কলকাতার তারকাদের কাছে থার্টি ফার্স্টই প্রধান, নববর্ষ নয়
পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। দোকানে দোকানে হালখাতা। নতুন জামাকাপড় পরা। কব্জি ডুবিয়ে ভরপেট্টা বাঙালি খাবার খাওয়া– বাঙালির ‘খুব চেনা’ সেই পয়লা বৈশাখ কি ক্রমশই স্মৃতিতে ঢুকে পড়ছে? বাংলার নববর্ষ কি কোথাও মার খাচ্ছে ইংরেজি নববর্ষের কাছে? দিন দিন কি পয়লা বৈশাখ স্রেফ আর-পাঁচটা রোববারের মতো হয়ে উঠছে? কী বলছেন টালিউড?
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (অভিনেতা): এই দিনটা নতুন করে আমায় আর বিশেষ টানে না। ছোটবেলার পয়লা বৈশাখগুলোও আজকাল খুব আবছাআবছা মনে পড়ে। মফঃস্বলের ছেলে তো, গাজনের মেলা দেখতে যেতাম। সং সেজে সব বেড়াত। তাই দেখতাম। দিনটা নিয়ে বিশেষ একটা নস্ট্যালজিয়ায় আর ভুগি না। এ বছর তো সারাদিন নাটক করেই কেটে যাবে। গিরীশ মঞ্চে ‘রাজা লিয়ার’ আছে। শো করেই কাটিয়ে দেব।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (অভিনেতা): এ বছর পয়লা বৈশাখ বাড়িতেই কাটাব। ফ্যামিলিকে সময় দেব। এমনিতেই আমি বাঙালি খাবার খেতে দারুণ ভালবাসি। ভাত, ডাল, আলু ভাতে, আলু পোস্ত আমার ফেবারিট। এবারও মেনুতে বাঙালি খাবারই থাকছে। আমি প্রতিদিনই নিজেকে নিজে চ্যালেঞ্জ জানাই। পয়লা বৈশাখ বলে আলাদা করে কিছু রেসোলিউশন আমার নেই। তবে এই বছরটা ছবি পরিচালনা করার কথা ভাবছি।
সৃজিত মুখোপাধ্যায় (পরিচালক): এই দিনটা নিয়ে সত্যি সেভাবে কিছু ভাবিনি। যা ভাবার তা তো বছরের শুরুতেই (পড়ুন ইংরেজি নববর্ষ) ভেবে নিয়েছি। ওই আর কী! আরও নতুন নতুন ছবি বানাতে চাই। নতুন নতুন ছবি দেখতে চাই। আর একটু ছুটি নিতে চাই। কাজের চাপটা বড্ড বেড়ে যাচ্ছে। তবে এ বছর পয়লা বৈশাখে পারপেল মুভি টাউনে কাটাব। কৌশিকদার (গাঙ্গুলি) ল্যাপটপ, আমার হেমলক সোসাইটি ওখানেই শ্যুটিং হয়েছে। কৌশিকদা হোস্ট। সারাদিন খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা মেরেই কেটে যাবে। তবে জে এন ইউ-এর দিনগুলো খুব মিস করি। এই দিন মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গল–এর ফ্যানদের নিয়ে আমাদের একটা ফুটবল ম্যাচ হত। সাত দিন আগে থেকে মোহনবাগানি আর ইস্টবেঙ্গলিরা কেউ কারওর সঙ্গে কথা বলত না। দারুণ মজা হত। তাছাড়া নানা রকম আমরা প্রোগ্রামও করতাম।খুব হইহই করে কাটাতাম।
পাওলি দাম (অভিনেত্রী): এই প্রথম পয়লা বৈশাখে আমি কলকাতায় থাকব না। ‘হেট স্টোরি’-র প্রমোশানের জন্য দেশজুড়ে ছুটে বেড়াতে হবে। মা-বাবাকে খুব মিস করব। আমার বাবার ব্যাবসা। তাই পয়লা বৈশাখটা খুব বড় করে হয়। অনেক আত্মীয়স্বজন আসেন। ভাল ভাল খাওয়া-দাওয়া হয়। দারুণ মজা করে কাটে। কিন্তু এ বছরটা আমি থাকতে পারব না। তাই একটু দুঃখ হচ্ছে।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (অভিনেত্রী): প্রতিবছরই এই দিনটা আমি নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। সেলিব্রেট করার সময়ই পাই না। কোনও কোনও বছর তো আবার কলকাতাতেই থাকি না। লাকিলি এই বছরটা আমি কলকাতায় থাকব। স্বাভাবিকভাবে ফ্যামিলিকেই পুরো সময়টা দেব। আমি তোপসে মাছ ফ্রাই, ডাব চিংড়ি খেতে দারুণ ভালোবাসি। ইচ্ছা আছে এই মেনুগুলোকেই রাখার। আর অবশ্যই নতুন জামাকাপড় পরব।
ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (অভিনেতা): আমি তো কলকাতাতে বড়ই হয়নি। তাই পয়লা বৈশাখ ব্যাপারটা কোনোদিনই সেভাবে ফিল করিনি। এখন বাংলা ছবি করছি বলে কলকাতাতে থাকলেও পয়লা বৈশাখ সেভাবে স্পেশাল হয়ে উঠতে পারেনি আমার কাছে আর পাঁচটা দিনের মতোই। আর আমি এবছরটা মুম্বাইয়ে থাকব। ফিরব ১৮-তে। আর তখন তো সব শেষ।
পার্নো মিত্র (অভিনেত্রী): যা কিছু করব ঠিক করেছি তা ওই ৩১-এর রাতেই। পয়লা বৈশাখ বলে আলাদা করে কিছু ভাবিনি। স্পেশাল কোনও প্ল্যানও নেই। আর পাঁচটা দিনের মতোই কাটাব। পয়লা বৈশাখ নিয়ে আমার কোনও নস্ট্যালজিয়াও নেই।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (অভিনেতা): এ বছর পয়লা বৈশাখ বাড়িতেই কাটাব। ফ্যামিলিকে সময় দেব। এমনিতেই আমি বাঙালি খাবার খেতে দারুণ ভালবাসি। ভাত, ডাল, আলু ভাতে, আলু পোস্ত আমার ফেবারিট। এবারও মেনুতে বাঙালি খাবারই থাকছে। আমি প্রতিদিনই নিজেকে নিজে চ্যালেঞ্জ জানাই। পয়লা বৈশাখ বলে আলাদা করে কিছু রেসোলিউশন আমার নেই। তবে এই বছরটা ছবি পরিচালনা করার কথা ভাবছি।
সৃজিত মুখোপাধ্যায় (পরিচালক): এই দিনটা নিয়ে সত্যি সেভাবে কিছু ভাবিনি। যা ভাবার তা তো বছরের শুরুতেই (পড়ুন ইংরেজি নববর্ষ) ভেবে নিয়েছি। ওই আর কী! আরও নতুন নতুন ছবি বানাতে চাই। নতুন নতুন ছবি দেখতে চাই। আর একটু ছুটি নিতে চাই। কাজের চাপটা বড্ড বেড়ে যাচ্ছে। তবে এ বছর পয়লা বৈশাখে পারপেল মুভি টাউনে কাটাব। কৌশিকদার (গাঙ্গুলি) ল্যাপটপ, আমার হেমলক সোসাইটি ওখানেই শ্যুটিং হয়েছে। কৌশিকদা হোস্ট। সারাদিন খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা মেরেই কেটে যাবে। তবে জে এন ইউ-এর দিনগুলো খুব মিস করি। এই দিন মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গল–এর ফ্যানদের নিয়ে আমাদের একটা ফুটবল ম্যাচ হত। সাত দিন আগে থেকে মোহনবাগানি আর ইস্টবেঙ্গলিরা কেউ কারওর সঙ্গে কথা বলত না। দারুণ মজা হত। তাছাড়া নানা রকম আমরা প্রোগ্রামও করতাম।খুব হইহই করে কাটাতাম।
পাওলি দাম (অভিনেত্রী): এই প্রথম পয়লা বৈশাখে আমি কলকাতায় থাকব না। ‘হেট স্টোরি’-র প্রমোশানের জন্য দেশজুড়ে ছুটে বেড়াতে হবে। মা-বাবাকে খুব মিস করব। আমার বাবার ব্যাবসা। তাই পয়লা বৈশাখটা খুব বড় করে হয়। অনেক আত্মীয়স্বজন আসেন। ভাল ভাল খাওয়া-দাওয়া হয়। দারুণ মজা করে কাটে। কিন্তু এ বছরটা আমি থাকতে পারব না। তাই একটু দুঃখ হচ্ছে।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (অভিনেত্রী): প্রতিবছরই এই দিনটা আমি নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। সেলিব্রেট করার সময়ই পাই না। কোনও কোনও বছর তো আবার কলকাতাতেই থাকি না। লাকিলি এই বছরটা আমি কলকাতায় থাকব। স্বাভাবিকভাবে ফ্যামিলিকেই পুরো সময়টা দেব। আমি তোপসে মাছ ফ্রাই, ডাব চিংড়ি খেতে দারুণ ভালোবাসি। ইচ্ছা আছে এই মেনুগুলোকেই রাখার। আর অবশ্যই নতুন জামাকাপড় পরব।
ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (অভিনেতা): আমি তো কলকাতাতে বড়ই হয়নি। তাই পয়লা বৈশাখ ব্যাপারটা কোনোদিনই সেভাবে ফিল করিনি। এখন বাংলা ছবি করছি বলে কলকাতাতে থাকলেও পয়লা বৈশাখ সেভাবে স্পেশাল হয়ে উঠতে পারেনি আমার কাছে আর পাঁচটা দিনের মতোই। আর আমি এবছরটা মুম্বাইয়ে থাকব। ফিরব ১৮-তে। আর তখন তো সব শেষ।
পার্নো মিত্র (অভিনেত্রী): যা কিছু করব ঠিক করেছি তা ওই ৩১-এর রাতেই। পয়লা বৈশাখ বলে আলাদা করে কিছু ভাবিনি। স্পেশাল কোনও প্ল্যানও নেই। আর পাঁচটা দিনের মতোই কাটাব। পয়লা বৈশাখ নিয়ে আমার কোনও নস্ট্যালজিয়াও নেই।
No comments