উপলব্ধি! by আসিফ আহমদ
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্ধ (বাংলাদেশের হরতাল), অবরোধ, রাস্তা ও রেল রোখ_ এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন বছরের পর বছর। কেন্দ্রে যখন মন্ত্রী ছিলেন তখন কেন্দ্রীয় কোনো নীতির বিরুদ্ধে বিশাল ভারতের কোথাও আন্দোলন হলে তাকে সুনজরে দেখেননি।
কিন্তু নিজের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল ছিল ভিন্ন। সেখানে তিনি বিরোধী দলে এবং 'মানি না, মানব না'_ এটাই ছিল সাফ কথা। এখন তার অবস্থান বদলে গেছে। বুলিও বদলেছে। শনিবার তিনি রাজ্যের শিল্প বিকাশের জন্য পরামর্শ করতে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। তাদের দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানালেন, বিরোধী দলে থাকার সময় বন্ধ-অবরোধ করলেও এখন বুঝতে পারছেন ভুল করেছিলেন। এসব কর্মসূচি গ্রহণ করে চললে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ হওয়া ছাড়া আর কিছুই হয় না। মানুষ অবরোধকারীদের ক্ষমা করে না।
বাংলাদেশের সরকারি দলের নেতাদের বুলির সঙ্গে কী দারুণ মিল! এখানেও সরকারি দল হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিকে ধ্বংসাত্মক মনে করে। কিন্তু বিরোধী দলে গেলে সব ভুলে শুরু হয় উল্টো বুলি। তখন তাদের বক্তব্য_ ক্ষমতাসীনরা প্রতিদিন দেশের যা ক্ষতি করছে তার তুলনায় হরতালে ক্ষতি কম। তাই সরকারকে দ্রুত বিদায় করার জন্য হরতালের বিকল্প নেই। এ কারণে অর্থনীতির ক্ষতি হয় বটে। কিন্তু সরকার নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারলে ক্ষতির পরিমাণ হবে আরও বেশি। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে 'দেশ ও দশের বৃহত্তর স্বার্থে' হরতাল-অবরোধের ক্ষতি মেনে নেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
গত দুই দশকে বাংলাদেশে অনেক হরতাল-অবরোধ হয়েছে। কিন্তু একটি ব্যতিক্রম বাদে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে সময়মতো এবং সরকারেরও পরিবর্তন ঘটেছে নির্বাচনের মাধ্যমেই। ব্যতিক্রমটি ঘটেছিল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে এবং মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই এ সংসদ ভেঙে যায়।
বাংলাদেশে ক্ষমতায় যারা থাকেন তারা হরতালে ক্ষতির দিকটি বড় করে দেখাতে অভ্যস্ত। কিন্তু তাদের ভুল নীতি ও কৌশলের কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয় সেটা কখনও স্বীকার করে না। দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণেও অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়। আর এটা স্বাভাবিক যে, দুর্নীতির সুযোগ ক্ষমতাসীনদের আশপাশে থাকা লোকেরাই বেশি পায়। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় দেশের অনেক স্থানে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ অপব্যয়ের খবর থাকে। এ নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা হতে দেখা যায় না। বিরোধী দলে যারা থাকে, তারাও এসব ইস্যু নিয়ে তেমন সোচ্চার হয় না। কারণ ক্ষমতায় থাকার সময়ে তারাও এসব অপকর্ম করেছে এবং আগামীতে ক্ষমতায় গেলেও করবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে বুঝতে পেরেছেন, বন্ধ-অবরোধ খুব খারাপ জিনিস। বিরোধী দলে থাকার সময় তাকে কেউ হাজারো চেষ্টা করেও এটা বোঝাতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গে এখন বিরোধী দলে রয়েছে সিপিএম। তারা ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রচুর বন্ধ-অবরোধ করেছে। ক্ষমতায় এসেও কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে বন্ধ করেছে। এখন তারা কেবল বিধানসভা ও সংবাদপত্র-বেতার-টিভিতে নিজেদের অভিমত তুলে ধরবে এবং বন্ধ সর্বতোভাবে পরিহার করবে, এমন বিশ্বাস ক'জনের আছে? যদি তারা এটা করতে পারে তাহলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাস বদলে যেতে পারে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও তার প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের জনগণও বিষয়টির ওপর নজর রাখবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পর উপলব্ধি করেছেন, বন্ধ খুব খারাপ। তবে তাকে ধন্যবাদ জানাতে হয় যে, তিনি ভুলের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন তার কথার নড়চড় হবে না, সে বিষয়ে হান্ড্রেড পার্সেন্ট গ্যারান্টি দেওয়া যায়। কিন্তু বিরোধী দলে গেলে? তখন কি বলবেন যে বন্ধের বিরুদ্ধে বলে ভুল করেছি?
... তওবা_ নাক খপ্তা...
বাংলাদেশের সরকারি দলের নেতাদের বুলির সঙ্গে কী দারুণ মিল! এখানেও সরকারি দল হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিকে ধ্বংসাত্মক মনে করে। কিন্তু বিরোধী দলে গেলে সব ভুলে শুরু হয় উল্টো বুলি। তখন তাদের বক্তব্য_ ক্ষমতাসীনরা প্রতিদিন দেশের যা ক্ষতি করছে তার তুলনায় হরতালে ক্ষতি কম। তাই সরকারকে দ্রুত বিদায় করার জন্য হরতালের বিকল্প নেই। এ কারণে অর্থনীতির ক্ষতি হয় বটে। কিন্তু সরকার নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে পারলে ক্ষতির পরিমাণ হবে আরও বেশি। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে 'দেশ ও দশের বৃহত্তর স্বার্থে' হরতাল-অবরোধের ক্ষতি মেনে নেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
গত দুই দশকে বাংলাদেশে অনেক হরতাল-অবরোধ হয়েছে। কিন্তু একটি ব্যতিক্রম বাদে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে সময়মতো এবং সরকারেরও পরিবর্তন ঘটেছে নির্বাচনের মাধ্যমেই। ব্যতিক্রমটি ঘটেছিল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে এবং মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই এ সংসদ ভেঙে যায়।
বাংলাদেশে ক্ষমতায় যারা থাকেন তারা হরতালে ক্ষতির দিকটি বড় করে দেখাতে অভ্যস্ত। কিন্তু তাদের ভুল নীতি ও কৌশলের কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয় সেটা কখনও স্বীকার করে না। দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণেও অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়। আর এটা স্বাভাবিক যে, দুর্নীতির সুযোগ ক্ষমতাসীনদের আশপাশে থাকা লোকেরাই বেশি পায়। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় দেশের অনেক স্থানে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ অপব্যয়ের খবর থাকে। এ নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা হতে দেখা যায় না। বিরোধী দলে যারা থাকে, তারাও এসব ইস্যু নিয়ে তেমন সোচ্চার হয় না। কারণ ক্ষমতায় থাকার সময়ে তারাও এসব অপকর্ম করেছে এবং আগামীতে ক্ষমতায় গেলেও করবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে বুঝতে পেরেছেন, বন্ধ-অবরোধ খুব খারাপ জিনিস। বিরোধী দলে থাকার সময় তাকে কেউ হাজারো চেষ্টা করেও এটা বোঝাতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গে এখন বিরোধী দলে রয়েছে সিপিএম। তারা ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রচুর বন্ধ-অবরোধ করেছে। ক্ষমতায় এসেও কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে বন্ধ করেছে। এখন তারা কেবল বিধানসভা ও সংবাদপত্র-বেতার-টিভিতে নিজেদের অভিমত তুলে ধরবে এবং বন্ধ সর্বতোভাবে পরিহার করবে, এমন বিশ্বাস ক'জনের আছে? যদি তারা এটা করতে পারে তাহলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাস বদলে যেতে পারে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও তার প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের জনগণও বিষয়টির ওপর নজর রাখবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পর উপলব্ধি করেছেন, বন্ধ খুব খারাপ। তবে তাকে ধন্যবাদ জানাতে হয় যে, তিনি ভুলের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন তার কথার নড়চড় হবে না, সে বিষয়ে হান্ড্রেড পার্সেন্ট গ্যারান্টি দেওয়া যায়। কিন্তু বিরোধী দলে গেলে? তখন কি বলবেন যে বন্ধের বিরুদ্ধে বলে ভুল করেছি?
... তওবা_ নাক খপ্তা...
No comments