আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই-সাংসদের আচরণ
দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে সমসংখ্যক নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকলেও কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদির মতো মন্দ কাজ করে বারবার পত্রিকার শিরোনাম হওয়ার ‘সৌভাগ্য’ সবার কপালে জোটে না। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি সারা দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন নিজের পেশিশক্তির বদৌলতে।
একজন সাংসদের প্রধান দায়িত্ব আইন প্রণয়ন এবং এলাকার মানুষের সেবা করা। কিন্তু আইন প্রণয়নের চেয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নিতেই অধিক উৎসাহী এই সাংসদ।
সম্প্রতি সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলীকে মারধর ও ঠিকাদারদের লাঞ্ছিত করার বিষয়টি তাঁর কাছে মামুলি ব্যাপার মনে হলেও এলাকাবাসী নিদারুণ দুশ্চিন্তায় আছে। তাঁর এই আচরনের প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণসহ সব উন্নয়নকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ঠিকাদারেরা। সাংসদ অবশ্য মারধর করার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে তিনি ওই প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের রক্ষা করেছেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শত শত লোকের উপস্থিতিতে এই সাংসদ নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের লাঞ্ছিত করেছেন। সরকারি কর্মকর্তা, ঠিকাদার বা অন্য কেউ আইনবিরুদ্ধ কিছু করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তাও চাইতে পারতেন। তা না করে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। এটি কেবল অনৈতিকই নয়, বেআইনিও। এর আগেও এই সাংসদ নানা অজুহাতে প্রবীণ শিক্ষক, আইনজীবী ও ব্র্যাক কর্মকর্তার ওপর চড়াও হয়েছেন। সর্বশেষ খবর হলো, সাংসদ বদি তাঁর আচরনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করলেও ঠিকাদারেরা এ সম্পাদকীয় লেখা পর্যন্ত কর্মসূচি প্রত্যাহার করেননি। একজন জনপ্রতিনিধি কীভাবে এ ধরনের অভব্য আচরণ করতে পারেন, তা ভাবলেও অবাক হতে হয়! ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচার দাবি করছি। জনপ্রতিনিধি হলেই কারও সাত খুন মাফ হয়ে যেতে পারে না। আইন সবার জন্যই সমান।
সম্প্রতি সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলীকে মারধর ও ঠিকাদারদের লাঞ্ছিত করার বিষয়টি তাঁর কাছে মামুলি ব্যাপার মনে হলেও এলাকাবাসী নিদারুণ দুশ্চিন্তায় আছে। তাঁর এই আচরনের প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণসহ সব উন্নয়নকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ঠিকাদারেরা। সাংসদ অবশ্য মারধর করার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে তিনি ওই প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের রক্ষা করেছেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শত শত লোকের উপস্থিতিতে এই সাংসদ নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের লাঞ্ছিত করেছেন। সরকারি কর্মকর্তা, ঠিকাদার বা অন্য কেউ আইনবিরুদ্ধ কিছু করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তাও চাইতে পারতেন। তা না করে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। এটি কেবল অনৈতিকই নয়, বেআইনিও। এর আগেও এই সাংসদ নানা অজুহাতে প্রবীণ শিক্ষক, আইনজীবী ও ব্র্যাক কর্মকর্তার ওপর চড়াও হয়েছেন। সর্বশেষ খবর হলো, সাংসদ বদি তাঁর আচরনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করলেও ঠিকাদারেরা এ সম্পাদকীয় লেখা পর্যন্ত কর্মসূচি প্রত্যাহার করেননি। একজন জনপ্রতিনিধি কীভাবে এ ধরনের অভব্য আচরণ করতে পারেন, তা ভাবলেও অবাক হতে হয়! ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচার দাবি করছি। জনপ্রতিনিধি হলেই কারও সাত খুন মাফ হয়ে যেতে পারে না। আইন সবার জন্যই সমান।
No comments