জয় হলো ক্রিকেটের
২০১১ সালের ২ এপ্রিল রাতটি ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণোজ্জ্বল হয়ে থাকবে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে ক্রিকেট স্টেডিয়াম ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ারই অপেক্ষা করছিল। এক মাসের বেশি সময়ের টান টান উত্তেজনা আর নানা রকম হিসাবের অবসান ঘটল ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে। অভিনন্দন ভারতকে। অভিনন্দন রানার্সআপ শ্রীলঙ্কাকেও।
একই সঙ্গে অভিনন্দন আইসিসির সবাইকে। এই গর্বিত অধ্যায়ের আমরাও অংশীদার। এবারের বিশ্বকাপ আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশ। বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের যে চোখ জুড়ানো আয়োজন ছিল তা বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
এবারের বিশ্বকাপ শুধু অধিক আনন্দময়ই ছিল না, সব আয়োজনও ছিল নিখুঁত। স্পট ফিঙ্ংি, ডোপ কেলেঙ্কারিসহ নেতিবাচক কোনো কিছুরই বিষবাষ্প ছিল না। উপমহাদেশের অসাধারণ নির্মল দর্শক উন্মাদনা এ আয়োজনকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করে তুলেছিল। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের চিরবৈরী দুটি দেশ ভারত ও পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের শীতল সম্পর্কে ব্যাপক উষ্ণতার তাপ লেগেছে। মাঠে-গ্যালারি-কূটনীতি-রাজনীতিতে এরই ইতিবাচক প্রভাব জ্বল জ্বল করেছে। সৌহার্দ্য-মৈত্রী-সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হয়েছে। বর্তমান অস্থিতিশীল বিশ্বে এই প্রাপ্তি অনেকখানি এবং উপমহাদেশের জন্য সুবার্তাও বটে। আমরা মনে করি, এখানেই ক্রিকেটের বড় জয় হয়েছে। এখানেই ক্রিকেট বিভেদের প্রাচীর তুলে দিয়ে নতুন আশার সেতু গড়ে দিয়েছে। মোহালিতে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে পাকিস্তান হারলেও জয়ী হয়েছে শান্তি-সখ্য। ক্রিকেট আনন্দের পাশাপাশি এ-ও বিজয়ের স্মারক হয়েই থাকবে। বিশ্বব্যাপী ভারতের যে মুম্বাই বাণিজ্যনগর হিসেবে খ্যাত, সেখানে ২ এপ্রিল অনেক আবেগঘন বিচিত্র দৃশ্য বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে, আবার অনেকেই সরাসরি গ্যালারিতে বসে। সাধারণের কাতারে নেমে এসেছিলেন বিশ্বের অনেক খ্যাতিমান ও বরেণ্যজন। এ আনন্দধারায়ও ক্রিকেটেরই জয়।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক অনেকেই। দলনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সহযোদ্ধা ক্রিকেটের বিস্ময়বালক শচীন টেন্ডুলকার, যুবরাজ সিং, জহির খান, গৌতম গম্ভীর, বিরাট কোহলি, বীরেন্দর শেবাগ, হরভজন সিংসহ সবাই নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রেখেই শিরোপা জিতেছেন। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে শচীন রমেশ টেন্ডুলকারেরও। ২৭৫ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমে ৪৮.২ ওভারে ছয়টি উইকেট হাতে রেখে ধোনিবাহিনী যে জয় ছিনিয়ে নিল শক্তিশালী প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে, তা মোটেই সহজ ছিল না। এবারের এই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের যে পারফরম্যান্স পরিলক্ষিত হলো, এর যথাযথ বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে গড়তে দৃঢ়-দৃপ্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। হতাশাকে স্থান দেওয়া যাবে না কোনোভাবেই। আমরা প্রত্যাশা করব, দক্ষিণ এশিয়া তথা সারা বিশ্বে শান্তির নীড় গড়তে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ভবিষ্যতে আরো অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। সব রকম প্রতিকূলতা ডিঙিয়েই শান্তিপ্রিয় মানুষ এগিয়ে যাবে সামনের দিকে। জয় ক্রিকেট।
এবারের বিশ্বকাপ শুধু অধিক আনন্দময়ই ছিল না, সব আয়োজনও ছিল নিখুঁত। স্পট ফিঙ্ংি, ডোপ কেলেঙ্কারিসহ নেতিবাচক কোনো কিছুরই বিষবাষ্প ছিল না। উপমহাদেশের অসাধারণ নির্মল দর্শক উন্মাদনা এ আয়োজনকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করে তুলেছিল। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের চিরবৈরী দুটি দেশ ভারত ও পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের শীতল সম্পর্কে ব্যাপক উষ্ণতার তাপ লেগেছে। মাঠে-গ্যালারি-কূটনীতি-রাজনীতিতে এরই ইতিবাচক প্রভাব জ্বল জ্বল করেছে। সৌহার্দ্য-মৈত্রী-সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হয়েছে। বর্তমান অস্থিতিশীল বিশ্বে এই প্রাপ্তি অনেকখানি এবং উপমহাদেশের জন্য সুবার্তাও বটে। আমরা মনে করি, এখানেই ক্রিকেটের বড় জয় হয়েছে। এখানেই ক্রিকেট বিভেদের প্রাচীর তুলে দিয়ে নতুন আশার সেতু গড়ে দিয়েছে। মোহালিতে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে পাকিস্তান হারলেও জয়ী হয়েছে শান্তি-সখ্য। ক্রিকেট আনন্দের পাশাপাশি এ-ও বিজয়ের স্মারক হয়েই থাকবে। বিশ্বব্যাপী ভারতের যে মুম্বাই বাণিজ্যনগর হিসেবে খ্যাত, সেখানে ২ এপ্রিল অনেক আবেগঘন বিচিত্র দৃশ্য বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে, আবার অনেকেই সরাসরি গ্যালারিতে বসে। সাধারণের কাতারে নেমে এসেছিলেন বিশ্বের অনেক খ্যাতিমান ও বরেণ্যজন। এ আনন্দধারায়ও ক্রিকেটেরই জয়।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক অনেকেই। দলনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সহযোদ্ধা ক্রিকেটের বিস্ময়বালক শচীন টেন্ডুলকার, যুবরাজ সিং, জহির খান, গৌতম গম্ভীর, বিরাট কোহলি, বীরেন্দর শেবাগ, হরভজন সিংসহ সবাই নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রেখেই শিরোপা জিতেছেন। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে শচীন রমেশ টেন্ডুলকারেরও। ২৭৫ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমে ৪৮.২ ওভারে ছয়টি উইকেট হাতে রেখে ধোনিবাহিনী যে জয় ছিনিয়ে নিল শক্তিশালী প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে, তা মোটেই সহজ ছিল না। এবারের এই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের যে পারফরম্যান্স পরিলক্ষিত হলো, এর যথাযথ বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে গড়তে দৃঢ়-দৃপ্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। হতাশাকে স্থান দেওয়া যাবে না কোনোভাবেই। আমরা প্রত্যাশা করব, দক্ষিণ এশিয়া তথা সারা বিশ্বে শান্তির নীড় গড়তে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ভবিষ্যতে আরো অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। সব রকম প্রতিকূলতা ডিঙিয়েই শান্তিপ্রিয় মানুষ এগিয়ে যাবে সামনের দিকে। জয় ক্রিকেট।
No comments