টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-যেকোনো খেলাই বিশুদ্ধ বিনোদন
প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে আমাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ আজ ছাপা হলো; বাকি অংশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে।
ওয়াহিদ মুরাদ, ব্যাংকার
নিউ ইস্কাটন, ঢাকা
বিশ্বকাপ ফুটবলে আজ বাংলাদেশ নেই, তবে একদিন বাংলাদেশ খেলবে—সে প্রত্যাশা মনেপ্রাণে করছি। এ দেশে ফুটবল খেলার প্রতি ভালোবাসা ও প্রীতি দেখে মনে হয়, এটি একসময় যেকোনো প্রজন্মকে সফলতার দিকে নিয়ে যাবে। ফুটবলে উন্মাদনা কিংবা ভালোবাসাকে কখনো নেতিবাচক হিসেবে দেখি না, তবে খেলায় কোনো অঘটন অর্থাৎ সত্যিকারভাবে যে দলের বিজয়ী হওয়ার আশা করা হয়, তা না ঘটলে খেলা শেষে কোনো উচ্ছৃঙ্খলতা কাম্য নয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সহনশীল ও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানাই।
মঞ্জু খন্দকার, সমাজসেবক
চুয়াডাঙ্গা
বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে বাংলাদেশেও উৎসাহ-উদ্দীপনা চলছে। রাতের ঘুম হারাম করে খেলা দেখছে সর্বস্তরের মানুষ। এই উৎসাহ-উদ্দীপনার নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বা কোথাও কোথাও যে বাড়াবাড়ি হচ্ছে তা কাম্য নয়। খেলা দেখার জন্য ছুটির দাবি, এ নিয়ে মারামারি, হাতাহাতি—শেষ পর্যায়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ— এসব গ্রহনযোগ্য নয়।
মো. শেখ সাদী, শিক্ষার্থী
সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
বিশ্বকাপ ফুটবল বরাবরের মতো এবারও আমাদের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। বিশ্বকাপ ফুটবল বাংলাদেশের মানুষের একঘেয়েমি দূর করে। সেরা দলগুলোর কথা কী বলব, আর্জেন্টিনা হারলে কষ্ট পাই।
ফারাহ দিবা, গৃহিণী
বেইলি রোড, ঢাকা
বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে আমাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের দল বিশ্বকাপে থাকলে উদ্দীপনা এর থেকে বেশি হতো সন্দেহ নেই। কিন্তু তাই বলে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা, বিদ্যুৎ সংকটের কারণে খেলা দেখতে না পেরে ভাঙচুর, জাতীয় সম্পদের ক্ষতি সাধন। বা বিশ্বকাপের সময় ক্লাস করা নিয়ে মারামারি— এগুলো মোটেও কাম্য নয়।
মো. সোহাগ রানা, চাকরিজীবী
কাকরাইল, ঢাকা
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেললে অবশ্যই ভালো লাগত। যদিও আমি নিজে একজন আর্জেন্টিনার সমর্থক। আশা করছি, এবার আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হবে।
জয়নাব বিনতে হোসাইন, শিক্ষার্থী
মিরপুর, ঢাকা
বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশের স্থান না হলেও এ নিয়ে দেশবাসীর উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। কিন্তু এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা, ভাঙচুর, দাঙ্গা-হাঙ্গামা—সর্বোপরি দেশের সম্পদ বিনষ্ট করা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ ছাড়া বিদেশি পতাকা নিয়ে মাতামাতি কতটুকু যৌক্তিক সেটাও ভেবে দেখা দরকার।
রাব্বুল ইসলাম খান, চাকরিজীবী
মোহাম্মদপুর, ঢাকা
বিশ্বকাপ ফুটবল এলে কমবেশি উন্মাদনা সব দেশেই থাকে। এ উন্মাদনা আমাদের দেশে অনেক বেশি। বিশ্বকাপের সময় আমাদের দেশের মানুষ যে রকম উদ্দীপিত থাকে সেই একই উদ্দীপনা নিয়ে দেশের উন্নতির জন্য পুরো জাতি যদি এক মাস ত্যাগ স্বীকার করত, বাংলাদেশ উন্নতির ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করত।
আবদুস সালাম, চাকরিজীবী
গুলমারা, খাগড়াছড়ি
আনন্দ উৎসব ভালো, তবে কোনো কিছুই অতিমাত্রায় ভালো নয়।
ওমর ফারুক, শিক্ষার্থী
শুলকবহর, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ বিশ্বকাপে না থেকেও যে ফুটবল উন্মাদনা দেখা যায়, তা অন্য কোনো দেশে দেখা যায় বলে মনে হয় না। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে যদি দেখানো যেত তাদের কী পরিমাণে পতাকা ও সমর্থক আছে বাংলাদেশে!
এম মেনহাজুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, পার্বতীপুর, দিনাজপুর
আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, যেকোনো খেলাই হচ্ছে বিশুদ্ধ বিনোদন। আর বিশ্বকাপ ফুটবলে তা আরও বহুগুণে বেড়ে যায়। আমার নিজের বাড়িতে স্যাটেলাইট সংযোগ রয়েছে কিন্তু তার পরও দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে আমার প্রশ্ন বিটিভি কেন ৬৪টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২৫টি ম্যাচ কেন দেখাচ্ছে?
বিকাশ দাস, শিক্ষার্থী
ঢাকা কলেজ, ঢাকা
পৃথিবীকে এক করার মহামঞ্চ এই বিশ্বকাপ। শুধু ৩২টি দেশই নয়, এই উত্তাপ ছড়ায় প্রতিটি দেশে, প্রতিটি মানুষের মনে। সেই হিসাবে বাংলাদেশের মানুষের নিরঙ্কুশ সমর্থন পাচ্ছে এই বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা, অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোর জন্য বিশ্বকাপ অন্যতম একটি মাধ্যম।
শফিকুল আলম, ব্যবসায়ী
চুয়াডাঙ্গা
আমি মনে করি, আমাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা সেই দিন সার্থক হবে, যেদিন আমাদের দেশ বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে। আমরা আর বিদেশি পতাকা ওড়াতে চাই না। চাই আমাদের পতাকা গর্বিতভাবে ওড়াতে।
কাওসার আহমেদ, চাকরিজীবী
ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর
বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নিতে পারত, খুবই আনন্দিত হতাম। তবুও বিশ্বকাপ ফুটবলের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ। কেউ ব্রাজিল, কেউ আর্জেন্টিনা। একেকজন একেক দলকে সমর্থন করছে। এই খেলা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে যে উত্তেজনা তা যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় সেটাই প্রত্যাশিত।
হেলালউদ্দিন, শিক্ষার্থী
উখিয়া, কক্সবাজার
বিশ্বকাপের উত্তেজনায় শরিক হতে পেরে আমি আনন্দিত। আমার প্রত্যাশা আর্জেন্টিনা হোক, আর আমার বিশ্বাস সেরা খেলোয়াড় হবেন মেসি। আর্জেন্টিনা না জিতলে যেন আফ্রিকার কোনো দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়।
আশিক, শিক্ষার্থী
দুপচাঁচিয়া, বগুড়া
বিশ্বকাপে আমাদের দেশ নেই, এ জন্য আমাদের মন খারাপ হয়। আশা করব, আমাদের ফুটবলের আরও উন্নয়ন ঘটবে।
মো. খন্দকার মামুনুর রশীদ, শিক্ষক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ফুটবল খেলা আমাদের সবার প্রিয়। কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের পতাকার কোনো অবমূল্যায়ন না হয়।
মতিউর রহমান, শিক্ষার্থী
ঝালকাঠি
এবারের বিশ্বকাপে দল হিসেবে আমি আর্জেন্টিনাকেই ফেবারিট মনে করি।
ফাতেমা, গৃহিণী, উত্তরা, ঢাকা
বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে বাংলাদেশ নেই কিন্তু উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। সাভার নবীনগরে পতাকা দেখে মনে হবে বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হবে। তবে আশার কথা হলো এই উৎসাহ-উদ্দীপনা একদিন বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের আসরে পৌঁছে দেবে এবং অন্য দেশে উড়বে আমাদের দেশের পতাকা।
বিশ্বজিৎ সেন, কবি ও গল্পকার
চট্টগ্রাম
বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনা নতুন কিছু নয়। চার বছর পরপর জনগণের এ ধরনের নির্মল আনন্দোৎসব আমার খুবই ভালো লাগে। তবে দুঃখ লাগে তখনই যখন দেখি ভিনদেশি কোনো বড় পতাকার ওপর বাংলাদেশের ছোট্ট একটি পতাকাও থাকে না।
সোহেল আহমেদ চৌধুরী, শিক্ষার্থী
বৃন্দাবন কলেজ, হবিগঞ্জ
বিশ্বকাপে যদিও বাংলাদেশ নেই, তার পরও অনেক আশা নিয়ে আমরা আর্জেন্টিনার সমর্থন করছি। যদি ২২ জুন আর্জেন্টিনা জয় পায়, তবে আমরা একটা আনন্দ মিছিল করব।
রিয়াদ, চাকরিজীবী, সেনবাগ, নোয়াখালী
যেহেতু আমাদের দেশ ফুটবল বিশ্বকাপ খেলছে না, তাহলে শুধু সমর্থন করে অন্য দেশের পতাকা ওড়াতে কেন এত অর্থ খরচ করব?
মাসুদুর রহমান, শিক্ষার্থী
দোয়ারপাড়, মাগুরা
বাংলাদেশের ফুটবল-উন্মাদনা ক্রিকেট থেকে কোনো অংশে কম নয়। বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপ ফুটবলে থাকত তাহলে আমাদের উন্মাদনা আরও বাড়ত। আশা করব, আমাদের খেলোয়াড়েরা সেই চেষ্টাই করবেন।
আঞ্জন বিশ্বাস, চাকরিজীবী
মুড়াপাড়া, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
বিশ্বকাপ মানেই আনন্দ। বিশ্বকাপ এলেই আমরা সবাই একাত্মতা প্রকাশ করি। আমার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা। আমরা যদি প্রতিটি ক্ষেত্রে এভাবে একাত্মতা প্রকাশ করতে পারি, তাহলে আমাদের উন্নতি করা সম্ভব। ম্যারাডোনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
মাহমুদুল হাসান, শিক্ষার্থী
গুলশান, ঢাকা
ফুটবল-উন্মাদনা ক্রিকেট থেকে কোনো অংশে কম নয় এবং এটা সর্বস্তরে জনপ্রিয়। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা বিশ্বকাপ নিয়ে মেতে উঠেছি, যদিও আমাদের দেশ খেলছে না।
আল-ইমরান, শিক্ষার্থী
নটর ডেম কলেজ, ঢাকা
আমার মতে, বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বকাপ নিয়ে এত মাতামাতি করা উচিত নয়। পতাকা ওড়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিটি পতাকার ওপরে বাংলাদেশের একটি পতাকা ওড়ানো উচিত। মাত্রাতিরিক্ত কোনো কিছুই করা ঠিক নয়।
প্রীতি রাহা, শিক্ষার্থী, ময়মনসিংহ
দেশে চলছে বিশ্বকাপ নিয়ে টানটান উত্তেজনা। শৌখিন মানুষেরা বাড়ির ছাদে টাঙিয়েছে প্রিয় দলের পতাকা। বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে ১১ জুলাই, বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায়। সবাইকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
মো. সারওয়ার কামাল, শিক্ষার্থী
সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
বিশ্বকাপ বিশ্ববাসীর মহামেলা। এই উল্লাস-উদ্দীপনায় অংশ নেওয়ার কারণে বাঙালি জাতি আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এই দুই দলের সমর্থকেরা তাদের প্রিয় দলের পতাকা ওড়াচ্ছে এবং বাংলার মাটিতে চষে বেড়াচ্ছে। তাই আমি বাফুফের কাছে অনুরোধ জানাব, বাংলাদেশে বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি করার এবং বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির। তখন বাংলাদেশ ফুটবলের ক্ষেত্রে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে স্বাধীনতা লাভ করবে।
মো. রফিকুল ইসলাম, শিক্ষার্থী
মওলানা ভাসানী বিওপ্রবি, টাঙ্গাইল
বিশ্বকাপে যেহেতু বাংলাদেশ খেলছে না, সেহেতু একটু মন খারাপ লাগবেই। তবুও বিশ্বকাপ প্রতিটি জাতিকে এক সুতোয় গেঁথেছে। সেই হিসেবে, বাঙালি একটি জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বকাপকে খুব উপভোগ করি। তার প্রমাণ, আমাদের চায়ের দোকান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো।
এম এ তৌহিদ আহমেদ, সৈনিক
সিএমএইচ, চট্টগ্রাম সেনানিবাস, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ ফুটবল বিশ্বকাপে নেই, তবুও রাতে খেলা দেখা ও পছন্দের দলকে সমর্থন করা, বাংলাদেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি এমন আগ্রহ দেখে আমরা বুঝতে পারি, বাংলাদেশের মানুষ ফুটবলকে কতটা ভালোবাসে।
গৌর মোহন দাস, চাকরিজীবী
অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ
আনন্দ মনকে ভালো রাখে। বিশ্বকাপ আনন্দের মিলনমেলা। খেলা নিয়ে বাজি রাখা আর উল্লাসে মেতে খেলা দেখে আনন্দ করাই স্বাভাবিক। তবে আনন্দের মাত্রা ছাড়িয়ে মারামারি কাম্য নয়।
নিউ ইস্কাটন, ঢাকা
বিশ্বকাপ ফুটবলে আজ বাংলাদেশ নেই, তবে একদিন বাংলাদেশ খেলবে—সে প্রত্যাশা মনেপ্রাণে করছি। এ দেশে ফুটবল খেলার প্রতি ভালোবাসা ও প্রীতি দেখে মনে হয়, এটি একসময় যেকোনো প্রজন্মকে সফলতার দিকে নিয়ে যাবে। ফুটবলে উন্মাদনা কিংবা ভালোবাসাকে কখনো নেতিবাচক হিসেবে দেখি না, তবে খেলায় কোনো অঘটন অর্থাৎ সত্যিকারভাবে যে দলের বিজয়ী হওয়ার আশা করা হয়, তা না ঘটলে খেলা শেষে কোনো উচ্ছৃঙ্খলতা কাম্য নয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সহনশীল ও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানাই।
মঞ্জু খন্দকার, সমাজসেবক
চুয়াডাঙ্গা
বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে বাংলাদেশেও উৎসাহ-উদ্দীপনা চলছে। রাতের ঘুম হারাম করে খেলা দেখছে সর্বস্তরের মানুষ। এই উৎসাহ-উদ্দীপনার নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বা কোথাও কোথাও যে বাড়াবাড়ি হচ্ছে তা কাম্য নয়। খেলা দেখার জন্য ছুটির দাবি, এ নিয়ে মারামারি, হাতাহাতি—শেষ পর্যায়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ— এসব গ্রহনযোগ্য নয়।
মো. শেখ সাদী, শিক্ষার্থী
সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
বিশ্বকাপ ফুটবল বরাবরের মতো এবারও আমাদের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। বিশ্বকাপ ফুটবল বাংলাদেশের মানুষের একঘেয়েমি দূর করে। সেরা দলগুলোর কথা কী বলব, আর্জেন্টিনা হারলে কষ্ট পাই।
ফারাহ দিবা, গৃহিণী
বেইলি রোড, ঢাকা
বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে আমাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের দল বিশ্বকাপে থাকলে উদ্দীপনা এর থেকে বেশি হতো সন্দেহ নেই। কিন্তু তাই বলে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা, বিদ্যুৎ সংকটের কারণে খেলা দেখতে না পেরে ভাঙচুর, জাতীয় সম্পদের ক্ষতি সাধন। বা বিশ্বকাপের সময় ক্লাস করা নিয়ে মারামারি— এগুলো মোটেও কাম্য নয়।
মো. সোহাগ রানা, চাকরিজীবী
কাকরাইল, ঢাকা
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেললে অবশ্যই ভালো লাগত। যদিও আমি নিজে একজন আর্জেন্টিনার সমর্থক। আশা করছি, এবার আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হবে।
জয়নাব বিনতে হোসাইন, শিক্ষার্থী
মিরপুর, ঢাকা
বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশের স্থান না হলেও এ নিয়ে দেশবাসীর উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। কিন্তু এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা, ভাঙচুর, দাঙ্গা-হাঙ্গামা—সর্বোপরি দেশের সম্পদ বিনষ্ট করা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ ছাড়া বিদেশি পতাকা নিয়ে মাতামাতি কতটুকু যৌক্তিক সেটাও ভেবে দেখা দরকার।
রাব্বুল ইসলাম খান, চাকরিজীবী
মোহাম্মদপুর, ঢাকা
বিশ্বকাপ ফুটবল এলে কমবেশি উন্মাদনা সব দেশেই থাকে। এ উন্মাদনা আমাদের দেশে অনেক বেশি। বিশ্বকাপের সময় আমাদের দেশের মানুষ যে রকম উদ্দীপিত থাকে সেই একই উদ্দীপনা নিয়ে দেশের উন্নতির জন্য পুরো জাতি যদি এক মাস ত্যাগ স্বীকার করত, বাংলাদেশ উন্নতির ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করত।
আবদুস সালাম, চাকরিজীবী
গুলমারা, খাগড়াছড়ি
আনন্দ উৎসব ভালো, তবে কোনো কিছুই অতিমাত্রায় ভালো নয়।
ওমর ফারুক, শিক্ষার্থী
শুলকবহর, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ বিশ্বকাপে না থেকেও যে ফুটবল উন্মাদনা দেখা যায়, তা অন্য কোনো দেশে দেখা যায় বলে মনে হয় না। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে যদি দেখানো যেত তাদের কী পরিমাণে পতাকা ও সমর্থক আছে বাংলাদেশে!
এম মেনহাজুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, পার্বতীপুর, দিনাজপুর
আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, যেকোনো খেলাই হচ্ছে বিশুদ্ধ বিনোদন। আর বিশ্বকাপ ফুটবলে তা আরও বহুগুণে বেড়ে যায়। আমার নিজের বাড়িতে স্যাটেলাইট সংযোগ রয়েছে কিন্তু তার পরও দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে আমার প্রশ্ন বিটিভি কেন ৬৪টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২৫টি ম্যাচ কেন দেখাচ্ছে?
বিকাশ দাস, শিক্ষার্থী
ঢাকা কলেজ, ঢাকা
পৃথিবীকে এক করার মহামঞ্চ এই বিশ্বকাপ। শুধু ৩২টি দেশই নয়, এই উত্তাপ ছড়ায় প্রতিটি দেশে, প্রতিটি মানুষের মনে। সেই হিসাবে বাংলাদেশের মানুষের নিরঙ্কুশ সমর্থন পাচ্ছে এই বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা, অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোর জন্য বিশ্বকাপ অন্যতম একটি মাধ্যম।
শফিকুল আলম, ব্যবসায়ী
চুয়াডাঙ্গা
আমি মনে করি, আমাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা সেই দিন সার্থক হবে, যেদিন আমাদের দেশ বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে। আমরা আর বিদেশি পতাকা ওড়াতে চাই না। চাই আমাদের পতাকা গর্বিতভাবে ওড়াতে।
কাওসার আহমেদ, চাকরিজীবী
ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর
বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নিতে পারত, খুবই আনন্দিত হতাম। তবুও বিশ্বকাপ ফুটবলের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ। কেউ ব্রাজিল, কেউ আর্জেন্টিনা। একেকজন একেক দলকে সমর্থন করছে। এই খেলা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে যে উত্তেজনা তা যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় সেটাই প্রত্যাশিত।
হেলালউদ্দিন, শিক্ষার্থী
উখিয়া, কক্সবাজার
বিশ্বকাপের উত্তেজনায় শরিক হতে পেরে আমি আনন্দিত। আমার প্রত্যাশা আর্জেন্টিনা হোক, আর আমার বিশ্বাস সেরা খেলোয়াড় হবেন মেসি। আর্জেন্টিনা না জিতলে যেন আফ্রিকার কোনো দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়।
আশিক, শিক্ষার্থী
দুপচাঁচিয়া, বগুড়া
বিশ্বকাপে আমাদের দেশ নেই, এ জন্য আমাদের মন খারাপ হয়। আশা করব, আমাদের ফুটবলের আরও উন্নয়ন ঘটবে।
মো. খন্দকার মামুনুর রশীদ, শিক্ষক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ফুটবল খেলা আমাদের সবার প্রিয়। কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের পতাকার কোনো অবমূল্যায়ন না হয়।
মতিউর রহমান, শিক্ষার্থী
ঝালকাঠি
এবারের বিশ্বকাপে দল হিসেবে আমি আর্জেন্টিনাকেই ফেবারিট মনে করি।
ফাতেমা, গৃহিণী, উত্তরা, ঢাকা
বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে বাংলাদেশ নেই কিন্তু উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। সাভার নবীনগরে পতাকা দেখে মনে হবে বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হবে। তবে আশার কথা হলো এই উৎসাহ-উদ্দীপনা একদিন বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের আসরে পৌঁছে দেবে এবং অন্য দেশে উড়বে আমাদের দেশের পতাকা।
বিশ্বজিৎ সেন, কবি ও গল্পকার
চট্টগ্রাম
বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনা নতুন কিছু নয়। চার বছর পরপর জনগণের এ ধরনের নির্মল আনন্দোৎসব আমার খুবই ভালো লাগে। তবে দুঃখ লাগে তখনই যখন দেখি ভিনদেশি কোনো বড় পতাকার ওপর বাংলাদেশের ছোট্ট একটি পতাকাও থাকে না।
সোহেল আহমেদ চৌধুরী, শিক্ষার্থী
বৃন্দাবন কলেজ, হবিগঞ্জ
বিশ্বকাপে যদিও বাংলাদেশ নেই, তার পরও অনেক আশা নিয়ে আমরা আর্জেন্টিনার সমর্থন করছি। যদি ২২ জুন আর্জেন্টিনা জয় পায়, তবে আমরা একটা আনন্দ মিছিল করব।
রিয়াদ, চাকরিজীবী, সেনবাগ, নোয়াখালী
যেহেতু আমাদের দেশ ফুটবল বিশ্বকাপ খেলছে না, তাহলে শুধু সমর্থন করে অন্য দেশের পতাকা ওড়াতে কেন এত অর্থ খরচ করব?
মাসুদুর রহমান, শিক্ষার্থী
দোয়ারপাড়, মাগুরা
বাংলাদেশের ফুটবল-উন্মাদনা ক্রিকেট থেকে কোনো অংশে কম নয়। বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপ ফুটবলে থাকত তাহলে আমাদের উন্মাদনা আরও বাড়ত। আশা করব, আমাদের খেলোয়াড়েরা সেই চেষ্টাই করবেন।
আঞ্জন বিশ্বাস, চাকরিজীবী
মুড়াপাড়া, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
বিশ্বকাপ মানেই আনন্দ। বিশ্বকাপ এলেই আমরা সবাই একাত্মতা প্রকাশ করি। আমার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা। আমরা যদি প্রতিটি ক্ষেত্রে এভাবে একাত্মতা প্রকাশ করতে পারি, তাহলে আমাদের উন্নতি করা সম্ভব। ম্যারাডোনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
মাহমুদুল হাসান, শিক্ষার্থী
গুলশান, ঢাকা
ফুটবল-উন্মাদনা ক্রিকেট থেকে কোনো অংশে কম নয় এবং এটা সর্বস্তরে জনপ্রিয়। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা বিশ্বকাপ নিয়ে মেতে উঠেছি, যদিও আমাদের দেশ খেলছে না।
আল-ইমরান, শিক্ষার্থী
নটর ডেম কলেজ, ঢাকা
আমার মতে, বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বকাপ নিয়ে এত মাতামাতি করা উচিত নয়। পতাকা ওড়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিটি পতাকার ওপরে বাংলাদেশের একটি পতাকা ওড়ানো উচিত। মাত্রাতিরিক্ত কোনো কিছুই করা ঠিক নয়।
প্রীতি রাহা, শিক্ষার্থী, ময়মনসিংহ
দেশে চলছে বিশ্বকাপ নিয়ে টানটান উত্তেজনা। শৌখিন মানুষেরা বাড়ির ছাদে টাঙিয়েছে প্রিয় দলের পতাকা। বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে ১১ জুলাই, বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায়। সবাইকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
মো. সারওয়ার কামাল, শিক্ষার্থী
সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
বিশ্বকাপ বিশ্ববাসীর মহামেলা। এই উল্লাস-উদ্দীপনায় অংশ নেওয়ার কারণে বাঙালি জাতি আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এই দুই দলের সমর্থকেরা তাদের প্রিয় দলের পতাকা ওড়াচ্ছে এবং বাংলার মাটিতে চষে বেড়াচ্ছে। তাই আমি বাফুফের কাছে অনুরোধ জানাব, বাংলাদেশে বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি করার এবং বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির। তখন বাংলাদেশ ফুটবলের ক্ষেত্রে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে স্বাধীনতা লাভ করবে।
মো. রফিকুল ইসলাম, শিক্ষার্থী
মওলানা ভাসানী বিওপ্রবি, টাঙ্গাইল
বিশ্বকাপে যেহেতু বাংলাদেশ খেলছে না, সেহেতু একটু মন খারাপ লাগবেই। তবুও বিশ্বকাপ প্রতিটি জাতিকে এক সুতোয় গেঁথেছে। সেই হিসেবে, বাঙালি একটি জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বকাপকে খুব উপভোগ করি। তার প্রমাণ, আমাদের চায়ের দোকান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো।
এম এ তৌহিদ আহমেদ, সৈনিক
সিএমএইচ, চট্টগ্রাম সেনানিবাস, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ ফুটবল বিশ্বকাপে নেই, তবুও রাতে খেলা দেখা ও পছন্দের দলকে সমর্থন করা, বাংলাদেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি এমন আগ্রহ দেখে আমরা বুঝতে পারি, বাংলাদেশের মানুষ ফুটবলকে কতটা ভালোবাসে।
গৌর মোহন দাস, চাকরিজীবী
অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ
আনন্দ মনকে ভালো রাখে। বিশ্বকাপ আনন্দের মিলনমেলা। খেলা নিয়ে বাজি রাখা আর উল্লাসে মেতে খেলা দেখে আনন্দ করাই স্বাভাবিক। তবে আনন্দের মাত্রা ছাড়িয়ে মারামারি কাম্য নয়।
No comments