দেশজুড়ে নববর্ষের আয়োজন
বাংলাদেশের মানুষের, বাঙালির অমলিন আনন্দের দিন আজ শনিবার। অনাবিল উৎসবে মেতে উঠবে জাতি, পুরো দেশ। আজ পহেলা বৈশাখ, ১৪১৯ বঙ্গাব্দ। সরকারি ছুটির দিন। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে শুভেচ্ছা।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রাসহ দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাসাস সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দিনটি পালনে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, রংপুরসহ সারা দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ছায়ানট : পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় আয়োজন রমনার বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতি আয়োজন। ছায়ানটের এ আয়োজন শুরু হবে সকাল সোয়া ৬টায়। আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার। আয়োজনের শুরুতেই থাকবে ভোরের রাগে শাস্ত্রীয় সংগীতের আলাপ। এ ছাড়া দুই ঘণ্টাব্যাপী এ আয়োজনে থাকছে পঞ্চকবির গান, লোকগান ও আবৃত্তি। বর্ষবরণের প্রভাতি এই আয়োজনে অংশ নেওয়া শতাধিক শিল্পীর মধ্যে শিশুশিল্পীদের পরনে থাকবে কমলা রঙের পোশাক। মেয়েরা পরবে লাল-সাদা শাড়ি। ছেলেদের পাঞ্জাবির রং হবে লাল।
মঙ্গল শোভাযাত্রা সকাল ৮টায় শুরু হবে। এবারের প্রতিপাদ্য 'বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয় ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার'। দুটি বিষয়কে তুলে ধরতে শোভাযাত্রায় থাকছে বিশাল আকৃত্রির সাম্পান। শিল্পী শিশির ভট্টাচার্যের ধারণায় তুলে ধরা হবে যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রসঙ্গ। এসবকে রাঙিয়ে তুলতে গত কয়েক দিন বিরামহীন কাজ করেছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সরাচিত্র, মুখোশ, টি-শার্ট, লোকজ মোটিভের টেপা পুতুলসহ বাহারি সব আয়োজন থাকছে বর্ণিল এ শোভাযাত্রায়।
নববর্ষ উপলক্ষে আজ 'হাজারো কণ্ঠে কোটি বাঙালির বর্ষবরণ' শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সুরের ধারা ও চ্যানেল আই। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সবার জন্য উন্মুক্ত এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন হাজারো কণ্ঠশিল্পী।
অন্যান্যবারের মতো এবারও শিশু পার্কের সামনের ভাসানী সড়কে সকাল থেকেই নানা আয়োজনে বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী। সকাল ৭টায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন বরেণ্য শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার।
প্রতিবারের মতো এবারও ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করবে সাংস্কৃতিক জোট। আয়োজনে থাকছে একক ও দলীয় লোকসংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যনাট্য 'মহুয়ার পালা'।
জাতীয় জাদুঘর বৈশাখী পিঠা উৎসব ও কারুশিল্প মেলার আয়োজন করেছে। আজ বিকেল ৫টায় জাদুঘর প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে বাউল সংগীত, পদাবলি যাত্রা 'সোনাই মাধব' এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নববর্ষকে আবাহনের আয়োজন করেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। পহেলা বৈশাখ সকালে ফাউন্ডেশন থেকে বের করা হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। সকাল সাড়ে ১১টায় বসবে বাউল গানের আসর।
মহাখালীর রাওয়া ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে রাওয়া বৈশাখী আনন্দ মেলা ১৪১৯। সকালে নানা আয়োজনের মধ্যে থাকবে বাঙালি অভ্যর্থনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেমন খুশি তেমন সাজো ও আনন্দ মেলা।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শুক্রবার থেকে বনানী মাঠে দুই দিনব্যাপী বেঙ্গল বৈশাখ উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসবের শেষ দিন আজ সকালে থাকবে ঢাকঢোল, স্বাগতিক গান, সরোদ বাদন, আবৃত্তি আর পঞ্চকবির গান। সন্ধ্যায় থাকবে গান, নাচ, বেহুলা-লখিন্দর পালা, সেতার বাদন।
শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ও শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির যৌথ উদ্যোগে আজ উত্তরার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে সকাল ৯টায় শুরু হবে অনুষ্ঠান।
দনিয়া সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে আজ সকাল ৭টায় বর্ণমালা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ-সংলগ্ন প্রধান সড়কে পাঁচজন বংশীবাদকের বংশীবাদন ও ঢোলকের ঢোলবাদন দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের তত্ত্বাবধানে বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা হয়েছে বানর, হাতি, পেঁচা, খরগোশ, বাঘসহ বিশালাকার রাজা-রানি সঙ-ভাঁড়ের রংবেরঙের মুখোশ। অশুভকে বিদায় জানানোর প্রতীক হিসেবে তৈরি হয়েছে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাপ। বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঠের ঘোড়া এবং লক্ষ্মীপেঁচাও থাকছে শোভাযাত্রায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক দ্রাবিড় সৈকত জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার আয়োজন করা হয়েছে বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রাসহ দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাসাস সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দিনটি পালনে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, রংপুরসহ সারা দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ছায়ানট : পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় আয়োজন রমনার বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতি আয়োজন। ছায়ানটের এ আয়োজন শুরু হবে সকাল সোয়া ৬টায়। আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার। আয়োজনের শুরুতেই থাকবে ভোরের রাগে শাস্ত্রীয় সংগীতের আলাপ। এ ছাড়া দুই ঘণ্টাব্যাপী এ আয়োজনে থাকছে পঞ্চকবির গান, লোকগান ও আবৃত্তি। বর্ষবরণের প্রভাতি এই আয়োজনে অংশ নেওয়া শতাধিক শিল্পীর মধ্যে শিশুশিল্পীদের পরনে থাকবে কমলা রঙের পোশাক। মেয়েরা পরবে লাল-সাদা শাড়ি। ছেলেদের পাঞ্জাবির রং হবে লাল।
মঙ্গল শোভাযাত্রা সকাল ৮টায় শুরু হবে। এবারের প্রতিপাদ্য 'বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয় ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার'। দুটি বিষয়কে তুলে ধরতে শোভাযাত্রায় থাকছে বিশাল আকৃত্রির সাম্পান। শিল্পী শিশির ভট্টাচার্যের ধারণায় তুলে ধরা হবে যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রসঙ্গ। এসবকে রাঙিয়ে তুলতে গত কয়েক দিন বিরামহীন কাজ করেছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সরাচিত্র, মুখোশ, টি-শার্ট, লোকজ মোটিভের টেপা পুতুলসহ বাহারি সব আয়োজন থাকছে বর্ণিল এ শোভাযাত্রায়।
নববর্ষ উপলক্ষে আজ 'হাজারো কণ্ঠে কোটি বাঙালির বর্ষবরণ' শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সুরের ধারা ও চ্যানেল আই। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সবার জন্য উন্মুক্ত এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন হাজারো কণ্ঠশিল্পী।
অন্যান্যবারের মতো এবারও শিশু পার্কের সামনের ভাসানী সড়কে সকাল থেকেই নানা আয়োজনে বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী। সকাল ৭টায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন বরেণ্য শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার।
প্রতিবারের মতো এবারও ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করবে সাংস্কৃতিক জোট। আয়োজনে থাকছে একক ও দলীয় লোকসংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যনাট্য 'মহুয়ার পালা'।
জাতীয় জাদুঘর বৈশাখী পিঠা উৎসব ও কারুশিল্প মেলার আয়োজন করেছে। আজ বিকেল ৫টায় জাদুঘর প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে বাউল সংগীত, পদাবলি যাত্রা 'সোনাই মাধব' এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নববর্ষকে আবাহনের আয়োজন করেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। পহেলা বৈশাখ সকালে ফাউন্ডেশন থেকে বের করা হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। সকাল সাড়ে ১১টায় বসবে বাউল গানের আসর।
মহাখালীর রাওয়া ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে রাওয়া বৈশাখী আনন্দ মেলা ১৪১৯। সকালে নানা আয়োজনের মধ্যে থাকবে বাঙালি অভ্যর্থনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেমন খুশি তেমন সাজো ও আনন্দ মেলা।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শুক্রবার থেকে বনানী মাঠে দুই দিনব্যাপী বেঙ্গল বৈশাখ উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসবের শেষ দিন আজ সকালে থাকবে ঢাকঢোল, স্বাগতিক গান, সরোদ বাদন, আবৃত্তি আর পঞ্চকবির গান। সন্ধ্যায় থাকবে গান, নাচ, বেহুলা-লখিন্দর পালা, সেতার বাদন।
শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ও শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির যৌথ উদ্যোগে আজ উত্তরার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে সকাল ৯টায় শুরু হবে অনুষ্ঠান।
দনিয়া সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে আজ সকাল ৭টায় বর্ণমালা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ-সংলগ্ন প্রধান সড়কে পাঁচজন বংশীবাদকের বংশীবাদন ও ঢোলকের ঢোলবাদন দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের তত্ত্বাবধানে বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা হয়েছে বানর, হাতি, পেঁচা, খরগোশ, বাঘসহ বিশালাকার রাজা-রানি সঙ-ভাঁড়ের রংবেরঙের মুখোশ। অশুভকে বিদায় জানানোর প্রতীক হিসেবে তৈরি হয়েছে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাপ। বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঠের ঘোড়া এবং লক্ষ্মীপেঁচাও থাকছে শোভাযাত্রায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক দ্রাবিড় সৈকত জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার আয়োজন করা হয়েছে বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা।
No comments