কমিউনিটি রেডিও by সাজ্জাদ হোসেন রিজু
কমিউনিটি রেডিও হচ্ছে এমন একটি রেডিও স্টেশন যা একটি নির্দিষ্ট এলাকায় স্থাপিত, ওই এলাকার জনসাধারণ কর্তৃক পরিচালিত এবং ওই এলাকার ভাষায় সম্প্রচারিত। এ ধরনের রেডিও স্টেশনের অনুষ্ঠানমালার প্রধান উপাদান হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট এলাকার উন্নয়নমূলক বিভিন্ন ধরনের তথ্য, এলাকার বিভিন্ন সমস্যা, সেগুলো সমাধানের উপায়
ইত্যাদি। ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ সরকার কমিউনিটি রেডিও পরিচালনা সম্পর্কিত একটি গেজেট প্রকাশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৪টি সংস্থা কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারের জন্য অনুমোদন পেলেও আমরা আজ পর্যন্ত এর সরাসরি সুবিধা ভোগ করতে পারিনি। কমিউনিটি রেডিও কীভাবে একটি জনজীবনকে আধুনিক করে তুলতে পারে তা দেখা যাক।
কমিউনিটি রেডিও শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম। এর মাধ্যমে দূরশিক্ষণের সুযোগ তৈরি হতে পারে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরাসহ সব শিক্ষার্থী এ থেকে উপকার পাবে। শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা খাতে খরচ কমে আসবে। কৃষিক্ষেত্রে কমিউনিটি রেডিওর ব্যবহার এই খাতে বৈপল্গবিক উন্নয়ন আনতে সক্ষম। ভালো বীজ, সার ইত্যাদি কোথায় পাওয়া যাবে, দাম কত হবে, কার কাছে পাওয়া যাবে, কীভাবে তা সংগ্রহ করতে হবে ইত্যাদি তথ্য কমিউনিটি রেডিওতে প্রচারের জন্য অগ্রাধিকার পাবে। ফলে তা অবশ্যই একজন কৃষকের কৃষি সম্পর্কিত তথ্যের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। একজন কৃষক চাইলে তার উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্যের বিজ্ঞাপনও রেডিওতে প্রচার করতে পারেন। এতে করে ক্রেতা সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তা সংগ্রহ করতে পারবে, ফলে মধ্যস্থ কারবারীকে এড়ানো সম্ভব হবে এবং ক্রেতা-বিক্রেতা দু'জনই লাভবান হবে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও এর ফলপ্রসূ ব্যবহার সম্ভব। স্থানীয়ভাবে কোনো রোগের সংক্রমণ ঘটলে তা প্রতিরোধের প্রয়োজনীয় তথ্য সাধারণত জাতীয় গণমাধ্যমে প্রয়োজনমতো পাওয়া সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম হচ্ছে কমিউনিটি রেডিও। প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে কমিউনিটি রেডিও একটি সফল পরীক্ষিত মাধ্যম। দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার খবর দ্রুত জনগণকে জানানোর জন্য কমিউনিটি রেডিওর কোনো বিকল্প নেই। ২০০৭ সালে সিডর বা ২০০৯ সালের আইলার সময়ে কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচার থাকলে ক্ষয়ক্ষতি এত ব্যাপক পর্যায়ে যেত না। এ ছাড়া বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য কমিউনিটি রেডিও চালু করা যেতে পারে। যেমন_ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় জেলে সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য, শিশুদের জন্য, দূরশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে কমিউনিটি রেডিওর ব্যবহার যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
বর্তমান সরকার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়তে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে প্রথমেই প্রয়োজন গ্রামের সঙ্গে শহরের ব্যবধান কমিয়ে আনা। গ্রামীণ জনজীবনকে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনতে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এগুলোর আরও সহজ ও আধুনিক রূপ হতে পারে কমিউনিটি রেডিও। সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব কমিউনিটি রেডিওর সম্প্রচার শুরু করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা।
মহিলা কলেজপাড়া, ঝিনাইদহ
sazzaddx@yahoo.com
কমিউনিটি রেডিও শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম। এর মাধ্যমে দূরশিক্ষণের সুযোগ তৈরি হতে পারে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরাসহ সব শিক্ষার্থী এ থেকে উপকার পাবে। শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা খাতে খরচ কমে আসবে। কৃষিক্ষেত্রে কমিউনিটি রেডিওর ব্যবহার এই খাতে বৈপল্গবিক উন্নয়ন আনতে সক্ষম। ভালো বীজ, সার ইত্যাদি কোথায় পাওয়া যাবে, দাম কত হবে, কার কাছে পাওয়া যাবে, কীভাবে তা সংগ্রহ করতে হবে ইত্যাদি তথ্য কমিউনিটি রেডিওতে প্রচারের জন্য অগ্রাধিকার পাবে। ফলে তা অবশ্যই একজন কৃষকের কৃষি সম্পর্কিত তথ্যের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। একজন কৃষক চাইলে তার উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্যের বিজ্ঞাপনও রেডিওতে প্রচার করতে পারেন। এতে করে ক্রেতা সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তা সংগ্রহ করতে পারবে, ফলে মধ্যস্থ কারবারীকে এড়ানো সম্ভব হবে এবং ক্রেতা-বিক্রেতা দু'জনই লাভবান হবে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও এর ফলপ্রসূ ব্যবহার সম্ভব। স্থানীয়ভাবে কোনো রোগের সংক্রমণ ঘটলে তা প্রতিরোধের প্রয়োজনীয় তথ্য সাধারণত জাতীয় গণমাধ্যমে প্রয়োজনমতো পাওয়া সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম হচ্ছে কমিউনিটি রেডিও। প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে কমিউনিটি রেডিও একটি সফল পরীক্ষিত মাধ্যম। দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার খবর দ্রুত জনগণকে জানানোর জন্য কমিউনিটি রেডিওর কোনো বিকল্প নেই। ২০০৭ সালে সিডর বা ২০০৯ সালের আইলার সময়ে কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচার থাকলে ক্ষয়ক্ষতি এত ব্যাপক পর্যায়ে যেত না। এ ছাড়া বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য কমিউনিটি রেডিও চালু করা যেতে পারে। যেমন_ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় জেলে সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য, শিশুদের জন্য, দূরশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে কমিউনিটি রেডিওর ব্যবহার যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
বর্তমান সরকার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়তে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে প্রথমেই প্রয়োজন গ্রামের সঙ্গে শহরের ব্যবধান কমিয়ে আনা। গ্রামীণ জনজীবনকে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনতে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এগুলোর আরও সহজ ও আধুনিক রূপ হতে পারে কমিউনিটি রেডিও। সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব কমিউনিটি রেডিওর সম্প্রচার শুরু করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা।
মহিলা কলেজপাড়া, ঝিনাইদহ
sazzaddx@yahoo.com
No comments