ঢাকা সিটি নির্বাচন-নির্বাচন বন্ধে হাইকোর্টে রিট
আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ রাখতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ডিসিসি নির্বাচন বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে দাখিল করা রিট আবেদনের ওপর আংশিক শুনানিতে গতকাল রবিবার এ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে আজ সোমবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী বক্তব্য দেওয়ার জন্য সময় নিয়েছেন।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল বিকেলে এ রিট আবেদনের ওপর আংশিক শুনানি শেষে আদেশ দেওয়া হয়।
শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের মহাসচিব আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী গতকাল রিট আবেদনটি করেন। এর আগে নির্বাচন বন্ধ রাখতে গত বৃহস্পতিবার উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
গতকাল রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। শুনানিতে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন-২০০৯-এর কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন না করেই নির্বাচন কমিশন নবগঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন-২০০৯-এর ২৭ ধারায় বলা হয়েছে, নতুন কোনো সিটি করপোরেশন হলে সীমানা নির্ধারণকারী কর্মকর্তার সুনির্দিষ্ট ওয়ার্ডের বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে এবং করপোরেশনকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভক্ত করতে হবে। এই ওয়ার্ডের সংখ্যা গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। আইনের ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের থেকে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। এরপর গেজেট প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু এসব ধারা বাস্তবায়ন না করেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। যা আইনের চোখে অবৈধ। এসব ধারা বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। শুনানি চলাকালে আদালত বলেন, এটি খুবই স্পর্শকাতর মামলা। অ্যাটর্নি জেনারেল অথবা অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের এ মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়া প্রয়োজন। একপর্যায়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান শুনানিতে অংশ নিতে আসেন। তিনি আইনের ২৭ এবং ২৮ ধারা পড়ে বলেন, এগুলো তো আইনের ম্যান্ডেট। এগুলো কি করা হয়েছে? শুনানির একপর্যায়ে আদালত নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের বক্তব্য শুনতে চান। শাহদীন মালিক বলেন, 'এ মামলার কপি মাত্র পেয়েছি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে আমি বলতে পারব।' তিনি আজ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখার আবেদন জানান। তখন আদালত আজ দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এর আগে গত ৯ মে নির্বাচন কমিশন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। এ নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ মে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল বিকেলে এ রিট আবেদনের ওপর আংশিক শুনানি শেষে আদেশ দেওয়া হয়।
শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের মহাসচিব আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী গতকাল রিট আবেদনটি করেন। এর আগে নির্বাচন বন্ধ রাখতে গত বৃহস্পতিবার উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
গতকাল রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। শুনানিতে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন-২০০৯-এর কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন না করেই নির্বাচন কমিশন নবগঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন-২০০৯-এর ২৭ ধারায় বলা হয়েছে, নতুন কোনো সিটি করপোরেশন হলে সীমানা নির্ধারণকারী কর্মকর্তার সুনির্দিষ্ট ওয়ার্ডের বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে এবং করপোরেশনকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভক্ত করতে হবে। এই ওয়ার্ডের সংখ্যা গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। আইনের ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের থেকে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। এরপর গেজেট প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু এসব ধারা বাস্তবায়ন না করেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। যা আইনের চোখে অবৈধ। এসব ধারা বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। শুনানি চলাকালে আদালত বলেন, এটি খুবই স্পর্শকাতর মামলা। অ্যাটর্নি জেনারেল অথবা অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের এ মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়া প্রয়োজন। একপর্যায়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান শুনানিতে অংশ নিতে আসেন। তিনি আইনের ২৭ এবং ২৮ ধারা পড়ে বলেন, এগুলো তো আইনের ম্যান্ডেট। এগুলো কি করা হয়েছে? শুনানির একপর্যায়ে আদালত নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের বক্তব্য শুনতে চান। শাহদীন মালিক বলেন, 'এ মামলার কপি মাত্র পেয়েছি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে আমি বলতে পারব।' তিনি আজ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখার আবেদন জানান। তখন আদালত আজ দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এর আগে গত ৯ মে নির্বাচন কমিশন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। এ নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ মে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
No comments