সদস্যপদ রক্ষার জন্য যাওয়ার রীতি পরিহার করুন-সংসদ ও বিরোধী দল
চারদলীয় জোটের সাংসদেরা এ মাসেই সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন। মনে হতে পারে, এটি একটি সুসংবাদ। কিন্তু আমাদের শঙ্কা, এটি কোনো সুসংবাদ হবে না। তাঁরা সংসদে যোগ দেবেন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় সংসদে নিজেদের দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে নয়, সংসদ সদস্যপদ রক্ষা করার অবশ্যম্ভাবী তাগিদে।
নবম জাতীয় সংসদের গত দুই বছরের কার্যকালে বিরোধী চারদলীয় জোটের সাংসদদের অংশগ্রহণ যারপরনাই হতাশাব্যঞ্জক। সংসদ অধিবেশনে টানা অনুপস্থিতির কারণে চারদলীয় জোটের চারজনের সংসদ সদস্যপদ শূন্য হয়ে যাবে এ মাসেই। একই কারণে আগামী মাসে শূন্য হবে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াসহ আরও ৩৫ জনের। এ কারণেই এখন তাঁদের হুঁশ ফিরেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে: সংসদ সদস্যপদ রক্ষা করতে এখন অধিবেশনে যোগ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। যদিও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক বলেছেন, সংসদে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটের অন্যরা বলছেন, এ বিষয়ে সবকিছু নির্ভর করছে বিএনপির চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তের ওপর। তাঁরা আশা করছেন, খালেদা জিয়া এখন ‘সময়োচিত’ সিদ্ধান্ত নেবেন।
চারদলীয় জোটের সাংসদদের এখন সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবশ্যই ‘সময়োচিত’ হবে। কিন্তু এর লক্ষ্য যদি হয় নিছকই সদস্যপদ রক্ষা করা, তাহলে তা হবে জাতির জন্য দুঃখজনক, আর তাঁদের নিজেদের জন্য লজ্জাজনক। কারণ জনগণ তাঁদের নির্বাচন করেছে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে জাতীয় নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলোতে, আইন প্রণয়নে, সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে ভূমিকা পালনের জন্য। এটা তাঁদের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব তাঁরা অগ্রাহ্য করতে পারেন না। কিন্তু সব সংসদের কার্যমেয়াদেই আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, নানা অজুহাতে বিরোধী দল সংসদ অধিবেশনে মাসের পর মাস অনুপস্থিত থাকে, কখনো বা ঘোষণা দিয়ে সংসদ বর্জন করে। কিন্তু যখন তাঁদের সদস্যপদ শূন্য হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসে, তখন তাঁরা সদস্যপদ রক্ষার তাগিদে অধিবেশনে যোগ দিয়ে আবার বেরিয়ে যান, আর ফিরে আসেন না। ফলে সংসদ কার্যকর হতে পারছে না, সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি-সংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে না। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার সম্পর্কের পরিবর্তে এমন বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে, যা দেশের অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে থেকেই যাচ্ছে।
বিরোধীদলীয় সাংসদেরা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোতে অংশ নিয়ে জাতীয় বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নিয়মিতভাবে যোগ দিয়েও তাঁদের একই রকম দায়িত্বশীলতার পরিচয় জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত। সংসদে যোগ দেওয়া না-দেওয়াকে সংকীর্ণ দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থতাড়িত রণকৌশল হিসেবে দেখা উচিত নয়। জনগণের দেওয়া ম্যান্ডেটের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সাংসদদের দায়িত্ব পালনের তাগিদ থেকেই নিয়মিতভাবে সংসদে যোগ দেওয়া উচিত।
চারদলীয় জোটের সাংসদদের এখন সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবশ্যই ‘সময়োচিত’ হবে। কিন্তু এর লক্ষ্য যদি হয় নিছকই সদস্যপদ রক্ষা করা, তাহলে তা হবে জাতির জন্য দুঃখজনক, আর তাঁদের নিজেদের জন্য লজ্জাজনক। কারণ জনগণ তাঁদের নির্বাচন করেছে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে জাতীয় নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলোতে, আইন প্রণয়নে, সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে ভূমিকা পালনের জন্য। এটা তাঁদের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব তাঁরা অগ্রাহ্য করতে পারেন না। কিন্তু সব সংসদের কার্যমেয়াদেই আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, নানা অজুহাতে বিরোধী দল সংসদ অধিবেশনে মাসের পর মাস অনুপস্থিত থাকে, কখনো বা ঘোষণা দিয়ে সংসদ বর্জন করে। কিন্তু যখন তাঁদের সদস্যপদ শূন্য হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসে, তখন তাঁরা সদস্যপদ রক্ষার তাগিদে অধিবেশনে যোগ দিয়ে আবার বেরিয়ে যান, আর ফিরে আসেন না। ফলে সংসদ কার্যকর হতে পারছে না, সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি-সংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে না। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার সম্পর্কের পরিবর্তে এমন বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে, যা দেশের অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে থেকেই যাচ্ছে।
বিরোধীদলীয় সাংসদেরা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোতে অংশ নিয়ে জাতীয় বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নিয়মিতভাবে যোগ দিয়েও তাঁদের একই রকম দায়িত্বশীলতার পরিচয় জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত। সংসদে যোগ দেওয়া না-দেওয়াকে সংকীর্ণ দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থতাড়িত রণকৌশল হিসেবে দেখা উচিত নয়। জনগণের দেওয়া ম্যান্ডেটের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সাংসদদের দায়িত্ব পালনের তাগিদ থেকেই নিয়মিতভাবে সংসদে যোগ দেওয়া উচিত।
No comments