বর্ণবৈষম্যবিলোপ দিবস-ঘুচে যাক সব বৈষম্য by জোবাইদা নাসরীন
বছর চারেক আগে ঢাকায় একটি সেমিনারে সৈয়দপুরের সুইপার তুঁতিয়া বাঁশফোঁড় বলেছিলেন, ‘১৯৭১ সালে যুদ্ধে পাকিস্তানিরা আমার বাবারে অত্যাচার কইরছে, আমার বোনরে দংশন [ধর্ষণ] কইরছে। পাকিস্তান সময়েও আমরা স্কুলে পড়তে পারিনি, আইজও আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাতে পারি না।
আমরা স্বাধীনতা ওসব বুঝি না। দেশ স্বাধীন হইল, আমাগো কী হইল? আমরা তো একই রকম আছি।’
আজ ২১ মার্চ আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস। ১৯৬০ সালের এই দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার সারপেবিলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল পার্টির জারী করা বর্ণভিত্তিক আলাদা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যে শান্তিপূর্ণ মিছিল হয়, সেখানে পুলিশ গুলি বর্ষণ করে এবং ৬৯ জন প্রাণ হারায়। সব ধরনের বর্ণবৈষম্য বিলোপের প্রচেষ্টা জোরদার করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ ১৯৬৬ সালে এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস হিসেবে পালনের সূচনা দেয়।
সেই ঘটনার অর্ধশতাব্দী পরও এখনো বিশ্বজুড়ে ভীষণভাবে রয়েছে বর্ণবৈষম্য। বাংলাদেশে ধর্ম, বিশ্বাস, অস্পৃশ্যতা, আঞ্চলিকতা, জাতিগত ও লিঙ্গবৈষম্য প্রকটভাবেই রয়েছে। যদিও বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ এ ছাড়া ২৮(১) ধারায় বলা আছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।’
তবু এই ধারাকে লঙ্ঘন করে শুধু জন্ম ও পেশাগত অস্পৃশ্যতার কারণে বৈষম্য, নির্যাতন ও নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রায় ৫৫ লাখ দলিত জনগোষ্ঠীকে। এই দলিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষার হার ৫ শতাংশেরও নিচে। শিক্ষার হার এত কমের কারণ, তাদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়। পত্রিকান্তরে জানা যায়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সুইপার কলোনির শিশু হওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ওই শিশুদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছিল (সূত্র: ২৪ অক্টোবর, ২০০৯, দৈনিক যুগান্তর)। একই অবস্থা বেদে, সিলেটের শব্দকর, যশোর, কুষ্টিয়া, নীলফামারীর কাওড়া, হরিজনসহ অন্যান্য সমপ্রদায়ও। তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে যাওয়ার অধিকারও কখনো কখনো স্বীকার করা হয় না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অনেকটাই বঞ্চিত বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় ১৫ হাজার হিজড়া। পুরুষ ও নারীর বাইরে আর কোনো লিঙ্গের অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র কিংবা সমাজ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও তাদের প্রবেশাধিকার নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় ৩০ লাখ আদিবাসীর মধ্যে অনেকেই শুধু আদিবাসী হওয়ার কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে একজন বাঙালি দিনমজুরি পান ১২০-১৫০ টাকা (খাবারসহ), সেখানে আদিবাসী মজুরি পান ১০০-১২০ টাকা (খাবারসহ)। আর সেখানে একজন আদিবাসী নারী পান ৭০-৮০ টাকা (খাবারসহ)। যদিও এলাকাভেদে এই দর ওঠানামা করে, তবে তা বৈষম্য জিইয়ে রেখেই। সেখানেই শেষ হয় না সবকিছু। গবেষণায় জানা গেছে, এই টাকা পেতে অনেক আদিবাসী নারী ও পুরুষকে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন।
বাংলাদেশে শ্রম শোষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো চা-বাগান। যে শ্রমিকের শ্রমের ওপর ভর দিয়ে এই ভূখণ্ডে ব্রিটিশরা তাদের শোষণ শুরু করেছিল, আজও সেই শ্রমিকেরা শ্রমভিত্তিক বৈষম্যের শিকার, যা তাঁদের এখনকার মজুরি বিশ্লেষণ করলেই দেখা যায়। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে চা-শ্রমিকদের মজুরি ছিল ৩২ দশমিক ৫০ টাকা। একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, তরাই ও ডুয়ার্সের চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫৩ দশমিক ৫০ ভারতীয় রুপি। এই চা-শ্রমিকদের সন্তানদের মধ্যে শিক্ষার হার খুব কম। সেখানে শিক্ষার ক্ষেত্রে খুব বেশি উৎসাহিত করা হয় না শ্রমিকদের।
এদের বাইরে দরিদ্র নারী, প্রবীণ নারী, প্রতিবন্ধী নারী, দলিত নারী, যৌনকর্মী, বেদে নারীসহ সমাজের বিভিন্ন অস্পৃশ্যতার শিকার নারীদের প্রতি বৈষ্যম্যের চিত্র আরও করুণ। খোদ ঢাকা শহরের সিটি করপোরেশনেই দলিত ঝাড়ুদার নারীরা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১৭ মার্চ ২০১০)। মাতৃত্বকালীন ছুটি চার মাস থাকা অবস্থায়ও (এখন হয়েছে ছয় মাস) দলিত নারীরা এই ছুটি ভোগ করতে পারতেন মাত্র দুই মাস। ছুটির দুই মাসের মধ্যে চাকরিতে যোগদান না করলে তাঁদের চাকরি হারাতে হয়। অস্পৃশ্যতার কারণে বহু হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ঢুকে খেতে দেওয়া হয় না দলিত মানুষদের। আবার সৈয়দপুরের কয়েকজন সুইপার নারী জানিয়েছেন, হোটেলে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া না হলেও হোটেলের কর্মচারীরা তাঁদের পানি মারে, নানা ছুতোয় তাঁদের হাত ধরার চেষ্টা করে, তাঁদের প্রতি যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা বলে (নাসরীন ২০০৬)।
পুরুষের জন্য তৈরি হওয়া এবং তাদের জন্য টিকে থাকা ‘পতিতালয়ের’ যৌনকর্মীরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধ পেশাদারি হলেও সমাজের কাছে আদৃত না হওয়ায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন পদে পদে। তবে রাষ্ট্র এবং বেসরকারি উন্নয়ন ভাবনায় তাদের একমাত্র উপস্থিতি পাওয়া যায় এইডস এবং এইচআইভির অনিবার্য ‘এজেন্ট’ হিসেবে। সামাজিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার না থাকায় তাঁরা হয়ে পড়ছেন অধিকারহীন। তাঁদের ছেলেমেয়েরাও বন্দী থাকছে ‘পতিতালয়ের’ গণ্ডিতে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ বাসস্থানসহ বিভিন্ন মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাচ্ছে না।
বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংবিধানের অবস্থান হলেও বাংলাদেশে বিরাজমান বৈষম্যের বিপক্ষে সরকারের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার মধ্য দিয়ে এই বৈষম্য বৈধ হয়ে ওঠে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সামাজিক সমতা আনয়নই নিশ্চিত করতে পারে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন। প্রতিটি মানুষের সমমর্যাদা ও সমসুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমেই আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা যেন সবার হয়ে ওঠে।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidanasreen@gmail.com
আজ ২১ মার্চ আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস। ১৯৬০ সালের এই দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার সারপেবিলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল পার্টির জারী করা বর্ণভিত্তিক আলাদা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যে শান্তিপূর্ণ মিছিল হয়, সেখানে পুলিশ গুলি বর্ষণ করে এবং ৬৯ জন প্রাণ হারায়। সব ধরনের বর্ণবৈষম্য বিলোপের প্রচেষ্টা জোরদার করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ ১৯৬৬ সালে এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস হিসেবে পালনের সূচনা দেয়।
সেই ঘটনার অর্ধশতাব্দী পরও এখনো বিশ্বজুড়ে ভীষণভাবে রয়েছে বর্ণবৈষম্য। বাংলাদেশে ধর্ম, বিশ্বাস, অস্পৃশ্যতা, আঞ্চলিকতা, জাতিগত ও লিঙ্গবৈষম্য প্রকটভাবেই রয়েছে। যদিও বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ এ ছাড়া ২৮(১) ধারায় বলা আছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।’
তবু এই ধারাকে লঙ্ঘন করে শুধু জন্ম ও পেশাগত অস্পৃশ্যতার কারণে বৈষম্য, নির্যাতন ও নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রায় ৫৫ লাখ দলিত জনগোষ্ঠীকে। এই দলিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষার হার ৫ শতাংশেরও নিচে। শিক্ষার হার এত কমের কারণ, তাদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়। পত্রিকান্তরে জানা যায়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সুইপার কলোনির শিশু হওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ওই শিশুদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছিল (সূত্র: ২৪ অক্টোবর, ২০০৯, দৈনিক যুগান্তর)। একই অবস্থা বেদে, সিলেটের শব্দকর, যশোর, কুষ্টিয়া, নীলফামারীর কাওড়া, হরিজনসহ অন্যান্য সমপ্রদায়ও। তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে যাওয়ার অধিকারও কখনো কখনো স্বীকার করা হয় না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অনেকটাই বঞ্চিত বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় ১৫ হাজার হিজড়া। পুরুষ ও নারীর বাইরে আর কোনো লিঙ্গের অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র কিংবা সমাজ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও তাদের প্রবেশাধিকার নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় ৩০ লাখ আদিবাসীর মধ্যে অনেকেই শুধু আদিবাসী হওয়ার কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে একজন বাঙালি দিনমজুরি পান ১২০-১৫০ টাকা (খাবারসহ), সেখানে আদিবাসী মজুরি পান ১০০-১২০ টাকা (খাবারসহ)। আর সেখানে একজন আদিবাসী নারী পান ৭০-৮০ টাকা (খাবারসহ)। যদিও এলাকাভেদে এই দর ওঠানামা করে, তবে তা বৈষম্য জিইয়ে রেখেই। সেখানেই শেষ হয় না সবকিছু। গবেষণায় জানা গেছে, এই টাকা পেতে অনেক আদিবাসী নারী ও পুরুষকে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন।
বাংলাদেশে শ্রম শোষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো চা-বাগান। যে শ্রমিকের শ্রমের ওপর ভর দিয়ে এই ভূখণ্ডে ব্রিটিশরা তাদের শোষণ শুরু করেছিল, আজও সেই শ্রমিকেরা শ্রমভিত্তিক বৈষম্যের শিকার, যা তাঁদের এখনকার মজুরি বিশ্লেষণ করলেই দেখা যায়। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে চা-শ্রমিকদের মজুরি ছিল ৩২ দশমিক ৫০ টাকা। একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, তরাই ও ডুয়ার্সের চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫৩ দশমিক ৫০ ভারতীয় রুপি। এই চা-শ্রমিকদের সন্তানদের মধ্যে শিক্ষার হার খুব কম। সেখানে শিক্ষার ক্ষেত্রে খুব বেশি উৎসাহিত করা হয় না শ্রমিকদের।
এদের বাইরে দরিদ্র নারী, প্রবীণ নারী, প্রতিবন্ধী নারী, দলিত নারী, যৌনকর্মী, বেদে নারীসহ সমাজের বিভিন্ন অস্পৃশ্যতার শিকার নারীদের প্রতি বৈষ্যম্যের চিত্র আরও করুণ। খোদ ঢাকা শহরের সিটি করপোরেশনেই দলিত ঝাড়ুদার নারীরা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১৭ মার্চ ২০১০)। মাতৃত্বকালীন ছুটি চার মাস থাকা অবস্থায়ও (এখন হয়েছে ছয় মাস) দলিত নারীরা এই ছুটি ভোগ করতে পারতেন মাত্র দুই মাস। ছুটির দুই মাসের মধ্যে চাকরিতে যোগদান না করলে তাঁদের চাকরি হারাতে হয়। অস্পৃশ্যতার কারণে বহু হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ঢুকে খেতে দেওয়া হয় না দলিত মানুষদের। আবার সৈয়দপুরের কয়েকজন সুইপার নারী জানিয়েছেন, হোটেলে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া না হলেও হোটেলের কর্মচারীরা তাঁদের পানি মারে, নানা ছুতোয় তাঁদের হাত ধরার চেষ্টা করে, তাঁদের প্রতি যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা বলে (নাসরীন ২০০৬)।
পুরুষের জন্য তৈরি হওয়া এবং তাদের জন্য টিকে থাকা ‘পতিতালয়ের’ যৌনকর্মীরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধ পেশাদারি হলেও সমাজের কাছে আদৃত না হওয়ায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন পদে পদে। তবে রাষ্ট্র এবং বেসরকারি উন্নয়ন ভাবনায় তাদের একমাত্র উপস্থিতি পাওয়া যায় এইডস এবং এইচআইভির অনিবার্য ‘এজেন্ট’ হিসেবে। সামাজিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার না থাকায় তাঁরা হয়ে পড়ছেন অধিকারহীন। তাঁদের ছেলেমেয়েরাও বন্দী থাকছে ‘পতিতালয়ের’ গণ্ডিতে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ বাসস্থানসহ বিভিন্ন মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাচ্ছে না।
বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংবিধানের অবস্থান হলেও বাংলাদেশে বিরাজমান বৈষম্যের বিপক্ষে সরকারের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার মধ্য দিয়ে এই বৈষম্য বৈধ হয়ে ওঠে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সামাজিক সমতা আনয়নই নিশ্চিত করতে পারে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন। প্রতিটি মানুষের সমমর্যাদা ও সমসুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমেই আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা যেন সবার হয়ে ওঠে।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidanasreen@gmail.com
No comments