অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড! by আনোয়ার হোসেন
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। বয়সে তরুণ, সেটা চেহারাতেই স্পষ্ট। তবে ঠিক কত বয়স, সেটা প্রকাশ করা হয়নি। ধরে নেওয়া হয় যে, তিনি বিশের কোটা অতিক্রম করছেন। বিশ, একুশ, বাইশ... আটাশ, ঊনত্রিশ, যে কোনো বছর বয়সী তিনি হতে পারেন। তিনি কি বিবাহিত?
তার কোনো সন্তান রয়েছে কি, যাকে আমরা দেখতে পাব পরবর্তী নেতা হিসেবে? তার পিতামহ ছিলেন কিম ইল সুং। বাবা কিম জং ইল। তিন প্রজন্ম দেশটি শাসন করছে। পিতামহ ও বাবা ক্ষমতায় বসার পর আমৃত্যু সে দায়িত্বে ছিলেন। তাদের ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা হয়েছিল কি-না সেটা স্পষ্ট নয়। তিনি যদি আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পান, তাহলে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মতো সিংহাসনে আরোহণের সুবর্ণ-হীরক জয়ন্তী পালন করে ফেলতে পারেন। তবে একটি পার্থক্য থেকেই যাবে_ রানী ক্ষমতাহীন, আর তরুণ বয়সেই কিম জং উন তার দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তার দেশ অর্থবিত্তে গরিব, তবে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হুমকি তারা থোরাই পরোয়া করছে। যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপ করলে তারাও করবে। আর তাতে মারা পড়বে লাখ লাখ মানুষ। ধ্বংস হবে জনপদের পর জনপদ।
কিম জং উন ভাষণ দিয়েছেন প্রকাশ্যে। বিবিসিতে এ খবর পরিবেশন করে লুসি উইলিয়ামসন আরও লিখেছেন, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এ তরুণ বক্তব্য রাখার সময় তার পিতামহ ও পিতার সাফল্যের কথা বলেন। জনগণকে আর অভাবে পেটে বেল্ট বেঁধে থাকতে হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কিন্তু সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, তার পিতা প্রায় দেড় যুগ ক্ষমতায় থাকাকালে মাত্র একবার জনসমক্ষে ভাষণ দিয়েছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর গত ডিসেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি প্রকাশ্যে ভাষণ দিলেন। প্যারেডের সময় তাকে দেখা গেছে ব্যালকনির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সামরিক ও অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করছেন। তিনি পিতার মতো ক্ষমতায় থাকার সময় 'মাত্র একবার ভাষণ' প্রদান করেন কি-না সেটা দেখার বিষয়।
উত্তর কোরিয়া সমাজতন্ত্রের কথা বলে। পুঁজিবাদ উচ্ছেদের কথা বলে। তবে 'রাজার ছেলে রাজা হয়'। সেখানে নির্বাচনের বালাই নেই। তার পিতামহকে বলা হতো 'মহান নেতা', পিতাকে 'প্রিয় নেতা'। তিনিও অচিরেই দেশবাসীর কাছ থেকে এ ধরনের কোনো টাইটেল পেয়ে যাবেন তাতে সন্দেহ নেই। তার পিতা ও পিতামহকে নিয়ে স্কুলের শিশুরা গান গায়_ প্রতিদিন আমরা মহান নেতা ও প্রিয় নেতার ছবি দেখি, আহা কী আনন্দ! কী আনন্দ!
নতুন নেতাকে নিয়ে এখন গান রচিত হবে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তিনি দেশের সামরিক শক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। 'মিলিটারি ফার্স্ট' নীতি অনুসরণের অঙ্গীকার করেছেন। দেশটিতে ক্ষুধা-দারিদ্র্য সমস্যা প্রকট। তিনি কি সেটা কাটিয়ে ওঠায় মনোযোগী হবেন? পঞ্চাশের দশকে কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। দেশের এক অংশ দক্ষিণ কোরিয়া এখন সমৃদ্ধ দেশ। বিশ্বে তাদের দারুণ কদর। আসিয়ানের তারা গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রিয় বন্ধু। সেখানে এক সময় সামরিক স্বৈরাচার দাপটে দেশ শাসন করেছে। জনগণের কথা বলার অধিকার ছিল না। সংবাদপত্রের কণ্ঠ ছিল রুদ্ধ। তবে এখন নিয়মিত নির্বাচন হয় এবং এভাবেই ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। উত্তর কোরিয়া কবে এ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে, সেটা অজানা। যেমন অজানা, কিম জং উনের শাসনামলে দারিদ্র্য-চক্র থেকে দেশটি মুক্ত হতে পারবে কি-না।
কিম জং উন ভাষণ দিয়েছেন প্রকাশ্যে। বিবিসিতে এ খবর পরিবেশন করে লুসি উইলিয়ামসন আরও লিখেছেন, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এ তরুণ বক্তব্য রাখার সময় তার পিতামহ ও পিতার সাফল্যের কথা বলেন। জনগণকে আর অভাবে পেটে বেল্ট বেঁধে থাকতে হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কিন্তু সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, তার পিতা প্রায় দেড় যুগ ক্ষমতায় থাকাকালে মাত্র একবার জনসমক্ষে ভাষণ দিয়েছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর গত ডিসেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি প্রকাশ্যে ভাষণ দিলেন। প্যারেডের সময় তাকে দেখা গেছে ব্যালকনির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সামরিক ও অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করছেন। তিনি পিতার মতো ক্ষমতায় থাকার সময় 'মাত্র একবার ভাষণ' প্রদান করেন কি-না সেটা দেখার বিষয়।
উত্তর কোরিয়া সমাজতন্ত্রের কথা বলে। পুঁজিবাদ উচ্ছেদের কথা বলে। তবে 'রাজার ছেলে রাজা হয়'। সেখানে নির্বাচনের বালাই নেই। তার পিতামহকে বলা হতো 'মহান নেতা', পিতাকে 'প্রিয় নেতা'। তিনিও অচিরেই দেশবাসীর কাছ থেকে এ ধরনের কোনো টাইটেল পেয়ে যাবেন তাতে সন্দেহ নেই। তার পিতা ও পিতামহকে নিয়ে স্কুলের শিশুরা গান গায়_ প্রতিদিন আমরা মহান নেতা ও প্রিয় নেতার ছবি দেখি, আহা কী আনন্দ! কী আনন্দ!
নতুন নেতাকে নিয়ে এখন গান রচিত হবে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তিনি দেশের সামরিক শক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। 'মিলিটারি ফার্স্ট' নীতি অনুসরণের অঙ্গীকার করেছেন। দেশটিতে ক্ষুধা-দারিদ্র্য সমস্যা প্রকট। তিনি কি সেটা কাটিয়ে ওঠায় মনোযোগী হবেন? পঞ্চাশের দশকে কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। দেশের এক অংশ দক্ষিণ কোরিয়া এখন সমৃদ্ধ দেশ। বিশ্বে তাদের দারুণ কদর। আসিয়ানের তারা গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রিয় বন্ধু। সেখানে এক সময় সামরিক স্বৈরাচার দাপটে দেশ শাসন করেছে। জনগণের কথা বলার অধিকার ছিল না। সংবাদপত্রের কণ্ঠ ছিল রুদ্ধ। তবে এখন নিয়মিত নির্বাচন হয় এবং এভাবেই ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। উত্তর কোরিয়া কবে এ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে, সেটা অজানা। যেমন অজানা, কিম জং উনের শাসনামলে দারিদ্র্য-চক্র থেকে দেশটি মুক্ত হতে পারবে কি-না।
No comments