মানবতার সেবায় বসুন্ধরা চেয়ারম্যান
'মেঘ'-এর মনের আকাশে স্বপ্নঘুড়ি ওড়ে। একদিন হঠাৎ কালবৈশাখী তছনছ করে দেয় সব। অজ্ঞাতপরিচয় ঘাতকরা বাড়িতে এসে খুন করে যায় তার মা-বাবাকে। স্বপ্নঘুড়িটা মুহূর্তে ছিঁড়ে গেলে ছোট্ট মেঘের জীবনরাজ্যে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার।
এই অন্ধকারে একটু হলেও আলোর দিশা দেখাতে চায় দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত দেশের বৃহত্তম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। গতকাল সোমবার বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির একমাত্র সন্তান মেঘের জন্য ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই টাকা মেঘের নামে সুবিধাজনক কোনো একটি ব্যাংকে ফিঁক্সড ডিপোজিট করা হবে আর সেটার মুনাফা মাসে মাসে মেঘের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে তার প্রয়োজনীয় খরচ বহনের জন্য।
একই সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আরো পাঁচটি অসহায় পরিবারকে মোট ৯ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে গত শুক্রবার ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ডেইলি ইনডিপেনডেন্ট-এর সিনিয়র রিপোর্টার বিভাষচন্দ্র সাহার পরিবারকে দুই লাখ টাকা; একই দিন ঢাকায় আরেক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক মতবাদ-এর ফটো সাংবাদিক শহীদুজ্জামান টিটুর পরিবারকে দুই লাখ; সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুর এলাকায় একজন নারীকে ছিনতাইকারীর কবল থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হজরত আলীর পরিবারকে দুই লাখ; হরতালের আগের রাতে একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুড়ে মারা যাওয়া বাসচালক বদর আলীর পরিবারকে দুই লাখ এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের কর্মচারী সোহেলকে এক লাখ টাকা দেওয়া হবে। এই ছয় পরিবারের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান গতকাল মোট ২৪ লাখ টাকার সহায়তা ঘোষণা করেন। আগামী শনিবার সকাল ১১টায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স হলে এ অর্থ হস্তান্তর করা হবে।
এই ঘোষণা আসে গতকাল সোমবার বারিধারায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত বসুন্ধরা গ্রুপের করপোরেট অফিসে বসুন্ধরার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালনাধীন তিনটি সংবাদপত্র ও একটি ওয়েব নিউজ এজেন্সির সিনিয়র সাংবাদিকদের এক বৈঠক থেকে। বৈঠকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, 'বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময়ই আর্ত ও বিপন্ন মানুষের পাশে থাকবে। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেই আমরা সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির শিশুসন্তানসহ অসহায় ছয়টি পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।'
সাংবাদিক সাগর-রুনির ছয় বছর বয়সী ছেলে মেঘের বিপন্নতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, 'এই মর্মান্তিক ঘটনাটি আমাদের নাড়া দিয়েছে। আমরা এই শিশুটির পাশে দাঁড়াতে চাই।' তিনি বলেন, 'মেঘের জন্য আমি ১৫ লাখ টাকা দিচ্ছি। এই টাকা ব্যাংকে ফিঁক্সড ডিপোজিট করা হবে। সেখান থেকে মেঘ মাসে মাসে প্রায় ১৫ হাজার টাকা করে পাবে। মেঘ যখন ২০-২২ বছরে পা দেবে, তখন সে পুরো টাকাটাই তুলতে পারবে।'
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, 'এর আগে আমরা প্রয়াত সাংবাদিক পথিক সাহা, দীনেশ দাস ও নেওয়াজুল বারীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব আমরা নিয়েছি।'
উল্লেখ্য, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক দীনেশ দাসের পরিবারকে ১০ লাখ ও প্রয়াত সাংবাদিক পথিক সাহার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা সহায়তা দেন। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক নিখিল ভদ্রকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা বাবদ ৩৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। আর প্রয়াত নেওয়াজুল বারীর পরিবারকে ১০ বছর পর্যন্ত তাঁর বেতনের সমপরিমাণ টাকা দেওয়ার ঘোষণাও আছে। সেই টাকা নিয়মিত পাচ্ছে পরিবারটি।
গতকালের বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব মোর্শেদ হাসান, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন, দ্য ডেইলি সান-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জামিলুর রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, ডেইলি সান-এর জয়েন্ট এডিটর শাহনূর ওয়াহিদ, কালের কণ্ঠের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের কনসালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহার, কালের কণ্ঠের নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং) বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজ্ঞাপন উপদেষ্টা খন্দকার কামরুল হক শামিম প্রমুখ।
২৪ লাখ টাকার সহায়তা ঘোষণা
একই সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আরো পাঁচটি অসহায় পরিবারকে মোট ৯ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে গত শুক্রবার ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ডেইলি ইনডিপেনডেন্ট-এর সিনিয়র রিপোর্টার বিভাষচন্দ্র সাহার পরিবারকে দুই লাখ টাকা; একই দিন ঢাকায় আরেক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক মতবাদ-এর ফটো সাংবাদিক শহীদুজ্জামান টিটুর পরিবারকে দুই লাখ; সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুর এলাকায় একজন নারীকে ছিনতাইকারীর কবল থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হজরত আলীর পরিবারকে দুই লাখ; হরতালের আগের রাতে একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুড়ে মারা যাওয়া বাসচালক বদর আলীর পরিবারকে দুই লাখ এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের কর্মচারী সোহেলকে এক লাখ টাকা দেওয়া হবে। এই ছয় পরিবারের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান গতকাল মোট ২৪ লাখ টাকার সহায়তা ঘোষণা করেন। আগামী শনিবার সকাল ১১টায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স হলে এ অর্থ হস্তান্তর করা হবে।
এই ঘোষণা আসে গতকাল সোমবার বারিধারায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত বসুন্ধরা গ্রুপের করপোরেট অফিসে বসুন্ধরার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালনাধীন তিনটি সংবাদপত্র ও একটি ওয়েব নিউজ এজেন্সির সিনিয়র সাংবাদিকদের এক বৈঠক থেকে। বৈঠকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, 'বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময়ই আর্ত ও বিপন্ন মানুষের পাশে থাকবে। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেই আমরা সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির শিশুসন্তানসহ অসহায় ছয়টি পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।'
সাংবাদিক সাগর-রুনির ছয় বছর বয়সী ছেলে মেঘের বিপন্নতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, 'এই মর্মান্তিক ঘটনাটি আমাদের নাড়া দিয়েছে। আমরা এই শিশুটির পাশে দাঁড়াতে চাই।' তিনি বলেন, 'মেঘের জন্য আমি ১৫ লাখ টাকা দিচ্ছি। এই টাকা ব্যাংকে ফিঁক্সড ডিপোজিট করা হবে। সেখান থেকে মেঘ মাসে মাসে প্রায় ১৫ হাজার টাকা করে পাবে। মেঘ যখন ২০-২২ বছরে পা দেবে, তখন সে পুরো টাকাটাই তুলতে পারবে।'
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, 'এর আগে আমরা প্রয়াত সাংবাদিক পথিক সাহা, দীনেশ দাস ও নেওয়াজুল বারীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব আমরা নিয়েছি।'
উল্লেখ্য, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক দীনেশ দাসের পরিবারকে ১০ লাখ ও প্রয়াত সাংবাদিক পথিক সাহার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা সহায়তা দেন। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক নিখিল ভদ্রকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা বাবদ ৩৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। আর প্রয়াত নেওয়াজুল বারীর পরিবারকে ১০ বছর পর্যন্ত তাঁর বেতনের সমপরিমাণ টাকা দেওয়ার ঘোষণাও আছে। সেই টাকা নিয়মিত পাচ্ছে পরিবারটি।
গতকালের বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব মোর্শেদ হাসান, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন, দ্য ডেইলি সান-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জামিলুর রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, ডেইলি সান-এর জয়েন্ট এডিটর শাহনূর ওয়াহিদ, কালের কণ্ঠের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের কনসালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহার, কালের কণ্ঠের নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং) বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজ্ঞাপন উপদেষ্টা খন্দকার কামরুল হক শামিম প্রমুখ।
২৪ লাখ টাকার সহায়তা ঘোষণা
No comments