উন্নয়ন সহযোগী প্রকল্প
উচ্চাভিলাষী বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অবকাঠামোগত এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য হলেও অর্থব্যয় ও সামর্থ্য নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। এমনও বলা হয়, এসব বড় প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য এসব প্রকল্প গ্রহণও জরুরি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্পগুলো গ্রহণ করতে গেলে অনেকেই সেগুলোকে উচ্চাভিলাষী বলে অভিহিত করেন। তাঁদের বক্তব্য, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ততটুকুই বিনিয়োগ করা প্রয়োজন, যাতে অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব না পড়ে। আর যদি করতেই হয় তাহলে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির বিষয়টি ভাবতে হবে সর্বাগ্রে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার, কুড়িল-পূর্বাচল ফ্লাইওভার, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবপুর পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার দূরত্বের উড়াল সড়ক, হাতিরঝিল বহুমুখী প্রকল্পের মতো এত বড় উদ্যোগ একই সঙ্গে বাংলাদেশে এর আগে নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। অবকাঠামোগত উন্নয়নে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় সাপেক্ষে এ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা নিয়ে তাই কিছুটা সন্দেহ থেকেই যায়। কারণ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেশির ভাগ অর্থ জোগান দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ জাপানের বর্তমান অবস্থাও ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি সেখানে সংঘটিত সুনামি ও ভূমিকম্প বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা প্রাপ্তিতে কিছুটা হলেও আঘাত করতে পারে বলে কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তবে এ কথাও ঠিক, বাংলাদেশের বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিরসন করতে হলে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রয়োজনের তুলনায় সরু হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই সেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি যানজটের কবলে পড়ছে। এতে মানুষের মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দেশের কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। ফ্লাইওভারগুলোর ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। ঢাকার সব সড়কই যদি দোতলা করা সম্ভব হয় তাহলে রাজধানীর যানজট কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এসব ফ্লাইওভার বাস্তবায়ন করতেই হবে। উচ্চাভিলাষী বলে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে তাকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকারের এগিয়ে যাওয়াই উচিত। বরং ইতিপূর্বে যদি এসব প্রকল্প নেওয়া হতো এবং ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হতো তাহলে হয়তো আজকে এত বড় চাপের মুখে পড়তে হতো না। দেশের অর্থনীতিকে স্বচ্ছন্দ করার প্রয়োজনে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখা খুবই প্রয়োজন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার, কুড়িল-পূর্বাচল ফ্লাইওভার, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবপুর পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার দূরত্বের উড়াল সড়ক, হাতিরঝিল বহুমুখী প্রকল্পের মতো এত বড় উদ্যোগ একই সঙ্গে বাংলাদেশে এর আগে নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। অবকাঠামোগত উন্নয়নে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় সাপেক্ষে এ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা নিয়ে তাই কিছুটা সন্দেহ থেকেই যায়। কারণ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেশির ভাগ অর্থ জোগান দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ জাপানের বর্তমান অবস্থাও ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি সেখানে সংঘটিত সুনামি ও ভূমিকম্প বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা প্রাপ্তিতে কিছুটা হলেও আঘাত করতে পারে বলে কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তবে এ কথাও ঠিক, বাংলাদেশের বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিরসন করতে হলে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রয়োজনের তুলনায় সরু হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই সেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি যানজটের কবলে পড়ছে। এতে মানুষের মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দেশের কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। ফ্লাইওভারগুলোর ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। ঢাকার সব সড়কই যদি দোতলা করা সম্ভব হয় তাহলে রাজধানীর যানজট কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এসব ফ্লাইওভার বাস্তবায়ন করতেই হবে। উচ্চাভিলাষী বলে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে তাকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকারের এগিয়ে যাওয়াই উচিত। বরং ইতিপূর্বে যদি এসব প্রকল্প নেওয়া হতো এবং ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হতো তাহলে হয়তো আজকে এত বড় চাপের মুখে পড়তে হতো না। দেশের অর্থনীতিকে স্বচ্ছন্দ করার প্রয়োজনে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখা খুবই প্রয়োজন।
No comments