শিক্ষকদের কাছে এ আচরণ প্রত্যাশিত নয়-ছাত্রদের দিয়ে চাঁদা আদায়
চাঁদা তুলতে ছাত্রদের রাস্তায় পাঠিয়েছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এ নিয়ে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর সে কাজটি বন্ধ হয়েছে। কিন্তু ছাত্রদের দিয়ে এমন কাজ শিক্ষকেরা কেন করালেন, সে প্রশ্নটি তোলা জরুরি।
প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুধু বইয়ের পড়া শেখানো নয়, তাদের মানসিক বিকাশ ও নীতি-নৈতিকতার শিক্ষার বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মল্লিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে এবং এ জন্য অর্থের প্রয়োজন। অর্থ সংগ্রহের সহজ পথ হিসেবে শিক্ষকেরা ছাত্রদের রাস্তায় পাঠিয়েছিলেন চাঁদা তুলতে। শিক্ষকদের আদেশ মেনে ৮ থেকে ১০ বছর বয়সী ছেলেরা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তোলার কাজ শুরু করে। এ কাজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। রাস্তায় চলন্ত গাড়ি থামাতে গেলে যেকোনো সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। বোঝা যায়, এ বিদ্যালয়টিতে এমন কোনো দায়িত্বশীল শিক্ষক ছিলেন না, যিনি বিষয়টি অনুধাবন করতে পারেন। এর পরে আসে এর নৈতিক দিক। প্রাথমিক পর্যায়ের এই শিশুদের দিয়ে এ ধরনের চাঁদাবাজি করানোর বিষয়টি নৈতিকভাবে কতটুকু সঠিক, এই প্রশ্নটি কি প্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষকের মাথায়ও আসেনি?
আসলে ছাত্রদের দিয়ে চাঁদাবাজি করানোর সমস্যাটি কোথায়, তা স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকাও বুঝতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। তিনি বলেছেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ছিল না। অন্যদিকে এ জন্য যে সভা হওয়ার কথা ছিল তা না হওয়ায় সময়ের স্বল্পতার কারণে ছাত্রদের চাঁদা তুলতে পাঠানো হয়েছে। সবশেষে তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের অসুবিধা হলে আর পাঠাব না।’ অর্থাৎ অন্যের অসুবিধা বা আপত্তির কারণেই তিনি এ কাজ থেকে সরে আসছেন, কাজটি যে আসলেই ঠিক হয়নি সে বোধোদয় তাঁর হয়নি।
প্রাথমিক পর্যায়ে যাঁরা শিক্ষা দেন, তাঁরা দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করেন। এ ধরনের মন-মানসিকতা নিয়ে এই দায়িত্ব পালন করা কঠিন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন।
মল্লিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে এবং এ জন্য অর্থের প্রয়োজন। অর্থ সংগ্রহের সহজ পথ হিসেবে শিক্ষকেরা ছাত্রদের রাস্তায় পাঠিয়েছিলেন চাঁদা তুলতে। শিক্ষকদের আদেশ মেনে ৮ থেকে ১০ বছর বয়সী ছেলেরা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তোলার কাজ শুরু করে। এ কাজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। রাস্তায় চলন্ত গাড়ি থামাতে গেলে যেকোনো সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। বোঝা যায়, এ বিদ্যালয়টিতে এমন কোনো দায়িত্বশীল শিক্ষক ছিলেন না, যিনি বিষয়টি অনুধাবন করতে পারেন। এর পরে আসে এর নৈতিক দিক। প্রাথমিক পর্যায়ের এই শিশুদের দিয়ে এ ধরনের চাঁদাবাজি করানোর বিষয়টি নৈতিকভাবে কতটুকু সঠিক, এই প্রশ্নটি কি প্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষকের মাথায়ও আসেনি?
আসলে ছাত্রদের দিয়ে চাঁদাবাজি করানোর সমস্যাটি কোথায়, তা স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকাও বুঝতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। তিনি বলেছেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ছিল না। অন্যদিকে এ জন্য যে সভা হওয়ার কথা ছিল তা না হওয়ায় সময়ের স্বল্পতার কারণে ছাত্রদের চাঁদা তুলতে পাঠানো হয়েছে। সবশেষে তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের অসুবিধা হলে আর পাঠাব না।’ অর্থাৎ অন্যের অসুবিধা বা আপত্তির কারণেই তিনি এ কাজ থেকে সরে আসছেন, কাজটি যে আসলেই ঠিক হয়নি সে বোধোদয় তাঁর হয়নি।
প্রাথমিক পর্যায়ে যাঁরা শিক্ষা দেন, তাঁরা দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করেন। এ ধরনের মন-মানসিকতা নিয়ে এই দায়িত্ব পালন করা কঠিন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন।
No comments