হরতাল নিয়ে শঙ্কা by সোয়াদ আহমেদ
জাতীয় সম্পদ পাচার হচ্ছে, জাতীয় স্বার্থ লুণ্ঠিত হচ্ছে, গণমানুষের সঙ্গে প্রতারণা হচ্ছে, রাষ্ট্রশক্তি বিক্রি করে দিচ্ছে গণমানুষের ভবিষ্যৎ_ এসব কথা বলে চলেছেন আমাদেরই কয়েকজন। আনু মুহাম্মদ, এমএম আকাশরা লড়ছেন, সঙ্গে আছেন রাজনীতিসচেতন তরুণ শ্রেণী। তরুণ ব্লগে তর্ক করছেন, গল্প করছেন, স্বপ্ন দেখছেন এবং তৈরি হচ্ছেন।
তৈরি হচ্ছেন এক বড় সামাজিক প্রয়োজনে, নিজেদের মতো করে সব গুছিয়ে নেওয়ার জন্য। এরা টিভি সিরিয়াল, সিনেমা, ফেসবুক সব ছাপিয়ে সময়ের প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার ইচ্ছায় সচেতন বা অবচেতনভাবে অভিন্ন প্রয়োজনে জড়ো হচ্ছেন। তরুণ ছাত্রসমাজকে বঙ্গোপসাগরের গ্যাস রফতানি বিষয়ক জনস্বার্থবিরোধী ইস্যুতে জেগে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তাদের বড় অংশ তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা হরতালের পক্ষে। সরকার এদের দমনে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয় তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে তরুণরা তাদের দেশের জাতীয় সম্পদ কোনো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিতে নারাজ।
২০০৯ সালে সরকার আয়ারল্যান্ডের টাল্লো অয়েল আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের কনোকো ফিলিপস নামে দুটি কোম্পানির সমুদ্রে তিনটি ব্লকে তেল খোঁজার পারমিট দেয়। মিয়ানমার আর ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমানার এখতিয়ার নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যে ব্লকগুলো নিয়ে বিবাদ চলছে এগুলো সেই ব্লক নয়। যেগুলো নিয়ে বিতর্ক নেই সে ব্লকগুলোই বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের শক্তি ও জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চিয়তা নেই। দুনিয়াব্যাপী জ্বালানি চাহিদা বৃদ্ধি ও জ্বালানি প্রতিযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের তেল-গ্যাস-কয়লা দেশের বাইরে রফতানি করার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। জ্বালানি নিয়ে দুনিয়াব্যাপী তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে বাংলাদেশের আগামী উন্নয়নের জন্য শক্তির মজুদ কীভাবে নিশ্চিত করব_ সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। একই সঙ্গে এটা শুধু গ্যাস রফতানির প্রশ্নই নয়; উন্নয়ন নীতি, কূটনীতি ও প্রতিরক্ষা নীতিরও প্রশ্ন।
এসব জাতীয় সম্পদ বহুজাতিকের হাতে তুলে দিয়ে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট আর কম্পিউটার চালিয়ে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ার স্বপ্ন দেখা মানায় না। নতুন প্রজন্ম যারা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর হয়ে মহাজোটকে ক্ষমতায় এনেছে তারা জানতে চাচ্ছে, নিজেদের জ্বালানি নিজেদের উন্নয়নে নিশ্চিত মজুদ রাখার নীতিটা কোথায় গেল? তথ্য-উপাত্তগুলো কার কাছে আছে? এগুলো গোপনীয় কেন? এসব প্রশ্নের উত্তরে লড়ছেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ও তার সমমনা তরুণ সমাজ। সরকারকে বলি, অন্যায়ভাবে তাদের থামাবেন না, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর কোনো রকম শারীরিক নির্যাতন তো নয়ই।
হ শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়২০০৯ সালে সরকার আয়ারল্যান্ডের টাল্লো অয়েল আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের কনোকো ফিলিপস নামে দুটি কোম্পানির সমুদ্রে তিনটি ব্লকে তেল খোঁজার পারমিট দেয়। মিয়ানমার আর ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমানার এখতিয়ার নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যে ব্লকগুলো নিয়ে বিবাদ চলছে এগুলো সেই ব্লক নয়। যেগুলো নিয়ে বিতর্ক নেই সে ব্লকগুলোই বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের শক্তি ও জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চিয়তা নেই। দুনিয়াব্যাপী জ্বালানি চাহিদা বৃদ্ধি ও জ্বালানি প্রতিযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের তেল-গ্যাস-কয়লা দেশের বাইরে রফতানি করার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। জ্বালানি নিয়ে দুনিয়াব্যাপী তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে বাংলাদেশের আগামী উন্নয়নের জন্য শক্তির মজুদ কীভাবে নিশ্চিত করব_ সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। একই সঙ্গে এটা শুধু গ্যাস রফতানির প্রশ্নই নয়; উন্নয়ন নীতি, কূটনীতি ও প্রতিরক্ষা নীতিরও প্রশ্ন।
এসব জাতীয় সম্পদ বহুজাতিকের হাতে তুলে দিয়ে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট আর কম্পিউটার চালিয়ে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ার স্বপ্ন দেখা মানায় না। নতুন প্রজন্ম যারা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর হয়ে মহাজোটকে ক্ষমতায় এনেছে তারা জানতে চাচ্ছে, নিজেদের জ্বালানি নিজেদের উন্নয়নে নিশ্চিত মজুদ রাখার নীতিটা কোথায় গেল? তথ্য-উপাত্তগুলো কার কাছে আছে? এগুলো গোপনীয় কেন? এসব প্রশ্নের উত্তরে লড়ছেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ও তার সমমনা তরুণ সমাজ। সরকারকে বলি, অন্যায়ভাবে তাদের থামাবেন না, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর কোনো রকম শারীরিক নির্যাতন তো নয়ই।
ংড়ধিফধযসবফ@মসধরষ.পড়স
No comments