সরকারের আন্তরিকতা দৃশ্যমান হোক-বিদ্যুৎ-সংকট: প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ
ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নানা উদ্যোগ-নির্দেশনার পর জানা গেল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ-সমস্যা সমাধানে দেশবাসীর কাছে সময় চেয়েছেন। এই গুরুতর সমস্যাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ-ক্ষোভ যাতে না বাড়ে, সে জন্য সরকারি, বিরোধী-নির্বিশেষে সব সাংসদের
সহযোগিতা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। এসবের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ-পরিস্থিতির নাজুকতা আরও স্পষ্ট হয়েছে।
জনসাধারণকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো, আরও সময় চাওয়া—প্রধানমন্ত্রীর তরফে যথার্থ বিনয়ের প্রকাশ। জনগণ নিশ্চয়ই ধৈর্য-সহিষ্ণুতা দেখাবে, যেমনটি এত দিন দেখিয়ে এসেছে। তবে আর কতটা সময় ধৈর্য ধরতে হবে, সে সম্পর্কেও একটা স্পষ্ট ধারণা তারা পেতে চাইবে; কারণ এই বিদ্যুৎ-সংকট অনির্দিষ্টকাল ধরে চললে তাদের জীবনজীবিকা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গরিব দেশে গরিব মানুষের অস্তিত্বের মৌলিকতম ক্ষেত্রে সংকট দীর্ঘায়িত হলে স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়ে। অসন্তোষ ইতিমধ্যে কোথাও কোথাও যে ক্ষোভের আকারে প্রকাশিত হচ্ছে না, তা নয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ, বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাও, এমনকি ভাঙচুরের সংবাদও আসছে।
বুধবার ঢাকায় বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো উদ্বোধনকালে দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ-সমস্যা সমাধানের জন্য জনগণকে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি এই সমস্যার সব দায়ভার চাপিয়েছেন বিগত চারদলীয় জোট সরকার ও তার পরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর। এতে কোনো তথ্যগত ভ্রান্তি নেই যে উল্লিখিত দুই সরকারের আমলে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়েনি; সেজন্য তাদের উদ্যোগহীনতাই দায়ী—এই অভিযোগও সত্য। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ‘সাত বছরের জঞ্জাল কীভাবে রাতারাতি পরিষ্কার করা সম্ভব?’
কিন্তু এই জিজ্ঞাসার উত্তর জনসাধারণের কাছে প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না। জনগণ বর্তমান সরকারের উপায়হীনতা উপলব্ধি করে ধৈর্য ধরে দীর্ঘ প্রহর গুনবে—এমন প্রত্যাশাও বাস্তবসম্মত নয়। তারা সমস্যার সমাধান চাইবে, এবং তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কেননা বিদ্যুৎ-সমস্যা এমন এক সমস্যা, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনজীবিকাকে প্রভাবিত করছে। এক বছরের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়—এটা কেউ বোঝে না, তা নয়; কিন্তু এই এক বছরের অর্জন কি সন্তুষ্ট হওয়ার মতো? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস প্রয়োজন, কিন্তু গ্যাসের উৎপাদন বাড়েনি। এটি অনেক বড় একটি ইঙ্গিত: নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উত্তোলন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সে জন্য বিদ্যুৎ-উৎপাদন থেমে থাকলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। ব্যাপকভাবে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল না থেকে কয়লাসহ অন্যান্য জ্বালানি ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জনসাধারণকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সায়শ্রী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সরকারি খাতে বিদ্যুতের অপচয় কতটা বন্ধ হয়েছে একই সঙ্গে তা-ও লক্ষ করা দরকার। নগরে ভোরের আলোয় রাস্তায় বাতি জ্বলতে দেখা যায়। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাশ্রয়ী মনোভাব দূরে থাক, মিতব্যয়ী মানসিকতারও প্রকট অভাব। সরকারের প্রতিটি বিভাগ বিদ্যুতের ব্যবহারে মিতব্যয়িতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক, জনগণ নিশ্চয়ই তাদের অনুসরণ করবে। সংকটটির গুরুত্ব উপলব্ধিতে জনসাধারণের দিক থেকে কোনো ঘাটতি আছে বলে মনে হয় না। সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ও কার্যকর উদ্যোগের বাস্তবিক ফল দৃশ্যমান হতে হবে; তবেই জনসাধারণ বুঝবে যে সীমাবদ্ধতা অনেক, তবু বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলার জন্য সরকার আন্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছে।
জনসাধারণকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো, আরও সময় চাওয়া—প্রধানমন্ত্রীর তরফে যথার্থ বিনয়ের প্রকাশ। জনগণ নিশ্চয়ই ধৈর্য-সহিষ্ণুতা দেখাবে, যেমনটি এত দিন দেখিয়ে এসেছে। তবে আর কতটা সময় ধৈর্য ধরতে হবে, সে সম্পর্কেও একটা স্পষ্ট ধারণা তারা পেতে চাইবে; কারণ এই বিদ্যুৎ-সংকট অনির্দিষ্টকাল ধরে চললে তাদের জীবনজীবিকা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গরিব দেশে গরিব মানুষের অস্তিত্বের মৌলিকতম ক্ষেত্রে সংকট দীর্ঘায়িত হলে স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়ে। অসন্তোষ ইতিমধ্যে কোথাও কোথাও যে ক্ষোভের আকারে প্রকাশিত হচ্ছে না, তা নয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ, বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাও, এমনকি ভাঙচুরের সংবাদও আসছে।
বুধবার ঢাকায় বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো উদ্বোধনকালে দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ-সমস্যা সমাধানের জন্য জনগণকে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি এই সমস্যার সব দায়ভার চাপিয়েছেন বিগত চারদলীয় জোট সরকার ও তার পরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর। এতে কোনো তথ্যগত ভ্রান্তি নেই যে উল্লিখিত দুই সরকারের আমলে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়েনি; সেজন্য তাদের উদ্যোগহীনতাই দায়ী—এই অভিযোগও সত্য। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ‘সাত বছরের জঞ্জাল কীভাবে রাতারাতি পরিষ্কার করা সম্ভব?’
কিন্তু এই জিজ্ঞাসার উত্তর জনসাধারণের কাছে প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না। জনগণ বর্তমান সরকারের উপায়হীনতা উপলব্ধি করে ধৈর্য ধরে দীর্ঘ প্রহর গুনবে—এমন প্রত্যাশাও বাস্তবসম্মত নয়। তারা সমস্যার সমাধান চাইবে, এবং তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কেননা বিদ্যুৎ-সমস্যা এমন এক সমস্যা, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনজীবিকাকে প্রভাবিত করছে। এক বছরের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়—এটা কেউ বোঝে না, তা নয়; কিন্তু এই এক বছরের অর্জন কি সন্তুষ্ট হওয়ার মতো? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস প্রয়োজন, কিন্তু গ্যাসের উৎপাদন বাড়েনি। এটি অনেক বড় একটি ইঙ্গিত: নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উত্তোলন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সে জন্য বিদ্যুৎ-উৎপাদন থেমে থাকলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। ব্যাপকভাবে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল না থেকে কয়লাসহ অন্যান্য জ্বালানি ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জনসাধারণকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সায়শ্রী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সরকারি খাতে বিদ্যুতের অপচয় কতটা বন্ধ হয়েছে একই সঙ্গে তা-ও লক্ষ করা দরকার। নগরে ভোরের আলোয় রাস্তায় বাতি জ্বলতে দেখা যায়। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাশ্রয়ী মনোভাব দূরে থাক, মিতব্যয়ী মানসিকতারও প্রকট অভাব। সরকারের প্রতিটি বিভাগ বিদ্যুতের ব্যবহারে মিতব্যয়িতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক, জনগণ নিশ্চয়ই তাদের অনুসরণ করবে। সংকটটির গুরুত্ব উপলব্ধিতে জনসাধারণের দিক থেকে কোনো ঘাটতি আছে বলে মনে হয় না। সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ও কার্যকর উদ্যোগের বাস্তবিক ফল দৃশ্যমান হতে হবে; তবেই জনসাধারণ বুঝবে যে সীমাবদ্ধতা অনেক, তবু বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলার জন্য সরকার আন্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছে।
No comments