সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে নিয়োগ হচ্ছে by জাহিদ হাসান
দেশের অর্থনীতিতে রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়া আরও আধুনিক, গতিশীল ও জোরদার করতে বিভিন্ন কার্যক্রম এখন চলছে। এরই একটি হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনবল বাড়ানো। সে লক্ষ্যেই এনবিআর ইতিমধ্যে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে মোট ৮০০ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সংবাদপত্রে।
এর মধ্যে ৬৮৯টি পদে স্থায়ী ও বাকি পদগুলোতে অস্থায়ী ভিত্তিতে লোক নিয়োগ করা হবে। এই কাজের সহযোগী হতে চাইলে আপনিও আবেদন করতে পারেন। তবে আবেদনপত্র অবশ্যই আগামী ১০ জুন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এরপর নির্বাচন ও প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (বিপিএসসি) সচিবালয়।প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনী পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে।
আবেদন করার যোগ্যতা: আগ্রহী প্রার্থীকে স্নাতকোত্তর বা সমমান পাস হতে হবে। এ ছাড়া চার বছর মেয়াদি স্নাতক পাস বা সমমানের প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স হতে হবে অনূর্ধ ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।আর বিভাগীয় প্রার্থীর জন্য বয়সের ভিন্নতা আছে। ঢাকাসহ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনপত্র পূরণের সময় প্রার্থী যে কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করবেন তাঁকে সেখানেই পরীক্ষা দিতে হবে।
আবেদন করতে হলে: প্রার্থীকে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd ev টেলিটক মোবাইলের htth://bpsc.teletalk.com.bd এই ঠিকানার মাধ্যমে আবেদনপত্র বিপিএসসি ফরম-৫ পূরণ করে জমা দিতে হবে। এখানে নন-ক্যাডার ঘরে ক্লিক করলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও আবেদনপত্র পূরণের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। আবেদনপত্রের নির্ধারিত ঘরে ৩০০×৩০০ পিক্সেল ও ১০০ কেবি সাইজের ছবি জেপিজি ফরমেটে দিতে হবে। আবেদনপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর ৩০০×৮০ পিক্সেল ও ১০০ কেবি সাইজের জেপিজি ফরমেটে দিতে হবে। সবকিছু নির্ভুলভাবে পূরণ করে আবেদনপত্র জমা হলে প্রার্থী আইডি নম্বর ও ছবিসহ একটি কপি পাবেন। প্রার্থীকে ওই কপি প্রিন্ট বা ডাইনলোড করে সংগ্রহে রাখতে হবে। আইডি নম্বর ব্যবহার করে যেকোনো প্রিপেইড টেলিটক মুঠোফোন থেকে খুদেবার্তার মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকা। ফি অবশ্যই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে দিতে হবে। তখন ফিরতি খুদেবার্তায় প্রার্থীকে একটি গোপন নম্বর দেওয়া হবে। আইডি ও গোপন নম্বর ব্যবহার করে অনলাইন থেকে প্রবেশপত্র প্রিন্ট বা ডাউনলোড করে নিতে হবে।
নির্বাচন পরীক্ষার নিয়মাবলি: খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রার্থী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাছাই পরীক্ষার পরে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে আবেদনকারীর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি হলেই কেবল ১০০ নম্বরের বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হবে। বাছাই পরীক্ষায় নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন থাকবে।এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান ও গণিত বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। তবে ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ নম্বর কাটা যাবে। বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের www.bpsc.gov.bd বিপিএসসি ফরম-৩ সংগ্রহ ও পূরণ করে শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অন্যান্য কাগজপত্র নির্ধারিত ঠিকানায় জমা দিতে হবে। পরবর্তী সময় লিখিত ২০০ ও মৌখিক ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ৫০, ইংরেজি ৫০, গণিত ৬০ ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ৪০ নম্বর থাকবে। উত্তীর্ণ হতে হলে প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ ও মৌখিক পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। উভয় পরীক্ষাতেই আলাদাভাবে পাস করতে হবে।
কাজের দায়দায়িত্ব: এ প্রসঙ্গে কাস্টমস অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড বন্ড কমিশনারেট, চট্টগ্রামের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বেনজির আহম্মেদ ও খন্দকার লুৎফল আজম জানান, একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মূলত সরকারের রাজস্ব আদায় বা আহরণের মাধ্যমে অর্থনীতির গতিশীলতা নিয়ে কাজ করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দুই শাখার মাধ্যমে কাজ করে, তা হলো কাস্টমস অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের কাস্টমস অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ভ্যাট শাখায় কাজ করতে হয়। তাঁদের মূলত তিন ধরনের কাজ করতে হয়। প্রথমে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক, করাদি আদায়, দ্বিতীয়ত ভ্যাট আদায় ও তৃতীয়ত বন্ডের আওতায় রপ্তানিমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানি বিষয়ে তদারক করা। এই কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব আদায়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করার কাজ করে থাকেন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো সময়মতো স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারকে রাজস্ব প্রদান করছে কি না ইত্যাদি বিষয়েও কাজ করতে হয় তাঁদের।
আরও জানতে যোগাযোগ: বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (বিপিএসসি) সচিবালয়, পুরোনো বিমানবন্দর ভবন, তেজগাঁও, ঢাকা। ওয়েবসাইট: www.bpsc.gov.bd
আবেদন করার যোগ্যতা: আগ্রহী প্রার্থীকে স্নাতকোত্তর বা সমমান পাস হতে হবে। এ ছাড়া চার বছর মেয়াদি স্নাতক পাস বা সমমানের প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স হতে হবে অনূর্ধ ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।আর বিভাগীয় প্রার্থীর জন্য বয়সের ভিন্নতা আছে। ঢাকাসহ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনপত্র পূরণের সময় প্রার্থী যে কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করবেন তাঁকে সেখানেই পরীক্ষা দিতে হবে।
আবেদন করতে হলে: প্রার্থীকে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd ev টেলিটক মোবাইলের htth://bpsc.teletalk.com.bd এই ঠিকানার মাধ্যমে আবেদনপত্র বিপিএসসি ফরম-৫ পূরণ করে জমা দিতে হবে। এখানে নন-ক্যাডার ঘরে ক্লিক করলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও আবেদনপত্র পূরণের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। আবেদনপত্রের নির্ধারিত ঘরে ৩০০×৩০০ পিক্সেল ও ১০০ কেবি সাইজের ছবি জেপিজি ফরমেটে দিতে হবে। আবেদনপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর ৩০০×৮০ পিক্সেল ও ১০০ কেবি সাইজের জেপিজি ফরমেটে দিতে হবে। সবকিছু নির্ভুলভাবে পূরণ করে আবেদনপত্র জমা হলে প্রার্থী আইডি নম্বর ও ছবিসহ একটি কপি পাবেন। প্রার্থীকে ওই কপি প্রিন্ট বা ডাইনলোড করে সংগ্রহে রাখতে হবে। আইডি নম্বর ব্যবহার করে যেকোনো প্রিপেইড টেলিটক মুঠোফোন থেকে খুদেবার্তার মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকা। ফি অবশ্যই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে দিতে হবে। তখন ফিরতি খুদেবার্তায় প্রার্থীকে একটি গোপন নম্বর দেওয়া হবে। আইডি ও গোপন নম্বর ব্যবহার করে অনলাইন থেকে প্রবেশপত্র প্রিন্ট বা ডাউনলোড করে নিতে হবে।
নির্বাচন পরীক্ষার নিয়মাবলি: খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রার্থী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাছাই পরীক্ষার পরে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে আবেদনকারীর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি হলেই কেবল ১০০ নম্বরের বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হবে। বাছাই পরীক্ষায় নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন থাকবে।এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান ও গণিত বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। তবে ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ নম্বর কাটা যাবে। বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের www.bpsc.gov.bd বিপিএসসি ফরম-৩ সংগ্রহ ও পূরণ করে শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অন্যান্য কাগজপত্র নির্ধারিত ঠিকানায় জমা দিতে হবে। পরবর্তী সময় লিখিত ২০০ ও মৌখিক ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ৫০, ইংরেজি ৫০, গণিত ৬০ ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ৪০ নম্বর থাকবে। উত্তীর্ণ হতে হলে প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ ও মৌখিক পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। উভয় পরীক্ষাতেই আলাদাভাবে পাস করতে হবে।
কাজের দায়দায়িত্ব: এ প্রসঙ্গে কাস্টমস অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড বন্ড কমিশনারেট, চট্টগ্রামের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বেনজির আহম্মেদ ও খন্দকার লুৎফল আজম জানান, একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মূলত সরকারের রাজস্ব আদায় বা আহরণের মাধ্যমে অর্থনীতির গতিশীলতা নিয়ে কাজ করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দুই শাখার মাধ্যমে কাজ করে, তা হলো কাস্টমস অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের কাস্টমস অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ভ্যাট শাখায় কাজ করতে হয়। তাঁদের মূলত তিন ধরনের কাজ করতে হয়। প্রথমে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক, করাদি আদায়, দ্বিতীয়ত ভ্যাট আদায় ও তৃতীয়ত বন্ডের আওতায় রপ্তানিমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানি বিষয়ে তদারক করা। এই কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব আদায়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করার কাজ করে থাকেন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো সময়মতো স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারকে রাজস্ব প্রদান করছে কি না ইত্যাদি বিষয়েও কাজ করতে হয় তাঁদের।
আরও জানতে যোগাযোগ: বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (বিপিএসসি) সচিবালয়, পুরোনো বিমানবন্দর ভবন, তেজগাঁও, ঢাকা। ওয়েবসাইট: www.bpsc.gov.bd
No comments