আবহাওয়া-বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

কাঠফাটা রোদ ছড়িয়ে বিদায় নিল বৈশাখ। গতকাল ছিল বৈশাখের শেষ দিন। নতুন বছরের প্রথম মাসের এই শেষ দিনটিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে দাবদাহ। এর মধ্যে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এখন চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। খুলনা বিভাগে মাঝারি আর টাঙ্গাইল ও ফরিদপুরে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।


ফলে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তিই সবচেয়ে বেশি। গতকাল ছিল এ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন। চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৬, ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৮ এবং দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আর গতকাল রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগ বলছে, আগামী দু-এক দিন এই দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের বেশ কিছু স্থানে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, মে মাসের এই সময়টাতে এ ধরনের উত্তাপ স্বাভাবিক। এপ্রিল ও মে মাস হচ্ছে আবহাওয়ার স্বাভাবিক নিয়মে সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস। এই সময়টাতে সূর্য দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে লম্বভাবে কিরণ দেয়। সূর্যের আলো বেশি সময়জুড়ে মাথার ওপরে থাকে। ফলে উত্তাপ বেশি অনুভূত হয়। বৃষ্টি কম হওয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ফলে এই সময়টাতে গরমের অনুভূতিও বেড়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হলেও তা অল্প সময়ের জন্য হয়েছে। ফলে তাপমাত্রা কমছে না। এই পরিস্থিতি আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দাবদাহ চলাকালে বেশি করে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, এতে শরীর থেকে যে পানি বের হয়ে যায় তা পূরণ হয়। পানিশূন্যতার আশঙ্কা কমে যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, দাবদাহ চলাকালে বেশি করে লবণযুক্ত পানি খেতে হবে। শরীরে যাতে বাতাসের প্রবাহ থাকে ও তাপ না জমে, সে জন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.