চারদিক-মণিপুরিদের অন্য রকম একদিন by মুজিবুর রহমান
বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষায় পরিবেশিত হলো বেশ কয়েকটি গান। গাইলেন মণিপুরি শিল্পীরা। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর মণিপুরি ললিতকলা একাডেমিতে উপস্থিত সহস্রাধিক দর্শক-শ্রোতাকে মুগ্ধ করলেন তাঁরা।
মণিপুরি সম্প্রদায়ের এ ভাষা বুঝতে না পারলেও সুর, তাল ও লয়ে অন্য ভাষার অতিথি আর দর্শক-শ্রোতারাও মুগ্ধ হয়েছিলেন এসব গানে। মণিপুরি ভাষার গান ছিল প্রেমের। স্বদেশপ্রেম, দুঃখ-দুর্দশা ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার, মণিপুরি লোককথা ও নিজস্ব সংস্কৃতি বাঁচানোর কথা নিয়ে। তার সঙ্গে ছিল বাংলা আধুনিক, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি আর দেশের গান। ১৭ ও ১৮ মার্চ মাধবপুরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মণিপুরি সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব ২০১১-তে বিচিত্র অনুষ্ঠানে ছিল গানের আসর।
যুদ্ধ নয়, প্রেমই মানুষের মুক্তি এনে দিতে পারে। ভালোবাসা আর প্রেম মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে। এ বিশ্বাস ধারণ করে মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অংশ নেওয়া পুরুষদের (স্বামীদের) ফিরিয়ে আনতে তাঁদের স্ত্রীদের আকুতি-মিনতি ও বিলাপের ওপর বীরাঙ্গনা নাটকটি রচিত হয়। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি বিশিষ্ট কবি, লেখক ও নাট্যকার শুভাশীষ সিনহা সমীরের নির্দেশনায় উৎসবের দ্বিতীয় দিন রাত আটটায় কমলগঞ্জের মাধবপুর মণিপুরি ললিতকলা একাডেমিতে বীরঙ্গানা নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকের মূল ও একক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন মণিপুরি থিয়েটারের অন্যতম অভিনেত্রী জ্যোতি সিনহা।
বাংলাদেশ মণিপুরি সমাজকল্যাণ সমিতির আয়োজনে মণিপুরি অধ্যুষিত কমলগঞ্জের মণিপুরি ললিতকলা একাডেমিতে এই উৎসব শুরু হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। উৎসব উপলক্ষে মণিপুরি ভাষার মুখপত্র ইথাক ছাড়াও একাধিক পত্রপত্রিকা, অডিও, ভিডিও সিডি প্রকাশ করে বিভিন্ন সংস্থা। এ ছাড়া ছিল পত্রিকা ও মণিপুরি ভাষার বুকস্টল। সাংবাদিকদের জন্য বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সাহিত্য শিংলুপ খুলেছিল একটি মিডিয়া মনিটরিং সেল। মোবাইল অপারেটর কোম্পানি ‘রবি’ উৎসব সফল করতে সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল।
শুক্রবার উৎসবের শেষ দিনে ‘মণিপুরিদের জীবনমান উন্নয়নে সংসৃ্কতির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও গবেষক মফিদুল হক। সেমিনারের সভাপতি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নিখিল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি মহাসভা আসাম রাজ্যিক কমিটির সভাপতি হেমকান্তি সিংহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক রাজকান্ত সিংহ। নির্মল কুমার সিংহের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন লেখক-গবেষক মাহফুজুর রহমান, নিখিল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সংস্কৃতি পরিষদের আসাম রাজ্যিক কমিটির সম্পাদক আশুতোষ সিংহ রবি, সহসভানেত্রী রসবতী সিংহ, সাদিয়া আহমদ, কামিনী কুমার সিংহ, চাঁদমুরারী সিংহ স্বপন, প্রণীত রঞ্জন দেবনাথ, কবি পুলক কান্তি ধর, ভিম্পল সিংহ প্রমুখ।
এর আগে ‘নুয়া মিল্লেঙে, নুয়া থৌরাঙে’ (যুগের আলোকে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সাহিত্য) শীর্ষক সেমিনারে মণিপুরি ভাষার মুখপত্র ইথাক-এর সম্পাদক সংগ্রাম সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের দ্বাদশ পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট কবি সমরজিৎ সিংহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার শুভাশীষ সিনহা সমীর। আলোচনায় অংশ নেন ত্রিপুরা সরকার পরিচালিত মণিপুরি ভাষার পত্রিকা ত্রিপুরাচের সম্পাদক গল্পকার অনুকূল সিংহ, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি রাইটারস ফোরাম আসাম রাজ্যিক কমিটির সভাপতি কবি দিল্স লক্ষ্মীন্দ্র সিংহ, কন্যাপি পত্রিকার সম্পাদক প্রতীম সিংহ, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শক্তি কুমার সিংহ, লেখক শ্যাম সুন্দর সিংহ, কুমেই পত্রিকার সম্পাদক অঞ্জন সিংহ প্রমুখ। সেমিনারে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন শ্রীমতী রসবতী সিংহ।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠিত হয় গুণীজন সংবর্ধনা।
মণিপুরি সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে অবদানের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৭ জন গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিচারপতি এস কে সিন্হা। মণিপুরি মহারাস সেবা সংঘের সভাপতি চাঁদমুরারী সিংহ স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব, বাংলাদেশ মণিপুরি সমাজকল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সমরজিৎ সিংহ। আলোচনায় অংশ নেন হেমকান্তি সিংহ, নীলকান্ত সিংহ, রণজিত সিংহ প্রমুখ।
সেমিনার ও সংবর্ধনা শেষে সংগীত, নৃত্য ও নাটকে অংশ নেন ভারতের মুম্বাইয়ের প্রখ্যাত মণিপুরি নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যগুরু পদ্মশ্রী দর্শনা জাভেরী, নৃত্যশিল্পী তামান্না রহমান ও নৃত্যশীলন কেন্দ্রের শিল্পীরা।
যুদ্ধ নয়, প্রেমই মানুষের মুক্তি এনে দিতে পারে। ভালোবাসা আর প্রেম মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে। এ বিশ্বাস ধারণ করে মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অংশ নেওয়া পুরুষদের (স্বামীদের) ফিরিয়ে আনতে তাঁদের স্ত্রীদের আকুতি-মিনতি ও বিলাপের ওপর বীরাঙ্গনা নাটকটি রচিত হয়। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি বিশিষ্ট কবি, লেখক ও নাট্যকার শুভাশীষ সিনহা সমীরের নির্দেশনায় উৎসবের দ্বিতীয় দিন রাত আটটায় কমলগঞ্জের মাধবপুর মণিপুরি ললিতকলা একাডেমিতে বীরঙ্গানা নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকের মূল ও একক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন মণিপুরি থিয়েটারের অন্যতম অভিনেত্রী জ্যোতি সিনহা।
বাংলাদেশ মণিপুরি সমাজকল্যাণ সমিতির আয়োজনে মণিপুরি অধ্যুষিত কমলগঞ্জের মণিপুরি ললিতকলা একাডেমিতে এই উৎসব শুরু হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। উৎসব উপলক্ষে মণিপুরি ভাষার মুখপত্র ইথাক ছাড়াও একাধিক পত্রপত্রিকা, অডিও, ভিডিও সিডি প্রকাশ করে বিভিন্ন সংস্থা। এ ছাড়া ছিল পত্রিকা ও মণিপুরি ভাষার বুকস্টল। সাংবাদিকদের জন্য বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সাহিত্য শিংলুপ খুলেছিল একটি মিডিয়া মনিটরিং সেল। মোবাইল অপারেটর কোম্পানি ‘রবি’ উৎসব সফল করতে সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল।
শুক্রবার উৎসবের শেষ দিনে ‘মণিপুরিদের জীবনমান উন্নয়নে সংসৃ্কতির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও গবেষক মফিদুল হক। সেমিনারের সভাপতি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নিখিল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি মহাসভা আসাম রাজ্যিক কমিটির সভাপতি হেমকান্তি সিংহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক রাজকান্ত সিংহ। নির্মল কুমার সিংহের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন লেখক-গবেষক মাহফুজুর রহমান, নিখিল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সংস্কৃতি পরিষদের আসাম রাজ্যিক কমিটির সম্পাদক আশুতোষ সিংহ রবি, সহসভানেত্রী রসবতী সিংহ, সাদিয়া আহমদ, কামিনী কুমার সিংহ, চাঁদমুরারী সিংহ স্বপন, প্রণীত রঞ্জন দেবনাথ, কবি পুলক কান্তি ধর, ভিম্পল সিংহ প্রমুখ।
এর আগে ‘নুয়া মিল্লেঙে, নুয়া থৌরাঙে’ (যুগের আলোকে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সাহিত্য) শীর্ষক সেমিনারে মণিপুরি ভাষার মুখপত্র ইথাক-এর সম্পাদক সংগ্রাম সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের দ্বাদশ পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট কবি সমরজিৎ সিংহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার শুভাশীষ সিনহা সমীর। আলোচনায় অংশ নেন ত্রিপুরা সরকার পরিচালিত মণিপুরি ভাষার পত্রিকা ত্রিপুরাচের সম্পাদক গল্পকার অনুকূল সিংহ, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি রাইটারস ফোরাম আসাম রাজ্যিক কমিটির সভাপতি কবি দিল্স লক্ষ্মীন্দ্র সিংহ, কন্যাপি পত্রিকার সম্পাদক প্রতীম সিংহ, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শক্তি কুমার সিংহ, লেখক শ্যাম সুন্দর সিংহ, কুমেই পত্রিকার সম্পাদক অঞ্জন সিংহ প্রমুখ। সেমিনারে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন শ্রীমতী রসবতী সিংহ।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠিত হয় গুণীজন সংবর্ধনা।
মণিপুরি সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে অবদানের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৭ জন গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিচারপতি এস কে সিন্হা। মণিপুরি মহারাস সেবা সংঘের সভাপতি চাঁদমুরারী সিংহ স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব, বাংলাদেশ মণিপুরি সমাজকল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সমরজিৎ সিংহ। আলোচনায় অংশ নেন হেমকান্তি সিংহ, নীলকান্ত সিংহ, রণজিত সিংহ প্রমুখ।
সেমিনার ও সংবর্ধনা শেষে সংগীত, নৃত্য ও নাটকে অংশ নেন ভারতের মুম্বাইয়ের প্রখ্যাত মণিপুরি নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যগুরু পদ্মশ্রী দর্শনা জাভেরী, নৃত্যশিল্পী তামান্না রহমান ও নৃত্যশীলন কেন্দ্রের শিল্পীরা।
No comments