ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনো বন্ধু নেইঃ পাওলি
আবার পাওলি! আবারও বোমা ফাটালেন এই বঙ্গ ললনা। ছত্রাকের পর সেই অমোঘ শরীর-বোমা! তার ‘হেট স্টোরি’-র প্রোমো দেখে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে পুরুষ-মনে মনকেমনের ঝড়। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, ‘বিক্রম’ নামটা ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে পাওলির জীবনে...।
সব মিলে আবার তাই নানা প্রশ্ন আর বিতর্কও! 'হেট স্টোরি' রিলিজের ঠিক আগে, কথা বললেন কলকাতার এক দৈনিকের সঙ্গে।
প্রশ্ন: আজকাল নিশ্চয়ই মাঝে মাঝে খুব বিষম-টিষম খাচ্ছেন?
পাওলি: (একটু অবাক হয়ে) কী খাচ্ছি!
প্রশ্ন: বিষম...
পাওলি : না না, কেন? হঠাৎ?
প্রশ্ন: যেভাবে আজকাল আপনার নাম লোকের মুখে মুখে ঘোরাফেরা করছে...
পাওলি: ও আচ্ছা আচ্ছা... বুঝেছি (প্রচণ্ড হাসি), আরে না না, একদম বিষম-টিষম খাচ্ছি না।
প্রশ্ন: সে কী, কেন? আপনি তো এখন দেশ জুড়ে সমস্ত আড্ডার মধ্যমণি। একজন ‘ন্যাশনাল ইমেজ’...
পাওলি: হ্যাঁ, এই ব্যাপারটা আমি বেশ এনজয় করছি। চ্যানেলে চ্যানেলে আমার প্রোমো দেখানো হচ্ছে। দেশ জুড়ে একটা হাইপ উঠেছে...
প্রশ্ন: তা হলে ‘বিক্রম’ নামটা দিন দিন আপনার জীবনে খুব জোরালো হয়ে উঠছে বলুন...
পাওলি: হা...হা...হা...! ভেরি ট্রিকি কোয়েশ্চেন! সত্যি বিক্রম ভাট আর বিবেক (‘হেট স্টোরি’র পরিচালক) আমাকে অসম্ভব হেল্প করেছে। ওরা পুরো আমায় প্রিন্সেসের মতো করে রেখেছিল। একটা নতুন পরিবেশ, নতুন লোকজন, নতুন ভাষা-এগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেয়া খুব একটা সহজ ছিল না। আমি শ্যুটিং শুরু হবার তিন মাস আগে থেকে বম্বে থাকতে শুরু করি। একটা নতুন শহর আমার কাছে। কিন্তু বিক্রম পুরো ব্যাপারটাই খুব সহজ করে দিয়েছিল।
প্রশ্ন: বুঝলাম, আর কলকাতার বিক্রমের কী খবর? পরের মাসেই তো তার সঙ্গে ‘এলার চার অধ্যায়’ রিলিজ...
পাওলি: হ্যাঁ, বিক্রমের এটাই প্রথম ছবি। আর অতীনের রোলটা তো যে কারোর জীবনে একটা ড্রিম রোল। বিক্রম খুব ভালো অভিনয়ও করেছে। ওর জন্য আমার বেস্ট উইশেস থাকল।
প্রশ্ন: আচ্ছা, আপনি কি আজকাল বেশিরভাগ সময় বম্বেতেই থাকতে শুরু করেছেন?
পাওলি: ‘হেট স্টোরি’র প্রোমোশনের জন্য তো এখন আমায় বম্বেতে থাকতেই হচ্ছে। আমাদের জাস্ট সিটি ট্যুর শুরু হয়েছে। আমরা দিল্লি, লৌখনো, আমেদাবাদ, হায়দরাবাদ- সব শহরগুলোতেই একবার করে যাব। ২০ এপ্রিল ছবিটা রিলিজ করবে। তার আগে প্রোমোশনের জন্য খুব ছোটাছুটি করতে হবে।
প্রশ্ন: এত ছোটাছুটির কী আছে! ‘হেট স্টোরি’ তো হিট হয়েই গেছে...সবাই তো বলছে শুধু আপনাকে দেখতেই যাবে...
পাওলি: তাই বুঝি! তবু নিজের প্রথম হিন্দি ছবি তো কোনো রকম রিস্ক নিতে আমি রাজি নই।
প্রশ্ন: আপনি তো বলেন আপনি ইনহিবিশন ফ্রি অ্যাক্টর। সত্যি করে বলুন তো, মা-বাবার সঙ্গে ‘হেট স্টোরি’ দেখতে আপনার একটুও কিন্তু কিন্তু লাগবে না?
পাওলি: এই ‘কিন্তু কিন্তু’ শব্দটাতে আমার আপত্তি আছে। প্রশ্নটা আন্যভাবে করা যায়।
প্রশ্ন: কীভাবে?
পাওলি: আমি কীভাবে পারলাম সেটা জিজ্ঞেস করুন। ‘কিন্তু কিন্তু’ লাগবে কেন? ‘হেট স্টোরি’তে একটি অত্যন্ত সেনসিটিভ গল্প আছে...
প্রশ্ন: কিন্ত পাবলিকের কাছে তো গল্পটাকে ছাপিয়ে পাওলির শরীরী আবেদনটাই বড় হয়ে উঠছে...
পাওলি: আসলে গ্ল্যামার দুনিয়াটা দূর থেকে খুব ইন্টারেস্টিং লাগে। কিন্ত এর পেছনে আমাদের যে কী ভীষণ পরিশ্রম করতে হয়... আমি তো দিল্লিতে শ্যুটিং করতে গিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় প্রায় অজ্ঞান হয়ে যচ্ছিলাম। এগুলো কেউ দেখে না। আর আমি তো বলেছি একজন অভিনেত্রী হিসাবে আমি সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। আর সেই চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে আমি সব কিছু করতে পারি। একজন অভিনেত্রীর কাছে সেটাই তো চ্যালেঞ্জ।
প্রশ্ন: আপনার এই রোগা হওয়াকে টালিউডের অনেক নায়িকাই নাক সিটকেছে...
পাওলি: তাই বুঝি! কী করব বলুন তো। চরিত্রের জন্য যদি রোগা হতে হয় তো আমাকে রোগা হতেই হবে, আবার মোটা হতে হলে মোটা হব। কেন, বিদ্যা ‘ডার্টি পিকচারস’-এর জন্য মোটা হয়নি!
প্রশ্ন: যা দেখছি, ছেলেরা আপনাকে সাপোর্ট করলেও মেয়েরাই আপনার নিন্দে করছে বেশি। কী ব্যাপার বলুন তো, হিংসে?
পাওলি: হা...হা...হা... নো কমেন্টস।
প্রশ্ন: এটাও শোনা যাচ্ছে, বম্বেতে কাজ করার পর আপনার নাকি মেজাজ হঠাৎ খুব বেড়ে গেছে?
পাওলি: আমার! কথা বলে কি তাই মনে হচ্ছে? আমি তো কত দিন কলকাতাতে যাইইনি! আর ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনো বন্ধু নেই, কাকে মেজাজ দেখাব বলুন তো!
প্রশ্ন: হেট স্টোরির মতো আর কোনো অফার আসছে না বম্বে থেকে?
পাওলি: না। আর এলেও আমি করব না। আর একটা হেট স্টোরি করে কী লাভ!
প্রশ্ন: না, আমি ওই রকম সাহসী চরিত্রের কথা বলছি...
পাওলি: সাহসী!! আসলে সাহসটা একটা মাইন্ড সেট। ‘কালবেলা’র মাধবীলতা সাহসী নয়! ‘চার অধ্যায়’-এর এলা সাহসী নয়! সাহস কি শুধু জামাকাপড় খোলাতেই আছে নাকি!!
প্রশ্ন: আচ্ছা বম্বেতে আর কার কার সঙ্গে আলাপ হলো?
পাওলি: অনেকের সঙ্গে। রামগোপাল বর্মা, অনুরাগ কাশ্যপ। আনুরাগ-এর সঙ্গে আমার একটা ছবি করারও কথা হয়েছিল। মধুর (ভান্ডেরকর) আমাকে ওর ‘হিরোইন’-এ নিতে চেয়েছিল। কিন্তু এই ছবিটার সঙ্গে ডেট ক্ল্যাশ করছিল...
প্রশ্ন: তা হলে তো দেখছি কলকাতায় ফেরার চান্স খুব কম...
পাওলি: না না, কলকাতায় ফিরতেই হবে। ঋতব্রতর ‘বসন্ত উৎসব’ আছে, ইন্দ্রনীল ঘোষের ছবিটা আছে... তবে আবার বম্বে ফিরে যেতে হবে।
প্রশ্ন: কেন?
পাওলি: বিক্রম ভাটের নেক্সট ছবিটাও করছি।
প্রশ্ন: তাই নাকি!
পাওলি: হ্যাঁ, ওদের সঙ্গে আমার দুটো ছবির কনট্র্যাক্ট।
প্রশ্ন: তা হলে তো এদিকে আসার চান্স প্রায় নেই...
পাওলি: সত্যি জানি না (হাসি)। জানি শুধু, যেখানেই থাকি আমাদের সকলকে ভালো থাকতে হবে। নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন। সূত্র: ওয়েবসাইট।
প্রশ্ন: আজকাল নিশ্চয়ই মাঝে মাঝে খুব বিষম-টিষম খাচ্ছেন?
পাওলি: (একটু অবাক হয়ে) কী খাচ্ছি!
প্রশ্ন: বিষম...
পাওলি : না না, কেন? হঠাৎ?
প্রশ্ন: যেভাবে আজকাল আপনার নাম লোকের মুখে মুখে ঘোরাফেরা করছে...
পাওলি: ও আচ্ছা আচ্ছা... বুঝেছি (প্রচণ্ড হাসি), আরে না না, একদম বিষম-টিষম খাচ্ছি না।
প্রশ্ন: সে কী, কেন? আপনি তো এখন দেশ জুড়ে সমস্ত আড্ডার মধ্যমণি। একজন ‘ন্যাশনাল ইমেজ’...
পাওলি: হ্যাঁ, এই ব্যাপারটা আমি বেশ এনজয় করছি। চ্যানেলে চ্যানেলে আমার প্রোমো দেখানো হচ্ছে। দেশ জুড়ে একটা হাইপ উঠেছে...
প্রশ্ন: তা হলে ‘বিক্রম’ নামটা দিন দিন আপনার জীবনে খুব জোরালো হয়ে উঠছে বলুন...
পাওলি: হা...হা...হা...! ভেরি ট্রিকি কোয়েশ্চেন! সত্যি বিক্রম ভাট আর বিবেক (‘হেট স্টোরি’র পরিচালক) আমাকে অসম্ভব হেল্প করেছে। ওরা পুরো আমায় প্রিন্সেসের মতো করে রেখেছিল। একটা নতুন পরিবেশ, নতুন লোকজন, নতুন ভাষা-এগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেয়া খুব একটা সহজ ছিল না। আমি শ্যুটিং শুরু হবার তিন মাস আগে থেকে বম্বে থাকতে শুরু করি। একটা নতুন শহর আমার কাছে। কিন্তু বিক্রম পুরো ব্যাপারটাই খুব সহজ করে দিয়েছিল।
প্রশ্ন: বুঝলাম, আর কলকাতার বিক্রমের কী খবর? পরের মাসেই তো তার সঙ্গে ‘এলার চার অধ্যায়’ রিলিজ...
পাওলি: হ্যাঁ, বিক্রমের এটাই প্রথম ছবি। আর অতীনের রোলটা তো যে কারোর জীবনে একটা ড্রিম রোল। বিক্রম খুব ভালো অভিনয়ও করেছে। ওর জন্য আমার বেস্ট উইশেস থাকল।
প্রশ্ন: আচ্ছা, আপনি কি আজকাল বেশিরভাগ সময় বম্বেতেই থাকতে শুরু করেছেন?
পাওলি: ‘হেট স্টোরি’র প্রোমোশনের জন্য তো এখন আমায় বম্বেতে থাকতেই হচ্ছে। আমাদের জাস্ট সিটি ট্যুর শুরু হয়েছে। আমরা দিল্লি, লৌখনো, আমেদাবাদ, হায়দরাবাদ- সব শহরগুলোতেই একবার করে যাব। ২০ এপ্রিল ছবিটা রিলিজ করবে। তার আগে প্রোমোশনের জন্য খুব ছোটাছুটি করতে হবে।
প্রশ্ন: এত ছোটাছুটির কী আছে! ‘হেট স্টোরি’ তো হিট হয়েই গেছে...সবাই তো বলছে শুধু আপনাকে দেখতেই যাবে...
পাওলি: তাই বুঝি! তবু নিজের প্রথম হিন্দি ছবি তো কোনো রকম রিস্ক নিতে আমি রাজি নই।
প্রশ্ন: আপনি তো বলেন আপনি ইনহিবিশন ফ্রি অ্যাক্টর। সত্যি করে বলুন তো, মা-বাবার সঙ্গে ‘হেট স্টোরি’ দেখতে আপনার একটুও কিন্তু কিন্তু লাগবে না?
পাওলি: এই ‘কিন্তু কিন্তু’ শব্দটাতে আমার আপত্তি আছে। প্রশ্নটা আন্যভাবে করা যায়।
প্রশ্ন: কীভাবে?
পাওলি: আমি কীভাবে পারলাম সেটা জিজ্ঞেস করুন। ‘কিন্তু কিন্তু’ লাগবে কেন? ‘হেট স্টোরি’তে একটি অত্যন্ত সেনসিটিভ গল্প আছে...
প্রশ্ন: কিন্ত পাবলিকের কাছে তো গল্পটাকে ছাপিয়ে পাওলির শরীরী আবেদনটাই বড় হয়ে উঠছে...
পাওলি: আসলে গ্ল্যামার দুনিয়াটা দূর থেকে খুব ইন্টারেস্টিং লাগে। কিন্ত এর পেছনে আমাদের যে কী ভীষণ পরিশ্রম করতে হয়... আমি তো দিল্লিতে শ্যুটিং করতে গিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় প্রায় অজ্ঞান হয়ে যচ্ছিলাম। এগুলো কেউ দেখে না। আর আমি তো বলেছি একজন অভিনেত্রী হিসাবে আমি সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। আর সেই চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে আমি সব কিছু করতে পারি। একজন অভিনেত্রীর কাছে সেটাই তো চ্যালেঞ্জ।
প্রশ্ন: আপনার এই রোগা হওয়াকে টালিউডের অনেক নায়িকাই নাক সিটকেছে...
পাওলি: তাই বুঝি! কী করব বলুন তো। চরিত্রের জন্য যদি রোগা হতে হয় তো আমাকে রোগা হতেই হবে, আবার মোটা হতে হলে মোটা হব। কেন, বিদ্যা ‘ডার্টি পিকচারস’-এর জন্য মোটা হয়নি!
প্রশ্ন: যা দেখছি, ছেলেরা আপনাকে সাপোর্ট করলেও মেয়েরাই আপনার নিন্দে করছে বেশি। কী ব্যাপার বলুন তো, হিংসে?
পাওলি: হা...হা...হা... নো কমেন্টস।
প্রশ্ন: এটাও শোনা যাচ্ছে, বম্বেতে কাজ করার পর আপনার নাকি মেজাজ হঠাৎ খুব বেড়ে গেছে?
পাওলি: আমার! কথা বলে কি তাই মনে হচ্ছে? আমি তো কত দিন কলকাতাতে যাইইনি! আর ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনো বন্ধু নেই, কাকে মেজাজ দেখাব বলুন তো!
প্রশ্ন: হেট স্টোরির মতো আর কোনো অফার আসছে না বম্বে থেকে?
পাওলি: না। আর এলেও আমি করব না। আর একটা হেট স্টোরি করে কী লাভ!
প্রশ্ন: না, আমি ওই রকম সাহসী চরিত্রের কথা বলছি...
পাওলি: সাহসী!! আসলে সাহসটা একটা মাইন্ড সেট। ‘কালবেলা’র মাধবীলতা সাহসী নয়! ‘চার অধ্যায়’-এর এলা সাহসী নয়! সাহস কি শুধু জামাকাপড় খোলাতেই আছে নাকি!!
প্রশ্ন: আচ্ছা বম্বেতে আর কার কার সঙ্গে আলাপ হলো?
পাওলি: অনেকের সঙ্গে। রামগোপাল বর্মা, অনুরাগ কাশ্যপ। আনুরাগ-এর সঙ্গে আমার একটা ছবি করারও কথা হয়েছিল। মধুর (ভান্ডেরকর) আমাকে ওর ‘হিরোইন’-এ নিতে চেয়েছিল। কিন্তু এই ছবিটার সঙ্গে ডেট ক্ল্যাশ করছিল...
প্রশ্ন: তা হলে তো দেখছি কলকাতায় ফেরার চান্স খুব কম...
পাওলি: না না, কলকাতায় ফিরতেই হবে। ঋতব্রতর ‘বসন্ত উৎসব’ আছে, ইন্দ্রনীল ঘোষের ছবিটা আছে... তবে আবার বম্বে ফিরে যেতে হবে।
প্রশ্ন: কেন?
পাওলি: বিক্রম ভাটের নেক্সট ছবিটাও করছি।
প্রশ্ন: তাই নাকি!
পাওলি: হ্যাঁ, ওদের সঙ্গে আমার দুটো ছবির কনট্র্যাক্ট।
প্রশ্ন: তা হলে তো এদিকে আসার চান্স প্রায় নেই...
পাওলি: সত্যি জানি না (হাসি)। জানি শুধু, যেখানেই থাকি আমাদের সকলকে ভালো থাকতে হবে। নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন। সূত্র: ওয়েবসাইট।
No comments