শুভ নববর্ষ-ঘুচে যাক জরা, শুচি হোক ধরা
আজ পহেলা বৈশাখ। ১৪১৯ বাংলা সনের প্রথম দিন। 'তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে' উড়িয়ে দিয়ে 'আজি প্রাতে সূর্য ওঠা' সফল হলো। পুব আকাশের নতুন সূর্য জানিয়ে দিল 'ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা সরিয়ে দিয়ে' এসেছে নতুন দিন। এসেছে নতুন সকাল। এসেছে নতুন বছর। সেই নতুন বছরকে বরণ করে নিতেই আজ বর্ণিল আয়োজন।
প্রাণের উচ্ছ্বাসে প্রতিটি বাঙালি আজকের দিনটি বরণ করে নিচ্ছে। পালন করছে নববর্ষ। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাঙালিরা পালন করছে নববর্ষ। সবার মনে আজ একটাই সুর, 'যাক পুরাতন স্মৃতি/যাক ভুলে যাওয়া গীতি,/অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।' নববর্ষ আজ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাঙালির প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব বাংলা নববর্ষ। জীর্ণ-মলিনকে পেছনে ফেলে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার দিন আজ। ঐতিহ্যের হালখাতা খোলার দিন আজ পহেলা বৈশাখ।
পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষ বাঙালির বিজয় পতাকা আকাশে তুলে ধরে। বাঙালির এই বিজয় হচ্ছে সংস্কৃতির বিজয়। এই সাংস্কৃতিক বিজয়ের ফল ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে বাঙালির এই সর্বজনীন উৎসব। আজ সারা দেশে উৎসবের আমেজ। সারা দেশেই আজ 'ঐ নূতনের কেতন ওড়ে'। প্রতিবছরের মতো রাজধানী ঢাকায় আজকের দিনটি শুরু হবে রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এই অনুষ্ঠানটিও এখন বাঙালির ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। ঐতিহ্য এ কারণে যে পাকিস্তানি শাসনামলে নববর্ষ উদ্যাপনকে 'হিন্দুয়ানি' বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরই প্রতিবাদে ১৯৬৭ সালে ছায়ানট রমনার বটমূলে বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করেছিল। পাকিস্তানি শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হাজার হাজার বাঙালি যোগ দিয়েছিল এ উৎসবে। জঙ্গিগোষ্ঠীর বোমা হামলা সত্ত্বেও এর আবেদন কমেনি, বরং উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। আজ রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানেও মানুষের ঢল নামবে। পহেলা বৈশাখের আরেক আকর্ষণ ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে প্রথম যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়েছিল, তাও আজ বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শুধু রমনা বা চারুকলা নয়, রাজধানীজুড়েই আজ থাকবে উৎসবের আমেজ। ধানমণ্ডি লেক বা রবীন্দ্র সরোবরসহ রাজধানী ঢাকার আনাচে-কানাচে নববর্ষ উদ্যাপনের অসংখ্য আয়োজন চোখে পড়ে। রাজধানীর অভিজাত এলাকায়ও নানা আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে নতুন বছরকে। এই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে যাবে সারা দেশে। সারা দেশে বৈশাখ ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। ঢাকার বাইরে অন্যান্য শহর, গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বসবে চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণের মেলা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উদ্যাপন করা হবে হালখাতা উৎসব। এটি বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এ অনুষ্ঠানের ওপরও আঘাত এসেছিল। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের কাছে ঘটানো হয় বোমার বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে নিহত হন ৯ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন মারা যান। রমনার বটমূলে বোমা হামলার মামলায় ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত অনেকে গ্রেপ্তার হয়নি। এ বোমা হামলা মামলার বিচারকাজ চলছে ১১ বছর ধরে। এখন সাক্ষীর অভাবে থমকে যাচ্ছে বিচারপ্রক্রিয়া। মামলার ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি ৩২ জন সাক্ষীর কোনো হদিস পাচ্ছে না পুলিশ।
আজকের এই বিশেষ দিনে সবারই চাওয়া 'মুছে যাক সব গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,/অগ্নিস্নানে দেহে প্রাণে শুচি হোক ধরা।' নববর্ষে আমাদের অগণিত পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আজ সবার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি, 'বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক'। শুভ নববর্ষ।
পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষ বাঙালির বিজয় পতাকা আকাশে তুলে ধরে। বাঙালির এই বিজয় হচ্ছে সংস্কৃতির বিজয়। এই সাংস্কৃতিক বিজয়ের ফল ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে বাঙালির এই সর্বজনীন উৎসব। আজ সারা দেশে উৎসবের আমেজ। সারা দেশেই আজ 'ঐ নূতনের কেতন ওড়ে'। প্রতিবছরের মতো রাজধানী ঢাকায় আজকের দিনটি শুরু হবে রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এই অনুষ্ঠানটিও এখন বাঙালির ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। ঐতিহ্য এ কারণে যে পাকিস্তানি শাসনামলে নববর্ষ উদ্যাপনকে 'হিন্দুয়ানি' বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরই প্রতিবাদে ১৯৬৭ সালে ছায়ানট রমনার বটমূলে বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করেছিল। পাকিস্তানি শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হাজার হাজার বাঙালি যোগ দিয়েছিল এ উৎসবে। জঙ্গিগোষ্ঠীর বোমা হামলা সত্ত্বেও এর আবেদন কমেনি, বরং উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। আজ রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানেও মানুষের ঢল নামবে। পহেলা বৈশাখের আরেক আকর্ষণ ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে প্রথম যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়েছিল, তাও আজ বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শুধু রমনা বা চারুকলা নয়, রাজধানীজুড়েই আজ থাকবে উৎসবের আমেজ। ধানমণ্ডি লেক বা রবীন্দ্র সরোবরসহ রাজধানী ঢাকার আনাচে-কানাচে নববর্ষ উদ্যাপনের অসংখ্য আয়োজন চোখে পড়ে। রাজধানীর অভিজাত এলাকায়ও নানা আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে নতুন বছরকে। এই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে যাবে সারা দেশে। সারা দেশে বৈশাখ ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। ঢাকার বাইরে অন্যান্য শহর, গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বসবে চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণের মেলা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উদ্যাপন করা হবে হালখাতা উৎসব। এটি বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এ অনুষ্ঠানের ওপরও আঘাত এসেছিল। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের কাছে ঘটানো হয় বোমার বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে নিহত হন ৯ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন মারা যান। রমনার বটমূলে বোমা হামলার মামলায় ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত অনেকে গ্রেপ্তার হয়নি। এ বোমা হামলা মামলার বিচারকাজ চলছে ১১ বছর ধরে। এখন সাক্ষীর অভাবে থমকে যাচ্ছে বিচারপ্রক্রিয়া। মামলার ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি ৩২ জন সাক্ষীর কোনো হদিস পাচ্ছে না পুলিশ।
আজকের এই বিশেষ দিনে সবারই চাওয়া 'মুছে যাক সব গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,/অগ্নিস্নানে দেহে প্রাণে শুচি হোক ধরা।' নববর্ষে আমাদের অগণিত পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আজ সবার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি, 'বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক'। শুভ নববর্ষ।
No comments