আমাদের সমাজ কি নারীর জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠছে?-যৌন নিপীড়নের ব্যাপকতা
যৌন নিপীড়নের ব্যাপকতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়—কোথাও ছাত্রীরা নিরাপদ নয়। বরিশালের নিশিকান্ত গাইল গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিপীড়নের শিকার হয়ে ছাত্রীনিবাস ছাড়ছে মেয়েরা। গত বুধবারের প্রথম আলোয় দেখা যাচ্ছে, কলেজের অফিস সহকারী কাম নৈশপ্রহরী দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীনিবাসের
অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন করে আসছেন। কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও রয়েছে একই রকম অভিযোগ। অথচ তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পরও শাস্তি তো দূরের কথা, স্বয়ং অধ্যক্ষ উল্টো সেই নৈশপ্রহরীর বাড়ি গিয়ে তাঁর স্বাক্ষর নিয়ে নিয়মিত বেতন-ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। সর্বোচ্চ পদের অধ্যক্ষ এবং সর্বনিম্ন পদের নৈশপ্রহরীর এই ঐক্য দুর্বলের বিরুদ্ধে সবলেরই ঐক্য। এর সামনে ছাত্রীদের ও তাদের অভিভাবকের অসহায়ত্ব সমগ্র সমাজের জন্যই যন্ত্রণাদায়ক।
সম্প্রতি যেভাবে সর্বত্র যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে, তাতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হওয়ার আছে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণের একটি ঘটনা সংবাদমাধ্যমে এসেছে। অবিরত এমন ঘটনা ঘটার ফলে প্রশ্ন ওঠে, সমাজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো কি নারীদের জন্য চূড়ান্ত অনিরাপদ হয়ে উঠছে? এসব ঘটনার আলোকেই গত কয়েক বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা ও অভিযোগ সেল গঠনের দাবিটি উচ্চকিত হয়ে উঠেছিল। উচ্চ আদালতও উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে এটি কেন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না, সে ব্যাপারে রুল জারি করেছিলেন। কিন্তু কার্যত প্রতিকারের ব্যবস্থা নয়, বরং নির্যাতনই ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরিভাবে সর্বস্তরে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা ও অভিযোগকেন্দ্র স্থাপন করা দরকার। প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তির পাশাপাশি এসব ঘটনার বিচার যাতে আদালতে হয়, সে জন্য সবার আগে প্রয়োজন পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্যোগ। দেখা যায়, সরকারি দল এবং প্রশাসনের প্রশ্রয়েই নিপীড়কেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাই সবার আগে এদের ক্ষমতার শেকড় কেটে দিতে হবে।
সত্য যে পুরুষ মাত্রই নারীর যৌন নিপীড়ক নন। তাহলেও প্রায়ই অনেক স্বামী, অনেক শিক্ষক, অনেক ছাত্র, অনেক কর্মকর্তা, অনেক সন্ত্রাসী, অনেক প্রশাসক, অনেক অভিভাবক তথা অনেক পুরুষ সীমা লঙ্ঘন করেন। সীমা লঙ্ঘনের বিহিত একমাত্র কঠোর শাস্তি। বরিশালের ঘটনাই কেবল নয়, যৌন নির্যাতকেরা কোথাও যাতে রেহাই না পায়, সেটাকে জাতীয়ভাবে নিশ্চিত করার দায়িত্ব এখন সরকারের।
সম্প্রতি যেভাবে সর্বত্র যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে, তাতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হওয়ার আছে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণের একটি ঘটনা সংবাদমাধ্যমে এসেছে। অবিরত এমন ঘটনা ঘটার ফলে প্রশ্ন ওঠে, সমাজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো কি নারীদের জন্য চূড়ান্ত অনিরাপদ হয়ে উঠছে? এসব ঘটনার আলোকেই গত কয়েক বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা ও অভিযোগ সেল গঠনের দাবিটি উচ্চকিত হয়ে উঠেছিল। উচ্চ আদালতও উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে এটি কেন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না, সে ব্যাপারে রুল জারি করেছিলেন। কিন্তু কার্যত প্রতিকারের ব্যবস্থা নয়, বরং নির্যাতনই ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরিভাবে সর্বস্তরে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা ও অভিযোগকেন্দ্র স্থাপন করা দরকার। প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তির পাশাপাশি এসব ঘটনার বিচার যাতে আদালতে হয়, সে জন্য সবার আগে প্রয়োজন পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্যোগ। দেখা যায়, সরকারি দল এবং প্রশাসনের প্রশ্রয়েই নিপীড়কেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাই সবার আগে এদের ক্ষমতার শেকড় কেটে দিতে হবে।
সত্য যে পুরুষ মাত্রই নারীর যৌন নিপীড়ক নন। তাহলেও প্রায়ই অনেক স্বামী, অনেক শিক্ষক, অনেক ছাত্র, অনেক কর্মকর্তা, অনেক সন্ত্রাসী, অনেক প্রশাসক, অনেক অভিভাবক তথা অনেক পুরুষ সীমা লঙ্ঘন করেন। সীমা লঙ্ঘনের বিহিত একমাত্র কঠোর শাস্তি। বরিশালের ঘটনাই কেবল নয়, যৌন নির্যাতকেরা কোথাও যাতে রেহাই না পায়, সেটাকে জাতীয়ভাবে নিশ্চিত করার দায়িত্ব এখন সরকারের।
No comments