বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হলে সহায়তা পাওয়া যাবে না-জলবায়ু তহবিলের স্বচ্ছতা
কোপেনহেগেনে ২০০৯ সালে কপ-১৫ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের পর ঘোষণা করা হয়েছিল, ওই মহানগরে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের জন্য যত বাড়তি জ্বালানি পুড়েছে বা কার্বন নিঃসরণ হয়েছে, পরিবেশ রক্ষায় তার ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ দেওয়া হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ বনায়ন ও পরিবেশবান্ধব অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্তের ক্ষতি এই গোলার্ধে পুষিয়ে দেবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সচেষ্ট আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশের ওপর কতটা আস্থা রাখে, তা এ ঘটনায় বোঝা যায়। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়েও বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অনুকূল ধারণা পোষণ করে। কিন্তু যদি বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড তহবিলের সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, যদি প্রকল্পের নামে টাকার অপচয়ের অভিযোগ ওঠে, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থায় চিড় ধরতে পারে। সেটা হবে এক বাড়তি বিপর্যয়।
গত বুধবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘জলবায়ু তহবিল নয়-ছয়!’ প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের নীতিগত অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর কয়েকটি আওয়ামী লীগের নেতাদের সংগঠন পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনেকটিরই জলবায়ু নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই। প্রকল্প বরাদ্দ-প্রক্রিয়ায় দলীয় বিবেচনা কাজ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার ভুয়া ঠিকানার ভুঁইফোড় সংগঠনকেও অর্থ বরাদ্দের অভিযোগ উঠেছে। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে?
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন, চূড়ান্ত হয়নি। তাই এ নিয়ে অভিযোগ উত্থাপন ঠিক নয়। কিন্তু তিনি আবার এটাও স্বীকার করেছেন, প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় ভালোই হয়েছে, কারণ দলের ভেতর থেকে তাঁর ওপর ‘অনেক চাপ ছিল’। সরল ব্যাখ্যার জন্য প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
২০১০ সালে কানকুনে জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনের পর বিশ্বের উন্নত দেশগুলো জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় আগামী কয়েক বছরে তিন হাজার কোটি ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর একটি বড় অংশ পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু ওই অর্থের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত না হলে দাতারা মুখ ঘুরিয়ে নেবে। তাই প্রকল্প গ্রহণ ও অর্থব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি একান্ত দরকার। কার্যকর আন্তর্জাতিক সহায়তা আসা এখনো শুরু হয়নি। তার আগে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার এই তহবিলের কাজের সফল অগ্রগতি আন্তর্জাতিক সহায়তাকে উৎসাহিত করবে।
চৈত্রের শুরুতে আকস্মিক বন্যা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু এই অসময়ে এবার কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এটা জলবায়ু বিপর্যয়ের একটি আলামত বলে পরিবেশবিদেরা ধারণা করছেন। এর আগে খুলনা-সাতক্ষীরায় সিডর-আইলা আঘাত হেনেছে, যার ক্ষত এখনো শুকায়নি। ট্রাস্ট ফান্ডের প্রকল্পগুলো এসব বিপন্ন এলাকা ঘিরে হওয়া উচিত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম প্রভৃতি এলাকা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রকল্পের অগ্রাধিকার স্থির করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি সেখানে ত্রুটি থাকে, যেখানে বেশি প্রয়োজন নেই সেখানে যদি বেশি অর্থ ব্যয় করা হয়, তাহলে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
গত বুধবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘জলবায়ু তহবিল নয়-ছয়!’ প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের নীতিগত অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর কয়েকটি আওয়ামী লীগের নেতাদের সংগঠন পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনেকটিরই জলবায়ু নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই। প্রকল্প বরাদ্দ-প্রক্রিয়ায় দলীয় বিবেচনা কাজ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার ভুয়া ঠিকানার ভুঁইফোড় সংগঠনকেও অর্থ বরাদ্দের অভিযোগ উঠেছে। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে?
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন, চূড়ান্ত হয়নি। তাই এ নিয়ে অভিযোগ উত্থাপন ঠিক নয়। কিন্তু তিনি আবার এটাও স্বীকার করেছেন, প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় ভালোই হয়েছে, কারণ দলের ভেতর থেকে তাঁর ওপর ‘অনেক চাপ ছিল’। সরল ব্যাখ্যার জন্য প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
২০১০ সালে কানকুনে জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনের পর বিশ্বের উন্নত দেশগুলো জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় আগামী কয়েক বছরে তিন হাজার কোটি ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর একটি বড় অংশ পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু ওই অর্থের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত না হলে দাতারা মুখ ঘুরিয়ে নেবে। তাই প্রকল্প গ্রহণ ও অর্থব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি একান্ত দরকার। কার্যকর আন্তর্জাতিক সহায়তা আসা এখনো শুরু হয়নি। তার আগে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার এই তহবিলের কাজের সফল অগ্রগতি আন্তর্জাতিক সহায়তাকে উৎসাহিত করবে।
চৈত্রের শুরুতে আকস্মিক বন্যা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু এই অসময়ে এবার কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এটা জলবায়ু বিপর্যয়ের একটি আলামত বলে পরিবেশবিদেরা ধারণা করছেন। এর আগে খুলনা-সাতক্ষীরায় সিডর-আইলা আঘাত হেনেছে, যার ক্ষত এখনো শুকায়নি। ট্রাস্ট ফান্ডের প্রকল্পগুলো এসব বিপন্ন এলাকা ঘিরে হওয়া উচিত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম প্রভৃতি এলাকা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রকল্পের অগ্রাধিকার স্থির করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি সেখানে ত্রুটি থাকে, যেখানে বেশি প্রয়োজন নেই সেখানে যদি বেশি অর্থ ব্যয় করা হয়, তাহলে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
No comments