আবিষ্কারটি কাজে লাগিয়ে পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনুন-বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর বিরল সাফল্য
বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের দ্বারা পাটের জীবনরহস্য আবিষ্কার কেবল সম্ভাবনার আরেকটি দ্বারই খুলল না, বাংলাদেশিদের অসাধ্যসাধনের সামর্থ্যেরও প্রমাণ রাখল। জিনবিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম ও তাঁর সহযোগীরা বিশ্বে প্রথমবারের মতো পাটের জিন নকশা উন্মোচন করে দেশ ও জনগণকেই সম্মানিত করেছেন।
এই আবিষ্কার বড় বৈজ্ঞানিক সাফল্য যেমন, সোনালি আঁশের হারানো সুদিন ফিরিয়ে আনার অগ্রযাত্রায় বিরাট এক পদক্ষেপও। আমরা কৃতী বিজ্ঞানী ও তাঁর দলের সবাইকে এবং সাফল্যের পথ করে দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের অনন্যতা এখানেও যে, বিশ্বে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ১৭টি উদ্ভিদের জিন নকশার মধ্যে তিনটিই হয়েছে তাঁর হাতে। পাটের জিন নকশা আবিষ্কার জ্ঞানগত অর্জন হলেও এর অর্থকরী সুফল সুদূরপ্রসারী। এ নকশার সুবাদে পাটের চাষকে বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ুর উপযোগী করে সেরা মান নিশ্চিত করা সম্ভব। সম্ভব উন্নত জাতের পাটের বীজ সৃষ্টি করে পাটের ফলন ও আঁশের গুণাগুণ বাড়িয়ে বিশ্বের পাটের বাজারে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়া। উন্নত জাতের সুতা ও ওষুধ তৈরিতেও এ আবিষ্কার অবদান রাখবে। এত সব সম্ভাবনাকে জোড়া লাগালে একদিকে কৃষি ও কৃষকের বিকাশ, অন্যদিকে জাতীয় অর্থনীতির সমৃদ্ধির উজ্জ্বল চিত্র অনুমান করা সম্ভব। এখন প্রয়োজন মাঠপর্যায়ে প্রায়োগিক সাফল্য অর্জনের সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সেই দায়িত্বটি সরকারের।
আবিষ্কারটির মতো এর পেছনের কাহিনিও অনন্য। এই প্রথম বাংলাদেশের মতো কোনো উন্নয়নশীল দেশে বসে দেশি কোনো বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে এত বড় সাফল্য অর্জিত হলো। এ কাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের একদল তরুণ বিজ্ঞানী, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ডাটা সফটের মতো একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত উদ্যোগ সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ের দারুণ এক নজির। দিনের পর দিন বিজ্ঞানী যখন গবেষণার তহবিল চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, তখন এগিয়ে আসেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী। এখানে উল্লেখ্য যে, ২০০৯ সালে প্রথম আলোয় মাকসুদুল আলমের গবেষণার সংবাদ প্রকাশিত হলে কৃষিমন্ত্রী নিজেই এগিয়ে আসেন, প্রধানমন্ত্রী দেন ভরসা। আশা করি, এর পরে কৃষি গবেষণায় দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের পৃষ্ঠপোষকতা করার ক্ষেত্রে যত্নের কোনো অভাব হবে না। সামান্য সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশের মানুষ অসাধ্য সাধন করতে পারে, এই বিশ্বাস যেন নীতিনির্ধারকেরা রাখেন।
বিজ্ঞানীদের এ সাফল্যকে বাস্তবে রূপদান করা তথা পাট চাষ ও পাটশিল্পকে উৎকর্ষের শিখরে নেওয়ার দায়িত্বটি সরকারের। কৃষিমন্ত্রী এটি তখনই পারবেন, যখন সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় একে অগ্রাধিকার দেবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহী নেতৃত্বদান।
ঘটনাটি প্রমাণ করে, ‘আমরা পারি’। প্রমাণ করে, সেই পারায় সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা জরুরি। অতীতে এ ধরনের কিছুু অর্জন অবহেলায় কাঙ্ক্ষিত ফল দেয়নি। পাটের বেলায় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন, ‘সোনালি আঁশ আবার তার হারানো দিন ফিরে পাবে।’ এই উক্তির মাধ্যমে তিনি শুধু সোনালি আঁশের হারানো গৌরবই নয়, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির শর্ত তৈরির জন্যও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন।
বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের অনন্যতা এখানেও যে, বিশ্বে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ১৭টি উদ্ভিদের জিন নকশার মধ্যে তিনটিই হয়েছে তাঁর হাতে। পাটের জিন নকশা আবিষ্কার জ্ঞানগত অর্জন হলেও এর অর্থকরী সুফল সুদূরপ্রসারী। এ নকশার সুবাদে পাটের চাষকে বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ুর উপযোগী করে সেরা মান নিশ্চিত করা সম্ভব। সম্ভব উন্নত জাতের পাটের বীজ সৃষ্টি করে পাটের ফলন ও আঁশের গুণাগুণ বাড়িয়ে বিশ্বের পাটের বাজারে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়া। উন্নত জাতের সুতা ও ওষুধ তৈরিতেও এ আবিষ্কার অবদান রাখবে। এত সব সম্ভাবনাকে জোড়া লাগালে একদিকে কৃষি ও কৃষকের বিকাশ, অন্যদিকে জাতীয় অর্থনীতির সমৃদ্ধির উজ্জ্বল চিত্র অনুমান করা সম্ভব। এখন প্রয়োজন মাঠপর্যায়ে প্রায়োগিক সাফল্য অর্জনের সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সেই দায়িত্বটি সরকারের।
আবিষ্কারটির মতো এর পেছনের কাহিনিও অনন্য। এই প্রথম বাংলাদেশের মতো কোনো উন্নয়নশীল দেশে বসে দেশি কোনো বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে এত বড় সাফল্য অর্জিত হলো। এ কাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের একদল তরুণ বিজ্ঞানী, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ডাটা সফটের মতো একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত উদ্যোগ সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ের দারুণ এক নজির। দিনের পর দিন বিজ্ঞানী যখন গবেষণার তহবিল চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, তখন এগিয়ে আসেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী। এখানে উল্লেখ্য যে, ২০০৯ সালে প্রথম আলোয় মাকসুদুল আলমের গবেষণার সংবাদ প্রকাশিত হলে কৃষিমন্ত্রী নিজেই এগিয়ে আসেন, প্রধানমন্ত্রী দেন ভরসা। আশা করি, এর পরে কৃষি গবেষণায় দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের পৃষ্ঠপোষকতা করার ক্ষেত্রে যত্নের কোনো অভাব হবে না। সামান্য সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশের মানুষ অসাধ্য সাধন করতে পারে, এই বিশ্বাস যেন নীতিনির্ধারকেরা রাখেন।
বিজ্ঞানীদের এ সাফল্যকে বাস্তবে রূপদান করা তথা পাট চাষ ও পাটশিল্পকে উৎকর্ষের শিখরে নেওয়ার দায়িত্বটি সরকারের। কৃষিমন্ত্রী এটি তখনই পারবেন, যখন সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় একে অগ্রাধিকার দেবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহী নেতৃত্বদান।
ঘটনাটি প্রমাণ করে, ‘আমরা পারি’। প্রমাণ করে, সেই পারায় সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা জরুরি। অতীতে এ ধরনের কিছুু অর্জন অবহেলায় কাঙ্ক্ষিত ফল দেয়নি। পাটের বেলায় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন, ‘সোনালি আঁশ আবার তার হারানো দিন ফিরে পাবে।’ এই উক্তির মাধ্যমে তিনি শুধু সোনালি আঁশের হারানো গৌরবই নয়, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির শর্ত তৈরির জন্যও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন।
No comments