোটের ঘোষিত সংখ্যা বিশ্বাস করতে পারলেন না। কিন্তু যেহেতু যেভাবেই হোক নির্বাচন একটা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন বিদ্যমান আইন মোতাবেক এর ফলাফল ঘোষণা করেছে, তাই নতুন একটি জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠিত হলো, যার নাম হলো ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ। খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করে একটি সরকারও গঠিত হলো। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো একত্রে এই নির্বাচন ও সংসদ বাতিল ঘোষণা এবং অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে প্রথমে দেশব্যাপী হরতাল ও তারপর অবরোধ আন্দোলন আহ্বান করল। এর ফলে দেশ কার্যত প্রায় অচল হয়ে পড়ল এবং এই অচলাবস্থা দূর হওয়ার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছিল না। পরিবেশ আরো ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকল। একদিকে বিক্ষোভকারীদের সহিংসতা, অন্যদিকে পুলিশের লাঠি-গুলি ব্যবহারের ফলে সে সময় পথের পাশে বা ডাস্টবিনে ফেলে রাখা ককটেল বোমায় দেশের কয়েক জায়গায় বেশ কয়েকটি শিশু ও কিশোর প্রাণ হারায়। অন্যদিকে ১৯৯৫ সালে দুই পক্ষের মধ্যে সমস্যাটি নিয়ে কমনওয়েলথ মহাসচিবের বিশেষ দূত স্যার নিনিয়ানের মধ্যস্থতাতেও কাজ হলো না এবং যেসব আলোচনা ভেঙে গিয়েছিল তাও নতুন করে হওয়ার কোনো আলামত দেখা যাচ্ছিল না।
এ রকম শ্বাস বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ভোরের কাগজ দৈনিক পত্রিকার একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের সাক্ষাৎকারে সুপারিশ করলেন যে তৎকালীন অচলাবস্থা নিরসনের জন্য সংসদ নির্বাচনের সময় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করে সংবিধান সংশোধন করা হোক। সংবিধান সংশোধন করার কাজটি করে দেবে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ। সে জন্য এই সংসদকে একটি অধিবেশনে বসতে দেওয়া হোক। তবে শর্ত থাকবে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের জন্য সংবিধান সংশোধনী পাস হয়ে গেলেই সংসদটি ভেঙে দেওয়া হবে এবং তখন ৯০ দিনের মধ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রশাসন থাকা অবস্থায় নির্বাচন কমিশন নতুন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের এই প্রস্তাব ভোরের কাগজ পত্রিকায় সম্ভবত শেষ পৃষ্ঠায় ছাপা হয়। তবে সেটা আমি পড়ি এবং তারপর থেকেই আমার মাথায় ঘুরতে থাকে যে এটি সম্পর্কে বিএনপির প্রতিক্রিয়া পেলে বিবিসি বাংলা বিভাগের জন্য তখন আমি যে একটি সাপ্তাহিক ভাষ্য তৈরি করতাম, তাতে প্রস্তাবটি প্রচার করব। এর দু-এক দিনের মধ্যে এক দুপুরে আমার স্ত্রী ও আমি রমনা পার্কের পাশ দিয়ে মিন্টো রোডের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি পার্কের পাশের ফুটপাত দিয়ে ছাতা মাথায় হেঁটে উত্তর দিকে যাচ্ছেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। খুবই বিস্মিত হলাম তাঁর সাহস দেখে। এ রকম অশান্ত ও বৈরী পরিবেশের মধ্যে তিনি একা নিরিবিলি এলাকা দিয়ে যাচ্ছেন। যদি তাঁর ওপর হামলা হয়? প্রায় ছুটে গিয়ে তাঁকে ধরলাম। হাঁটতে হাঁটতেই বললেন যে দু-চারজন সিনিয়র মন্ত্রীর সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে হেয়ার রোডে যাচ্ছেন। বললেন, 'এভাবে চলতে তো দেওয়া যায় না। সমস্যা নিরসনের পথ একটা বের করতেই হবে।' আমি তখন তাঁকে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রস্তাবটি বলে এ রকম কিছু করা যায় কি না জিজ্ঞেস করলাম। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বললেন, বিএনপির ভেতর যাঁরা উদারপন্থী আছেন, তাঁরা এ প্রস্তাবটি বিবেচনা করছেন। সেদিনই বিকেলে বা তার পরদিন বিবিসিতে আমার ভাষ্য প্রচার হওয়ার কথা। প্রথমে লিখলাম যে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, কারণ এতে শিশু-কিশোরদের প্রাণ যাচ্ছে, আবার তাদের ব্যবহারও করা হচ্ছে, যেমন পত্রিকায় ছবি বেরিয়েছে একটি মফস্বল শহরের ভোটকেন্দ্র থেকে ১২-১৪ বছর বয়সী ছেলেরা ব্যালট বাকস ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তা দিয়ে নাচতে নাচতে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক সমাধানে পেঁৗছবার জন্য সামাজিক ও নৈতিক চাপ বাড়ছে_এ কথা উল্লেখ করে লিখলাম যে রাজনৈতিক মহলে তিনটি ফর্মুলা বিবেচিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে প্রথমেই বললাম অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রস্তাবের কথা (অন্য দুটি কী বলেছিলাম এখন মনে পড়ছে না)। তারপর লিখলাম এক নম্বর প্রস্তাবটি বিএনপির উদারপন্থী অংশে আলোচনা করা হচ্ছে। এ কথা আমি বিএনপির উচ্চমহল থেকে জেনেছি। বিবিসিতে আমার ভাষ্যটি প্রচার হওয়ার পর অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের দেওয়া 'মুশকিল আসান' ফর্মুলা বা প্রস্তাবের কথা দেশজুড়ে জনসাধারণের জানা হয়ে গেল। অবশেষে এ পথেই ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করে সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর সরকারের পদত্যাগপত্র পেশ করেন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান পরে আমাকে বলেছিলেন, তাঁর প্রস্তাবটি বেশি করে প্রচারিত হয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের কয়েকজন কট্টরপন্থী তাঁকে তিরস্কার করেছিলেন। বিএনপিতেও কট্টরপন্থীরা ছিলেন। আমি আন্দাজ করি তাঁরাও খুশি হননি। কিন্তু বস্তুতপক্ষে সংঘাতের পথ থেকে বেগম জিয়া ওভাবে সরে আসায় বিএনপির লাভই হয়েছিল। কারণ খালেদা জিয়া পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার দিন ও তার পরের দিন বিএনপি নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সামনে একাদিক্রমে পরপর দুটি সমাবেশ করে। দুটি সমাবেশই বিশাল আকারের হয়েছিল। প্রথমটির ব্যাপ্তি ছিল কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত। এরপর জুন মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় বিএনপি তাতে ১১৬টি আসনে জয়ী হয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে সংসদে বৃহত্তম বিরোধী দল হতে পারার রেকর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই সংকটের সময়ই আমি উপলব্ধি করি যে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন রাজনীতিতে নমনীয়তা এবং সহাবস্থানের পক্ষে ছিলেন। চিফ হুইপ হিসেবেও তিনি সমঝোতার পক্ষে কাজ করতেন বলে শুনেছি।
অতি আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই নমনীয় খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনই অত্যন্ত দৃঢ়তা ও দুঃসাহসের সঙ্গে ১/১১-র জরুরি আইনের সরকারের পেছনের সেনাশাসকরা বিএনপি ভাঙার জন্য যে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল, যাতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরাসরি সহায়তা দিয়েছিল, তা প্রতিহত করেছিলেন। আর তা করেছিলেন বৃদ্ধ বয়সে এবং ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিএনপিকে প্রায় বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল। এর পরও মহাসচিব ও মুখপাত্র হিসেবে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ধারালো বক্তব্য রেখে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতে সক্ষম হন। খালেদা জিয়া এ জন্য তাঁর ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন।
তবে আমি মনে করি, খোন্দকার দেলোয়ারের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দক্ষ ও নিরহংকারী রাজনীতিবিদ হারাল।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

No comments

Powered by Blogger.