অপর্যাপ্ত পানি সরবরাহ-মহানগরীর জন্য নতুন বিপদ
পানির অপর নাম জীবন। সেই পানি এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠতে যাচ্ছে ঢাকা মহানগরীতে। রাজধানীতে পানি সরবরাহের জন্য একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সেবা সংস্থাটি নিশ্চিত করতে পারছে না সরবরাহ। পানির ঘাটতি নিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের।
অভিজাত হিসেবে পরিচিত এলাকাও বাদ পড়ছে না। রাত জেগে বসে থাকতে হচ্ছে. অথচ পানি মিলছে না। ওয়াসার পানি কিনে ব্যবহার করার জন্য ভিড় বাড়ছে। কিন্তু সেখানেও উৎপাদনে টান পড়েছে। সব মিলিয়ে পানির জন্য কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।
এমনিতেই রাজধানীতে বিশুদ্ধ পানির অভাব। গ্রীষ্মকাল এলে এই সংকট আরো বেড়ে যায়। গরমের সময় পানির প্রয়োজন যেমন বেশি হয়, তেমনি বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদনেও ঘাটতি দেখা দেয়। অন্যদিকে পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াসার বিরুদ্ধে অভিযোগ তো আছেই। পানির নতুন উৎস খুঁজে বের করার কোনো চেষ্টাও তো এই রাজধানীতে সেভাবে হয়নি। প্রতিদিন এক থেকে দেড় কোটি মানুষের ব্যবহারের পানির জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের ওপর। সেই স্তর প্রতিদিন নিচের দিকে নামছে। একদিকে অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক অনেক জলাশয়, ঢাকার চারপাশে যে নদীগুলো এখনো টিকে আছে, বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে সেগুলোর পানি ব্যবহারের উপযোগী নয়; অন্যদিকে কেবল ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করে থাকতে গিয়ে সেই স্তর ক্রমেই আরো নিচের দিকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে যে আরেকটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনা হচ্ছে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন কেউ বোধ করছে না।
পানি ছাড়া আমাদের একটি দিনও চলে না। প্রতিদিন রাজধানীতে প্রয়োজনের তুলনায় পানির ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এই ঘাটতি পূরণ করা হয়তো সম্ভব হতো, যদি সায়েদাবাদ শোধনাগার থেকে পানি পাওয়া যেত। কিন্তু সেই প্রকল্পটি এত দিনেও আলোর মুখ দেখেনি। আবার প্রশ্ন আছে ওয়াসার দেওয়া পানির চাহিদা ও উৎপাদনের হিসাব নিয়েও। রাজধানীবাসীর মৌলিক চাহিদা পূরণের মতো এই পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এটাই এখন বাস্তবতা। ভুক্তভোগী নগরবাসী যেমন পানি নিয়ে অস্বস্তিতে আছে, তেমনি সংকটের বিষয়টি ওয়াসারও অস্বীকার করার উপায় নেই। এই সংকটের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে আরেকটি অভিযোগ। ওয়াসার এক শ্রেণীর কর্মী এই ফাঁকে নিজেদের বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ওয়াসা থেকে অনেক সময় জানানো হয় বিদ্যুতের কারণে পাম্প চালানো যায় না, সে কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে দুটি সংযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। বিদ্যুতের লো ভোল্টেজও উৎপাদন ব্যাহত করে। অনেক ক্ষেত্রে জেনারেটর দিয়ে চালানো হয় পাম্প। কিন্তু সেখানেও তেল নিয়ে কারসাজি হয় বলে জানা যায়।
রাজধানীর পানি সংকট নিয়মিত একটি সমস্যা। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, এই সমস্যা তত প্রকট হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার একটি স্থায়ী পথ খুঁজে বের করা দরকার। রাজধানীর পানি সংকট দূর করতে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন আন্তরিকতা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেবার মানসিকতা নিয়ে আন্তরিকভাবে এগিয়ে এলে এ সমস্যার সমাধান অনেকটাই হয়ে যাবে। পানির জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল হয়েছে। মানুষ বিরক্তির চরম সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে। রাজধানীতে পানির জন্য ব্যক্তি বা এলাকাবাসীর উদ্যোগে কূপ খননও করা হচ্ছে- এই দৃশ্যও কি আমাদের চোখ খুলে দেয় না।
এমনিতেই রাজধানীতে বিশুদ্ধ পানির অভাব। গ্রীষ্মকাল এলে এই সংকট আরো বেড়ে যায়। গরমের সময় পানির প্রয়োজন যেমন বেশি হয়, তেমনি বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদনেও ঘাটতি দেখা দেয়। অন্যদিকে পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াসার বিরুদ্ধে অভিযোগ তো আছেই। পানির নতুন উৎস খুঁজে বের করার কোনো চেষ্টাও তো এই রাজধানীতে সেভাবে হয়নি। প্রতিদিন এক থেকে দেড় কোটি মানুষের ব্যবহারের পানির জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের ওপর। সেই স্তর প্রতিদিন নিচের দিকে নামছে। একদিকে অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক অনেক জলাশয়, ঢাকার চারপাশে যে নদীগুলো এখনো টিকে আছে, বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে সেগুলোর পানি ব্যবহারের উপযোগী নয়; অন্যদিকে কেবল ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করে থাকতে গিয়ে সেই স্তর ক্রমেই আরো নিচের দিকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে যে আরেকটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনা হচ্ছে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন কেউ বোধ করছে না।
পানি ছাড়া আমাদের একটি দিনও চলে না। প্রতিদিন রাজধানীতে প্রয়োজনের তুলনায় পানির ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এই ঘাটতি পূরণ করা হয়তো সম্ভব হতো, যদি সায়েদাবাদ শোধনাগার থেকে পানি পাওয়া যেত। কিন্তু সেই প্রকল্পটি এত দিনেও আলোর মুখ দেখেনি। আবার প্রশ্ন আছে ওয়াসার দেওয়া পানির চাহিদা ও উৎপাদনের হিসাব নিয়েও। রাজধানীবাসীর মৌলিক চাহিদা পূরণের মতো এই পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এটাই এখন বাস্তবতা। ভুক্তভোগী নগরবাসী যেমন পানি নিয়ে অস্বস্তিতে আছে, তেমনি সংকটের বিষয়টি ওয়াসারও অস্বীকার করার উপায় নেই। এই সংকটের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে আরেকটি অভিযোগ। ওয়াসার এক শ্রেণীর কর্মী এই ফাঁকে নিজেদের বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ওয়াসা থেকে অনেক সময় জানানো হয় বিদ্যুতের কারণে পাম্প চালানো যায় না, সে কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে দুটি সংযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। বিদ্যুতের লো ভোল্টেজও উৎপাদন ব্যাহত করে। অনেক ক্ষেত্রে জেনারেটর দিয়ে চালানো হয় পাম্প। কিন্তু সেখানেও তেল নিয়ে কারসাজি হয় বলে জানা যায়।
রাজধানীর পানি সংকট নিয়মিত একটি সমস্যা। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, এই সমস্যা তত প্রকট হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার একটি স্থায়ী পথ খুঁজে বের করা দরকার। রাজধানীর পানি সংকট দূর করতে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন আন্তরিকতা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেবার মানসিকতা নিয়ে আন্তরিকভাবে এগিয়ে এলে এ সমস্যার সমাধান অনেকটাই হয়ে যাবে। পানির জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল হয়েছে। মানুষ বিরক্তির চরম সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে। রাজধানীতে পানির জন্য ব্যক্তি বা এলাকাবাসীর উদ্যোগে কূপ খননও করা হচ্ছে- এই দৃশ্যও কি আমাদের চোখ খুলে দেয় না।
No comments