অভিমত ভিন্নমত

সঞ্চয়পত্রনির্ভর নিম্নমধ্যবিত্তকে বাঁচতে দিন গত জানুয়ারিতে এই মর্মে পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছিল যে, আইএমএফ বা বিদেশি কোনো সংস্থার পরামর্শে সঞ্চয়পত্রের ওপর সরকার চড়াও হচ্ছে। সঞ্চয়পত্র বাবদ প্রাপ্ত সুদের অর্থ কমিয়ে দেওয়া হবে, কতটা কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য দুই মাস মেয়াদি একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। আমি ও আমার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরে।


আমাদের সাংসারিক খরচ এবং পারিবারিক কিছু দায় থাকায় তারও ব্যয়নির্বাহ মূলত পেনশনার্স সঞ্চয়পত্র ও সামান্য সাধারণ তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র থেকে প্রাপ্ত মুনাফা দিয়েই গত কয়েক বছর চলছে। চলছে বলতে দুর্মূল্যের বাজারে আমরা কষ্টেসৃষ্টে চালিয়ে আসছিলাম। সে জন্যই খবরটি জেনে বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়েছিলাম। কিন্তু মুনাফা কমানোর বিপক্ষে জোরালো যুক্তিসহ কিছু লেখা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতে দেখে আশাও জেগেছিল যে, সরকারের বোধোদয় হবে।
কিন্তু গত সোমবারের প্রথম আলোয় এ সংক্রান্ত খবরটি দেখে সত্যি বলতে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। এমন প্রস্তাব নাকি করা হয়েছে যে, এখন থেকে সঞ্চয়পত্র ক্রয় বাবদ প্রাপ্ত মুনাফার হার কমানো তো হবেই, তার ওপর উৎসে কর আদায় করা হবে ১০ শতাংশ। আবার প্রাপ্ত মুনাফার ক্ষেত্রে সুদমুক্ত নির্ধারিত আয়সীমা বলে যা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য আছে, যার পরিমাণ এ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও তার বেশি, তাও থাকবে না।
সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পেনশনার্স সঞ্চয়পত্রের আয় ছিল সম্পূর্ণ করমুক্ত। সে সুবিধাও উঠিয়ে দেওয়া হবে এবং সবার ক্ষেত্রে একই রকম নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
এমনটা করা হলে যে সঞ্চয়পত্রনির্ভর সাধারণ এবং স্বল্প আয়ের মানুষের কতটা দুর্গতি হবে এবং আরও নানা কারণে দেশের জন্যও যে তা কতটা অমঙ্গলজনক হবে, তা নিয়ে বিজ্ঞজনেরা অনেক লিখেছেন, এই উদ্যোগ থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। আমি সেসব কথা উদ্ধৃত করব না। আমি শুধু বলব, আমরা দুজনই সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে অবসর গ্রহণ করার পরও আমাদের আয় যা তাতে আমাদের নিম্নবিত্ত হিসেবে গণ্য করা যায়। বর্তমানের প্রস্তাবানুসারে ব্যবস্থা নিয়ে আয় যদি আর সামান্যও কমানো হয়, তাহলেও আমাদের দুর্গতি চরম আকার ধারণ করবে। আমাদের চেয়ে কম আয়ের মানুষের অবস্থা কী হতে পারে তা কেবল কল্পনা করা যেতে পারে। অতএব গণতান্ত্রিক এ সরকারকে অনুরোধ করব, সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে বর্তমানের প্রচলিত নিয়মই বহাল রাখুন। আর যদি সরকারি আয়ের জন্য এবং অন্য বিবেচনায় সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত দিতেই হয়, তবে অন্তত নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তদের বাঁচানোর কথা বিবেচনায় রেখে কর আদায়ের জন্য সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের সর্বোচ্চ একটা সীমা নির্ধারণ করে দিন। ধনিক শ্রেণীর গায়ে তাতে তেমন আঁচড় পড়বে না এবং আর্থিক সংকটে নিপতিত সাধারণ লোকের খানিকটা উপকার হয়তো হবে।
আলতাফ হোসেন, কবি
wgicyi, XvKv|

২.
সোমবার প্রথম আলোয় ‘সঞ্চয়পত্রের সুদ করের আওতায় এল’ পড়ে আমরা দারুণ হতাশা বোধ করছি। এ বছরের বাজেট বাস্তবায়নে করের বিস্তৃতি অন্যান্য বছর থেকে অনেক বেশি। বাজেট ঘোষণা থেকে এটা বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু করের আওতা যে সঞ্চয়পত্রের সুদ পর্যন্ত ছুঁয়েছে, তা বুঝতে দেরি হয়েছে।
জাতীয় সঞ্চয়পত্রের ক্রেতাদের অধিকাংশ পেনশনভোগী, যাঁরা সরকারি চাকরিতে বা অন্য কোনো সংস্থায় সেবাদান করে অবসরে এসেছেন এবং যাঁরা সামনের দিনগুলোয় জীবিকা নির্বাহের জন্য নতুন কোনো উদ্যোগ গ্রহণে শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম, তাঁরা যক্ষের ধনের মতো জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মুনাফার দিকে চেয়ে থাকেন। এ ধরনের একটি পদক্ষেপ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের মাথায় বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো।
মানবিক কারণে সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর প্রস্তাবিত কর প্রত্যাহার করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আবদুন নুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

এবার কার পালা?
আমাদের অনেক না পাওয়ার বেদনাকে ম্লান করে দিয়ে প্রথম কোনো বাংলাদেশির এভারেস্ট জয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই প্রচণ্ড একটা ধাক্কা দিল বেগুনবাড়ি ট্রাজেডি। রাতের ঘুম শেষ ঘুমে পরিণত হওয়া ২৫ জন হতভাগ্যের মৃত্যু বিষণ্নতা তৈরি করল। আর এটার রেশ কাটতে না কাটতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিমতলী-কায়েতটুলির স্মরণকালের ভয়াভহ অগ্নিকাণ্ড কেড়ে নিল ১১৯ জনের প্রাণ। যাদের নিয়ে আমরা নতুন দিনের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, তারাই তো চাপা পড়ে আর আগুনে পুড়ে মরছে। আসলে আমরা তাদের মেরে ফেলেছি।
বুকের বেতর কান্নাগুলো জমে জমে পাথর হয়ে যাচ্ছে। কার কাছে জানাব অভিযোগ? একের পর এক দুর্ঘটনা কী জানান দিতে চাইছে আমাদের? সবাই বলছে অপরিকল্পিত নগরায়ণের কথা। এই অপরিকল্পিত নগরায়ণ তো এক দিনে হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে বিশেষজ্ঞরা আর পত্রিকাগুলো এই ভয়াভহতার কথা বলে সতর্ক করে আসছে। কিন্তু কেউ যেন শোনার নেই। সরকারের ভয়, কঠিন কোনো পদক্ষেপ হয়তো তাদের ভোট কমিয়ে দিতে পারে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই বিষয়ে মতৈক্য প্রতিষ্ঠা করেই তা করা যায়। একবার একটু সাহস করে যদি ঢাকাকে ঢেলে সাজানোর কথা আমাদের রাজনীতিকেরা ভাবতেন, তাহলে হয়তো ঝলসে যাওয়া মুখগুলো দেখে নিজেকেই ধিক্কার দিতে হতো না। ভাবতে হতো না, ভবিষ্যতের মানুষদের জন্য এক জঞ্জালপূর্ণ পৃথিবী রেখে যাচ্ছি।
নগরবাসী এমন বিপন্নতা বোধ আগে কখনো করেনি। ঢাকা শহর যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে তা এত দিন রাস্তায় বের হলে বোঝা যেত। আর এখন ঘরে বসে জীবন দিয়েই তার প্রমাণ মিলছে। যারা ঘরে থাকত তাদের চিন্তা ছিল, ঘরের বাইরের প্রিয় মানুষটি ঠিকমতো ফিরবে তো, কোনো দ্রুতগামী বাসের ধাক্কা কিংবা ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে? এখন তো আর নিজের প্রিয় ঘরটিও নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বাড়ি কিংবা আসতে পারে আগুনের লেলিহান শিখা। বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টাটুকু করার সময়ও হয়তো দেবে না।
আর এসবের জন্য শুধু সরকারকে দোষ দিয়েই দায় এড়ানো যাবে না। এই নগরের অধিবাসীরাও একইভাবে দোষী। লোভী বাড়িমালিকেরা বাড়ি করার সময় একবারও কি ভেবেছেন যে তাঁর লাশটি বের করার জন্য হলেও বাড়ির সামনে একটু জায়গা রাখা দরকার, তার অসুস্থতার খবরে যে অ্যাম্বুলেন্সটি আসবে তার আসার জন্য রাস্তাটি চওড়া রাখা প্রয়োজন? না, তাঁরা ভাবেন না। কারণ সেটা ভাবলে যে তাঁর ২০ বর্গফুট জায়গার ভাড়া আসবে না!
সরকারের ভোটের লোভ আর বাড়ির মালিকদের জায়গার লোভ বারবার কেড়ে নিচ্ছে নির্দোষ অসহায় মানুষের প্রাণ। যেকোনো সময় অপরিকল্পিত নগরায়ণের বলি হতে পারি। এখন শুধু অপেক্ষা আর মনে প্রশ্ন, এবার কার পালা, আমার নয়তো?
সাবিনা পারভীন, ঝুঁকিপূর্ণ সরু রাস্তার গলি, ইন্দিরা রোড, ঢাকা।

রাজধানীর যানজট সমাধানে একটি প্রস্তাব
তীব্র যানজট এখন রাজধানীবাসীর প্রধান সমস্যাগুলোর অন্যতম। যানজট আজ এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যেন সময় সবচেয়ে মূল্যহীন। কোনো ব্যক্তি যদি মিরপুর থেকে নিউমার্কেট হয়ে মতিঝিল যেতে চায় তাহলে তার পক্ষে সারা দিন আর অন্য কোথাও যাওয়ার জো থাকে না। অন্য পথগুলোর অবস্থাও একই রকম। কিন্তু দুশ্চিন্তার ব্যাপার হলো, এ থেকে পরিত্রাণের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।
এক যুগ আগে কলকাতার অবস্থাও অনেকটা একই রকম ছিল। কিন্তু সেখানকার নগর পরিকল্পনাবিদ ও সরকার নানা গবেষণা, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থা পুরো পাল্টে দিতে পেরেছে। কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে নানা সাদৃশ্যের কারণে তাদের এই অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য অনেক প্রাসঙ্গিক।
যানজট নিরসনে আমরা রাজধানীকেন্দ্রিক এমন কোনো উদ্যোগ দেখতে পারছি না যা আমাদের আশাবাদী করতে পারে। একসময় পাতাল রেলের ব্যাপারে সরকারি পর্যায়ে কিছু চিন্তাভাবনার খবর দৈনিকগুলোতে এসেছিল। এটার জন্য মোটা অঙ্কের বাজেট দরকার। তবে বর্তমান সরকার তথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অপেক্ষাকৃত কম বাজেটে এই যানজট সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি একটি সমাধানের কথা বিবেচনা করতে পারে। গাজীপুর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যে রেললাইন আছে সেটা ব্যবহার করে অথবা এই রেললাইনেব উভয় পাশে অতিরিক্ত রেললাইন স্থাপন করে রাজধানীর অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগের ওপর যে চাপ তা অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। নতুন স্থাপিত রেললাইন গাজীপুর, টঙ্গী, উত্তরা, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, রামপুরা, খিলগাঁও হয়ে মতিঝিলকে কমলাপুরের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
ঢাকা শহরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি রেলপথকে ব্যবহার করতে পারলে সড়কপথের ওপর চাপ অনেকাংশে কমে যাবে। পাশাপাশি আধুনিক রেলপথ স্থাপন ও উন্নত রেল ইঞ্জিন সংযোজনের মাধ্যমে আমরা রেল যোগাযোগের বর্তমান অবস্থার উন্নয়ন করতে পারি। এ জন্য পাতাল রেলের মতো মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না। শুধু বর্তমানে অবস্থিত রেললাইনের পাশে প্রয়োজনমতো পাশের জায়গা অধিগ্রহণ করে নতুন লাইন সংযুক্ত করতে হবে।
প্রস্তাবিত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পর যদি সড়ক যোগাযোগের ওপর যানবাহনের চাপ উল্লিখিত মাত্রায় কমে বা যানজট কিছুটা নিরসন হয় তাহলে এই রেললাইনকে কমলাপুর থেকে সায়েদাবাদ এবং যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেলওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে এই ব্যবস্থাকে উন্নত ও আধুনিক করলে যোগাযোগব্যবস্থায় সুদূরপ্রসারী ফল আসবে বলে আশা করা যায়।
মো. মেহেদী হাসান
mehedissub@gmail.com

বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট
সম্প্রতি প্রথম আলোয় ‘ঢাকার ওয়াসার পানিতে ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব’ শিরোনামে খবরটি আতঙ্কের। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে বিএসটিআইয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা শহরের ২২টি (১১টি নমুনা ওয়াসার গভীর নলকূপ থেকে ও ১১টি ওয়াসার সরবরাহ পাইপ থেকে সংগ্রহ করা) স্থানের নমুনা থেকে মাত্র সাতটি স্থানের নমুনা বাংলাদেশ ড্রিংকিং ওয়াটার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের ভেতর পাওয়া গেছে। বাকি ১৫টি স্থানের নমুনাই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি এবং এসব নমুনায় পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া ও দ্রবীভূত কঠিন পদার্থ।
এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মন্তব্য হলো, ‘ওয়াসার পানির উৎসে দূষিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে সরবরাহ পাইপে ত্রুটির কারণে পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক স্থানে সরবরাহ পাইপ ৪০ বছরেরও বেশি পুরোনো। পাইপ প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে।’ উৎস থেকে পানি দূষিত হচ্ছে, নাকি সরবরাহ পাইপের মাধ্যমে দূষিত হচ্ছে তা একজন গ্রাহকের জানার কোনো প্রয়োজন নেই। ওয়াসা গ্রাহকদের দূষিত পানি সরবরাহ করছে এটাই হচ্ছে আসল কথা, কোন মাধ্যমে দূষিত হচ্ছে সেটা নয়।
প্রশ্ন হলো, এ মুহূর্তে ঢাকা শহরের কতটি স্থানে পাইপ প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে? প্রতিস্থাপন করতে যত দিন লাগবে, তত দিন কি মানুষ পানি পান করা থেকে বিরত থাকবে, নাকি দূষিত পানিই পান করবে? ওয়াসা যে পদ্ধতিতে পানি পরিশোধন করে, তাতে পানি কতটুকু বিশুদ্ধ হয়? কীভাবে রিভার্স অসমোসিস অথবা আলট্রাভায়োলেট (ইউভি) পদ্ধতি ছাড়ায় পানি ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করা সম্ভব? আর ফোটানোর মাধ্যমে যে পানি কোনোভাবেই শতভাগ বিশুদ্ধ করা সম্ভব নয় বরং অনেক ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়, সেটা আজ অনেকেরই জানা।
আমাদের দেশে বর্তমানে ফ্ল্যাটের ব্যবসা খুবই জমজমাট। ডেভেলপাররা চাইলে খুব সহজেই অল্প খরচে তাঁদের দালানগুলোতে কেন্দ্রীয়ভাবে অথবা পৃথকভাবে প্রতিটি ফ্ল্যাটে শুধু বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসাতে পারেন। আর সরকার জনগণের স্বার্থে ডেভেলপারদের জন্য প্রতিটি দালানে শুধু বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
শিল্পকারখানাসমূহের তরল বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) স্থাপন বাধ্যতামূলক। নতুন কোনো কারখানা চালু করার আগে ইটিপি চালু করার আইন রয়েছে। ইটিপি ছাড়া গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয় না। তাই মালিকেরা নতুন শিল্পকারখানা চালু করার স্বার্থে অতি মনঃকষ্টে কোনো রকম একটা ইটিপি তৈরি করে। বর্তমানে যেসব ফ্যাক্টরিতে ইটিপি রয়েছে, সেগুলোর কটি চালু রয়েছে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখারও দরকার রয়েছে। আমাদের দেশে পরিবেশ অধিদপ্তর নামে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের কাজ নিয়ে যেকোনো সচেতন জনগণেরই মনেই সন্দেহ আছে। এই প্রতিষ্ঠানের যেসব পরিদর্শক বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে ইটিপি পরিদর্শনে যান, তাঁরা ফ্যাক্টরিতে পৌঁছার আগেই ফ্যাক্টরিতে তাঁদের আসার খবর চলে যায়। ফলে বন্ধ থাকা ইটিপিগুলো চালু হয়ে যায় এবং পরিদর্শকেরা চলে যাওয়ামাত্রই তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। পরিদর্শকেরা ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার আগেই কীভাবে খবর চলে যায় তা বুঝতে আশা করি কারও কষ্ট হবে না।
প্রতিবছর জুন মাস (৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে) আসলেই পরিবেশ নিয়ে আমাদের লোক দেখানো ব্যস্ততা বেড়ে যায়, এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু জুন মাস শেষ হতে না হতেই সব আবার আগের মতোই। মুখে আমরা যতই পরিবেশ বাঁচাও, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও, তুরাগ বাঁচাও আন্দোলনের নামে মিছিল, মিটিং, শোভাযাত্রা করি, লাভ হবে না যদি না আমরা মন থেকে চাই। আর যদি সবার মন থেকে একটু করেও পরিবেশ বাঁচানোর জন্য ইচ্ছে জাগে, তবেই আমরা আমাদের পরিবেশকে বাঁচাতে পারব। সবকিছুর ওপরই দরকার সরকারের সহযোগিতামূলক কঠোর পদক্ষেপ।
মো. রাজীব আহমেদ, প্রকৌশলী, বনানী, ঢাকা।

‘জিয়া বিতর্ক’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ‘কটূক্তি’র দ্বারা অসন্তুষ্ট হয়ে সৈয়দ বদরুল আহসান প্রথম আলোয় যে নিবন্ধটি লিখেছেন, তা উপভোগ করেছি। তাজউদ্দীন আহমদ ও খালেদ মোশাররফ সম্পর্কে কিছু মানুষের মন্তব্য সম্পর্কেও তিনি আপত্তি জানিয়েছেন। বিএনপির প্রস্তাবিত হরতালের পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে সাজেদা চৌধুরীর বক্তব্যকে তিনি অপছন্দ করেছেন। জিয়ার কবরে তাঁর লাশ নেই বলে শেখ হাসিনা যে মন্তব্য করেছেন, তা ঠিক নয় বলে আহসান সাহেব মনে করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বর্তমান সরকার বিক্রি করে দিয়েছে বলে খালেদা জিয়া যেসব মন্তব্য করেন, সে সম্পর্কে তিনি দ্বিমত পোষণ করেন। সম্প্রতি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন যে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, ভারতের একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ও বিএনপির একজন নেতা ঢাকার একটি হোটেলে মিলিত হয়েছিলেন। বিএনপি নেতৃত্ব প্রমাণ দাবি করলে তিনি জানান যে তাঁর কাছে প্রমাণ আছে। আমরা জানি না, এসব প্রমাণ কার কাছে বা কীভাবে দিতে হয়। কাজেই আমরা জানি না যে প্রমাণ দেখানো হয়েছিল কি না।
আমি আহসান সাহেবের সঙ্গে একমত যে কারও সম্পর্কে কটূক্তি করা উচিত নয়। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে যে কটূক্তি বলতে ঠিক কী বোঝায়? আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন ‘ইটের বদলে পাটকেল’—এই নীতি চলছে। আর একটি কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন তা হচ্ছে, মানুষ যাকে পছন্দ করে তার গুণগুলো তার মনে ধরে আর দোষগুলো তার চোখে পড়ে না।
জিয়াউর রহমানের বেতার ভাষণ সম্পর্কে লেখক বলেছেন, ‘তিনি গোটা বাঙালি জাতির মানসপটে একটি উদ্দীপনা ও চেতনার উদ্রেক করেন।’ এই বেতার ভাষণ নিয়ে অনেক তর্কবিতর্ক হয়েছে, কাজেই আমরা আর কথা বাড়াব না। তবে একটা কথা বলতেই হয় আর তা হচ্ছে, এই যে জিয়াউর রহমানকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ বলে তাঁর দল অনর্থক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
’৭৫-এর ঘটনাবলি বলতে গিয়ে আহসান সাহেব বলেছেন, ‘তিনি (জিয়া) অত্যন্ত নৈতিকতাবিরোধী কাজ করেন, যখন তিনি সংবিধানে অন্তর্গত চার মূলনীতিকে আঘাত করেন।’ আমাদের এ কথা পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে যে, স্বাধীনতার চেতনাকেই ধ্বংস করে দিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে তাঁর ভূমিকাকে তিনি নিজেই অর্থহীন করে দিয়েছেন।
আমাদের জাতীয় নেতাদের এমন কিছু বলা উচিত নয়, যার পেছনে কোনো যুক্তি বা প্রমাণ নেই।
ওয়াহিদ নবী, লন্ডন, যুক্তরাজ্য।

হরতাল কার জন্য
আমাদের দেশে রাজনীতিবিদদের বিরোধী দলে গেলে হরতালকে জায়েজ এবং সরকারি দলে গেলে হরতালকে অকেজো বলে গণ্য করা একটি অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের জনস্বার্থবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপ, বিশেষ করে সেটা যদি বিরোধী দলের নেতাদের ওপর হামলা-মামলাজাতীয় হয়, তবেই হরতাল খুব সহজে এসে যায়। সরকারকে চাপের মুখে রাখতে, দুর্বল করতে বা ক্ষমতা থেকে হটানোর উদ্দেশ্যেই সাধারণত হরতাল ডাকা হয়। কিন্তু যে জনস্বার্থ রক্ষার্থে হরতাল আহ্বান করা হয়, দেশের জনগণই যদি তার মাধ্যমে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে হরতাল কার জন্য?
হরতালে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দিনমজুরদের অবস্থা কী হয় তা কি আমাদের রাজনীতিবিদেরা ভেবে দেখেছেন? তাঁদের তো আর মাসের শেষে নিশ্চিত মজুরি নেই। যে দিনমজুর তাঁর পরিবারের অর্ধাহারে থাকা মুখগুলোর খাবারের জন্য বাইরে কাজে যান, হরতালের আঘাতটা সরাসরি তাঁর ওপরই পড়ে। রাজনীতিবিদদের এ কথা ভাবার সময় এসেছে যে হরতালে তাঁদের অর্জনের তুলনায় সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয় কতটুকু।
সরকারের কোনো অপকর্মের প্রতিবাদ বিরোধী দল করবে তা অত্যন্ত স্বাভাবিক। বিরোধী দলের দৃষ্টিতে যেহেতু অন্যায় করেছে সরকার, সেহেতু সাধারণ মানুষের দাবি হচ্ছে, আন্দোলন কর্মসূচি হবে কেবল সরকারের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে নয়। বিরোধী দল ইচ্ছা করলে সরকারের জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ সংসদের ভেতর ও বাইরে মানববন্ধন-জাতীয় কর্মসূচি অবশ্যই পালন করবে, যার প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন থাকবে। এ কথা মনে রাখা দরকার যে বাংলাদেশের মানুষ এখন অধিক হারে রাজনৈতিকসচেতন হচ্ছে। আবার এ কথাও সত্য যে অধিকাংশ মানুষই কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সমর্থক নয়। যার ফলে পাঁচ বছরের ব্যবধানে জনসমর্থন একেবারে উঁচু থেকে একেবারে নিচুতে নেমে যায়। তাই সব রাজনীতিবিদের কাছে আমাদের আবেদন হচ্ছে, হরতাল ভিন্ন অন্য কোনো কর্মসূচি দেন, যাতে সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি না হয়। তাহলে আপনাদের কর্মসূচিগুলোতে দিন দিন জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়বে, আপনাদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের জন্য জনগণের আস্থাও বাড়বে।
আর বিরোধী দলের হরতালকে পাল্টা মিছিল দিয়ে মোকাবিলা করার চেয়ে ক্ষমতাসীন দলের উচিত বিরোধী দলের বক্তব্যকে আমলে নিয়ে দেশে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকা।
শ্যামল চন্দ্র দাশ, মৌলভীবাজার।

শুষ্ক চরে জীবন বদলে দিচ্ছে ভুট্টার চাষ
গাইবান্ধার রাইদাসবাড়ী গ্রামের কৃষক জোবেদ আলী নদীভাঙনে নিজের সব জমিজমা হারিয়েছিলেন। ২০ বছর পর চর জেগে ওঠায় কিছু জমি অবশ্য তিনি ফেরত পান। তবে তাতে শুধু আমন ধানের চাষ করে সংসার চালানো দুঃসাধ্য। ২০০৭ সালের শেষ দিকে জোবেদ আলী কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বা চুক্তিবদ্ধ চাষাবাদের আওতায় ভুট্টার আবাদ শুরু করেন। এতেই তাঁর কপাল খুলে যায়। চাষ পদ্ধতিতে আধুনিকতা আর ব্যাংকঋণ, এ দুটো ছিল তাঁর সম্বল। এখন তিনি প্রায় এক হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ করছেন। জীবনযাপনও বেশ সচ্ছল।
দেশের উত্তরাঞ্চলের মাটি এমনিতে বেশ শুষ্ক। এর সঙ্গে নিত্য বিপদ হলো নদী ভাঙার প্রবণতা। এক বছর নদীভাঙনে সব হারিয়ে, অন্য বছর নতুন জেগে ওঠা চরে সামান্য কিছু বরাদ্দ মেলে। কিন্তু তাতে কীসের আবাদ হবে, তার জন্য বীজ, সার, প্রশিক্ষণ এগুলো নিয়েও দেখা দেয় বিস্তর জটিলতা।
চরের মাটি ভুট্টার চাষে অনেক বেশি উপযুক্ত। তাই চরের জমিকে অনেক বেশি পরিমাণে ভুট্টা চাষের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য চাই চরাঞ্চলে কাজের ক্ষেত্র তৈরি করা। আর এ জন্যই অধিক পরিমাণে চরের জমিকে ভুট্টা চাষের আওতায় এনে কৃষকদের চাষে উৎসাহিত করতে হবে। তাঁদের মধ্যে অর্থায়নের সাহায্যসহ ভালো বীজ, কীটনাশক, সার ও প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। একসময় তাঁরা এই কাজের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর হয়ে উঠলে অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি নিজের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন।
তবে ভুট্টা আবাদের পদ্ধতি নিয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব একটা বড় সমস্যা। কৃষকদের কাছে সময়মতো তথ্য পৌঁছানো এবং আধুনিক চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করা গেলেই এ সমস্যা কিছুটা কাটানো সম্ভব। উন্নয়ন সংস্থা সুইস কন্টাক্টের বাজার উন্নয়ন প্রকল্প ক্যাটালিস্ট ভুট্টা খাতের প্রতিবন্ধকতা নিরসনের লক্ষ্যে চুক্তিবদ্ধ চাষাবাদকে জনপ্রিয় করার কাজ করছে। এই চুক্তিবদ্ধ চাষাবাদের মাধ্যমে একজন কৃষক ভালো বীজ, সময়মতো সারের প্রয়োগ, সেই সঙ্গে আধুনিক চাষ পদ্ধতি, প্রয়োজনে ব্যাংকঋণ, আবাদের পর ফসল বিক্রয় নিশ্চিত করে নিতে পারছে। তাই কৃষকেরা এই পদ্ধতিতে স্থানীয় ডিলারের কাছ থেকে নিচ্ছে যাঁর যাঁর প্রয়োজনমতো সেবা।
ভুট্টা চাষের পদ্ধতি ও কৃষিজ উপকরণের সঠিক মাত্রার ব্যবহার সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাব, ভালো মানের বীজের অপ্রতুলতা এবং ভালো কৃষিজ উপকরণ ক্রয়ে কৃষকের অক্ষমতার কারণে চরাঞ্চলে ভুট্টাচাষিরা অনেক কম ফলন পাচ্ছেন। চরের কৃষকেরা এতটাই দরিদ্র যে ভুট্টার চাষ যে লাভজনক তা জানা সত্ত্বেও বেশির ভাগ কৃষক অর্থাভাবে তা চাষ করতে পারেন না। এসব সমস্যার সমাধানকল্পে চুক্তিবদ্ধ চাষাবাদের মাধ্যমে ন্যূনতম চেষ্টায় এসব সমস্যার সমাধান করা যায়। এ জন্য ভুট্টা চাষের ব্যাপারে কৃষকের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং একই সঙ্গে চাষাবাদের পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।
ফারহানা আলম, ঢাকা।

জনসংখ্যা
গত ২০ এপ্রিল প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় সাহিত্যিক-সাংবাদিক আনিসুল হকের একটি লেখার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে খুব জোরেশোরে শুরু হয়েছিল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। বেতারে, টেলিভিশনে, রাস্তাঘাটে চলেছিল ব্যাপক প্রচারণা। পরিবার পরিকল্পনার সুবিধাও মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়েছিল। তার সুফল দেখা দিয়েছিল। এ দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে শুরু করেছিল। এখন আর বেতার-টিভিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বা পরিবার পরিকল্পনার কথা শুনিই না বললে চলে।’ লেখকের এই বক্তব্য বাস্তবভিত্তিক নয়।
কিন্তু প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, বাংলাদেশ বেতারের জনসংখ্যা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেল থেকে প্রতিদিন ১১০ মিনিটের অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। নিয়মিতভাবে ঢাকার ক ও খ চ্যানেল থেকে প্রচারিত এসব অনুষ্ঠানের নাম হলো সুখের ঠিকানা, স্বাস্থ্যই সুখের মূল, এসো গড়ি ছোট পরিবার, সুখী সংসার, এসো গড়ি সুখের ঘর এবং জনজীবন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে ১১টি কেন্দ্র থেকে নিয়মিত অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে।
মো. আবদুল হক
পরিচালক, বাংলাদেশ বেতার।

No comments

Powered by Blogger.