এবিসি রেডিও-প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই-ব্যবসার শুরুতে সঠিক পরিকল্পনা দরকার
এবিসি রেডিওর স্টুডিওতে প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’ অনুষ্ঠানে ২২ মে এসেছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সোর্স এজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুব্রত ঘোষ। কথা বলেছেন কথাবন্ধু ব্রতির সঙ্গে।
তথ্যপ্রযুক্তি বা আইটি হার্ডওয়্যারের ব্যবসা, ব্যবসায়িক উন্নয়ন এবং এ পেশার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি
কথাবন্ধু: প্রথমেই সোর্স এজ লিমিটেড সম্পর্কে কিছু বলুন।
সুব্রত ঘোষ: সোর্স এজ লিমিটেড একটি তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য (আইটি) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এটি ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে। সোর্স এজ মূলত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য সরবরাহ করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিয়েটিভ ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য। যেমন হেডফোন, স্পিকার, এমপিফোর, সাউন্ড কার্ড ইত্যাদি। মারকারি ব্র্যান্ডের কিছু পণ্যও আমাদের রয়েছে। কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হয় এমন পণ্যের মধ্যে রয়েছে মাউস, কি-বোর্ড, কেসিং, ইউপিএস, মাদারবোর্ড ইত্যাদি। এ ছাড়া সোর্স এজ সম্প্রতি লেনেভোর ডেস্কটপ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সরবরাহ করছে।
কথাবন্ধু: পড়াশোনা শেষে চাকরি না করে উদ্যোক্তা হলেন কেন?
সুব্রত ঘোষ: ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল, নিজেই কিছু একটা করব। সবাই যখন চাকরির খোঁজ করে তখন চাকরির বাজারে টানাপোড়েন চলে। তাই চাকরির বাইরে নিজেই কিছু একটা করার উদ্যোগ নিই, যেখানে আমার কর্মসংস্থান হবে, পাশাপাশি আরও কিছু মানুষেরও কর্মসংস্থান হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, উদ্যোক্তা না হলে স্বাধীনভাবে নিজের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করা যায় না।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সেক্টরের বর্তমান অবস্থা কেমন? এ পেশায় কাজের ক্ষেত্র বা পরিধি কতখানি?
সুব্রত ঘোষ: কম্পিউটারের ক্ষেত্রে আমরা এখনো কিছুটা পিছিয়ে আছি। তবে বর্তমানে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে সেবার মানও বেড়েছে। সেদিক বিবেচনায় নিয়েই সোর্স এজ পণ্য বাছাই করে, যাতে একটি ভালো পণ্য একজন ক্রেতা তাঁর সামর্থ্যের মধ্যে পেতে পারেন। আইটি সেক্টরে দুটি ভাগ রয়েছে। একটি হার্ডওয়্যার আর অন্যটি সফটওয়্যার। পাশাপাশি ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্কিং নিয়েও আমাদের দেশে এখন ব্যাপক কাজ হচ্ছে। ইন্টারনেট এখন বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখন ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। আমরা বর্তমানে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দুটি ব্যবসাতেই এগিয়ে যাচ্ছি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়ছে। অনেকেই এ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এ পেশায় কাজের পরিধিও এখন অনেক বড় হয়েছে।
কথাবন্ধু: যাদের পর্যাপ্ত পুঁজি নেই তারা ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে কি ব্যাংকিং খাতের পর্যাপ্ত সহায়তা পান? এই ব্যবসার শুরুটা কীভাবে করা সম্ভব?
সুব্রত ঘোষ: ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি পরিকল্পনা থাকা দরকার। এরপর পরিশ্রম ও কৌশল দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। যে ব্যবসা করতে চান সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। নিজস্ব অর্থে অথবা বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায়। অনেকেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছে। তবে উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তেমনভাবে কেউ সহযোগিতা করছে না। এ জন্য ব্যাংকগুলোর উচিত যাদের মূলধন কম তাদের অর্থের জোগান দিয়ে দেশে ভালো উদ্যোক্তা তৈরি করা। বিদেশে উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকগুলো অনেক সাহায্য করে।
কথাবন্ধু: একটি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আপনি কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন? সদ্য স্নাতকদের এই খাতে আসার সুযোগ কতটুকু?
সুব্রত ঘোষ: সদ্য স্নাতক বা নতুন প্রজন্মই প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সব প্রতিষ্ঠানেই নতুনদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে। তবে নতুনদের জন্য পরামর্শ থাকবে যে পড়াশোনার সময়ই ঠিক করুন আপনি কোথায় ক্যারিয়ার গড়বেন। পাশাপাশি পেশাগত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ বা কোর্স করা উচিত। তাহলেই ক্যারিয়ার একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে পারেন। আমি আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি করা হয়। এসব পণ্য কি আমাদের দেশে তৈরি করা সম্ভব?
সুব্রত ঘোষ: এখনো এই খাতে আমরা এগিয়ে যেতে পারিনি। আমাদের নিজস্ব কোনো ব্র্যান্ড নেই। তবে ব্র্যান্ড তৈরি করে প্রতিষ্ঠিত হতে একটু সময় লাগবে। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা এ জন্য চিন্তাভাবনা করছেন। অল্প দামে ভালো পণ্য তৈরি করতে পারলে আমরাও এগিয়ে যাব। একদিন মেইড ইন বাংলাদেশ নামেও মাউস, কি-বোর্ড, মনিটর, ইউপিএস পাওয়া যাবে। আমরাও এই শিল্প নিয়ে একদিন দেশের বাইরে যাব। আমার মনে হয় এ ধরনের উদ্যোগে কেউ যেতে চাইলে সরকারও তাকে সাহায্য করবে। এ জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
কথাবন্ধু: ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রি ও বিপণনের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডের নাম কী ধরনের ভূমিকা পালন করে? বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ড এখনো সেভাবে নেই কেন?
সুব্রত ঘোষ: পণ্যের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দাম যা-ই হোক না কেন, হেডফোন কিনতে গেলেও আমরা ব্র্যান্ড খুঁজি। সবাই চেষ্টা করে ভালো ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে। তবে ব্র্যান্ড এক দিনেই তৈরি হয় না। এ জন্য আস্থা তৈরি করতে হয়। তারপর ব্র্যান্ড তৈরি হয়। একটি দেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করতে ব্র্যান্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কথাবন্ধু: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার দিকনির্দেশনা কী হবে?
সুব্রত ঘোষ: কোনো কিছু শুরু করব না ভেবে শুরু করলেই শুরু হয়ে যায়। আর একটা কথা, কোথাও ঠেকলেই শেখা যায়। না ঠেকলে কিন্তু শেখা যায় না। লক্ষ্য স্থির করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করতে হবে। কাজের প্রতি আগ্রহ এবং সৎ থাকতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। সমন্বয়ের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। লক্ষ্য আর ইচ্ছা ঠিক থাকলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
কথাবন্ধু: প্রথমেই সোর্স এজ লিমিটেড সম্পর্কে কিছু বলুন।
সুব্রত ঘোষ: সোর্স এজ লিমিটেড একটি তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য (আইটি) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এটি ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে। সোর্স এজ মূলত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য সরবরাহ করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিয়েটিভ ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য। যেমন হেডফোন, স্পিকার, এমপিফোর, সাউন্ড কার্ড ইত্যাদি। মারকারি ব্র্যান্ডের কিছু পণ্যও আমাদের রয়েছে। কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হয় এমন পণ্যের মধ্যে রয়েছে মাউস, কি-বোর্ড, কেসিং, ইউপিএস, মাদারবোর্ড ইত্যাদি। এ ছাড়া সোর্স এজ সম্প্রতি লেনেভোর ডেস্কটপ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সরবরাহ করছে।
কথাবন্ধু: পড়াশোনা শেষে চাকরি না করে উদ্যোক্তা হলেন কেন?
সুব্রত ঘোষ: ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল, নিজেই কিছু একটা করব। সবাই যখন চাকরির খোঁজ করে তখন চাকরির বাজারে টানাপোড়েন চলে। তাই চাকরির বাইরে নিজেই কিছু একটা করার উদ্যোগ নিই, যেখানে আমার কর্মসংস্থান হবে, পাশাপাশি আরও কিছু মানুষেরও কর্মসংস্থান হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, উদ্যোক্তা না হলে স্বাধীনভাবে নিজের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করা যায় না।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সেক্টরের বর্তমান অবস্থা কেমন? এ পেশায় কাজের ক্ষেত্র বা পরিধি কতখানি?
সুব্রত ঘোষ: কম্পিউটারের ক্ষেত্রে আমরা এখনো কিছুটা পিছিয়ে আছি। তবে বর্তমানে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে সেবার মানও বেড়েছে। সেদিক বিবেচনায় নিয়েই সোর্স এজ পণ্য বাছাই করে, যাতে একটি ভালো পণ্য একজন ক্রেতা তাঁর সামর্থ্যের মধ্যে পেতে পারেন। আইটি সেক্টরে দুটি ভাগ রয়েছে। একটি হার্ডওয়্যার আর অন্যটি সফটওয়্যার। পাশাপাশি ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্কিং নিয়েও আমাদের দেশে এখন ব্যাপক কাজ হচ্ছে। ইন্টারনেট এখন বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখন ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। আমরা বর্তমানে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দুটি ব্যবসাতেই এগিয়ে যাচ্ছি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়ছে। অনেকেই এ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এ পেশায় কাজের পরিধিও এখন অনেক বড় হয়েছে।
কথাবন্ধু: যাদের পর্যাপ্ত পুঁজি নেই তারা ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে কি ব্যাংকিং খাতের পর্যাপ্ত সহায়তা পান? এই ব্যবসার শুরুটা কীভাবে করা সম্ভব?
সুব্রত ঘোষ: ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি পরিকল্পনা থাকা দরকার। এরপর পরিশ্রম ও কৌশল দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। যে ব্যবসা করতে চান সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। নিজস্ব অর্থে অথবা বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায়। অনেকেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছে। তবে উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তেমনভাবে কেউ সহযোগিতা করছে না। এ জন্য ব্যাংকগুলোর উচিত যাদের মূলধন কম তাদের অর্থের জোগান দিয়ে দেশে ভালো উদ্যোক্তা তৈরি করা। বিদেশে উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকগুলো অনেক সাহায্য করে।
কথাবন্ধু: একটি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আপনি কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন? সদ্য স্নাতকদের এই খাতে আসার সুযোগ কতটুকু?
সুব্রত ঘোষ: সদ্য স্নাতক বা নতুন প্রজন্মই প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সব প্রতিষ্ঠানেই নতুনদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে। তবে নতুনদের জন্য পরামর্শ থাকবে যে পড়াশোনার সময়ই ঠিক করুন আপনি কোথায় ক্যারিয়ার গড়বেন। পাশাপাশি পেশাগত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ বা কোর্স করা উচিত। তাহলেই ক্যারিয়ার একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে পারেন। আমি আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি করা হয়। এসব পণ্য কি আমাদের দেশে তৈরি করা সম্ভব?
সুব্রত ঘোষ: এখনো এই খাতে আমরা এগিয়ে যেতে পারিনি। আমাদের নিজস্ব কোনো ব্র্যান্ড নেই। তবে ব্র্যান্ড তৈরি করে প্রতিষ্ঠিত হতে একটু সময় লাগবে। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা এ জন্য চিন্তাভাবনা করছেন। অল্প দামে ভালো পণ্য তৈরি করতে পারলে আমরাও এগিয়ে যাব। একদিন মেইড ইন বাংলাদেশ নামেও মাউস, কি-বোর্ড, মনিটর, ইউপিএস পাওয়া যাবে। আমরাও এই শিল্প নিয়ে একদিন দেশের বাইরে যাব। আমার মনে হয় এ ধরনের উদ্যোগে কেউ যেতে চাইলে সরকারও তাকে সাহায্য করবে। এ জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
কথাবন্ধু: ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রি ও বিপণনের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডের নাম কী ধরনের ভূমিকা পালন করে? বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ড এখনো সেভাবে নেই কেন?
সুব্রত ঘোষ: পণ্যের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দাম যা-ই হোক না কেন, হেডফোন কিনতে গেলেও আমরা ব্র্যান্ড খুঁজি। সবাই চেষ্টা করে ভালো ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে। তবে ব্র্যান্ড এক দিনেই তৈরি হয় না। এ জন্য আস্থা তৈরি করতে হয়। তারপর ব্র্যান্ড তৈরি হয়। একটি দেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করতে ব্র্যান্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কথাবন্ধু: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার দিকনির্দেশনা কী হবে?
সুব্রত ঘোষ: কোনো কিছু শুরু করব না ভেবে শুরু করলেই শুরু হয়ে যায়। আর একটা কথা, কোথাও ঠেকলেই শেখা যায়। না ঠেকলে কিন্তু শেখা যায় না। লক্ষ্য স্থির করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করতে হবে। কাজের প্রতি আগ্রহ এবং সৎ থাকতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। সমন্বয়ের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। লক্ষ্য আর ইচ্ছা ঠিক থাকলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
No comments